নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভবঘুরে মানুষ । ভবের ঘরে প্রবেশের নেশায় ঘুরে ফিরি দিবানিশি।

আলী নওয়াজ খান

ভবঘুরে মানুষ আমি । ভবের ঘরে প্রবেশের নেশায় ছুটে মরি দিবানিশি। তবুও পাইনা খুজে তারে।

আলী নওয়াজ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের নামে চক্রান্ত ও "মুনাফিকী"

১৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭


মহানবীর (স.) জীবদ্দশায় ১২জন ইহুদী পন্ডিত ও ধর্মযাজক সিদ্ধান্ত নিলেন যে তারা সম্মিলিতভাবে সকালে মহানবীর (স.) সমীপে উপস্থিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন। আবার সন্ধায় তারা একত্রে ইসলাম ধর্ম থেকে বের হয়ে আসবেন । আর ইসলাস ধর্ম থেকে বের হয়ে এসে সমাজে প্রচার করবেন যে আমরা মুহাম্মাদ ও তাঁর ধর্মকে দেখেছি কিছুই পেলাম না । তৌরত ও ইঞ্জিলে বর্নিত আদর্শের সাথে কোন মিল পেলাম না । ইহুদী পন্ডিত ও ধর্মজাযকগণ এমন একটি চক্রান্তের মাধ্যমে মুসলমানদের আক্বীদা বিশ্বাসেও সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি করবেন । কেননা সাধারণ পর্যায়ের মুসলমানগন বলতে থাকবেন আসলেই বিষয়টি চিন্তা করা দরকার এতগুলো পন্ডিত মানুষ ধর্ম থেকে বের হয়েগেলেন নিশ্চয় ইসলাম ধর্মের দূর্বলতা রয়েছে।
অন্যদিকে যেসকল ইহুদীগণ ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছিলেন তারাও আর তাদের আর্দশ পরিবর্তন করবেন না । কারণ তারাও বলবেন এতোগুলো পন্ডিত মানুষ ইসলাম ধর্ম থেকে একসাথে বেরিয়ে এসেছেন নিশ্চয় ইসলাম ধর্মে কোন সমস্যা বা ত্রুটি রয়েছে! সুতরাং ইসলাম ধর্ম ভাল আদর্শ হলে তারা বেরিয়ে আসতো না । এমন একটি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতে ছিলেন ইসলামের প্রথম যুগের ইহুদী পন্ডিতগণ । মহান আল্লাহর রব্বুল আলামীন তাদের চক্রান্তুমুলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্বেই তাদের গোপন অভিসন্ধি ফাঁস করে দেন । আল্লাহ বলেন: وَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ آَمِنُوا بِالَّذِي أُنْزِلَ عَلَى الَّذِينَ آَمَنُوا وَجْهَ النَّهَارِ وَاكْفُرُوا آَخِرَهُ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ “আর আহলে-কিতাবগণের একদল বললো, মুসলমানগণের উপর যা কিছু অবর্তীণ হয়েছে তার প্রতি দিনের প্রথম ভাগে ঈমান আনো, আর দিনের শেষ ভাগে অস্বীকার করো, হয়তো তারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে”।[সুরা আলে ইমরান ৭২ নম্বর আয়াত]
অতএব ইসলামের সূচনা লগ্ন থেকেই ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীজাতির চক্রান্তের শেষ নেই ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইহুদীরা অন্য ধর্মে যায় না, এবং তারা অন্যদের ধর্মান্তরিত করে নিজের ধর্মে আনে না; আন্দাজী কত যুগ বক শিকার করে বেড়াবেন?

২| ১৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: জানলাম।

৩| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই ধারা আজো বহমান

কিন্তু তারা চিরকালের জন্যই পরাজিত।
এখন যে টুকু দৃশ্যমান টিকে থাকা - স্রেফ মোনাফেকি এবং মূখোশধরে।

তারা যদি বাপের বেটা হয়ে থাকে- অফিসিয়ালি ডিক্লেয়ার করুক !
না তারা তা করবে না। তারা উপরে ভালত্ব আর অন্তরে শত্রুতা নিয়েই আজতক টিকে আছে!
কিছু বেইশান পোষাকি মুসলিম নামধারী মুসলিমদের আনুকূল্যে, দয়ায় !!

