নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/allen.saiful

অ্যালেন সাইফুল

An inhuman never explain himself.

অ্যালেন সাইফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুখী মানুষ!!!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৪



'দি ঢাকা টাইমস' নামে একটা অনলাইন পত্রিকার একটা কলাম দেখলাম।
কলামটায় লেখা ছিল যে, পৃথিবীর সবথেকে সুখী মানুষ নাকি
কিংবদন্তী ফুটবলার লিওনেল মেসি।

লেখাটা পড়ে বেশ অবাক হয়ে গেলাম। তাৎক্ষণিক ভাবে গুগলে গিয়ে
সুখী মানুষ লিখে সার্চ দিলাম। দেখলাম প্রথম আলোর অনলাইন
পত্রিকাতেও সুখী মানুষ নিয়ে ২০ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে একটা কলাম
প্রকাশিত হয়েছে। এবং এবারের তথ্যখানাও বেশ অবাক করার মত।
কেননা তারা লিখেছেন, পৃথিবীর সবথেকে সুখী মানুষ নাকি
ক্রিশিয়ানো রোনালদো।

অবশ্য তাদেরকে সবথেকে সুখী মানুষ বলার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে
তাদের কাছে। যুক্তিগুলো হল,
*এদের দুজনার অঢেল সম্পদ।
*এরা দুজন বর্তমান পৃথিবীর সবথেকে নামকরা ফুটবলার।
*তরুন তরুনীদের কাছে এদের অটোগ্রাফ পাওয়া আর আসমানের চাঁদ
হাতে পাওয়া সমান।
*এদের সুন্দরী বান্ধবীর অভাব নেই।
*এদের মানুষ যথেষ্ট ভালবাসে ও সম্মান করে।

আমি বুঝতে পারতেছিনা যে পৃথিবীর সবথেকে সুখী মানুষ এরা কেন হতে
যাবে? আমার মতে এ পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ সুখী। আপনি আমি যে
কেউ যেকোন সময় নিজেকে সুখী মানুষ বলে দাবি করতে পারি। তাহলে
এরা কিভাবে নির্দিষ্ট করে দুজন ফুটবলার কে পৃথিবীর সবথেকে সুখী
মানুষ হিসেবে নির্বাচিত করতে পারে?
একটা রিকশাওয়ালার ছেলে যখন ডাক্তার হয়ে বের হয়। তখন ওই
রিকশাওয়ালা গর্ব করে বলতে পারে, তিনি পৃথিবীর সবথেকে সুখী
মানুষ।

ভাগ্যক্রমে একজন মৃত্যু পথযাত্রী রোগী যখন নতুনভাবে বেঁচে ওঠে। তখন
তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে পারেন, তিনি পৃথিবীর সবথেকে
সুখী মানুষ।

একটা আশ্রয়হীন শিশু যখন চিরদিনের জন্য আশ্রয় পেয়ে যায়। তখন সেই
শিশুটা চিৎকার করে বলতে পারে, আমিই পৃথিবীর সবথেকে সুখী মানুষ।

স্বামীহারা একজন মহিলা বছরের পর বছর অন্যের বাড়িতে কাজ করে,
একমাত্র ছেলেটাকে লেখাপড়া শিখিয়ে যখন মানুষের মত মানুষ করে
গড়ে তোলে। তখন ওই মহিলার মনে হতে পারে, তিনিই পৃথিবীর সবথেকে
সুখী মানুষ।

একটা ছেলে বা মেয়ে যখন তার পছন্দের মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে
পায়। তখন ওই ছেলেটা বা মেয়েটার মনে হতে পারে, ও পৃথিবীর
সবথেকে সুখী মানুষ।

সিনেমা দেখায় আসক্ত বলে, যে ছেলেটা সারাজীবন 'তোকে দিয়ে
কিছু হবেনা' কথাটা শুনে অভ্যস্ত। সেই ছেলেটা যখন নিজেই সিনেমা
বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। তখন সেই ছেলেটা চিৎকার করে
বলতে পারে, আমিই পৃথিবীর সবথেকে সুখী মানুষ।

একটা ছেলে অসুস্থ হবার পরও টাকার অভাবে যখন ডাক্তার না দেখিয়ে
বিছানায় পরে থাকে। তখন তার কাছের বন্ধুরা টাকার ব্যবস্থা করে
এসে যখন বলে, চল শালা! আর বিছানায় পরে থাকতে হবেনা। আমরা
এখনও বেঁচে আছি। দরকার হলে রক্ত বিক্রি করে তোকে চিকিৎসা
করাব। তখন বিছানায় পরে থাকা অসুস্থ ছেলেটা দুফোটা চোখের পানি
ফেলে অনায়াসে কাঁদতে কাঁদতে বলতে পারে, আমিই পৃথিবীর সবথেকে
সুখী মানুষ।

আসলে সুখী হবার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ মানসিক। এখানে অর্থ সম্পদের কোন
মূল্য নেই। এমন অনেক মানুষ আছে যারা কোটিপতি হয়েও একটু সুখের
অভাবে সারারাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। আবার এমন অনেক ভিক্ষুক
আছে যারা নোংরা রাস্তাতে শুয়েও শান্তির ঘুম ঘুমায়। আপনি নিজেকে
যা মনে করবেন আপনি তাই। আপনি যদি নিজেকে পৃথিবীর সবথেকে
দুঃখী মানুষ হিসেবে কল্পনা করেন তাহলে আপনিই পৃথিবীর সবথেকে
দুঃখী মানুষ। আর আপনি যদি নিজেকে সবথেকে সুখী মানুষ হিসেবে
কল্পনা করতে পারেন তাহলে একথা নিশ্চিত যে, এই পৃথিবীতে আপনার
থেকে সুখী আর কেউ নেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পৃথিবীতে কেউ সুখী নয়।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

অ্যালেন সাইফুল বলেছেন: আমি সুখী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.