নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিও একদিন লাশ হব, সেই লাশ মাটির নিচে থেকে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে অংগার হবে। বৃষ্টি ভিজা কাদায় শরীর ভিজে যাবে, শুধু অনুভবে নিথর লাশ হয়ে রয়ে যাব শেষ বিচারের অপেক্ষায়.......

ফেনা

মুক্ত ও সাদা মনের মানুষ হতে আগে চাইতাম। এখন আর চাই না। এখন একটু মুক্তি চাই, চাই জীবনটা শেষ হবে এই অপেক্ষার অবসান। [ মৃত্যুটা খুব স্বাভাবিক; বেঁচে থাকাটা অস্বাভাবিক।]

ফেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দৃষ্টিতে (সবসময়ের জন্য) বাংলাদেশের জন্য কিছু পরামর্শ - ০২

১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৭



(সকল প্রকার সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য আইন করে দিতে হবে যাতে তারা বা তাদের সন্তান সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা সরকারি হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও চিকিতসা না করাতে পারে। তাতে তারাই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে আসবে। অবশ্যি খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন কোন ভাবে আবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে।)

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের উপায়সমূহ

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু উপায় হলো:

স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো উন্নয়ন:
শহর ও গ্রামাঞ্চলে নতুন হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা।
বিদ্যমান হাসপাতালগুলোর সুযোগ-সুবিধা এবং অবকাঠামো উন্নত করা।

মানবসম্পদ উন্নয়ন:
ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন।
স্বাস্থ্য খাতে কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং কাজের পরিবেশ উন্নত করা।

স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন:
উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এবং ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের গুণগত মান নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং এবং মূল্যায়ন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করা:
গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ করা।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ফোকাস দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে সেবা পৌঁছানো।

স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি:
স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জনসচেতনতা প্রচারাভিযান চালানো।
স্কুল এবং কমিউনিটিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রোগ্রাম পরিচালনা করা।

ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা:
টেলিমেডিসিন ও ই-হেলথ সেবার প্রসার ঘটানো, যাতে দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষ সহজেই স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে।
স্বাস্থ্যসেবায় আইটি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো।

সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়:
স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো এবং যৌথ উদ্যোগে কাজ করা।
স্বাস্থ্য খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ:
পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে জোরদার করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করা।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা।

জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা:
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারির সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখা।
জরুরি সেবার জন্য একটি কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা।

উপরোক্ত উপায়গুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ আরও বাড়বে।

পাশাপাশি-*****
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের উপায়সমূহ


বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দিক থেকে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। নিচে কিছু উপায় উল্লেখ করা হলো:

১. **শিক্ষার মান উন্নয়ন:**
- পাঠ্যক্রম আধুনিকায়ন করে বাস্তবমুখী ও কর্মমুখী শিক্ষা প্রদান করা।
- শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা করা।

২. **কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্প্রসারণ:**
- কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব বাড়ানো।
- শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ বৃদ্ধি করা।

৩. **প্রযুক্তির ব্যবহার:**
- ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে ই-লার্নিং এবং অনলাইন কোর্সের সুযোগ সৃষ্টি করা।
- স্কুল ও কলেজে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করা।

৪. **বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা:**
- গ্রাম ও শহরের শিক্ষার বৈষম্য দূর করা।
- পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা।

৫. **প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও বিনামূল্যে করা:**
- প্রাথমিক শিক্ষা সর্বজনীন, বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে করতে হবে।
- ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় শিক্ষার আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে হবে।

৬. **শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন:**
- স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও শ্রেণিকক্ষ তৈরি করা।
- বিদ্যমান অবকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন করা।

৭. **শিক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধি:**
- শিক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধি করে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
- শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা।

৮. **ভাষা শিক্ষার ওপর জোর:**
- মাতৃভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ভাষা শেখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া।
- ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষে কার্যকর পদ্ধতি ও উপকরণ ব্যবহার করা।

৯. **শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মূল্যবোধ শিক্ষা:**
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং সামাজিক দায়িত্বশীলতা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা।
- সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনা উৎসাহিত করা।

১০. **শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন:**
- শিক্ষা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।

উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব এবং শিক্ষার্থীরা আরও যোগ্য ও দক্ষ হয়ে উঠবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শন করছি।

১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৫৩

ফেনা বলেছেন: @মহাজাগতিক

ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাল থাকবেন সর্বক্ষণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.