![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একবিংশ শতাব্দীর এ সভ্যতার যুগেও এভাবে উত্তাল সাগরের মাঝখানে মানুষ বাঁচার জন্যে আহাজারি করছে।খাবার ও পানীয়ের অভাবে নিজেদের মূত্র পান করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।
অথচ জাতিসংঘ ও মানিবাধিকার সংগঠনগুলো বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ।সাগরে ভেসে থাকা এ আট থেকে দশ হাজারের সবাই বাংলাদেশি ও মায়ানমারের রোহিঙ্গা।
বাঙ্গালীর সাগরে পাড়ি দেয়ার অভ্যাস অবশ্য পুরোনো।কোনভাবেই জাহাজে করে ইন্দোনেশীয়া,মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে যেতে পারলেই লাইফ সাইন। ব্যাংক ভর্তি কোঠী কোঠী টাকা নিয়েই দেশে ফিরবে এমন বুক ভরা আশা নিয়েই সীমান্তবর্তী সহজ-সরল মানুষগুলো সমুদ্রে পাড়ি দেয়।তাদের এ লোভই যে তাদের জীবন প্রদীপশিখা নিভিয়ে দেবে তা কি আর কবু ভাবে ?
কিন্তু বার্মার রোহিঙ্গারা যাচ্ছে ভিন্ন কারণে। কোনোভাবে প্রাণটা বাঁচাতে পারলেই হলো।
নিজ দেশে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার তাদের নেই।বার্মায় মুসলিমদের ধরে ধরে আগুনে পুড়া ফেলা হচ্ছে। কাউকে সাগরে, কাউকে কেঠে,কাউকে রশিতে ঝুলিয়ে মারা হচ্ছে।যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই বোদ্ধরা নির্দ্বিধায় হত্যা করে চলেছে তাদের।তাদের একটাই উদ্দ্যেশ্য।মুসলিম নিধন।
প্রতিবাদ জানানোর ভাষা রোহিঙ্গা মুসলিমদের নেই। কারণ তারা মুসলিম। আর এটাই তাদের একমাত্র অপরাধ !!!
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানিবাধিকার সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময়ে এর প্রতিবাদ ও তাদের নাগরিকত্বের দাবি জানালেও এখনো নাগরিকত্ব দেয়া হয়নী।এক দিকে আমাদের কঠোর নীতির জন্যে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশেও আসতে পারছে না অন্যদিকে তাদের দেশেও থাকা সম্ভব হচ্ছে না।তাই সাগরে পাড়ি দিয়ে ভিন্ন কোনো দেশে আশ্রয় নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
কিন্তু এ ভীন্ন দেশে পাড়ি দিতে গিয়েই যে তাদের এত বিড়ম্বনা ! ইন্দোনেশিয়া,থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া সরকার তাদের সীমান্তে ভীড়তে দিচ্ছে না।কখনো তীরে ভিড়ার চেষ্টা করলেও জোর করে ভূ-মধ্য সাগরের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।এমনকি থাইল্যান্ড সরকার তাদের নৌ-বাহিনীকেও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে যে এসব রোহিঙ্গা অথবা বাংলাদেশীদের জাহাজ চোখের সামনে ডুবতে দেখলেও যেন না বাঁচায় !!!
ছি : ছি : ছি : ! বিশ্ব বিবেক আজ প্রশ্নবিদ্ধ ?
খাদ্য ও পানীয়ের অভাবে সাগরের বুকে আর্তনাদ করে মানুষ মৃত্যুর কোলে ডলে পড়ছে অন্যদিকে বিশ্ববাসী সে দিকে থাকিয়ে নৃত্য করছে।
প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।
©somewhere in net ltd.