![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মা যেন মোর লক্ষ্মীসোনা,
নীল আকাশের চাঁদ।
মাগো তোমায় না দেখিলে,
মিটে না যে স্বাদ।
সারাজীবন চাই থাকিতে
মাগো তোমার কাছে,
বুঝি না মা কি যে মধু
তোমার কাছে আছে।
তোমার মত স্নেহ মাগো
কোথায় গেলে পাই,
তাই তো মা তোমার আদর
সারাজীবন চাই।
আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি তখন এই কবিতাটি লিখেছিলাম। কিন্তু মাকে কখনো শুনানোই হয় নি।
আমার মনে আছে আমি যখন নার্সারিতে পড়ি তখন মা দিবসে আমি আমার মার একটি ছবি এঁকেছিলাম এবং আমার মাকে সেটা দিয়েও ছিলাম। আমার মা খুব খুশী হয়ে ছিল ছবিটা দেখে।
এখন আমার বয়স ২২ বছর।
হঠাৎ কাল আমার একটা কাগজ খুঁজতে খুঁজতে পেলাম ১৭ বছর আগের সেই ছবিটা। আমার মা খুব যত্ন করে রেখে দিয়েছিল ছবিটা। আমি কিন্তু আমার বাবা-মার এক মাত্র মেয়ে না তারপরও আমার মা তার ভালবাসার সিংহভাগটা আমাকে দিয়েছে।
ভালবাসি মাকে নিজের থেকে অনেক বেশি। আসলে মা এমন একটা শব্দ যে শব্দটার কোনো বিশ্লেষণ করা যায় না। আর ভালবাসার পরিমান এতো বেশি যেটা কখনো পরিমাপ করা সম্ভব না। বলতে গেলে ভালবাসার অপর নামটাই হচ্ছে ভালবাসা।
মা মানেই নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা।
আমার অস্তিত্ব মানেই হচ্ছে আমার, আমার একমাত্র আশ্রয়স্থল হচ্ছে মা।
একটা শিশু যখন ভূমিষ্ঠ হয় তখন সে না জানে হাঁটতে না জানে কথা বলতে না জানে ভালোবাসা আদান প্রদান করতে।
কিন্তু তার মার ভালোবাসা ঠিকই অনুভব করে। কারন মার ভালোবাসা কোনো বিনিময় বুঝে না। যদিও বিনিময় বুঝে সেটা হল ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা। আমার মার সাথে আমি কখনই উগ্রভাবে কথা বলি না কারণ আমি জানি আমার মা কতটা কষ্ট করে আমাকে বড় করেছে। আমার বাবার সাথে যুদ্ধ করে আমাকে লেখা পড়া করিয়েছে। আমার মার বিশ্বাস আমি একদিন অনেক ভাল একটা পজিশনে যাবো, তখন তাঁর এই কষ্ট গুঁজে যাবে। শুরু হবে এক নতুন প্রভাতীর।
সবাইকে ধন্যবাদ এই অতি ক্ষুদ্র মানুষটির লেখা পড়ায়।
২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫২
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: চমৎকার লেখা
৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৪
কাইকর বলেছেন: বাহ।শুভ কামনা
৪| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
লাবণ্য ২ বলেছেন: চমৎকার তো!
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আয়শা রহমান আশা ,
ব্লগে আপনি স্বল্পকাল হলো এসেছেন । স্বাগতম ।
আসলে "মা" হলো একটি অনুভূতির , একটি ভালোবাসার , একটি আশ্রয়ের, একটি স্বার্থহীনতার , একটি স্বর্গের নাম ।
আপনার ছোট্ট বেলার এই ছড়াকবিতা ও স্মৃতিকথন ভালো লাগলো ।