![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মাত্রই মায়ার জালে ফেঁসে যায়। তবে কিছু কিছু মানুষ থাকে যাদের মায়া জিনিসটা স্পর্শ করে না। আমি তাদের একজন।
ভাইরে,
কি আর কমু দুঃখের কথা!
ভাইগ্না মূত্র বিসর্জন করে এসে বলে মামা আমাদের বাথরুমটা এত উন্নত ক্যান? কত্তো আলাদা!
কইলাম আলাদা মানে?
ভাইগ্না কইলো দরজা খুললে লাইট অটো জইল্যা উঠে আবার দরজা বন্ধ করলে লাইট নিভ্যা যায়!
আমি তো বুঝছি কি কাম সারছে!! এই মদন আবার ফ্রিজে গিয়া মূত্র বিসর্জন করছে!!
এখন কথা হইলো ও বাচ্চা মানুষ! ভুল হবেই। কিন্তু এই দিকে ভার্সিটি পড়ুয়া এক বন্ধু এর থেকে বিরাট বড় ভুল কইরা আসছে! বলবো সে কাহিনী!
মানুষ তো তাকেই বলে যার মান ও হুশ আছে! মান শব্দটার ততটা বিস্তৃতি নাই! তবে হুশ শব্দটার আছে। হুশের ভিতর আছে বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষন, সিদ্ধান্ত গ্রহনীয় পর্যায়সহ আরো অনেক কিছু।
কিন্তু বুদ্ধির জিনিসটা অজানা বিষয়ে কাজ করে না। আমাদের বুদ্ধি কাজ করে আমরা কতটুকু জানি তার উপর ভিত্তি করে।
যেমন, দশ বছর পর আপনি একই সাথে আপনার দুই স্কুল বন্ধুকে দেখলেন। তবে দুইজন দুই দিকে। দুইজনকে দেখা মাত্রই স্কুল জীবনের সকলে কাহিনী এক সেকেন্ডের ও কম সময়ে আপনার ব্রেনে একটা মুভির মতো এসে যায়! আপনার বুুদ্ধি বললো একজন খারাপ! সে স্কুল লাইফে সব সময় আপনাকে বাঁশ দেয়ার কাজে নিয়োজিত ছিলো! আর আরেকজন ছিলো খুবই উপকারী! আপনি গিয়ে আপনার উপকারী বন্ধুর সাথে হাত মিলিয়ে কোলাকুলি করলেন। - এখানে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো বলেই আপনি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন।
এইবার আসি মূল কথায়। আমার ভার্সিটি পড়ুয়া এক বন্ধু ফার্মগেটে থাকে! তো আপনারা যারা ঐ দিকে থাকেন জেনে থাকবেন যে ঐখানে হলের সামনে এবং এপেক্স জুতা দোকানের সামনে সন্ধ্যায় একটা জটলা বাঁধে মানুষের। একজন কথা বলে যায় আর ২০ থেকে ২৫ জন মন্ত্র মুগ্ধের মতো শুনে যায়।
কিন্তু কি এমন কথা বলে যে আপনাকে মুন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলে! সম্পূর্ন অভিজ্ঞতাটা আমার ঐ বন্ধু করেছে।
প্রথমেই মূল বক্তা আপনাকে একটা ম্যাজিক দেখাবে। যেটা সম্পূর্নই ভূয়া ম্যাজিক। বলবে যে তার কাছে একটা কাপড়ের খুপরী আছে। আর ঐ খুপরী তে মন্ত্র পাঠে জ্বীন আসে! জ্বীন তো ফেরাউনের মতো লম্বা তো এই ছোট্ট খুপরীতে তো জায়গা হবে না।তো যাতে জায়গা হয় সে জন্য জ্বীন আসবে কবুতর সেজে!
আর এই কবুতার আনার ফাঁকে আপনার ব্রেনকে একটা ধোঁলাই দিবে। বলবে কবুতর আসবে এটা কে কে বিশ্বাস করেন? যারা অবিশ্বাসী তারা চলে যান। তো লোক লজ্জার ভয়ে কেউ যাবে না। দ্বিতীয় ধোঁলাই দিবে আপনাকে যে কবুতরের খাদ্যের জন্য দশটা করে দিতে। সবাই দিবে এ পর্যায়ে! কারন দশটাকা আর এমন কি! দশটাকা দিয়া জ্বীন ও দেখা যাবে। কিন্তু যারা টাকা দেয় তিন মিনিট পর তাদের টাকা ফেরৎ দিয়ে দিয়ে। এটা আপনাকে মুগ্ধ করার একটা কৌশল! টাকা দিয়ে বলবে মসজিদে দান করে দিতে! আহা! কি মহান!!
