নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবুজ ঘাসে হেঁটে যাব, সমুদ্রপাড়ে দৌড়ে যাব, বনের মাঝে হারিয়ে যাব, আর একদিন উড়ে যাব আকাশে।

আফসানা মারিয়া

ছন্নছাড়া, ভবঘুরে

আফসানা মারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবীন নওজোয়ান

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫২

একদা নবীন নওজোয়ান একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে গেলো। অনুষ্ঠান মাত্র শুরু হয়েছে, তেমন কেউই আসেনি। কনে বসে আছে যথাস্থানে আর সাথে আছে কনের মা-বাবা, কয়েকজন আত্মীয়, বান্ধুবী আর কাজিন। নবীন নওজোয়ান উপহার জমা দিয়ে ভিতরে এসে চারদিকে তাকালো। লোক সমাগম হতে আরও ঢের সময় বাকি। হঠাৎ নবীন নওজোয়ােনের চোখে পড়লো একটা সুন্দর মেয়ে সামনের একটা চেয়ারে বসে আপনমনে মোবাইল স্ক্রল করছে। মেয়েটির পরনে সোনালি রঙের চকচকে লেহেঙ্গা। নবীন নওজোয়ান ভাবলো, মেয়েটির সামনে একটু ভাব মারা যাক। কিন্তু মেয়েটা কি পাত্তা দিবে? সেও তো স্যুট-প্যান্ট পরে হ্যান্ডসাম হয়ে আছে। আর কয়েকদিন আগেই তো ইন্টার্নশিপ শেষ করে একটা প্রাইভেট হাসপাতালে জয়েন করেছে। ওর নামের আগে এখন ডাক্তার উপাধি যুক্ত হয়। পাত্তা না দিয়ে যাবে কোথায়?



ছবি ক্রেডিটঃ pixabay.com

নবীন নওজোয়ান মেয়েটির দিকে এগোচ্ছে আর ভাবছে, বিয়েতে আগে আসার এটাই তো সুবিধা। ভাবতে ভাবতে ও যখন মেয়েটার পাশে বসতে যাবে একটা ৪-৫ বছরের বাচ্চা মাঝখানে বসে পড়লো। এখন দৃশ্য হয়েছে মেয়েটা আর ওর দুই চেয়ারের মাঝখানের চেয়ারে বাচ্চাটা দেয়াল হয়ে বসে আছে। নবীন নওজোয়ান অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে একবার বাচ্চাটার দিকে একবার মেয়েটার দিকে তাকালো। মেয়েটা এখনো স্ক্রল করছে। এরপর সে সামনে তাকালো। সামনে ষ্টেজে কনের সাথে আন্টিরা সব ছবি তুলছে। নবীন নওজোয়ান ভাবলো, আরে এই বাচ্চাটা কার! এই বাচ্চাকে কাবাব মেইন হাড্ডি হওয়া থেকে তো সরতে বলতে পারিনা। পাছে না আবার মেয়েটার কাছে ইম্প্রেশন খারাপ হয়ে যায়।

এইবার সে মেয়েটাকে ইমপ্রেস করার একটা নতুন উপায় খুঁজে পেয়েছে। 'হাই, বাবু তোমার নাম কি? .... হায়রে আমার গল্লু গল্লুটা (ছেলেটার দুই গাল টানতে টানতে)। নবীন নওজোয়ান মেয়েটার দিকে তাকালো, মেয়েটার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সে এখনো একমনে মোবাইল স্ক্রল করছে। 'আলে আমার টুকু টুকু লে (ছেলেটার থুতনি টানতে টানতে)। একটা অশ্রাব্য গালি। বাচ্চা ছেলেটার গালি শুনে মেয়েটা হতচকিত হয়ে মোবাইল থেকে চোখ তুলে তাকালো। আর নবীন নওজোয়ান থতমত খেয়ে বাচ্চাটার দিকে তাকালো। 'আমাল নাম বাবু না। বাবু আমি ছোতো বেলায় চিলাম, একন আমি বল(বড়) হইচি। আমলাও আদল(আদর) আর অন্নেক আদল বুজি।' মেয়েটা একবার নবীন নওজোয়ানের দিকে তাকালো। তারপর চোখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকালো। কি ভেবেছিলো আর কি হলো এটা ভেবে না দুঃখে না নিজের বোকামিতে নবীন নওজোয়ানের দুই চোখ দিয়ে পানি ফেটে আসলো। এরপর বাকিটুকু ইতিহাস হয়ে গেলো।

[একটা সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে]

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: প্রেম রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি ।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




নিজের ঘটনা মনে হচ্ছে ।

বাচ্চা এখন একটু বেশি ই বোঝে ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

আফসানা মারিয়া বলেছেন: আমার চেহারা দেখছেন কিরকম হাবলুর মতো। এমন কেউ আমার জন্য নাই যে এইরাম কিম্ভূতকিমাকার প্রেম কাহিনী আমার সাথে ঘটবে। একদা অঘটনে ঘটিত একটি প্রেম কাহিনীকে সাহিত্যিক রূপ দিলাম।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পা পিছলে আলুর দম !

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৩২

মাহের ইসলাম বলেছেন: তারপর?

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯

আফসানা মারিয়া বলেছেন: এই ইতিহাসকে আমি স্বর্ণাক্ষরে লিখে অসমাপ্ত প্রেম কাহিনীকে জীবন্ত করে দিলাম।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:২৬

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: কেমন আছো মারিয়া...???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.