নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী আমি ইসলামী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা লেখি করি

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী

লেখক, দ্বায়ী, এক্টিভিস্ট

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও || তৃতীয় পর্ব || ‘গনতান্ত্রিক রাজনীতি দ্বীনি ভাইদের ক্ষমতায়নের কারণ নাকি দুর্বলতার কারণ?!!’ পর্ব - ২

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪২



সুপ্রিয় সূধীমন্ডলী!

এটাই হচ্ছে প্রকৃত তত্ত্ব। কিন্তু আলোচনাকে সামনে বাড়ানোর প্রয়োজনে…যদি আমরা মেনেও নিই যে, তা দ্বীনদার ভাইদের জিতের ফিরিস্তি। তাহলে প্রশ্ন হলো: এই জিতের ফিরিস্তি কি আপনাদেরকে রাজনৈতিক নির্বাচন দিয়েছে? আপনারা অধিক ভোট পেয়েছেন বলেই কি সংবিধানে এই ধারাগুলো সংযুক্ত করা হয়েছে? নাকি বিষয়টি সম্পূর্ণ তার উল্টো?! প্রকৃত বাস্তবতা হলো: এই নামমাত্র পরিবর্তনও আপনারা তখনই করতে পেরেছেন, যখন আপনারা জনগণকে ‘নাহি আনিল মুনকার’ তথা মন্দকাজের প্রতিরোধ শিরোনাম দিয়ে রাস্তায় নামাতে পেরেছেন। তারা শরীয়ত প্রতিষ্ঠার খাতিরে গুলি ও লাঠিচার্জ এবং সরকারের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিজয়াবলি লাভের কারণ এই নয় যে, পার্লামেন্টে আপনাদের ডিজিটাল শক্তি বেশী ছিল, বরং পার্লামেন্টের বাহিরে আপনাদের প্রতিবাদ এমন একটি প্রতিরোধ ছিল; যার কারণে শাসকশ্রেণি কয়েকটি জিনিস মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল। যখন ১৯৪৯ খৃষ্টাব্দে প্রস্তাবনামূলক দাবি গৃহীত হওয়ার আইন পাশ হয়, তখনকার সময়ে আপনাদের কতটি সিট ছিল? তখন তো আইন পরিষদে আপনাদের শুধু একটি সিট ছিল। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে যখন সংবিধান প্রণিত হয়, তখন তো আপনাদের দলসমূহ সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের শিকার হয়েছিল। সেই সময় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরীয়ত প্রতিষ্ঠার নামে আপনারা মন্দকাজ থেকে বাঁধাপ্রদানের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সেই আন্দোলনের ভীতির কারণেই সংবিধানে ইসলামী ধারাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল…আর এই ধারাগুলো কাদের হাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল? কে ১৯৭৩ সালের এই তথাকথিত ইসলামী সংবিধানকে পাশ করেছিলেন? এই ধোঁকাবাজির “সৌভাগ্য” প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের অর্জিত হয়েছে, যার দ্বীন বিদ্বেষ ও ছল-ছাতুরীর উপর আপনারা সবাই ঐক্যমত পোষণ করেছেন।
.
এমনিভাবে কাদিয়ানীদেরকে যখন কাফির বলে ঘোষণা করা হয়, তখন পার্লামেন্টে আপনাদের কতটি সিট ছিল? তখন নামকা ওয়াস্তে আপনাদের কিছু সিট ছিল। কিন্তু আপনাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এসেম্বলির ভিতরে আপনাদের থেকে ভিন্ন মতাদর্শিক এবং রাজনৈতিক বিরোধীরাও আপনাদের জন্য ভোট প্রদান করে। এখন বলুন তো! কেন এই বিরোধীরা আপনাদেরকে সমর্থন করেছিল? কেন আপনাদের সামনে তারা হাঁটু গেড়ে ছিল? তাহলে শুনুন- তারা “খতমে নবুওয়াত” আন্দোলনের কারণে হাঁটু গেড়েছিল। “খতমে নবুওয়াতের” আন্দোলন কোন ব্যালেট বক্সের আন্দোলন ছিল না। তা ছিল না ছোট বক্সে কাগজ ফেলানোর কোন কারিশমা বরং তা ছিল মন্দকাজ থেকে বাঁধা প্রদান করার আন্দোলন। আর তা এমন একটি আন্দোলন ছিল; যেখানে সাধারণ জনগণ কুরবানী দিয়েছেন, রক্তের নযরানা পেশ করেছেন এবং প্রতিদিন কয়েকজন মুসলমান শহীদ হয়েছেন।
.
অন্যদিকে তার বিপরীত চিত্র দেখুন! আপনাদের এমন একটা সময় এসেছিল, যখন আপনাদের নিকট নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশী সংখ্যক সিট ছিল। ২00২ সালের নির্বাচনে আপনারা জাতীয় পরিষদের 63 টি আসন পেয়েছেন। সীমান্তে সম্পূর্ণরূপে আপনাদের সরকার ছিল এবং বেলুচিস্তান সরকার আপনাদের অবদান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। এটা এমন একটা বিজয় ছিল, যা ইতিপূর্বে কখনো অর্জিত হয়নি এবং ভবিষ্যতে অর্জিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এখন বলুন! সেই সময় ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে আপনারা কি কোন অগ্রগতি করতে পেরেছিলেন ? আপনারা কি আইনী ও সাংবিধানিক সংস্কার করতে পেরেছিলেন?!
.
.
চলমান...
টিকা –
.
.
ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান
তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.