নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্ত ও সাদা মনের মানুষ হতে আগে চাইতাম। এখন আর চাই না। এখন একটু মুক্তি চাই, চাই জীবনটা শেষ হবে এই অপেক্ষার অবসান। [ মৃত্যুটা খুব স্বাভাবিক; বেঁচে থাকাটা অস্বাভাবিক।]
আমি বেশরম নয়। মোটামুটি লাজুক টাইপেরই। কিন্তু মিষ্টি দেখলে বা খাবার সুযোগ পেলে বেশ ভাল রকমের বেশরম হয়ে যাই। কেন এমন হয় আমি নিজেও জানি না।
একবার যদি মিষ্টি খাওয়া শুরু করি তবে গলা পর্যন্ত যতক্ষণ না হয় ততক্ষনই খেতে পারি। সেই হিসাবে আমাকে আপনারা মিষ্টি খোরই বলতে পারেন। বলতে পারেন নির্জজ্জ টাইপের মিষ্টি খোর।
যাই হোক, একবার আমি আমার এক বোনের ছেলের জন্য বউ দেখতে আমাদের পাশের গ্রামে যাত্রাপুর গেলাম। আছর নামাজের কিছু আগে রওয়ানা দিলাম। সাথে ভাগিনা, ঘটক, ভাগিনার এক চাচা, ভাগনি, ভাগনির মেয়ে মানে আমার নাতনী। বেশ মজা নিয়ে আনন্দ করতে করতে যাচ্ছি। একটা অটু রিজার্ভ করে আধ ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে গেলাম। আমরা কিছু নিতে চাইলে ঘটক আমাদের কিছু কিনতে দেইনি। মেয়ের ঘর থেকে নাকি না করেছেন।
যাইহোক, অনেকগুলি গ্রামীন টিনের ঘরের পাশ দিয়ে চিপা পাচা গলি দিয়ে এক সময় আমরা সবাই পৌঁছে গেলাম সেই কাঙ্ক্ষিত মেয়ের বাড়িতে।
হালকা একটু আপ্পায়নের মাধ্যমে আমাদের গ্রহন করা হল। টিনের চার চালা ঘর, এল সিস্টেম। কর্নারের একটা রুমে আমাদের বসতে দেওয়া হল। বসে গল্প করছি হঠাত মেয়ের ভাই উকি দিল। আমরা সবাই পরিচিত হলাম। মেয়ের ছোট ভাই। স্কুলে পড়ে। সে পরিচিত হয়ে চলে গেল। তার কিচ্ছুক্ষন পরই ঘরের ভিতর নাস্তা নিয়ে আসল। আমি সহ মোট ছয় জনের জন্য নাস্তা দেওয়া হয়েছে। বেশ ভাল নাস্তা। মিষ্টি, রসমলাই, আপেল, আনার, কমলা, দই এবং কোল্ড ড্রিংস। সবাই ফল নিচ্ছে আমি প্রথমেই মিষ্টি খেলাম। তার পর ভাগনীকে বললাম যে- তুই যদি মিষ্টি ফিরিয়ে দিস তাহলে মেয়ের বাড়ির মানুষ কি ভাববে বল ত। অসুবিধা নাই; ফেরত দিতে হবে না। আমি খেয়ে নিচ্ছি। ভাগনী মিষ্টি আমার দিকে এগিয়ে দিল। দিতে একটু সময় নিলেও আমি খেতে দেরি করিনি। কিন্তু দুই জনের মিষ্টি খেয়ে ত আর আমার মন ভরেনি। পানি চাইতেই ভাগিনা বলে-
ভাগিনা-মামা ধর।
আমি- আরে না না, তুই খা।
ভাগিনা- মামা তুমি ত জান আমি মিষ্টি খাই না।
আমি- ও হ, আইচ্চাতে।
ঘটক আর ভাগিনার চাচার আবার ডায়াবেটিস। সুতরাং তারা মিষ্টি ভূলেও খাবে না। এইগুলাও আমার ভাগ্যে। নিজের ভিতরে বেশ খুশি খুশি লাগছে। বাকী রইল শুধু নাতনীর মিষ্টিটা। নাতনী মিষ্টি খাবে না। সে রসমলাই খেয়েছে। কিন্তু সেই মিষ্টিগুলি আমাকে খেতেও দিবে না। নানা নাতনী অনেক্ষন কথা হল। আমি নাতনীকে পটানোর অনেক চেষ্টা করলাম। লাভ হল না। তাঁর একটাই কথা সব যদি শেষ করে ফেল তাহলে মেয়ের বাড়ির ওরা কি মনে করবে!!! নানা অন্তত এই কয়টা মিষ্টিকে তুমি মাফ করে দাও।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩
ফেনা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৯
সাইন বোর্ড বলেছেন: অরিজিনাল ছানার মিষ্টি মনে হচ্ছে । কিন্তু আমি একটার বেশি খেতে পারিনা ।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫১
ফেনা বলেছেন: মিষ্টি ত মজার। আপনি কম খেতে পারেন বলিই ত আমি একটু বেশী খাই...... হা হা হা
ভাল থাকবেন সতত।
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৩
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: হাহাহা...ভালো লাগলো মিষ্টি খোরের মিষ্টি খাওয়ার বর্ননা। একসময় আমিও মোটমুটি মানের মিষ্টিখোর ছিলাম। নিজের শরীরের দিকে নজর দিতে গিয়ে শূন্যর কোঠায় এখন মিষ্টি খাওয়া।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৪
ফেনা বলেছেন: সেই ভয়েইত এখন একটু খেয়ে নিচ্ছি। হা হা হা হা
৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: যাদের ডায়াবেটিস তারা দুরে থাকুন
১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
ফেনা বলেছেন: হুম একদম সঠিক। পড়লেই বা শুনলেই ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পার....... হা হা হা...
ভাল থাকুন।
৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
ডি মুন বলেছেন: হা হা হা
আমি আবার মিষ্টি বেশি খেতে পারি না। খুব বেশি হলে হয়তো দুইটা খেতে পারবো।
তবে আমাদের এক কলিগ আছেন রাকিব ভাই নামে, উনি এক বসাতে মোটামুটি গোটা দশ-পনেরো মিষ্টি সাবাড় করে দিতে পারেন।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
ফেনা বলেছেন: আপনি পারেন না বলেই ত আমি আপনারটা পুশিয়ে দিচ্ছি।
সুস্থ থাকুন সতত।
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেশী মিষ্টি খাওয়ার শারীরিক সামর্থ্য সবার থাকে না। অন্য খাবারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অনেকে আস্ত কাঁঠাল খায়, কেউ আস্ত ছাগল খায়।
১৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৭
ফেনা বলেছেন: হা হা হা হা........
হুম ঠিকই বলেছেন।
সুস্থ থাকুন সতত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: অনেকে আছেন মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় জিনিস বেশি খেতে পারেন। আমি পারি না।