হানাহানি ভুলে সবাই নাগরিক অধিকার ভোগ করি।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

আমি ইসলাম ধর্মের অনুসারী।যতটুকু কোরান হাদীস জানি পালন করার চেষ্টা করি।ধর্মের নামে উন্মাদনা বা ধর্মাবমাননার কোনটার পক্ষে নই। হেফাজতে ইসলামের শোডাইনে অনেকে ভড়কে গিয়েছে, আমি মোটেই অবাক হইনি। এই ধরনের প্রতিক্রিয়া আরো অনেক আগেই হবার কথা। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না এদেশে হাজার হাজার মাদ্রাসা আছে, যেখানে তাদের কোরান হাদিস ইমানী শিক্ষার পাশা পাশি তেমন করে বিজ্ঞান, দর্শন, ইংরেজী শিক্ষা দেয়া হয় না। তারা যা শিখে তা বিশ্বাস করে নিজের মাঝে ধারন করে।বিশ্বাসের বাহিরে কিছু চিন্তা করার মত অবস্থা তার সব সময় থাকেনা। লব্ধ শিক্ষার উপরই তার বাস্তব জীবনের প্রাত্যহিক কর্যাবলি সম্পন্ন হয়।

আমরা যারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষত তারা সবাই কি শিক্ষাকে নিজের মাঝে ধারন করতে পেরেছি? আমরা কি নিজেরা যা শিখছি তা প্রাত্যহিক জীবনে পালন করছি? না, পালন করছি না। তাদের মত আমরাও অনেক ক্ষেত্রে দলান্ধতায় ভুগী। আমরা ঘুষ খাই, চুরি করি, দুর্নীতি করি, নীতিবর্হিভূত অনেক কাজই করি তারপরও বড়াই করি। আমরা যে শিক্ষা লাভ করেছি, যে বিশ্বাসে বিশ্বাসী তাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। ঠিক একইভাবে তারাও করে। আমরা তাদের ভাবী অন্ধকারের জীব তারাও ভাবে আমরা অন্ধকারের জীব। এই সংঘাত কি মীমাংসা আনবে সমাজ সংসারে, রাজনৈতিক ফয়দা লোটা ছাড়া? আপনার আমার অনেক আত্মীয়ই মাদ্রাসায় পড়ে তাদের কতজনকে যুদ্ধ করে খতম করা যাবে? বা তারাই আমাদের কতজনকে খতম করবে? এই স্বাধীন দেশে আর কত রক্ত ঝরাতে হবে? আসুন সবাই মিলে দেশটা গড়ি।

০ টি +০/-০