এই ভাবে আপনার ব্রেনকে কয়েকবার ধোঁলাই দিবে। এক পর্যায়ে আপনি হিপনোটিজম এর পর্যায়ে চলে যাবেন। কথার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন অজানা কথা আপনাকে বলে অবাক করে দিবে!
তারপর আসবে চূড়ান্ত পর্যায়। এখানে আপনাকে ভয় দেখাবে! আমরা সকলেই জানা অজানা অনেক কাজই করি। যার সবকিছু হয়তো ভালো নয়। তো ঐ লোক বলবে যে এ খানে আছে চরম বেয়াদব। বেয়াদপটাকে চিনতে চান? যে মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে! এ পর্যায়ে ও সবার মন হিশপিশ করে উঠবে! কারন মায়ের সাথে একটু বাজে বিহেভ সকলেই করে রেগে গেলে। তারপর ঐ লোক বলবে কিন্তু না চিনতে হবে না! আল্লাহ বলছে অন্যের দোষ ট্রুটি বর্নণ করা থেকে বিরত থাকতে। আপনাদের দিলে হাত রাখেন! আপনাদের কিছু সমস্যার কথা জ্বীন বলবে।
এইখানে আপনার সম্পর্কে কিছু কথা বলবে। যা আপনার সঙ্গে মিলে যাবে। আর যেটা বলবে সেটা খুবই কমন! তবে তেমন জটিল কিছুই বলবে না। জটিল কিছু বলবে অন্যদের। এমন গহীনের কথা বলবে! টপ সিক্রেট বলবে! যাবতীয় সমস্যার কথা বলবে! এবং যাকে বলবে সে এমনভাবে মাথা নাড়াবে এবং চেহারার এমন ভঙ্গি করবে যে আপনি ভাববেন!!! ওরেহ্! শালা!! এ দেখি বিরাট কারবার! দরবেশ বাবার থেকেও কম না!! কিন্তু আসলে এমন কিছুই না! ঐখানে কয়েকজন থাকবে ওদের নিজস্ব লোক। আপনাকে মুগ্ধ করার জন্যই ওদের পোষা হয়!!
তারপর দেখবেন ঐখানে থাকা একজন বলবে " আমার কাজ আছে। আমি চলে যাই ভাই! " তারপর দেখবেন একটা মজার বিষয়! বক্তা বলবে পরে যান! কিন্তু ঐ লোক যেতেই চাবে! তারপর বক্তা বলবে যান ..... কিন্তু ঐ লোক যেতে পারবে না! হের উপ্রে নাকি ঠাডা পড়ছে! তার পা নাকি মাটির সাথে গাইথ্যা গেছে ! এটা দেখে সবাই একটু ভয়ের হাসি দিবে! তারপর ঠাডায় পতিত হওয়া লোক সরি বলবে! ভুল হইয়া গেছে বলবে! কিন্তু ঐ জটলার উপর নজর রাখলে দেখা যায় ঐ হারামি প্রতি সপ্তাহে ঠাডায় পতিত হওয়ার জন্য থাকে! আর বক্তা এই ফাঁকে তার বিভিন্ন ক্ষমতার কথা বলবে! কবে, কখন, কোথায় কি করছে! সব বলবে! আর সবার ভিতরে একটা আতংক ঢুকিয়ে দিবে!
তারপর আসবে জ্বীন আসার পর্ব। জ্বীন কবুতর হয়ে খুপরীর ভিতর থাকবে। এবং পরীক্ষা করতে দিবে অন্যদের আসছে কিনা! কিন্তু যারা পরীক্ষা করবে তারা তাদের লোক। তো আমি বন্ধুকে জিগাইলাম তুই চেক করছ নাই ক্যান? ও বলে ভয়!
ভয়টা হৈল যারা চেক করছে তাদের কবুতর জোরসে ঠোকর মারছে! আর তারা আঙ্গুল চাইপা উফ! উফফ! করছে! এটা দেখে আর কেউ জ্বীনের ঠোকর খাওয়ার সাহস পায় নাই!