৪| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কুরআনে ইয়াহুদি নাসারাদের কথা এসেছে। অনেকেই জানে না ইয়াহুদি নাসারাদের পরিচয়।
আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকের ধর্ম গ্রন্থেই শেষ নবি ও রাসুল আগমনের সুসংবাদ দিয়েছেন।
উল্লেখিত জাতির যারাই শেষ রাসুলকে পাবে, তারা অবশ্যই তাঁর প্রচারিত জীবন
ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার এবং তাঁকে মেনে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ক. ইয়াহুদি-
হজরত মুসা আলাইহিস সালামের অনুসারীরাই (বনি ইসরাইল) ইয়াহুদি।
ইয়াহুদি শব্দের অর্থ হচ্ছে বন্ধুত্ব। যেহেতু মুসা আলাইহিস সালামের
অনুসারীরা অপরাধের কারণে আল্লাহর নিকট তাওবা করে তার সঙ্গে
বন্ধুত্ব স্থাপন করেছে তাই তাদেরকে ইয়াহুদি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

খ. নাসারা-
বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের যারা হজরত ঈসা আলাইহিস সালামকে পেয়েছে
তাঁদের প্রতি নির্দেশ ছিল ঈসা আলাইহিস সালামের শরীয়তকে মেনে নেয়া।
তাঁকে বিশ্বাস করা এবং মেনে নেয়া ছিল ওয়াজিব। তাদের নাম হয় নাসারা
তথা সাহায্যকারী। কেননা তারা একে অপরকে সাহায্য করেছিল। তাদেরকে
আনসারও বলা হয়।

সুতরাং না যেনে শুনে কেউ যেন নিজের মন গড়া বক্তব্য প্রদান করে বিতর্কে
না জড়ায়।

৫| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন, "কুরআনে ইয়াহুদি নাসারাদের কথা এসেছে। অনেকেই জানে না ইয়াহুদি নাসারাদের পরিচয়। "

-বাংলাদেশের ভেতরের বাংগালীরা ইহুদীদের জানার কথা নয়; আমেরিকার বেশীরভাগ বাংগালীরা ওদের জানে, ওদের ব্যবসায় কাজ করে। ওরা সৎ ও শিক্ষিত। আপনারা যা বলেন, উহা সত্য নয়।

৬| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসরায়েল বাংলাদেশকে শুরুর দিকে স্বীকৃতি দিলেছিলো; বাংলাদেশের মোল্লারা বেদুইনদের কথায় ইহুদীদের খারাপ লোক ভাবে; ওরা মুসলমানদের চেয়ে হাজার গুণে সৎ ও জ্ঞানী।

৭| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমার মনেহয় সুন্নিরা সেই মুসলমান। তারা যে কতো ধারায় উপ ধারায় বিভক্ত তা কেউ জানেনা।

৮| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখার শিরোনাম আরো কমনীয় ও শ্রুতিমধুর হলে ভালো হতো।

৯| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৯

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @লেখক
ইহুদী-নাসারাদের latest চক্রান্ত সম্পর্কে কি অবহিত আছেন?
এই কম্পিউটার, ইন্টারনেট, বোলগ তাদের latest চক্রান্ত। তারা এই সব আবিষ্কার করেছেই যেন, বিশেষ করে বোলগে, ধর্ম-বিরোধীরা পোস্টাইতে পারে। আপনি অতি সত্বর বোলগ হইতে প্রস্থান করে, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, কম্পিউটার/মোবাইল আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে এই চক্রান্ত নি:ষফল করে দিন।

পরিধেয় বস্ত্র কি ইহুদী-নাসারাদের অনুকরনে তৈরী, এই যেমন শার্ট, পেন্ট, জাঙ্গিয়া? তাহলে বোলগার টারজানের মত ফেলে দিয়ে কৌপিন পরিধান করুন।অহহো, এইটা তো আবার হিন্দুদের। কি আর করবেন, ইসলামের জন্য তাও কোরবানীই না হয় করলেন।

