![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন খুব বেশি মন খারাপ থাকে তখন বন্ধুদের নিয়ে চলে যাই
লঞ্চঘাট। সবাই মিলে লঞ্চের ছাদে উঠে মেতে উঠি আড্ডায়।
চারিদিকটা যে কত সুন্দর তা লিখে বুঝানো সম্ভব না। সামনে
বিশাল এক নদী যেখানে ছোট ছোট নৌকায় করে জেলেরা অনবরত
মাছ খুঁজে চলছে। মাথার উপর এক বিষাদময় নীল আকাশ। যেখানে
উড়ে চলে জিবনানন্দের শঙ্খচিল। আর সূর্য্যিমামা হাত নেড়ে
বিদায় জানালে চারিদিকটা আবছা অন্ধকার হয়ে যায়।
অন্ধকারটা ভীষন ভাল লাগে আমার। তবে জীবনের ক্ষেত্রে
আলোটাকেই খুঁজে বেড়াই। কবে কোথায় যেন পড়েছিলাম, " জীবন
তোমাকে অনুরোধ, রাতের নিস্তব্ধতা দেখ। যদি কিছু খুঁজে পাও
তার সামান্য কিছু হলেও লিখে রাখ।" সেই থেকে রাতের সাথে
বন্ধুত্ব আমার। যাই হোক সব মিলিয়ে এক অসাধারন সুন্দর পরিবেশ।
আর এমন সুন্দর পরিবেশে সবাই মিলে একসাথে চিৎকার করে গান
গাওয়াটা যে কি আনন্দের তা এমন পরিবেশে না আসলে বুঝবেন
না। এত বড় পৃথিবীতে এই একটা মাত্র জায়গা যেখানে গিয়ে গান
গাইতে আমাদের ভেতরে বিন্দুমাত্র লজ্জা কাজ করেনা।
বেশ ভালই জমেছিল গতকালের আড্ডাটা। আড্ডা শেষ। রাত তখন ৮
টার মত। আমরা ৩ বন্ধু টার্মিনাল থেকে বের হচ্ছি। এমন সময়
দেখলাম একটা মেয়ে দারিয়ে আছে। সাথে আরেকটা ছেলে।
সম্ভবত ঢাকায়
যাবে। এরই মধ্যে মধ্যবয়স্ক এক ভদ্রলোক এসে মেয়েটাকে জরিয়ে
ধরে বুকটা পিশে দিয়ে চলে গেল। হঠাৎ করেই পা টা থেমে গেল।
দাড়িয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটার মুখে মুচকি
হাসি। পাশে দাড়ানো এক পুলিশ। তিনিও একটু হাসলেন। (পুলিশ
বলে কথা। তিনি তো একটু বেশিই বিনোদিত হবে এ আর নতুন কি?)
কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। মেয়েটার সাথে থাকা বলদ
মার্কা ছেলেটা বলদের মতই দারিয়ে রইল।
আর লোকজন যারা ছিল তাদের কথা আর কি বলব। সবাই
বিনোদিত। একটু গভীরভাবে ভেবে দেখুন তো আপনি কোন দেশে
বাস করছেন? মুক্তিযুদ্ধে শহীদরা বুকের রক্ত দিয়ে কি এই
স্বাধীনতা অর্জন করেছিল? যে স্বাধীনতা বদমায়েশদের
স্বাধীনভাবে অন্যায় করতে দেয়?
আর এখানে দারিয়ে থাকা পুলিশের কি করনীয় ছিল?
আর যাই হোক না কেন? নিশ্চয়ই মুচকি হাসা নয়। "বন্দুক থাইকা কি
লাভ তবে গুলি যদি ফোটে না। পুলিশ থাইকা কি লাভ তবে
ডাকাত যদি ধরে না?"
এমন পুলিশ বেতন দিয়ে পোষার চাইতে পুলিশকে দেয়া বেতনের
টাকাটা চোর, ডাকাত আর বদমায়েশদের মাঝে বিলিয়ে তাদের
বলা উচিত যে, বাবা শয়তানের বাচ্চা শয়তান তুমি এই টাকা নিয়ে
বাসায় বসে থেক। মানুষদের ক্ষতি করনা। তাহলে হয়ত অপরাধ কমে
যাবে কিন্তু পুলিশকে বেতন দিয়ে পুষে দেশ থেকে অপরাধ মনে
হয়না যে কমানো যাবে।
লেখা: অ্যালেন সাইফুল
©somewhere in net ltd.