![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধ্যান ও ধান্ধা একই সঙ্গে চালানোতে চেষ্টারত...... কিন্তু ধ্যানে মনোযোগী কম......আর ধান্ধায় পারদর্শী নই...
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ১৯৪২ সালের শুরুর দিকে জাপানী বাহিনী বার্মার (অধুনা মায়ানমার) অনেকাংশ দখল করে। জাপানী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে ভারতের দিকে অগ্রগামী করার জন্য বার্মাতে মুলতঃ রসদ আসতো সাগর পথে মাল্লাক্কা প্রনালী হয়ে আন্দামান সাগর দিয়ে, কিন্তু এই সাগর পথ বরাবার ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং মাঝে মাঝেই মিত্র বাহিনীর হামালায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হত। এই জন্য জাপান বার্মাতে তাদের সৈন্য বাহিনীর জন্য রসদ সরবরাহের জন্য বিকল্প পথ চিহ্নিত করে ১৯৪২ সালের জুন মাসে রেললাইন স্থাপনের প্রজেক্ট হাতে নেয়। তারা থাইল্যান্ডের বান পং (Ban Pong) থেকে বার্মার থানবায়ুযাইয়াত (Thanbyuzayat) পর্যন্ত ৪১৫ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপন করে। এই রেললাইন স্থাপনে জাপানী বাহিনী মিত্র বাহিনীর প্রচুর যুদ্ধবন্দীকে কাজে লাগায় এবং এদের উপড়ে ব্যাপক নির্যাতন করে এই জন্য পরবর্তীতে এই রেললাইনের নাম “Death Railway” ।
কাওয়াই সেতু এই কুখ্যাত রেললাইনের একটি ব্রিজ যা খোওয়াই নই (Khwae Noi River) নদীর উপড়ে অবস্থিত, যা স্থানীয় ভাষায় কাওয়াই নদী হিসেবে পরিচিত। খরস্রোতা নদী ও বন্ধুর ভূপ্রকৃতির কারণে যা নির্মাণ কাজ ছিল খুবই কষ্ট সাধ্য ও শ্রমঘন। জাপানী বাহিনী এই সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও যুদ্ধবন্দীদের নিয়োজিত করে এবং তাদেরকে কাজে বাধ্য করার জন্য নৃশংস অত্যাচার করে ফলে অনেক যুদ্ধবন্দী সেনা অকালে মৃত্যুবরণ করে। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পাওয়া “The Bridge on the River Kwai” সিনেমাতে এই নৃশংসতা চিত্রায়িত হয়েছে। এই সিনামার কল্যাণে আমাদের কাছে এই কাওয়াই সেতু বেশ পরিচিত।
এই কুখ্যাত কাওয়াই সেতু বর্তমান থাইল্যান্ডের কাঞ্চনবুড়ী প্রদেশে অবস্থিত। আসুন আমরা বর্তমান কাওয়াই সেতুর কিছু ছবি দেখি।
২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত রেল ইঞ্জিন যা দিয়ে বার্মাতে গোলা বারুদ সরবরাহ করা হত।
কাওয়াই ব্রীজ বাকানো রেলিং গুলি ঐ সময়ে লাগানো (পুরানো ব্রীজের অংশ)
কাওয়াই ব্রীজের “ওয়র মিউজিয়াম”
মিউজিয়ামের ভিতরে ভাস্কর্য দিয়ে নৃশংসতার প্রকাশ
মিউজিয়ামের রক্ষিত ঐ সময়ের ব্রীজ তৈরীর সরঞ্জাম
ব্রীজের উপড়ে পর্যটক দের আনাগোনা
ব্রীজের উপড়ে পর্যটকদের জন্য রেল
কাওয়াই নদীঃ কালের সাক্ষী হয়ে আজও বয়ে চলছে
===============================================================
পরিশেষেঃ সহ-ব্লগার ‘জুন’ আপাকে অসংখ্য ধন্যবাদ তার ‘কাওয়াই সেতু’ নিয়ে পোষ্টকৃত ব্লগ পড়েই এই সেতু দেখার আগ্রহ ও তথ্য পেয়েছি।
ছবিঃ মানস চোখ
ক্যামেরাঃ ক্যানন ১১০০ ডি
লেন্সঃ ১৮-৫৫ মি মি
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৫
মানস চোখ বলেছেন: ধন্যবাদ 'ভ্রমরের ডানা' !!!!!
আপনার ভালোলাগা জেনে খুবই খুশী হলাম!!!
ভালো থাকবেন সব সময়!!
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম! খুবই ভাল লাগলো!
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য!
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৭
মানস চোখ বলেছেন: আপনার ভালোলাগাতে আমিও খুবই খুশী!!!
ভালো থাকুন 'সাহসী সন্তান'!!!!!!
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আবু শাকিল বলেছেন: ভাল লাগল
ধন্যবাদ
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
আবু শাকিল বলেছেন: ভাল লাগল
ধন্যবাদ
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৮
মানস চোখ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ 'আবু শাকিল'!!!!
