![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মাত্রই মায়ার জালে ফেঁসে যায়। তবে কিছু কিছু মানুষ থাকে যাদের মায়া জিনিসটা স্পর্শ করে না। আমি তাদের একজন।
আমার সামনে কেউ ভুতের গল্প বললে আমার চোখ বড় হয়ে যায়। আর সেটা যদি হয় সত্যি ভুতের গল্প তাহলে গলা শুকিয়ে যায়।
গ্রামে গেলে ভূতের গল্প শুনা হয় বেশি। ভূত গুলো সব গ্রাম মুখী। শহরে ভুত টূত নাই। যদিও থাকে দুই একটা তাও বাসার ছাদে কিংবা টয়লেটের পাশে।
কিন্তু গ্রামের বিষয় আলাদা। পদে পদে ভূত, পেত্নী, শাকচুন্নী, জ্বীন আরো কত কি আছে কে জানে!!!
সেইদিন ছিলো শনিবার। শনিবার বলেই হয়তো একটা শনির দশা ছিলো। গ্রামের বাজারে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে ভূত প্রসঙ্গে ঢুকে যাই। যদিও আমি বারণ করেছিলাম। কারণ আমার বাড়ি পৌঁছাতে দুই দুইটা কবরস্থান পড়ে। এক একটা গাছ শত বছরের পুরোনো। কবরস্থানের পাশেই বিশাল দিঘী!!!
তবুও বলা শুরু করলো। এই ভুত সেই ভুত। কত ভুত!!! কত খানে, কত ভাবে আক্রমণ করছে। কার নানীরে, কার দাদীরে, কার দাদারে, কার নানারে ভুতে ধরছে সব বাহির হয়ে গেছিলো। আমি হাত পা সব সংকুচিত করে আরেকবন্ধুর গা ঘেসে বসলাম।
কাহিনী শেষ। সবাই যার যার বাড়িতে যাচ্ছে। রাত সাথে দশটা। গ্রামের গভীর রাত। চারদিকে শো শো শব্দ। দুর্ভাগ্য!!!! মোবাইলের চার্জ পাঁচ পার্সেন্ট।
বুক ধপধপ করছে। পিছনে একটা শব্দ শুনলেই কলিজায় মোছড় দিয়ে উঠে। এই বুঝি আমারে নিয়া গেলো!!! পিছনে তাকিয়ে দেখি কিচ্ছু নাই!!!
একটা করবস্থান পার করতেই চার পার্সেন্ট চার্জ শেষ। ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু দেখি নাই। বিশুদ্ধ বাতাস। আকাশে মেঘে ঢাকা চাঁদ। ভয়ে প্রাণ যায় যায়।
তখনই আমার ভিতরে মিসিরআলী এসে হাজির। কিসের ভয়!!! হু!!
হাটা যাক। বড় বড় চোখ করে চার পাশে কি হচ্ছে সেটা পর্যবেক্ষণ করি। এর মাঝে নিজের সাথে কিছু কথোপকথন হলোঃ
আমি : মিসিরআলী সাহেব। আমার কিন্তু ভয় পাচ্ছে। যদি কিছু চাইপা ধরে!!!!
মিসিরআলী : হা হা হা!!! কিছু কখনো চেপে ধরে না। ভুত বলতে কিছু নেই। তুমি তোমার বন্ধুদের সাথে ভুতের গল্প শুনে এসেছো। সেজন্যই ভয় পাচ্ছে। তুমি এই রাস্তা দিয়ে হেঁটেই তোমার শৈশব পার করেছো। সুতরাং ভয় পাবার কিছু নেই।
আমি : হইছে!!! হইছে!!! আর জ্ঞান দিয়েন না। (মোবাইল টা গেল বন্ধ হয়ে। আমার অবস্থা পুরাই খারাপ) আপনি বুঝি ভয় পান না???
মিসিরআলী : ভয় পাই। তবে ভূতের ভয় পাই না।
আমি : ও কিসের ভয় পান??
