![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই যান্ত্রিক শহরে আজ কোন কবিতা নেই, আছে কেবল শহুরে যন্ত্রণার উড়ো চিঠি। যেখানে হাজারো ঝুট ঝামেলা ক্লান্তিকর একঘেয়েমি আর যান্ত্রিকতায় ভরপুর এই শহুরে জীবন, আপনাকে কখন কিভাবে যেন অকাট্য এক অদ্ভুদ মায়ার বাঁধনে বেঁধে ফেলবে, আপনি জানতেই পারবেন না।
অথচ জীবন, প্রয়োজন আর সময়ের তাগিদে এই যান্ত্রিক শহর ছেড়ে দিয়ে যখনি ভাবতে বসবেন আপনি হাফ ছেড়ে বেঁচে গিয়েছেন, কিংবা একঘেয়ে দিনকাল শেষে ভিন্ন কিছুর স্বাদ নিতে শুরু করেছেন,
ঠিক তখনি আপনি অনুভব করবেন। কি যেন ফেলে এসেছেন কোথাও?
ধূলোবালি, পোড়া পেট্রোল কিংবা সিটি কর্পোরেশানের দূর্গন্ধে ভারী বাতাস, কোটি দুয়েক মানুষের কোলাহলে পূর্ণ শহরের অলিগলি আর চারপেয় যানের যান্ত্রিক হর্ণ মিশে আকাশ ধরা ইমারত গড়তে ইট সুড়কির ভাঙ্গা শব্দ...ঘামে ভিজে একশেষ ঘর ফেরৎ ক্লান্ত কর্পোরেট মানুষের ভীড় আর.. দিনেরাতে সমানে গতর খেটে চলা মানুষদের নিত্য বেঁচে থাকার আমৃত্যু যুদ্ধ..কতশত রঙ ঢঙ আর বেঁচে থাকার গল্পে ঠাসা এই শহর..হাসিতে সুখে জয় পরাজয় বিষাদ কান্না অসুখে, জালের মত ছড়িয়ে আছে তার মায়া, তার টান- সবই অনুভব করবেন।
আড়াইশ কিলোমিটার দূরে থাকি, সকালে অফিসে যাই বিকেলে চলে আসি, অফিসের কাজের চাপে আর ভার্সিটির বন্ধুদের সাথে ঠাট্টা মশকরায় প্রতিদিন বেঁচে থাকি। কিন্তু দিনের শেষে একটা সময় আমি বুঝতে পারি- এখনো শহরের মায়াটা আমি ছাড়তে পারি নাই এতটুকু, একটা শূণ্যতার ভর আমার মগজে চেপে ধরে। জানাতে ইচ্ছে হয়- আমি এখানে ভালো নেই। তবুও জীবনের তাগিদের কাছে আমি আপনি আমি আমরা সবাই পরাস্ত হই, আমাদের পরাস্ত হতে হয়। হয়ত তাই আমরা এই শহরের মায়াটা বুঝতে পারি, সেই মায়াকে অনুভূতিতে জায়গা দিই।
পরিশেষে, যা প্রাপ্য থাকে, তার সবটুকুই হ্যান্ডব্যাগে জমা হয় প্রতিবার সযত্নে। বিনিময়ে বারবার আপন করে নেয়া এই শহরকে আমি পর করে দিয়েছি সবসময়। অথচ এই শহর কাউকে পর করতে জানে না।
তাই আমি আবারো ফিরব, খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও।
ততোদিন ভালো থেকো প্রিয় শহর।
©somewhere in net ltd.