এরপর তাদের ব্যবসায়ীক চাল চালা শুরু করবে! এমুন একটা ওষুধ দিবে! যেটা দিয়া আপনার যাবতীয় রোগ সমাধান হইয়া যাবে! আপনার তখন ঐ বক্তার উপর বিশ্বাস লেভেল এতটাই হাই থাকবে যে আপনি সেটা মানবেন ও। এবং আপনার কাছে এর জন্য পাঁচশ টাকা চাইবে। রাস্তায় বাইর হলে টাকা তো থাকবেই! আবার না দিলেও সমস্যা! ম্যানিব্যাগে কত টাকা আছে সব ঐ লোক জানে এমন একটা ধারনা তৈরি করে দিছে।
এরপর যাদের নিকট নাই পুরোপুরি! তাদের টাকা ফেরৎ দিয়া দিবে! কারো খুবই দরকারী টাকা থাকলে ঐটাও ফেরৎ দিয়া দিবে! আহা কি মানবিক মায়া! ধুশশশালা! যাদের টাকা ফেরৎ দিছে ওরা তাদেরই লোক!
এরপর কাহিনী খতম! আপনার আরো কিছু সমস্যা সমাধান করার জন্য তাদের চেম্বারে নিয়ে যাবে!! চেম্বারে নিবে দশজন বাছাই করা রোগী! যাদের থেকে অলরেডী পাঁচশ টাকা নিয়া নিছে! ঐখানে আছে আবার দশজন বড় বড় ভন্ড হেকেমী ডাকদর! ( ডাক্তার) !! আমার বন্ধুকে যে ডাক্তার দেখছে সে আবার লুঙ্গি পড়া!
তো জিগাইলাম! ডাক্তার তোরে কি চিকিৎসা করলো??
ও বলে! বলিস না আর দুঃখের কথা! ও আমারে আমারে জিগায় পীরে বিশ্বাস করি কিনা! আমি কইলাম হ করি! কয় ভ্লা কথা! তারপর কয় হ্যান্ডেলিং করছি কিনা? - আমি কইলাম হ্যান্ডেলিং কি জিনিস?? কয় সত্য কথা বলবি! হাত দ্বারা লিঙ্গ ঘসে বীর্যপাত করছস কিনা!!
"আমি কইলাম! তারপর তুই কি বলছিস?" ও কইলো! তোরে না কইলে ও চলবে! আমি পা বুঝার তা বুঝলাম! কইলাম এরপর কি?
কয় এমুন জায়গায় নিছে আমারে মাইরা ফেললেও কেউ বলতে পারবে না। আমারে কয় তোকে যদি বলি আমি ওমুক পীর বাবার দরবারে কয়েকজন ফকীরকে খাওয়ানোর জন্য তোর কাছে যা টাকা আছে সব দিয়া দিতে! তুই দিবি?
-তারপর কি করলি?
দিয়া দিছি! যা ছিলো।
- মানে?
- আর নয়তো কি করতাম!! নিজের উপর নিয়ন্ত্রন ছিলো না রে।
তারপর কি হইছে?
তারপর বললো তুই তো স্টুডেন্ট! সব টাকা যে দিলি চলবি কি করে? - কইলাম বাসা থেকে আনাইতে হবে! তারপর??
তারপর আর কি! খুশি হইয়া আমার টাকা থেকে আমাকে পাঁচশ টাকা ফেরৎ দিছে! আর কিছু গাছ গাছড়ার ওষুধ দিয়া দিছে! মলম দিছে লিঙ্গ মোটাতাজা করার জন্য! বাল ছাল জিনিস দিয়া আমার টাকা সব নিয়া নিছে।
বাসায় কি বলছস??
