![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতি সাধারন একজন মানুষ যার জীবনের লক্ষ্য গরীব মানুষের জন্য সাধ্যমত কিছু করা। রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে আজ গরীবেরা আরও গরীব হচ্ছে, সম্পদশালীরা আরও সম্পদশালী আর আমার মতো মধ্যবিত্তরা মধ্যবিত্ত থেকা যাচ্ছে। এই মধ্যবিত্ততাকে সম্বল করে দেখি সেই গরীবদের জন্য কিছু করা যায় কি না।
জাতিসংঘ। আমার কাছে বিশ্বের এই বৃহত্তম সংস্থাটিকেই সবচেয়ে অকাজের, অহেতুক, অযথা আর ঘৃণ্যতম বলে মনে হয়।
আর পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃণ্য দেশ হল অ্যামেরিকা। জাতিসংঘর মুল উদ্দেশ্য হল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আমার জন্মের পর আজ অবধি এই সংস্থাটিকে শান্তির জন্য কিছু করতে দেখলাম না। দেখা বলতে দেখেছি এই সংস্থা অনুন্নত দেশগুলিতে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা বানাতে বলে প্রচারণা চালায়, পায়খানা থেকে বেরিয়ে কীভাবে হাত ধুতে হয় তা শেখায়, খাবার আগে হাত ধুতে বলে, পরিবেশ নষ্ট যেন না হয় তার জন্য কিছু প্রচারণা চালায়, রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলতে হয় না তাই বলে বেড়ায় আর গুটিকয়েক কাজও করে থাকে এরা। এখন কথা হল এই সব কাজ নিশ্চয় গরু ছাগলের জন্য নয়, মানুষের জন্য। কিন্তু এই সংস্থাটি এসব মানুষকে শিক্ষা দিতে কাজ করছে বটে, কিন্তু তাঁদের মুল উদ্দেশ্য যে শান্তি প্রতিষ্ঠা তা তারা ভুলে গেছে। হাত ধুতে বলে, আর স্যানিটারি পায়খানা ব্যাবহার করতে বলে কখনই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় অশান্তি দূর করা। আর পায়খানা শেষে হাত ধুলে কখনই শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় না। জ্ঞান হবার পর আমার দেখা প্রথম যুদ্ধ হল ইরাক যুদ্ধ। সেখানে মার্কিনীরা নির্মম ভাবে ইরাকিদের উপর হামলা চালায়। লাখো মুসলিম মারা যায়। ঠুনকো কারণকে ইস্যু করে একের পর এক হামলা চালায় ইরাকিদের উপর। শুরু হয় যুদ্ধ। কিন্তু এই জাতিসংঘ তখন নির্বাক। যেন তাঁদের চোখই তখন হারায় গিয়েছিল। টানা দশ বছর যুদ্ধ চলে, তবু কোন পদক্ষেপ নেই। আফগানিস্থানেও ঐ মার্কিনীদের অহেতুক হামলা। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে এই দেশটির মানুষও যুদ্ধবিধ্বস্ত। সমালিয়াকেও পঙ্গু করে দিয়েছে। লিবিয়াতেও এই ধ্বংসযজ্ঞ চালায় মার্কিনীরা। সেখানেও বছরের পর বছর মানুষ নিপীড়িত। সিরিয়াকেও শেষ করে দিয়েছে এই যুদ্ধ। সুদানের অবস্থাও করুণ! সোমালিয়ারও দশা একই। এদিকে ৭০ বছর ধরে ফিলিস্থিনিরা সহ্য করে চলেছে ইজরাইলিদের বর্বরতা। তবু এই সংস্থাটি নীরব। তাহলে কী লাভ এমন সংসথা থেকে? পাকিস্তানের অবস্থাও করুণ।
এতগুলি দেশ যুদ্ধ বিধ্বস্ত, অথচ এই শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী সংস্থাটি নীরব। যেন কোন রূপকথার রাজ্যের জাদুকর জাদু মন্ত্র দিয়ে একে অচল করে দেয় এই সংস্থাটিকে!
ফিলিস্থিনের এই অবস্থায় জাতিসংঘের নীরব ভূমিকা আর অ্যামেরিকার ইজরাইল সমর্থন দুটোই আমার কাছে মনে হয় অমানবিক। আর তাই মুসলিম দেশগুলির উচিৎ এই একটি সংস্থা এবং এই দুটি দেশ অ্যামেরিকা ও ইজরাইলকে বয়কট করা। আর ধর্ম ভুলে প্রত্যেক মানুষের উচিৎ মানবতা দেখানো। কোন ধর্মেই গণহত্যা সমর্থন করে না। কোন ধর্মেই অমানবিক হতে বলেনি। তাই শুধু মুসলিম নয়, সব ধর্মের মানুষদের উচিৎ এই সময় ফিলিস্থিনিদের দিকে হাত বাড়ানো। কারণ ধর্মের আগে মানুষ। মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়। তাই আসুন ধর্ম ভুলে আগে নিজেদের বড় পরিচয়, আমরা যে মানুষ তার মূল্য দেই। আর ফিলিস্তিনে হামলা, সাধারণ জনগণ হত্যা, শিশু হত্যা, দেশ ধ্বংস করার পায়তারার বিরুদ্ধে এক হই, আর পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করি এবং সব ধর্মের মানুষের নিরাপদ আর বাসযোগ্য করতে এগিয়ে আসি।
"মানুষ আছে বলে ধর্ম আছে, ধর্ম আছে বলে মানুষ নয়"।
©somewhere in net ltd.