নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদিত্য মুহাম্মাদ

অখ্যাত এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্ভাগ্যক্রমে পড়ার সুযোগ পাই। সেই থেকে সেখানেই আছি। সমাজ আমাকে তেমন টানে না। তবে মানুষের ভেতর প্রবল টান অনুভব করতে পারি। সম্পদশালীরাও আমাকে টানে না। তবে যাদের তিন বেলা খাবার জোটার মতো সম্পদ নেই তারা খুব বেশি টানে।

আদিত্য মুহাম্মাদ

অতি সাধারন একজন মানুষ যার জীবনের লক্ষ্য গরীব মানুষের জন্য সাধ্যমত কিছু করা। রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে আজ গরীবেরা আরও গরীব হচ্ছে, সম্পদশালীরা আরও সম্পদশালী আর আমার মতো মধ্যবিত্তরা মধ্যবিত্ত থেকা যাচ্ছে। এই মধ্যবিত্ততাকে সম্বল করে দেখি সেই গরীবদের জন্য কিছু করা যায় কি না।

আদিত্য মুহাম্মাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আক্ষেপ

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

আজ বসুন্ধরা থেকে ফেরার পথে কারওয়ান বাজার মোড়ে এসে দেখি দুজন মেয়েকে বেশ ভয়ার্ত দেখাচ্ছে। তাদের মাঝখান দিয়ে একজন ছেলেকে বেশ রাগন্নিত ভাবে কথা বলতে দেখলাম তাদের সাথে। অনেক ক্লান্ত ছিলাম সারাদিন কাজ শেষে। অতঃপর গেলাম তাদের কাছে। শুনি ছেলেটা মেয়ে দুজনের সাথে আধো-ইংরেজীতে কথা বলছে। আমার আর বুঝতে বাকি রইল না যে ছেলেটি ঐ দুজনের পকেট কাটার কল্পনায় আছে। আমি আরেকটু কাছে যেতেই ছেলেটি মধুর সুরে কথা বলতে থাকে। আমি ঐ দুজনের সামনে থেকে দেখে বুঝলাম এরা বিদেশী। আমার ইংরেজীও অনেক খারাপ। তবু সাহস করে জিজ্ঞাসা করলাম কোন সমস্যা হয়েছে কি না। প্রতিত্তরে মেয়েটি বলল তারা পার্লামেন্ট হাউস মানে সংসদ ভবন যাবে কিন্তু তাদের ঠিক করে রাখা সিএনজিওয়ালাকে পাচ্ছে না তার উপর এই লোকটি ঝামেলা করছে। আমি বিষয়টা বুঝতে পেরে বেশ জোরালো ভাবে ঐ ছেলেটিকে বললাম যে তার সমস্যা কী। ও বলে ও নাকি হোটেলের লোক। আমি ওকে বললাম আপনার হোটেলে উনারা উঠবেন না আপনি যান এইখান থেকে। কিন্তু নাছোড়বান্দা লোক যাবে না। পরে আরও দুএকজকে ডাকার পর ও একটু দূরে যায়। তখন ঐ দুজন রমণীর সাথে আমার কথা হতে থাকে। তারা জানায় তারা অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছে বাংলাদেশের কোন একটি শুমারির জন্য। তার দুবোন। এখন তারা সংসদ ভবন যাবে কিন্তু কীভাবে যাবে বুঝতে পারছে না আর ভয়ও পাচ্ছে। আমি তাদের নির্ভয় দিয়ে বললাম আমি সিএনজি নিয়ে আসছি। ওদের ভেতর স্বস্তি ফিরে আসতে দেখে খুব ভাল লাগল। অতঃপর আমি সিএনজি ঠিক করে ওদের উঠিয়ে দিতে দিতে বললাম আমি এগিয়ে দিয়ে আসব কি না। ওরা বলল তারা যেতে পারবে আমাকে আর কষ্ট দিতে চায়না। আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালো। আমিও ভাব নিলাম যে আমরা বাংলাদেশীরা এই সেই যদিও কিছুক্ষণ আগেই একটা কুকীর্তির স্বীকার হয়েছে এই বাংলাদেশীর হাতেই। তবুও তারা খুশি হল। আমারও ভাল লাগলো। যাবার সময় হাত মেলাল। ওনাদের ভেতর যে ছোট তার বয়স আমার কাছাকাছি হবে। প্রেমে পড়ার মত একটি মেয়ে! ক্ষণিক দেখায় প্রেমে পড়েছিলাম ঐ মেয়ের চোখের। আক্ষেপ থেকে যাবে যার এত সুন্দর দুটো চোখ তার নামটা অবধি জানা হল না!



(কনফেস করার জন্য এই পোস্টটি নয়। খুব খারাপ লাগলো যে বাঙ্গালীরা এইসব অতিথিদের সাথেও এমন আচরন করে! বিগত বছরের তুলনায় ইদানীং বিদেশীরা অনেক কম আসে এ দেশে। তার অন্যতম কারণ এই অনিরপত্তা।)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১২:০৭

হাসান বিন নজরুল বলেছেন: আপনার দেশপ্রেম দেখে ভালো লেগেছে...তারা হয়তো কোন আড্ডায় বা স্মৃতি কথায় আপনার বা একজন বাংলাদেশীকে ভালো মানুষের আসনে বসানোর প্রয়াস পাবে :)

২| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

আপানাকে ধন্যবাদ ভালো একটি কাজ করার জন্য।

৩| ০২ রা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আদিত্য মুহাম্মাদ বলেছেন: ভাল খারাপ তা তো জানিনা ভাই, আর কেউ আমার সম্পর্কে গল্প করবে এই ভেবেও তা করিনাই। মনে হল যে আমার অতিথি আমার উচিৎ তাদের সহায়তা করা তাই করেছি। আর বড় কথা হল ওরাও মানুষ। কোন এক সময় আমিও এই বিপদে পড়তেই পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.