বলছি চোর ম্যানিব্যাগ নিয়া গেছে।
এ ছিলো কাহিনী। আপনারা যারা অতি উতসুক জনতা! যেটা কখনো দেখেন নাই ঐটা দেখলে আগ্রহ সহকারে দাঁড়িয়ে যান বাঁশ খাওয়ার জন্য। তারা সাবধান থাকুন! কখনো এসব জায়গায় দাঁড়াবেন না।
এই কাহিনী পড়ে যাচাই করার জন্য এসে একটা বাঁশ খাইয়েন না আবার আমার বন্ধুর মতো।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
আমিই মিসির আলী বলেছেন: ঠিকই বলছেন।
তবে এই ঘটনাকে শুধুই কুসংস্কারের ফল বলা যায় না।
এটা একটা সূক্ষ ধোঁকাবাজি।
সহজ সরল মানুষকে ধর্ম, নীতিকথার ফাঁধে ফেলে সব হাতিয়ে নেয়ার এক সূক্ষ ব্যবস্থা।
আর সবচেয়ে বাজে ব্যপারটা হইলো আইনের লোকজন পাশেই থাকে অথচো এই ব্যপারে তাদের কোন হস্তক্ষেপ নেই!!
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩
কল্লোল পথিক বলেছেন: আমি ও এই রকম দেখেছিলাম।
বিনোদন মূলক হলেও সচেতনতা মূলক পোস্ট।
ধন্যবাদ মিসির আলী ভাই।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১০
আমিই মিসির আলী বলেছেন: বিনোদন না থাকলে বোরিং নেস চলে আসে।
সেজন্যই একটু বিনোদন মিক্স করে দিলাম।
মানুষ না জানার কারনে কতভাবে যে ফেসে যায়!
এটা পড়ে একজন সচেতন হৈলেই লিখা সার্থক।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকুন সর্বদা।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এইসব বাটপারদের ঘেন্না লাগে!!
এদের ধারে কাছে যাই নাহঃ
পোস্টে মগা পাইলামম
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩০
আমিই মিসির আলী বলেছেন: আপ্নে আমি তো বুদ্ধিমান
কিন্তু যারা বুদ্ধিহীনতায় ভোগে তারা তো খায় ধরা!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩০
রায়ান মুন্সী বলেছেন: অনেক মূল্যবান পোস্ট (Y)
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৯
আমিই মিসির আলী বলেছেন: মূল্যবান কিনা কৈতারিনা।
তবে দরকারী।
ধন্যবাদ।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
bondhu moLom partyr koboLe porse boLLei hoito
oita taiLe apnar vagina. tar fridge e hisi korar kahini kotobar j porsi. apni to famous mama.
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫২
আমিই মিসির আলী বলেছেন: আরেএএএ!!!
মলম কৈ পাইলেন!!
এর যে শরীর!!!
ঘুসি মাইরা মলম পার্টির বারোটা বাজায়া দিত।
এটা ব্রেন পার্টির খেলা! আর তার মগজ ফকফকা! খাইছে ধরা!
আমার ভাইগ্নাই। তবে আমি ফেমাস না
ভাইগ্না ফেমাস
ধন্যবাদ।
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: হা হা হা- - - - এরকম ঘটনা আগে গুলিস্থান কমলাপুরে হইতো। আমি দাড়ায়া দাড়ায়া শুনতাম, তবে ওষুধ কিনতাম না, গান বা ম্যাজিক দেখার পর চইলা আসতাম। তখন ডিস বা ইন্টারনেট ছিল না, ঘরে ঘরে টিভিও ছিল না। বিকালের বিনোদন হিসাবে ওদের আড্ডায় শরীক হতাম। ধন্যবাদ এমন একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৫
আমিই মিসির আলী বলেছেন: দিন বদলাইছে।
এটা এখন আর বিনোদনে সীমাবদ্ধ নাই! রাতারাতি পকেট কাটার শো হইয়া দাঁড়াইছে! আর আমজনতা রোজ ধরা খাইতেছে!
কবে যে এদের বুদ্ধি সু্দ্ধি হবে!
ঘটনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকবেন।
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫২
বিজন রয় বলেছেন: আপনার হিউমার সবসময় আমাকে টাস্কিত করে।
আপনি একটি গিফট অফ হিউমার।
+++
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪১
আমিই মিসির আলী বলেছেন: বলেন কি!!
জেনে প্রীত হইলাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৩
মুসাফির নামা বলেছেন: চলুক ......
