নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী আমি ইসলামী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা লেখি করি

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী

লেখক, দ্বায়ী, এক্টিভিস্ট

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও || দ্বিতীয় পর্ব || গণতন্ত্র মুসলিমদের যা ছিনিয়ে নিল পর্ব - ৪

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫০



মুহতারাম ভাইয়েরা আমার!

মহান রাব্বুল আলামীনের ঘোষণা হলো-إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ অর্থাৎ আদেশ ও আইন একমাত্র আল্লাহর চলবে। কিন্তু এর বিপরীতে গণতন্ত্র ঘোষণা করেছে যে, ان الحکم إِلَّا للشعب অর্থাৎ আদেশ বা আইন শুধুমাত্র জনগণের চলবে! গণতন্ত্র বলে: People are the supreme power অর্থাৎ জনগণের অভিলাষ ও ইচ্ছা অনুযায়ী শাসন চলবে! অধিকাংশ জনগণের অভিলাষ ও ইচ্ছা অনুযায়ী চলবে, যাদের (জনগণের) সরলতার অবস্থা হলো: যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশী ভালভাবে জালিয়াতি করতে পারবে; তারা তার পিছনেই ছুটে চলবে। অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের অধিকাংশ লোকদের ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন-
وَإِنْ تُطِعْ أَكْثَرَ مَنْ فِي الْأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ إِنْ يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ.
“যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করবে।(তা এই জন্যে যে) তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে; আর তারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে।”
(সূরা আন‘আম-১১৬)

এখন আপনি যদি একলক্ষ বার সংবিধানে আল্লাহর হাকিমিয়্যাত তথা হুকুমতের একটি ধারা লিখে দেন বা একলক্ষ বার এই নাপাক গণতন্ত্রের সাথে ইসলামী হুকুমতের আদান-প্রদান শুরু করে দেন, তাহলে বাস্তবে এটা কেমন হবে? তখন কার বিধানুয়ায়ী ফায়সালা করা হবে? দুইটির মাঝে কোন ফায়সালাগুলোর একেকটি ধারাকে দলীল হিসাবে পেশ করা হবে? দলীল হিসাবে পেশ করার মত মর্যাদা আল্লাহর নাযিলকৃত শরীয়াহর আছে কি? না, তাদের কাছে নেই! তা শুধু কতিপয় সেই সকল লোকদের জন্য-ই, যারা ভীতি প্রদর্শন, ধান্ধাবাজি ও ধোঁকাবাজির মাধ্যমে নিজেই নিজেকে জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে দাবি করে এবং তথাকথিত জনগণের এই প্রতিনিধি যখন নির্বাচিত হন, তখন তার অভিলাষগুলোই গণতন্ত্রের ‘পবিত্র’ আইন হিসেবে প্র্রণয়ন করে থাকে!

অতঃপর প্রিয় ভাইয়েরা!
এখানে আরেকটি বিষয়ের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। তা হলো: গণতন্ত্রকে লক্ষ লক্ষ জনতার শাসন বলা হয়, অথচ কক্ষনো এটা জনগণের শাসন নয়, বরং বাস্তবতা হচ্ছে: গণতন্ত্র ঐ সমস্ত লোকদের ক্ষমতার নাম, যা জনগণকে ক্ষমতা, মিথ্যা ও প্রতারণার মাধ্যমে পথভ্রষ্ট করে দেয়। আপনি পাকিস্তানে দেখুন! এ সমস্ত ক্ষমতা দ্বীনের দুশমন সেনাবাহিনী এবং ধর্মহীন মিডিয়ার ধনী লোকদের হাতে বিদ্যমান রয়েছে। সেনাবাহিনীর অস্ত্রের শক্তি আর মিডিয়ার মিথ্যাচার ও জাদুর মত ক্ষমতা থাকার দরুন এই উভয়টি জনগণকে কাবু করে ফেলে। তাই এসেম্বলিতে যদি কোন সিট পাওয়া যায়, ক্ষমতার প্রাসাদের স্বাদ যদি কিছু দিনের জন্য ভোগ করতে হয় অথবা যদি কমপক্ষে ক্ষমতার মসনদে থাকতে হয়, তাহলে সেনাবাহিনী ও মিডিয়াকে সন্তুষ্ট রাখা জরুরী। আজ আপনাদের সামনে এসব কিছুই বিদ্যমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কে হয়েছেন? কিভাবে হয়েছেন? সেনাবাহিনীর অস্ত্র আর মিডিয়ার জাদুর মত ক্ষমতা ব্যতীত এই নাট্যমঞ্চ সাজানো কি সম্ভরপর ছিল? এই বাস্তবতা বুঝার পর; সম্প্রতি পাকিস্তানে আমাদের রাজনৈতিক দ্বীনি ভাইয়েরা সেনাবাহিনী ও ধর্মনিরপেক্ষ মিডিয়াকে সন্তুষ্ট রাখাকে নিজেদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য স্থির করে নিয়েছেন। আর এ কারণেই সেনাবাহিনীর নির্লজ্জ অত্যাচার, ইসলামী শরীয়াহর সাথে তাদের শক্রতার প্রচন্ড যুদ্ধক্ষেত্র অথবা ধর্মনিরপেক্ষ মিডিয়ার নির্লজ্জতা ও ইসলামের বিরুদ্ধে আক্রমণের ক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্র বিদ্যমান থাকার পরও আমাদের রাজনৈতিক দ্বীনি ভাইয়েরা এই শ্রেণীর লোকগুলির সাথে তাদের সন্তুষ্টির বহির্প্রকাশ করতে দেখা যায়!

চলমান...
টিকা –

ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান
তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.