![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কল্পনার জগতে বিচরণকারী বাস্তবতার মূর্ত প্রতীক
ভোর ৫টা। মাঘ মাসের হিম হিম রাত; সূর্য উঠতে অনেক দেরি। এলাকাটা অভিজাতদের। এখানে রাস্তায় কেও এয়ারকন্ডিশনড গাড়ি ছাড়া বের হয় না, রাস্তাগুলোতে তাই কখনো বাসিন্দাদের পদচিহ্ন পরে না। অন্য এলাকার পথচারীদের এ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। কিন্তু এত রাতে স্বাভাবিকভাবেই রাস্তা ফাঁকা। হঠাত নারীকন্ঠের একটা চিৎকার রাতের নীরবতা কে চিরে ফালাফালা করে ফেলে।
রশীদ জামান বিছানা থেকে উঠে বসেন, জানালা দিয়ে দেখেন একটা নারীর ছায়ামূর্তি টলোমলো পায়ে হেঁটে যাচ্ছে রাস্তার মাঝ দিয়ে। হৃদয় কাঁপানো হাহাকারে সে কাঁদছে। তার চেহারা দেখা যাচ্ছে না। রশীদ জামান মুখ দিয়ে একটা বিরক্তিসূচক শব্দ করে আবার গায়ে কম্বল টেনে নেন।
দু বাড়ি পরে মিসেস রেহানার ঘুম ভেঙ্গে যায়। মোবাইলে সময় দেখেন। ইংরেজিতে একটি গালি দেন। ননসেন্সদের কারনেই আজ দেশের এ অবস্থা। এসব ভাবতে ভাবতে পাশ ফিরে আবার ঘুমিয়ে যান।
তিনতলার বারান্দায় বসে তওসিফ সিগারেট টানছিল। সে দেখতে পেল মহিলাটিকে। অন্ধকারে তাকে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু অবয়ব দেখা যাচ্ছে। সে বেশ উৎসাহ নিয়ে মহিলাটির "ফিগার" দেখতে লাগল। বেশ সেক্সি তো!
---
কাঁদতে কাঁদতে আর্তনাদ করতে করতে একসময় রমীলা ক্লান্ত হয়ে পড়ল। অভিজাত এলাকা পার হয়ে হেঁটে চলে এসেছে সে রাজপথে। আজ ছিল তার বিয়ের রাত। পরনের লাল শাড়িটার জরি এখনো স্ট্রিট লাইটের নিচে চকচক করছে। বিয়ের আসর থেকেই তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ... রমীলা আর ভাবতে পারে না। তার চোখে এখনো বিয়ে বাড়ির লাল নীল আলো ভাসছে। আর কাচে ভাসছে কিছু হিংস্র অট্টহাসি।
অনেক জোরে দুটো হেডলাইট ছুটে আসছে। রমীলা তো এতক্ষন এর ই অপেক্ষা করছিল। দুটো হেডলাইট এর জন্যেই এতদুর আসা। শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল রমীলা। লাল শাড়ির লাল ছড়িয়ে পড়ল রাস্তায়।
Writer's note: Last night a woman walked by our street. She was crying; her crying echoed in the night. Nobody knows who she is, and what had happened to her.
Whoever she was, may Allah save her from whatever pain she was!
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
জ্যোতিষ্কের আলোকরেখা বলেছেন: Nothing ever goes right in my head!
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একটা মেয়ে আপনার এলকায় কাঁদতে কাঁদতে হেঁটে গেছে| আর আপনি গল্পে তাকে রেপ করিয়ে আত্মহত্যা করালেন! আজব