নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবুজ ঘাসে হেঁটে যাব, সমুদ্রপাড়ে দৌড়ে যাব, বনের মাঝে হারিয়ে যাব, আর একদিন উড়ে যাব আকাশে।

আফসানা মারিয়া

ছন্নছাড়া, ভবঘুরে

আফসানা মারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নটা পোশাকের নয়, প্রশ্নটা দৃষ্টিভঙ্গির; ব্যাপারটা অধিকারের নয়, ব্যাপারটা সম্মানের

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২

সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনাগুলোতে একদল ব্যাক্তি ধর্ষণের জন্য ধর্ষককে নয় বরঞ্চ ধর্ষিতাকে দোষ দিচ্ছে। তার চলাফেরা, পোশাককে মূল কারণ হিসেবে ধরে নিজেদের নিকৃষ্ট মনের পরিচয় দিচ্ছে। আবার একদল মহিলা নারী অধিকারের জন্য গলা ফাটাচ্ছে নারীর সম্মানকে দূরে ঠেলে দিয়ে।

তারা দুভাগে বিভক্ত হয়ে একদল পরোক্ষভাবে ধর্ষণকে সমর্থন জানাচ্ছে আরেকদল উগ্র নারীবাদী হয়ে নারীর অধিকার নিয়ে গলা ফাটিয়ে যাচ্ছে। এই দুই পক্ষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, এরা চায়ই না ধর্ষণের বিচার হোক। এরা দুই পক্ষ ভার্চুয়ালি এবং নন-ভার্চুয়ালি ধর্ষণের পক্ষে বিপক্ষে তর্ক করে কাদা ছিটাছিটি করছে। তারা ধর্ষণকে হাস্যকর ব্যাপারে পরিণত করেছে। মাঝখান দিয়ে নারীর সম্মান কই? নারীর সম্মান সবার আগে। নারীর সম্মান যদি না থাকলো তবে সে অধিকার দিয়ে কি করবে? কিন্তু একদল ধর্ষণের সমর্থক এবং উগ্র নারীবাদী নারীর সম্মানকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে ধর্ষণের মত ঘৃণ্য কাজকে বৈধতা দিয়ে দিয়েছে।

দুইপক্ষকেই বুঝতে হবে প্রশ্নটা পোশাকের নয়, প্রশ্নটা দৃষ্টিভঙ্গির। আপনি কিভাবে দেখেন বিষয়টাকে। আর ব্যাপারটা অধিকারের নয়, ব্যাপারটা সম্মানের। একজন নারীর অবশ্যই সর্বপ্রথমে সম্মানিত হবার অধিকার আছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোতে দেখা যায় শিশুরাও ধর্ষণের বা হ্যারাজমেন্টের শিকার হচ্ছে। যারা এইসব ঘৃণ্য কাজ করে তারা হয়তবা এটা ভেবে করে, ও তো বাচ্চা! বুঝবেই না ওর সাথে কি হচ্ছে প্রতিবাদ করবে কি! কিরকম নোংরা মানসিকতা হলে এমনটা ভাবে। নারীরা ঘরে-বাইরে, যানবাহনে, কর্মক্ষেত্রে সবজায়গায় হ্যারাজমেন্টের স্বীকার হচ্ছে। কাজেই ধর্ষণের মূলত নোংরা মানসিকতা দায়ী এবং এই বিষয়টাকে বাঁকাভাবে দেখবার জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি দায়ী। আর কিছু উগ্র নারীবাদী মহিলা আছেন যারা কিনা ধর্ষণের বিপক্ষে কথা বলতে গিয়ে ধর্ষণের সমর্থকদের সাথে এমন কাদা ছিটাছিটি করেন যে মাঝখান দিয়ে ধর্ষিতার এবং নারীর সম্মান হারিয়ে যায়। আফসোস, কিছু মহিলারা নারীর সম্মান বুঝে না। যে মহিলারা নারীর সম্মান বোঝে না তারা আর যাই হোক নারী হতে পারা না। ধর্ষণের বিচারের জন্য আগে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে, নারীকে তার সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে উৎসাহিত করতে হবে, এবং সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

জসীম অসীম বলেছেন: সেটাই মূল কথা যে, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। এ ভিন্ন আর কোনো পন্থা রয়েছে বলে মনে করছি না।
সব মিলিয়ে লেখাটি দিকনির্দেশনামূলক। অভিনন্দন জানাচ্ছি ব্লগে নিয়মিত থাকার অভিযাত্রায়ও।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

আফসানা মারিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সমর্থনের জন্য

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দৃষ্টিভঙ্গী হল আসল,

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



সহমত আপনার সাথে। +++

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সৌদী আরবে পর্দা করার কারনে ধর্ষন শূন্যের কোঠায়

মোল্লাদের এই বক্তব্য সম্পর্কে আপনার কি মতামত?

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৫

আফসানা মারিয়া বলেছেন: ধর্ষণের কারণ সব সময়ই নোংরা মানসিকতা।

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

নয়া পাঠক বলেছেন: মেয়েরাই মেয়েদের সহ্য করতে পারে না, অনেক স্থানে দেখেছি। আপনার কিছু কিছু বিষয়ের সাথে একমত। তবে মাঝে মাঝে রাস্তাঘাটে কিছু কিছু মেয়েদের পোশাক আশাক দেখলে হতবাক হয়ে ভাবি আমরা পুরুষরা যদি এমন উত্তেজক পোশাক পরে ঘুরতাম, তাহলে পরিস্থিতি কি হত? আসলে সব দৃষ্টি ভঙ্গির ব্যাপার। কিন্তু সমান অধিকারের নামে অশ্লীলতা পরিহার্য্য, এ ব্যাপারে নিশ্চয় আপনিও একমত।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

আফসানা মারিয়া বলেছেন: ঐ যে ব্যাপারটা দৃষ্টি ভঙ্গির। পোশাক দিয়ে তো আর ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দেয়া যায় না। আর কারো পোশাক চয়েস নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার আমাদের নেই। আমরা যদি তাই করতে যাই তাহলে আমরা আকাইম্মাদের দলে পড়ে যাবো। দেখেছ কি পোশাক পরেছে বলে কূটনামিতে যোগ দিবো। আমার প্রশ্ন এতো যুগ পার হয়ে গেলো তারপরও মেয়েদেরই কেনো ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দিতে হয়।

আর আমি আমার চিন্তা ভাবনাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য লিখি। পাণ্ডিত্য প্রকাশের জন্য লিখি না। যাতে আপনাদের চিন্তা ভাবনাগুলো আমি জানতে পারি। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.