নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী আমি ইসলামী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা লেখি করি

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী

লেখক, দ্বায়ী, এক্টিভিস্ট

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও || তৃতীয় পর্ব || ‘গনতান্ত্রিক রাজনীতি দ্বীনি ভাইদের ক্ষমতায়নের কারণ নাকি দুর্বলতার কারণ?!!’ পর্ব - ৩

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৪

তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও
|| তৃতীয় পর্ব ||

‘গনতান্ত্রিক রাজনীতি দ্বীনি ভাইদের
ক্ষমতায়নের কারণ নাকি দুর্বলতার কারণ?!!’ পর্ব - ৩
============================================
.
আসলে সত্য কথা হলো: আপনাদের এই সাফল্য অর্জিত হওয়ার মূল কারণ ছিল আফগানিস্তানের উপর আমেরিকার আক্রমণ ও ইমারতে ইসলামী আফগানিস্তানের পতন। সাধারণ জনগণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছিল, সীমান্ত, উপজাতীয় ও বেলুচিস্তানের জনগণের হৃদয়ে চোট ও রাগ ছিল, এমতাবস্থায় জেনারেলদের জন্য পাকিস্তানের ভূমিতে আমেরিকার গোলামী করাটা কোন সহজ ব্যাপার ছিল না। তজ্জন্য এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে থামানো জরুরী ছিল। আবার এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে তালেবানদের পদ্ধতিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয়। আর সাধারণ জনগণও এই শ্লোগানের উপর ভিত্তি করে আপনাদেরকে সমর্থন করে। কিন্তু যখন আপনারা ক্ষমতার মহলে পৌঁছেছেন, তখন প্রতিবাদ আর প্রতিবাদ হিসাবে বাকি ছিল না। এই পাঁচ বছরে সরকার ও সেনাবাহিনী সবচেয়ে খারাপ অপরাধগুলি করেছে। যে পার্লামেন্টে তখন আপনারা একটি বড় সংখ্যা ছিলেন, সেই সময়ে নারী অধিকারের নামে সেই বিলটি পাস হয়, যাকে আপনারা নিজেরা “যিনা বিল” বলে নামকরণ করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে সম্মতিসহ যিনার অনুশীলন করা কোন আইনি অপরাধ হিসাবে বাকি থাকেনি। এই সময়ে দুর্বৃত্ততা, অনৈতিকতা, ধর্ম বিদ্বেষ গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়; উদারতাবাদ ও বুদ্ধিবৃত্তিক দেদীপ্যমান প্রদর্শনীর নামে ক্ষমতার পূজায় লিপ্ত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমেরিকার হুকুমের গোলামে পরিণত হয়। এখানে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ শহরে সি,আই এসে কেন্দ্র স্থাপন করা শুরু করে দেয়। প্রত্যেক শহরে শহরে আমেরিকানদের হাতে দ্বীনদার ভাইয়েরা গ্রেফতার হতে থাকে। পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের উপর ৫৭ হাজার বার বিমান হামলা করা হয়। জি/হা-দের নুসরত করার অপরাধে স্থানীয় মুসলমানদের উপর বোমা ও বারুদের গুলিবৃষ্টি বর্ষণ করা শুরু হয়। ন্যাটোর সামরিক যান আমাদের রাস্তা দিয়ে আমাদের নিরাপত্তার মাধ্যমে আফগানিস্তানে যাওয়া শুরু করে। লাল মসজিদের লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে; যাতে আমাদের বোনদের ও মেয়েদেরকে ফসফরাস বোমা দ্বারা পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু আপনারা এই সকল ক্ষেত্রে কি কোন ধরনের বাঁধা তৈরী করতে পেরেছেন? তখন আপনাদের মাঝে সম্পূর্ণরূপে নিরবতা বিরাজমান ছিল কেন?! তার কারণ সুস্পষ্ট। তা হলো: পার্লামেন্টের এই সিটগুলি আপনাদের হাতকড়া এবং পায়ের বেড়ি হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল। মন্ত্রণালয় ও সিটের কারণে আপনাদের মুখে তালা লেগেছিল। মন্দকে প্রতিহত করা ও বাতিলের সামনে হুংকার দেওয়ার যে ক্ষমতা ছিল, তা প্রথমে আপস-মীমাংসা, তারপর পুনর্মিলন, অবশেষে এটা সহযোগিতায় পরিণত হয়…।
.
এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের পন্থায় চলার বাস্তবতা। তাছাড়া অন্যান্য আরো অনেক বাস্তবতাও ‍ষ্পষ্ট করে দেয়। যেমন: গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে দ্বীনদার ভাইদের একেবারেই কোন শক্তি-সামর্থ নেই, এটার জানান দেয়। কারণ, গণতান্ত্রিক রাজনীতি শক্তি প্রদান করে না, বরং যে শক্তি ধর্মকে রক্ষা করতে পারে এবং কাফের ও ধর্মের দুশমনদের পথকে চিরতরে বন্ধ করে দিতে পারে সে শক্তিকে ছিনিয়ে নেয়। এর বিপরীতে, জনগণকে ভাল কাজের প্রতিরক্ষায় উন্নিত করা, মন্দপথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো এবং তাদের আত্মত্যাগের নি:স্বার্থ আবেগের দ্বারা তাদেরকে নিবেদিত রাখা এমন একটি প্রক্রিয়া, যা ধর্মীয় দলগুলোকে কোন সন্দেহ-সংশয় ছাড়াই ক্ষমতা প্রদান করে থাকে।
.
প্রিয় উপস্থিতি!

আপনারা পুরো বিশ্বের ইতিহাসের দিকে একটু তাকান! তাহলে আপনারা একটি চরম বাস্তবতা দেখতে পাবেন যে, গণতন্ত্রের ভিতরে ক্ষমতা স্থানান্তর হয় কেবল। যার কারণে ব্যক্তির চেহারা তো পাল্টায়, কিন্তু জোর-জবরদস্তি ও শক্তির উপর নির্ভরশীল পূর্ব থেকে চলে আসা চাপিয়ে দেওয়া সিস্টেমে কখনো কোন পবিরর্তন আসে না। সিস্টেমের পরিবর্তন অর্থাৎ উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ এক নতুন সিস্টেম আনা; যার মাধ্যমে পূর্ব থেকে চেপে বসা শাসকশ্রেনী ও বুদ্ধিজীবিদের থেকে পরিত্রান হাসিল হবে, সেটা ভোটের গণনা দ্বারা কখনো হাসিল হয়নি ও কখনো হতে পারে না। তার জন্য এমন একটি শক্তির দরকার, এমন শক্তি সঞ্চারের প্রয়োজন; যা বাতিলদের শক্তিকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলে দিবে। ইসলামের ইতিহাস আপনার সামনে রয়েছে। সীরাত আমাদের জন্য এক আমলী নমুনা বা আদর্শ। মক্কার মুশরিকরা যখন সত্যের বিরোধিতায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং ইসলাম বিজয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তখন নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু প্রজ্ঞাপূর্ণ মতামত দিয়েই মক্কা বিজয় করেননি। বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথমে মদীনায় শক্তি সঞ্চার করেছেন, ময়দানে বদর ও ময়দানে উহুদের মারহালা অতিক্রম করেছেন, অবশেষে মক্কা বিজয়ের রাস্তা সুগম হয়েছে, যার মাধ্যমে সকল বাঁধা-বিপত্তি দূর হয়ে যায় এবং মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করতে আরম্ভ করে।
.
.
চলমান...
টিকা –
.
.
ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান
তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.