![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সে অনেকদিন আগের কথা..........।
উগান্ডা নামের এক দেশ ছিলো। সে দেশে ছিলো এক প্রধানমন্ত্রী। নাম তার হাংচুং। তিনি একদা চীন দেশে বেড়াতে গেলেন। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী চ্যাংচুর বাসায় তার থাকার ব্যাবস্থা করা হলো। চ্যাং এর বাসায় গিয়ে তো তিনি অবাক!
একি!!!
এত সুন্দর বাসা?
তিনি সঙ্কোচ ভেঙ্গে চ্যাংকে বললেন “ আপনি যে টাকা বেতন পান তাতে তো এত সুন্দর বাসা তৈরী করার টাকা জোগাড় করতে আপনার তামাম জিন্দেগী কাবাব হওয়ার কথা। এত টাকা পেলেন কোথায়?”
একথা শোনার পর তিনি মুচকি হাসলেন, এবং বললেন,” এদিকে আসুন।”
তিনি উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী হাংকে তার জানালার কাছে নিয়ে গেলেন, বললেন,” দেখুনতো.. ঐদিকে... কিছু দেখতে পাচ্ছেন?”
উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী বলল,” হ্যা ওখানে একটা ব্রীজ দেখা যাচ্ছে।”
এবার চীনের প্রধানমন্ত্রী বললেন,” হ্যা... ঐ ব্রীজের ৩% টাকা আত্মসাৎ করে এই বাড়ি বানিয়েছি।”
নদী বয়ে যায়, কৃষকের ধান পাকে। বর্ষা যায়, বসন্ত আসে।... আপন নিয়মে আসে দিন-রাত।
এভাবে কেটে গেল অনেক বছর।
একদিন চ্যাং উগান্ডায় বেড়াতে গেল। তারও থাকার ব্যাবস্থা করা হলো প্রধানমন্ত্রী হাং এর বাসায়। তিনি হাং এর বাসায় গিয়ে প্রায় অজ্ঞান হওয়ার দশা। বিস্ময়ে তার চোখ ছানাবড়া। কিছুক্ষন তার মুখে কোনো কথা ছিলো না। এই দেখে উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী ডাক্টার ডাকার ব্যাবস্থা করলেন। কিছুক্ষন পর তার জ্ঞান ফিরল।
তারপর তিনি হাংকে বললেন,” কিছু মনে করবেন না। আপনার বাসা দেখে আমার জ্ঞান ছিলো না। আচ্ছা... একটা কথা বলুন তো... আমি শুনেছি আপনাদের দেশ একটি দরিদ্র দেশ। এখানে ধর্ষন, খুন, রাহজানী, মাদকদ্রব্যার ব্যাবহার একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। দূষন, যানজট, দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতি ইত্যাদি তো পানিভাত। তো দেশের এই অবস্থা। আপনি এত সুন্দর বাসা বানালেন কিভাবে?”
একথা শুনে উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী মুচমুচ করে হাসলেন, বললেন,” এদিকে আসুন।”
তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রীকে জানালার পাশে নিয়ে গিয়ে বললেন,” ঐযে.. ঐদিকে দেখুন.... কিছু দেখতে পাচ্ছেন?”
চ্যাং অনেক্ষন বাইরে খুজলেন। শুধু তিনি দেখলেন ধু ধু পাথার... বললেন,” কই... কিছু তো দেখছিনা।”
এবার উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী হাসলেন, বাললেন,” হু.. ঠিকই দেখেছেন, ওখানে একটা ব্রীজ হওয়ার কথা ছিল, তার ১০০% টাকা দিয়ে এই বাড়িটা বানিয়েছি।”
©somewhere in net ltd.