![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক, দ্বায়ী, এক্টিভিস্ট
প্রিয় ভাইয়েরা আমার!
আপনারা জানেন যে, ইসলাম ও কুফরের সংঘাত চিরন্তন।
মহার আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন-
}وَلَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّى يَرُدُّوكُمْ عَنْ دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُوا{.(سورة البقرة:217)
“তারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যে পর্যন্ত তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে ফিরিয়ে না দিবে, যদি তারা সক্ষম হয়।”
(সূরা বাকারা-২১৭)
সুতরাং ক|ফিররা আমাদের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ সেই সময় পর্যন্ত চালু রাখবে যতক্ষন না তারা মুসলমানদেরকে তাদের দ্বীন থেকে ফিরিয়ে না দিবে। বর্তমানে শুধু আমেরিকা ও পশ্চিমারা নয় বরং সকল কুফর বিশ্ব মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে লিপ্ত আছে। পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, বর্তমানে খৃষ্ট ধর্মের দিকে বা অন্য কোন নতুন ধর্মের দিকে দাওয়াত দেয়া হয় না, বরং সাধারণভাবে সকল মুসলমানকে এবং বিশেষভাবে দ্বীনি ভাইদেরকে যার দিকে আহবান করে থাকে, তা হলো: গণতন্ত্রের নর্দমাতে প্রবেশ করার দাওয়াত। যখন দ্বীনের ধারক-বাহকদেরকে গণতন্ত্রের নর্দমাতে প্রবেশের করাতে পারবে, তখন-ই কেবল আল্লাহ তা‘আলার দুশমন ক|ফিরদের এই সকল নেতাদের চিত্তের স্থিরতা ফিরে আসে। এ কারণেই তো সকাল-সন্ধ্যা সর্বদা গণতন্ত্রের দিকে কেবল আহবান করা হয়ে থাকে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নিক্সন বলেছিলেন যে, আমেরিকার পক্ষ থেকে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য একটিই বার্তা, আর এটার জন্যই সে লড়াই করে; তার একটা হলো: গণতন্ত্র আর অন্যটি হলো: পুঁজিবাদ (সুদী ব্যবস্থাপনা)।
সাম্প্রতিক সময়েও মু-জা/হি-দীনের কাছে বৈশ্বিক ক|ফিরদের এই একটিই দাবি যে, তোমরা গণতন্ত্রে অংশগ্রহন কর! এক্ষেত্রে তোমরা যে কোনভাবে অংশগ্রহন কর না কেন তাতে কোন সমস্যা নেই। চাই দ্বীনদারির সাথে অংশগ্রহন কর বা বদদ্বীনির সাথে অংশগ্রহন কর। এসব কিছুই মেনে নেয়া হবে। ইসলাম নিয়ে অংশগ্রহন করতে চাও? শরীয়তের কথা বলতে চাও? তাহলেও কোন সমস্যা নেই। তথাপি তোমরা গণতন্ত্রে অংশগ্রহন কর! দাঁড়ি, পাগড়ি, নামায ও রোযা সবকিছুই এখানে পালন করতে পারবে। সুতরাং শুধুমাত্র একবার গণতান্ত্রিক রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হও!... যদি একবার আপনারা এই ময়দানে অবতীর্ণ হয়ে যান, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ-অনুযোগ শেষ হয়ে যাবে। তখন আপনাদের আর কোন ধরণের পেরেশানী থাকবে না। টার্গেটকৃত চিহিৃত ব্যক্তিদের তালিকা থেকে আপনাদের নাম বাদ দিয়ে দেয়া হবে। জাতিসংঘ কর্তৃক সাহায্যের বন্ধ দরজা আপনাদের জন্য খুলে দেয়া হবে। সর্বোপরি আপনাদের থেকে সব ধরণের বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হবে। আ-ফ-গানিস্তান, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও মালিসহ সকল স্থানের মু-জা/হি-দীনের দিকে আপনি একটু লক্ষ করুন! তাতে দেখতে পাবেন যে, সকল স্থানের মু-জা/হি-দীনের নিকট তাদের এই একটিই দাবি। (তা হলো-তোমরা গণতন্ত্রে অংশগ্রহন কর।)
এখন কথা হচ্ছে: এই গণতন্ত্রের মাঝে এমন কি বিষয় আছে? যার কারণে “ইসলামী গণতন্ত্র” এর বৈশ্বিক নেতাকেও বৈশ্বিক ক|ফিরদের ভাল লাগে, তাকে পছন্দ করে?! মনে করুন এখনকার তথাকথিত ইসলামী গনতন্ত্রে ইসলাম, নিরাপত্তা, ন্যায়পরায়ণতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠাসহ সকল ধরনের কল্যাণ বিদ্যমান থাকলেও তা ক|ফিরদের পছন্দের। আ-ফ-গানিস্তানে ইমারতে ইসলামী বিদ্যমান থাকাবস্থায় এই কল্যাণগুলো বিদ্যমান ছিল, কিন্তু সেখানে গণতন্ত্র ছিল না । তাই কুফফারদের দল এই সকল কল্যাণকে গ্রহন করে নেয় নাই। তাহলে এর মূল কারণ কী, এর নিগুড় রহস্য কী?! যে কারণে আমাদের দ্বীনদার ভাইদের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও ধর্মহীনদের গণতান্ত্রিক রাজনীতির মাঝে কোন পার্থক্য বাকি নেই? কি সেই উপাদান?! যার কারণে এই পথে কল্যাণ স্থিমিত হয়ে যায় আর অকল্যাণের শক্তিমত্তা বৃদ্ধি পায়।
মুহতারাম ভাইয়েরা আমার!
