![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
এনসিপির 'জুলাই অভ্যুত্থান' ও পদযাত্রা নাকি জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে! বাহ! কানে যেন মধু বর্ষণ হচ্ছে ! তবে এই 'সংযোগ'-এর সুফল কতটা, তা নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়েই এক অদ্ভুত তথ্য চোখে পড়ল। আমাদের প্রিয় এনসিপি-র 'উদীয়মান নক্ষত্র' হাসনাত আবদুল্লাহ সাহেব নাকি সম্প্রতি এক জনসভায় বোমা ফাটিয়েছেন , "জনগণ ২০০ টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি করে, ফলে যোগ্য নেতা সংসদে যেতে পারে না।"
শুনতে কেমন লাগছে? একজন রাজনৈতিক নেতার মুখে এমন কথা ? তাও আবার সেই জনগণের বিরুদ্ধেই, যারা তাদের ক্ষমতার মূল পুঁজি ! তাহলে কি এখন থেকে এনসিপি-র স্লোগান হবে "জনগণ, জনগণ, তোমরা ২০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হও!" নাকি "যোগ্য নেতা নয়, টাকা আছে যার, ভোট পাবে সে-ই!" এই যদি হয় তাদের রাজনৈতিক দর্শন, তাহলে তো গণতন্ত্রের শ্মশানযাত্রার টিকিট কাটা হয়ে গেল!
হাসনাত সাহেব কি নিজ চোখে দেখেছেন মানুষ ২০০ টাকায় ভোট বিক্রি করছে? নাকি এটা তার 'গুরুর' বাতলে দেওয়া সেই অমর বাণী, যা লন্ডনের চ্যাথাম হাউজের পবিত্র বাতাসকেও কলুষিত করেছিল ? গুরুবর সেদিন বলেছিলেন, "বাংলাদেশের জনগণ টাকা খেয়ে ভোট দেয়। আপনি আমাকে টাকা দিন, আমি আপনাকে ভোট দেব।" আহা, কী মিষ্টি কথা! মনে হচ্ছে যেন বাজারে শাকসবজি কেনাবেচার গল্প চলছে!
যদি সত্যি সত্যিই জনগণ ২০০ টাকায় ভোট বিক্রি করত, তাহলে আওয়ামী লীগের তো কোনো চিন্তাই থাকত না, তাই না ? তারা তো একেকটা ভোটের জন্য ২০,০০০ টাকাও খরচ করতে পারে! তাহলে কেন তাদের ২০১৮ সালের সেই 'রাতের ভোট'-এর প্রয়োজন পড়ল? কেনই বা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাদের নিজস্ব ভোটাররাও ভোট দিতে পারল না প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায়? হাসনাত সাহেবের যুক্তিতে তো এনসিপি চাইলে টাকার বস্তা নিয়ে নেমে পড়লেই সব ভোট কিনে নিতে পারে, তাহলে আর এত অভিযোগের দরকার কী? বরং চুপচাপ টাকার বস্তা নিয়ে বসে থাকুন, ভোটের দিন জনগণ লাইনে দাঁড়িয়ে আপনার হাতে ২০০ টাকা তুলে দিয়েই যাবে!
আসলে, কিছু দরিদ্র মানুষ হয়তো কখনো কখনো আর্থিক প্রলোভনে পড়ে ভোট দিতে পারেন। আমিও দেখেছি একজন এমপি সাহেব বস্তি এলাকায় ৫০০ টাকা বিলি করতে। কিন্তু তাতে কি পুরো জাতিকে 'টাকাখোর' বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় ? মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত সমাজ, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ সবাই কি তাহলে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়? হাসনাত সাহেবের এই মন্তব্য শুধু দৃষ্টিকটু নয়, চূড়ান্ত অপমানজনক।
হাসনাত সাহেব, জনগণের ভোট ছাড়া কি আপনার হাতে সংসদে যাওয়ার কোনো জাদু আছে ? আপনার এই ধরনের মন্তব্য প্রমাণ করে যে আপনি আপনার 'গুরুর' একনিষ্ঠ ছাত্র ছাড়া আর কিছু নন। হয়তো আপনারা ভাবছেন, জনগণ টাকা খেয়ে ভোট দেয় বলেই একনায়কতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভালো, এতে দেশের উন্নয়ন হয়। শেখ হাসিনাও নাকি ঠিক এই দর্শনই বিশ্বাস করতেন! তাহলে কি এনসিপি-ও সেই পথেই হাঁটতে চাইছে?
আমরা আশাবাদী ছিলাম, এনসিপি হয়তো একটা বিকল্প হতে পারবে। কিন্তু আপনাদের 'রাইজিং স্টার'-এর মুখে যখন জনগণের প্রতি এমন অবমাননাকর উক্তি শোনা যায়, তখন সত্যিই হতাশ হতে হয়। ২০০ টাকায় ভোট বিক্রির এই অলীক গল্প আপনাদের নিজেদের অযোগ্যতা আর জনগণের প্রতি শ্রদ্ধার অভাবকেই তুলে ধরছে।
০৭ ই জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:৫০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনার মতো। বিশটা গুনডা দশটা হোনডা ইলেকশন ঠানডা ।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৫৫
ক্লোন রাফা বলেছেন: টোকাই গ্যাং-এর সর্দার হা. আব্দুল্লাহ’র ভোট ২ টাকা দিয়েও কিনবে না।
০৭ ই জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সহমত ভাই, হেলমেট লিগ ও হারপিক মজুমদারের ছোট ভাইয়েরা যখন এসব বলে তখন বোঝা যায় জ্বালা কোথায় । .
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:১৯
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
এবার মানুষ ভোটে যাবে স্রোতের মতো; কিন্তু রেজাল্ট দিবে আমেরিকান দুতাবাস ও মিলিটারী মিলে।
৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:১৮
রানার ব্লগ বলেছেন: যে বলেছে তাকে জিজ্ঞাসা করা উচিৎ ছিলো সে কয় টাকায় ভোট বেচেছিলো?
ভোটার যদি ৩ টাকায় ভোট বেচে থাকে সেটা ভোটারের ইচ্ছা । এখানে ভোটার কে হেয় প্রতিপন্ন করার কিচ্ছু নাই । ভোটার সম্মান করতে শিখুন । ওনারাই আপনার মসনদের সিড়ি । খালি কুকুরের মত চ্যাচালেই ভোট আসে না ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৩৩
কামাল১৮ বলেছেন: যাঁদের জনগনের উপর আস্থা নাই তারাই এমন কথা বলে।