নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন খেটে খাওয়া মানুষ। তাই যারা ঘাম ঝরায় তাদের কষ্ট আমাকে ব্যাথিত করে। যে কোন ক্ষেতে উগ্রতা অপছন্দ করি। তবে অন্যায় দেখলে মুখ বন্ধ রাখা কষ্টকর হয়ে যায়। সদা শান্তির পক্ষে।\n

মাটি আমার মা

আমার কাছে কোন দলই বেশী বড় নয়, আমার দেশের স্বার্থ আগে। কারো বিশ্বাসে আঘাত করা পছন্দ করি না। সদা শান্তির পক্ষে। তবে দেশের স্বার্থে ভিন্ন ব্যাপার। সকল জাতি,ধর্ম, গোষ্টির প্রতি আমি সন্মান জানাই।

মাটি আমার মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুধার্ত মৃত শিশু ঠিক আমার দিকেই চেয়ে হাসছে.....

২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

সাভার জনাবাড়ীতে একই পরিবারের ৪ জন মারা গেল। কেউ বলছে হত্যা, কেউ বলছে আত্মহত্যা। যে যা বলুক, নিজেকে সামাজিক জীব হিসাবে অপরাধী মনে হচ্ছে। নিহতের পরিবারের প্রতিবেশীদের মারফত জানতে পারলাম। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬/৭জন। পরিবারের বাচ্চাগুলোর মা গার্মেন্স ফ্যাক্টরীতে কাজ করে। বাচ্চাদের বাবার নির্দিষ্ট কোন ইনকাম ছিলনা। কাজ পেলে করত না হলে বসে থাকতে হতো। স্বাভাবিকভাবেই অভাব অনটনে অশান্তি বিরাজ করত সংসারে। বাচ্চারা কোন বেলা খেত কোন বেলা খেত না। স্বামী স্ত্রীর ঝড়গা তাই নিত্য সঙ্গী ছিল। ঘটনার দিন বাচ্চাদের মা চাকুরীতে যায়। বাবা আম, দুধ, দই এনে বাচ্চাদের ভরপেট খাওয়ায়। তারপর তিন বাচ্চা একে একে মৃত্যুর দুয়ারে ঢলে পড়ে, বাচ্চাদের বাবাও মৃত্যুকে কবুল করে। অনেকে বলে দইয়ের সাথে বাবাই বিষ মিশিয়ে বাচ্চাদের এবং নিজে খেয়েছে। চির তরে জঠর জ্বালা জুড়িয়েছে।

ঠিক সেই সময় প্রতিবেশী কারো কারো খাবার টেবিলে নানা পদের তরকারী সহযোগে খাবারের ঘ্রান মৌ মৌ করছে। ভাবতে নিজের কাছে কেমন লাগে? আমার তো শরীর হিম হয়ে আসছে। আমরা রোজা উপলক্ষে অনেকে হয়তো প্রতিদিন ৫-৫০ পদ দিয়ে ইফতার করব। ঈদে এক সেটের জায়গায় দশ সেট কিনব। দুই হাজার থেকে লক্ষ টাকার জামা পরব, নিজ সন্তানকে হাজার থেকে লক্ষ টাকার পোষাক দিব। লক্ষ টাকার পোষাক পরে ওদের লাশ দেখতে যাবো? ঊফ, ক্ষুধার্ত মৃত শিশু গুলো ঠিক যেন আমার দিকেই চেয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসছে...

আমরা কি আসলে মানুষ না মানবিকতার দাবিদার কোন জন্তু! নিজেকে ধিক, ধিক তোমাদের প্রাচুর্যে। ধিক তোমাদের কথিত মানবতায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঊফ, ক্ষুধার্ত মৃত শিশু গুলো ঠিক যেন আমার দিকেই চেয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসছে...
আমরা কি আসলে মানুষ না মানবিকতার দাবিদার কোন জন্তু! নিজেকে ধিক, ধিক তোমাদের প্রাচুর্যে। ধিক তোমাদের কথিত মানবতায়।

বোধের এই জায়গাটায় আসা যেখানে বেশী দরকার, সেখানেই পূজিবাদ, ভোগবাদ আষ্টেপৃষ্টে আটকে রাখে..
সুবিধাবাধী স্বার্থপূরণ, লোক দেখানো সমাজ সেবাতেই তাদের সুন্তুষ্ঠি!!

প্রকৃত দারিদ্র বিমোচন বা সমাজকে প্রকৃত অর্থনৈতিক সাম্যতায় আনা তাদের লক্ষ্য নয়।

এই রমজানে এই খবর যেন আমাদের বোধকে জাগ্রত করে।

ত্যাগের সিয়াম যেন ভোগের সিয়াম না হয়ে যায়। অন্তত একটি পরিবারকে সহায্য করার নিয়ত করি মনে মনে। -তবেই হয়তো আর কোন দরিদ্রকে অপঘাতে মরতে হবে না।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত নসীব করুন।

২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯

মাটি আমার মা বলেছেন: ভাই ঠিক বলেছেন, রমজান আসলেই ত্যাগের বদলে আমাদের মাঝে ভোগের প্রতিযোগীতা শুরু হয়, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হয় কৃত্রিমভাবে আকাশচুম্বী। তৃনমূল মানুষগুলোর অবস্থা হয়ে যায় সোচনীয়। সবার প্রতি অনুরোধ প্রতিবেশী অনটনগ্রস্ত একটি শিশুর মুখের হাসি অন্তত আমরা ফুটাতে চেষ্টা করব।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বেপরোয়া বেদুঈন বলেছেন: এই হিংস্র সমাজব্যবস্থায় খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষগুলো এভাবেই মরবে; আর তাদের শ্রমে উপার্জিত অর্থ লুট করে মুনাফাখোরেরা ভোগ-বিলাসে জীবনকে ভাসিয়ে দিবে; এর চেয়ে নির্মম বাস্তবতা আর কি আছে? যতদিন এই বাস্তবতাকে পরিবর্তনের জন্য জাগরণ না হবে, ততদিন এমনটা চলতেই থাকবে ।

৩০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

মাটি আমার মা বলেছেন: সেই জাগরন কি কোনদিন আদৌ এ মাটিতে হবে। অপেক্ষায় থাকি। সবাই মিলে চেষ্টা করলে হয়তো মৃত্যুগুলো ঠেকানো সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.