তাহলে আপনারা তার প্রকৃত কারণ শুনুন! ইসলাম শক্তি প্রয়োগ করে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ প্রদানের শিক্ষা দেয়। তাছাড়া ইসলামে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ প্রদান করা ফরয। কিন্তু গণতন্ত্রে যেহেতু অসৎকাজ, নোংরাকাজ স্বীয় অবস্থায় বহাল থাকা, তার প্রচার-প্রসার হওয়া, এটা অসৎকাজের গণতান্ত্রিক অধিকার। কেননা, গণতন্ত্রের মৌলিক নীতিই হচ্ছে: Book For Book এবং Tv Channel For Tv Channel অর্থাৎ বইকে তার আপন অবস্থায় এবং টিভি চ্যানেলকে তার আপন অবস্থায় ছেড়ে দিতে হবে। তাই এখন যদি কেউ খুব অশ্লীল বই লিখে, তাহলে তাকে লিখতে দাও, এই বইকে প্রচার-প্রসার হতে দাও। যদি তোমার কাছে অশ্লীল মনে হয় তাহলে তুমি এই বই পড়ো না। তার চেয়েও যদি আরো বেশী খারাপ লাগে, তাহলে তুমি এই বইয়ের পরিবর্তে আরেকটি ভাল বই লিখে ফেল। অথবা ধরুন: কেউ খুব অশ্লীল টিভি চ্যানেল খুলল, যেখানে চূড়ান্ত পর্যায়ের অশ্লীল দৃশ্য দেখানো হয় বা তাতে কুফরী মতবাদ ছড়ানো হয়, তাহলে তাতেও কোন সমস্যা নেই। আপনি সেই চ্যানেল দেখবেন না, এটা ছাড়া অন্যান্য চ্যানেল তো আরো অনেক আছে, আপনি সেগুলোর মধ্য থেকে ভালো চ্যানেলগুলো দেখুন। এরপরেও যদি আপনার বেশী কষ্ট লাগে এবং আপনার সক্ষমতাও আছে, তাহলে আপনি একটি ভালো চ্যানেল খুলুন... কিন্তু আপনি এই অশ্লীল চ্যানেলকে শক্তি প্রয়োগ করে বন্ধ করে দিবেন, এটা আপনার জন্য বৈধ হবে না। আইন এটাকে অনুমোদন করবে না! তা এই জন্য যে, সে যা কিছুই করবে এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের আসল রুপ, যেখানে পবিত্র মানুষকে অপবিত্রতা বরদাশত করতে হয়। আর এটা তো প্রকাশ্য বিষয় যে, অবশেষে এই অপবিত্রতাই প্রচার-প্রসার লাভ করে থাকে। তাছাড়া দুর্গন্ধযুক্ত অপবিত্র স্থানে পবিত্র মানুষ কতক্ষণ থাকতে পারে? এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের আসল রুপ, যেখানে অকল্যাণের সামনে কল্যাণের হাতকে সম্পূর্ণরূপে বেঁধে দেয়া হয়! অথচ ইসলাম সম্পূর্ণ তার বিপরীত। কারণ, ইসলাম সমাজকে পবিত্র রাখার উপর তাগিদ প্রদান করে। কেননা, ব্যক্তি ও সমাজ সকলের দায়িত্ব হলো: তারা অসৎকর্মের রাস্তা প্রতিরোধ করবে এবং অশ্লীলতা ও নোংরামী যারা প্রচার-প্রসার করে তাদেরকে প্রতিহত করবে।
চলমান...
টিকা –
ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান
তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও
©somewhere in net ltd.