ভালো থাকুন সবসময়!!!
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০২
সুমন কর বলেছেন: ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০
মানস চোখ বলেছেন: ছবিগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই প্রীত হলাম 'সুমন কর' !!!
ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা !!!
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১০
দস্যু বনহুর বাই রোমেনা আফাজ বলেছেন: ব্যাংকক থেকে কিভাবে গেলেন ভাই ? ওখানে কি দিনে গিয়ে দিনে ফেরা যায় নাকি রাতে আবাসিক হোটেলে রাত যাপন করতে হয় ?
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৭
মানস চোখ বলেছেন: ভাই 'দস্যু বনহুর ........" কাওয়াই ব্রীজ ব্যাংকক থেকে খুব বেশী দূরে না ! মোটামুটি সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টার দূরত্ব, আপনি সকাল-সন্ধ্যা ট্রিপে যেতে পারেন। ব্যাংককের অনেক ট্যুর অপারেটরই কাওয়াই ব্রীজে ডে-ট্রিপের ব্যবস্থা করে, ওইখানে রাত্রি যাপনের প্রয়োজন হয় না।
ভালো থাকবেন সবসময়!!!! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!!!!!
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল পোস্ট। অপুর্ব সব ছবি আর সুন্দর লেখা। ভাল লাগল।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯
মানস চোখ বলেছেন: ধন্যবাদ 'ঢাকাবাসী' সুন্দর মন্তব্যের জন্য!!!!!
ছবি ও লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশী হলাম!!!!
ভালো থাকবেন!!!
৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
গ্যাম্বলার বলেছেন: ভাল লাগল।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪০
মানস চোখ বলেছেন: ধন্যবাদ 'গ্যাম্বলার' !!! ভালো থাকবেন!!!
৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৯
ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: " কাওয়াই নদীর বিখ্যাত (কুখ্যাত !!) সেতুঃ ছবি ব্লগ" -জানা হল অনেক কিছুই..
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪১
মানস চোখ বলেছেন: ধন্যবাদ 'ক্যান্সারযোদ্ধা' !!! ভালো থাকবেন সবসময় !!!
১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৫
জুন বলেছেন: আমার পোষ্ট থেকে কাওয়াই ব্রিজ দেখার অনুপ্রেরনা পেয়েছেন জেনে অনেক অনেক ভালোলাগলো মানস চোখ। ছবিগুলো খুব সুন্দর। কাঞ্চনাবুরি ওয়ার সিমেট্রিতে যান নি?
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
মানস চোখ বলেছেন: কাঞ্চনবুড়ী ওয়ার সিমেট্রিতেও গিয়াছিলাম আপা !!!!
ভালো লেগেছে, তবে সব ওয়ার সিমেট্রিই মনে হয় একই রকম!! আমাদের দেশের ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিও একই রকম দেখতে!!
ছবিগুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম!!!
ভালো থাকবেন সব সময়!!!
১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
প্রামানিক বলেছেন: অতীতের দারুণ একটি নিষ্ঠুরতার ইতিহাস জানা হলো। ধন্যবাদ
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৯
মানস চোখ বলেছেন: "ব্রীজ অন দ্য রিভার কাওয়াই" সিনেমাটা দেইখেন 'প্রামানিক' ভাই!!!
আপনার ভালোলাগাতে প্রীত হলাম !!!
ভালো থাকবেন সবসময়!!!
১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
গরল বলেছেন: সিনেমাটা দেখেছিলাম, তাই অনেক ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ পোষ্টির জন্য।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
মানস চোখ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার ভালোলাগা জানানোর জন্য!!!!
ভালো থাকবেন!!!
১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৭
অশ্রুকারিগর বলেছেন: আচ্ছা, সিনেমায় সম্ভবত কাঠের ফ্রেমের ব্রিজ বানানো লেখিয়েছিল।আসল ব্রিজ তো দেখি লোহা-লক্ষড়ের !
কাওয়াই না গিয়েই ব্রিজটা দেখে ফেললাম। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টের জন্য!
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
মানস চোখ বলেছেন: সিনামাতে আসলে কাঠ দিয়ে ব্রিজের পিলার গুলো তৈরি করা দেখিয়েছিল। গাইডের তথ্য অনুযায়ী এখনকার ব্রিজের যে বাকানো রেলিং এর গার্ডার গুলো রয়েছে তা ঐ সময়ের তৈরি করা।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!!!!!!
ভালো থাকবেন!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: রিভার ইন কাগাওয়াই মুভি টি অসাধারন একটি মুভি।এত নির্মম বাস্তবিক উপস্থাপনা দেখে মন কেঁদে উঠেছিল। যাক গে,
খুব সুন্দর গোছানো লেখা। ছবি গুলো ও ঝকঝকে। সেয়ারে জন্য ধন্যবাদ।