মিসিরআলী : .............. ( নীরব!!! কথা বের হয় না।)
সামনেই কুকুরের অবয়ব!!!!! কান্নার শব্দ। এই সময় হার্ট এটাক ও হইতে পারে।। ঘেউ ঘেউ না করে!!!! কান্না করছ ক্যেরে!!!!
ভয়ে আমি চুপসে গেলাম। পা পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেল। কুকুর টা যেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে। এমন কালো কুকুর আর কখনোই দেখি নাই। মোবাইলে চার্জ নাই। তাহলে প্লাস মেরে দেখতাম ছায়া আছে কিনা!!! শুনেছি ভুতের নাকি ছায়া হয় না।
ইটাৎ মনে হলো আমি সূরা কেরাত পড়ছি না কেন!!! পড়তে গেলাম মুখ দিয়ে বের হয় না!! চোখে দিয়ে জীবনের প্রথম ভয়ের অশ্রু বের হইছে। কুকুরটা আমার সামনে এসে চারপাশে ঘুরছিলো। আর ঘোঙানি মার্কা শব্দ করছিলো!!!
এত ভালো মানুষ যে, নিজের সাথে একটা সিগারেট, ম্যাচ কিছু নাই। জান টা বুঝি যায়!!!!
অসহায়ের মতো কাঁপুনি চলে এলো!!! একটা কুত্তা!!! আমার কাঁপুনি ধরিয়ে দিলো। মিসিরআলী ও বের হয় না।
যাইহোক!!! একটু পরেই আরেক টা কুকুর এলো!!! আসার পর তো আমি শেষ.!!!! এই বুঝি দুইটা মিলে আমাকে কামড় বসাবে।!!!
নাহ্!! দুইটাই হটাৎ কবরস্থানের দিকে ছুটে চলে গেল। এই সুযোগ!!! দিলাম দৌড়। পিচ্ছিল রাস্তা। আছাড় খাইলাম। উঠি একটু যাই, আবার আছাড় খাই। কোন রকমে অর্ধেক কবরস্থান পার হইলাম।
সামনে দেখি তারা আবার দাঁড়িয়ে আছে। এমনভাবে যেন আমাকে এখুনি ছিঁড়ে ছুঁড়ে খেয়ে ফেলবে। একটা চিৎকার দিমু সে শক্তি নাই।
এর মধ্যেই পিছনে কারো হেঁটে আসার শব্দ পাইলাম। শব্দের আগে পাইলাম আতরের সুঘ্রাণ। খুব ছোট বেলায় এইরকম ঘ্রাণ পেয়েছিলাম।
একই সাথে আশা!! এবং নিরাশা!! সাথে ভয় নিয়ে পিছনে তাকাইলাম। একটা লম্বা ধরনের মানুষ। সাদা পাঞ্জাবি পড়া। মাথায় লম্বা টুপি। আধোছায়াতে তাকে যেন আমি স্পষ্ট দেখছি!!!!!
সালাম দিলাম।" আসস্লামুয়ালাইকুম!!!! "
সাথে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।। এত ভয় কখনো পাই নাই।
লোকটা এসে আমার পাশে দাঁড়াইলো। কুকুর দুইটা যেন রাগে জ্বলে যাইতেছে। এমন ভয়ার্ত সব শব্দ করছিলো!!! যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। কিছুক্ষণ পরই কুকুরগুলো চলে গেলো!!!
আমার একটু স্বস্তি এলো!! তবে ভয় কাটেনি পুরোপুরি!! লোকটার দিকে তাকালাম!!! আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!!!!।
'আপনি কে??'
- কেউ না!! -_-
'আপনার বাড়ি কোথায়??'
