নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদিত্য মুহাম্মাদ

অখ্যাত এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্ভাগ্যক্রমে পড়ার সুযোগ পাই। সেই থেকে সেখানেই আছি। সমাজ আমাকে তেমন টানে না। তবে মানুষের ভেতর প্রবল টান অনুভব করতে পারি। সম্পদশালীরাও আমাকে টানে না। তবে যাদের তিন বেলা খাবার জোটার মতো সম্পদ নেই তারা খুব বেশি টানে।

আদিত্য মুহাম্মাদ

অতি সাধারন একজন মানুষ যার জীবনের লক্ষ্য গরীব মানুষের জন্য সাধ্যমত কিছু করা। রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে আজ গরীবেরা আরও গরীব হচ্ছে, সম্পদশালীরা আরও সম্পদশালী আর আমার মতো মধ্যবিত্তরা মধ্যবিত্ত থেকা যাচ্ছে। এই মধ্যবিত্ততাকে সম্বল করে দেখি সেই গরীবদের জন্য কিছু করা যায় কি না।

আদিত্য মুহাম্মাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধুনিকতা এবং আমি

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

আজ হঠাত কিছু চিন্তা মাথায় যন্ত্রণা দিয়ে তাড়া করছে ।

অনেক ভেবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলাম বিয়ে করবনা ।

যদি করি তবে কোন পতিতা কে করব যে আমার সাথে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাবে ।

অনেকের মাথা রীতিমতো ঘুরতে শুরু করেছে জানি ।

আমার ও ঘুরছে ।

আমি মেয়েদের সাথে তেমনটা মিশিনা ।

একটু এড়িয়েই চলি বলতে গেলে ।

এমনকি ভার্সিটিতে ওঠার পরও না ।

এখন যখন মনে হল একটা প্রেম করব আর নারীর সন্ধান শুরু করলাম যার সাথে প্রেম করা যায় তখন এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা হল ।

বিশ্বাস হচ্ছিলনা আমি কি ঢাকা নাকি লন্ডন নিউ ইয়র্কে আছি ।

আমি এই প্রেমযোগ্য নারী খুজতে গিয়ে ভয়াবহ সে অবস্থার সম্মুখীন হলাম ।

আমার বন্ধুদের (ছেলে) অধিকাংসর কোন প্রেমিকা (GF) নাই ।

কোনদিন ছিলও না ।

কিন্তু মেয়েদের কাউকেই ফাকা পেলাম না ।

যাদের পেলাম তারা প্রেম করেনি সেটা বলতে পারলনা ।

আবার আমার কিছু বন্ধুর একাধিক জিএফ ।

তার মানে দাঁড়ালো আজ মেয়েরা কিছু ছেলের হাতে বন্দী ।

ঘুরে ফিরে তাদের কাছেই মেয়েরা গিয়ে পরছে ।

ভাববেন না যে আমি প্রেম করতে পারিনি তাই বলছি ।

এতে আমার কিছু মনে হয়নি । শুধু ভেবেছি আমাকে দেখে হয়ত কারও প্রেম পায়না ।

তবে আরেকটু ভিতরে গিয়ে মর্মান্তিক চিত্রটা দেখে আমার মনে হয়েছে আমি ভিন্ন গ্রহে আছি ।

সেদিন ''বলধা গার্ডেন'' নামক একটা পার্কে গিয়ে অনেক লাইভ এক্স এক্স এক্স মুভি দেখলাম ।

প্রথমে মনে হল আমি বোধয় সানি লিওনদের কারখানায় এসেছি ।

বেশ মজা পেলাম । মোবাইলে বেশ অনেকবার দেখলেও লাইভ প্রথমবার দেখছি ।

তার পর মনে হল একি হাল বাংলাদেশের ?

তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এলাম ।

আর সেদিন খবরে দেখলাম ২৫০ টা ফ্ল্যাট ভাড়া করে চলছে দেহের ব্যবসা ।

যেখানে আধুনিক রুচিসম্মত ছাত্রীরাও দেহ নামক যন্ত্র দিয়ে অর্থ উপার্জন করছে।

যারা করল তারা করল টাকার বিনিময়ে । কিন্তু আমার বন্ধুরা তো ভালবাসি নামক শব্দটা ব্যাবহার করে একই কাজ করছে এবং একাধিক জনের সাথে করছে ।

কিন্তু তাদের কাউকেই বিয়ে নামক ফাঁসি দিচ্ছেনা । অনেক মেয়েই শরীরের সেই গভীর সম্পর্কে না জড়ালেও বাকি সব ভাবেই জড়াচ্ছে ।

এই মেয়েরা কি এসব কথা কখনো ভুলতে পারবে ? বা ছেলেরাই কি পারবে ? পারবেনা ।

যদিও পারে যখন সে তার স্বামী আর তার স্ত্রীর সাথে যখন বৈধভাবে মিলিত হতে যাবে তখন নিশ্চয় মনে পড়বে তার সে অবৈধ সম্পর্কের কথা ।

তখন কি তার ইফোরট দিতে একটু সমস্যা হবেনা ? কেও কখনো তার সে সম্পর্কের কথা তার স্বামী আর তার স্ত্রীকে জানাতে পারবেনা ।

সারাজীবন যখন তারা শরীরের সাথে শরীর মেলাবে তখনি তার পাপবোধ জাগবে ।

কখনই একে অপরের সাথে পবিত্রভাবে পুরনাঙ্গভাবে মিশতে পারবেনা ।

চিরজীবন একটা দুরুত্ত বজায় রাখবে ।

তাহলে তাদের বিয়ে করে কি লাভ ? বিয়েটা তখন কেবলই ফরজ মনে হবে আর কিছুনা ।

অপর দিকে একটা পতিতার সাথে ঘর বাঁধলে এমনটা হবেনা ।

এই যেমন এই ঈদে''সানি লিওন'' নামের পোশাকের জন্য মানুষের কত আপত্তি ।

কিন্তু আরও হাজারো নায়িকার নামের পোশাক কত দাম দিয়ে কত যত্ন করে মানুষকে দেখিয়ে দেখিয়ে কিনছে ।

পার্থক্য এটাই যে ''সানি লিওন''রা দেখানোর জন্য করে আর বাকিরা করে মানুষের অন্তরালে তাদের বিভিন্ন স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ।

এখন আমি যদি কোন পতিতা যে সাধারন জীবনে ফিরে আসতে চাই তবে তাকে নিয়ে ঘর বাঁধলে এইটুকু জানা থাকবে যে সে একসময় পতিতা ছিল ।

তাই শরীর মেলাতে গেলে ততটাও খারাপ লাগবেনা যতটা একজন সন্দেহভাজন পতিতার সাথে শরীর মেলাবো বা তার সাথে সংসার করব ।

কারন আমরা সবাই জানি আসল অবস্থা টা । এই অবস্থা আর দেখতে চাইনা ।



(বিঃদ্র : কোন ভাই বা বোনকে কে কষ্ট দিতে লিখিনি । তাই কিছু মনে করলে বুঝব আপনিও এই দলের )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.