১০| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না। কোরআন হাদীসেই এই কথা বলা হয়েছে। তাই আমি ধর্ম থেকে দূরে থাকি।

১১| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইহুদি যে বারোজন পন্ডিততের কথা বলছেন তারা সকালে ইসলাম গ্রহণ করে বিকেলে ত্যাগ করার পরিকল্পনা করে। ইহুদি তার উপর পন্ডিত এদের জ্ঞানের লেভেল সম্পর্কে আপনার এই ধারনা! যদিও এমনও হয় তারা অন্তত ২,৪ মাস পর ইসলাম ত্যাগ করতো। সকালে করে বিকেলে ত্যাগ করলে তারা ইসলাম ভুল বললে কেউ এটা মেনে নিতো না।

১২| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৩

জিজ্ঞাসু মন বলেছেন: বিষয়টা কি এভাবে তুলনা করা যায়? মার্কেট শেয়ার দখল নিয়ে ক্লোজ আপ, পেপসোডেন্ট, মিল্লাত আর তিব্বত টুথপেষ্ট কোম্পানীগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা। মিল্লাত এর দাবী তাদের টুথপেষ্ট তাদের দেবতা "এনলিন" এর নির্দেশনা মতে তৈরী, তাই এর চেয়ে ভাল কিছু আর হতে পারে না। শুধু তাই নয় এনলিন শপথ করেছেন শীঘ্রই তিনি পৃথিবী থেকে অন্য সব টুথপেষ্ট ধংস করে দিবেন - কেননা তিনি প্রবল ক্ষমতাময়- যিনি আগে কি হয়েছে এবং পরে কি হবে তার সবই জানেন। তার হুকুম ছাড়া মহাবিশ্বে কিছুই হয় না। তিনি আগে ভাগেই খবর দিয়েছেন যে পেপসোডেন্ট এর নেতারা দলবেধে মিল্লাত টুথপেষ্ট ব্যাবহার করবে এবং বিকেলে মত দেবে যে এটা ভাল না। অতএব বিশ্ববাসী সাবধান হয়ে যাও- এটা পেপসোডেন্ট এর চক্রান্ত।

আচ্ছা মহাশক্তিধর এনলিন কেন গোয়েন্দার মত ছোট কাজ করতে যাবেন। তিনি চাইলেই তো পারেন পেপসোডেন্ট কোম্পানীর চক্রান্ত করার বুদ্ধি নাশ করতে, তিনি চাইলেই তো পারতেন এক মিল্লাত ছাড়া আর কোন কোম্পানী যাতে তৈরী না হয় সেই ব্যবস্থা করতে। তিনি চাইলেই তো পারেন সমস্ত মানুষের মস্তিষ্কে প্রোগ্রাম করে দিতে যাতে করে অন্য কোন টুথপেষ্ট কেউ ব্যাবহার না করে। তা না করে তিনি কেন তার অনুসারীদের উস্কে দেন যাতে তারা অন্য কোম্পানীর সাথে জড়িতদের নিন্দা করে- এমন কি সু্যোগ বুঝে কতল করে?

বিষয় টা কি এমন হতে পারে যে পেপসোডেন্ট কোম্পানির বিপুল গবেষনা - পন্যের মান উন্নয়ন ইত্যাদির কাছে টিকতে না পেরে কেউ এনলিন নামে গল্প চালিয়েছে? হতে কি পারে যে এনলিন নির্দেশিত এই সব পন্য ব্যাবহার করলে দাতের ভীষন ক্ষতি হবে? আর সেটা বুঝতে পেরেই কি এসব কোম্পানী প্রচার চালায় যে দেবতা এনলিন তাদের অনুসারীদের দাতে নানা রকম সমস্যা দিয়ে তাদের পরীক্ষা করবেন? এখানে যত যন্ত্রনাই হোক , এই যন্ত্রনা সহ্য করে যারা মরে যাবে তাদের জন্য মৃত্যর পর রয়েছে 'চিরস্থায়ী দাত'

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.