- এত কথা বলো কেন!!! -_- সোজা নিজের বাসায় যাও। আর রাত বিরাইতে একা একা এখান দিয়া আসিস না।
" আমি মাথা নাড়ালাম। দাড়িয়ে আছি তার দিকে তাকিয়ে। "
- কি দেখছ!!! যাইতে বলছি না তোকে!! -_-
আমাকে একটু এগিয়ে দেন না
- ভয় নাই আর। আর যা এবার।
" আমি হাঁটা ধরলাম। সম্পূর্ণ কবরস্থান পার হইতে হইতে চারবার পিছনে তাকাইছি। লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো!!!!! পঞ্চম বার তাকিয়ে আর তাকে দেখতে পাই নাই!!! "
এক দৌড়ে নিজের বাসার সামনে এসে ধপাস করে পড়লাম। হাঁটুর যেন ভেঙ্গেই গেছে!! এমন ব্যথা পাইলাম!!
মা কইয়া ডাক দিলাম!!!! তারপর দশদিন জ্বরে বেহাল ছিলাম।।।।
.
সুস্থ হওয়ার পর থেকে এখন ও ভাবি!! কি বাঁচাটাই না বাঁইচা গেলাম!!!!!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আমিই মিসির আলী বলেছেন: বেঁচে আছি
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এইরুপ গপ কইয়া লাভ নাই । মিছা গপপো মারেন মিয়া । তয় মজা পাইছি কিন্তু ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২
আমিই মিসির আলী বলেছেন: এইটা তো গপ্পইই।
কিঞ্চিৎ প্রাচীন বাস্তবতা মিশ্রিত। হেডলাইনেই তো গপ্পের বার্তা দেয়া আছে।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাচা কইতাছেন!
আছলেই জব্বর বাঁচা বাইচা গেছেন!
একটু যেন জোর করে টানা মনে হল! হল কি?
+++++++++++++++++
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
আমিই মিসির আলী বলেছেন: হ্যাঁ। যেই দৌড় টাই না দিছিলাম। প্রতিযোগিতা থাকলে প্রথম পুরষ্কার পাইতাম।
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮
রহস্যময় ডিটেকটিভ ঈশান বলেছেন: ফেবুতেই কিন্তু আন্নেরে সব কইছি।তাই এই খানে আর নতুন কইরা কিছু কমু না।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
আমিই মিসির আলী বলেছেন: খুউব ভালো। আন্নে যে জটিল কতা কন!!পুরাই টাস্কি খাওয়ারো মত?!
৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০০
আমিই মিসির আলী বলেছেন:
৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
ডাঃ মারজান বলেছেন: মজা পেলুম ভায়া! মিসির আলি হলে কি বলতেন?
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২
আমিই মিসির আলী বলেছেন: বুঝলাম না
৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
ডাঃ মারজান বলেছেন: আপনার নিক হচ্ছে আমিই মিসির আলী। মিসির আলী সব কিছু লজিক দিয়ে বিচার করেন। মিসির আলী এ গল্পের সুন্দর একটি ব্যাখ্যা দিতেন। তাই বলেছিলাম, মিসির আলী হলে কি বলতেন?
আশা করি বুঝতে পারছেন। ধন্যবাদ
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪১
আমিই মিসির আলী বলেছেন: মিসিরআলী তো আমার সাথে ছিলোই।
তারপর অবস্থা বেগতিক দেইখ্যা ডুব দিছিলো।
লজিক দিয়ে সব কিছু হয় না।
৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ডাঃ মারজান বলেছেন: আপনার নিক হচ্ছে আমিই মিসির আলী। মিসির আলী সব কিছু লজিক দিয়ে বিচার করেন। মিসির আলী এ গল্পের সুন্দর একটি ব্যাখ্যা দিতেন। তাই বলেছিলাম, মিসির আলী হলে কি বলতেন?
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪২
আমিই মিসির আলী বলেছেন:
৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
মোঃ-আনারুল ইসলাম বলেছেন: মিসির আলী ভুতের কবলে :-v
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন:
খুউব মজা!
১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অল্পের লিগা চল্লিশাটা মিস হইয়া গেলো!
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
আমিই মিসির আলী বলেছেন: হে হে হে!!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
সুমন কর বলেছেন: বেঁচে আছেন, শুনে নিশ্চিত হলাম...