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন:
৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১০
নীলপরি বলেছেন: গল্প বলার স্টাইল ভালো লাগলো ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৬
আমিই মিসির আলী বলেছেন:
জেনে প্রীত হইলাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সর্বদা।
১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
বাঘ মামা বলেছেন: পোস্ট পড়ে এমনি একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো,
যাই বলেন এরা ফেইস রিডার হয়,মানুষ নিয়ে কাজ বলে মানুষ দেখে তার মধ্যকার দুর্বলতা গুলো সহজেই বের করে নিয়ে আসতে পারে। আমি আব্বু থেকে শুনে শুনে সব সময় এসব বিষয় সতর্ক থাকতাম, সেই ছোট কাল থেকেই এমন গ্যাদারিং গুলো এড়িয়ে চলতাম।আমার কলেজে যাওয়ার পথে একদিন দেখলাম এক ব্যাক্তি কিছু মানুষ জড়ো করে একটা কাগজে হাতের রেখা এঁকে মানুষের ভাগ্য গননা করছে,আমি যেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি সেটা কিছুটা উঁচু ছিলো,তারা দাড়িয়েছে একটু নিচু জায়গায় তাই আমি রাস্তা থেকে খুব সহজেই তার আঁকা আঙ্গুল সহ কব্জির হাতটা দেখছিলাম,লোকটা শুধু কাগজ কলমের সাহায্য এমন সহজে হাত আঁকছিলো তা দেখে আমার ভালো লেগেছে,আমি মুলত সেটা দেখার জন্যই একটু দুরে দাড়িয়েছিলাম,তবুও লোকটার চোখ এড়ায়নি,সে হুট করেই সবার সামনে দিয়ে হেটে রাস্তায় উঠে আমার হাত ধরে আমাকে কিছু না বলেই গোল হয়ে দাড়ানো জনতার উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো - "এই ছেলেটে ছোট হলেও কখনো কোন গ্যাদারিং কে বিশ্বাস করেনা এবং এমন জায়গায় ভুলেও দাড়ায়না,আজকে কি মনে করে যেন আমার এখানে এসে দাড়ালো,"। আমাকে ঘায়েল করার প্রথম মন্ত্র ছুড়ে দিলো সে, এটা সে বলতে পেরেছে এই জন্য যে সাধারণত আমার মত বয়সের ছেলেরা এমন কিছুর মধ্যে না এসে পারেনা,আমি কাছে না এসে দুরে দাড়িয়ে থাকা দেখেই সে হিসেব করে ফেলেছে আমি এমন বিষয়কে এড়িয়ে চলি।সে যাইহোক,আমিও তার মতলব ধরে ফেলেছি অথবা বিব্রত বোধ করে বলেছি আপনি আমাকে আর কিছু বলবেন?আমার ক্লাস আছে আমি যাবো।তখন সে সবার সামনে আমাকে বললো তুমি যদি পারো আমাকে ক্লাস শেষে এখানে একটু সময় দিও,আমি গ্যাদারিং শেষ করে অপেক্ষা করবো। আমি রাজি হলাম,এবং ক্লাশ শেষে ঘন্টা খানেক পরে আবার আসলাম, এসে দেখি সে একা দাড়িয়ে আছে,সাদা শার্ট কালো প্যান্ট, দুর থেকে দেখে কেউ ভাববেনা লোকটা এমন পেশায় জড়িত।যাইহোক আমাকে বললো তোমার হাত টা একটু দেখতে চাই, আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম সহজেই,হাত দেখে সে আমার মধ্যে সব ভালো গুন গুলো একে একে বলতে শুরু করলো কোন রকম দোষ সে বলেনি,তবে বলেছে আমার জীবনে ভয়ংকর একটা বিপদ আসবে। ওরা আমাদের বাঙ্গালী জীবন চক্র খুব ভালোভাবে আয়ত্ব করা মানুষ,সুখ দুখের জীবন আমাদের,উচু তলা আর নিচু তলার জীবন হোক,সবাইকে জীবনে কোননা কোন সময় ভালো মন্দে পার করতে হয়।তাই একটু সতর্কতার সাথে গুছিয়ে বলতে পারলেই সবার জীবনের সাথে মিলে যাবে আমাদের আবহাওয়া সংবাদের মত-"সারা দেশে কোথাওনা কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ও বজ্র বৃষ্টি হতে পারে,আকাশ হালকা মেঘ সহ রৌদ্রোজ্জল থাকবে"।তারাও এমন ভাবে জীবনী বলে যায় যেখানে সুখ দুঃখ হাসি কাননা রাজা বাদশা ফকির সব থাকে।
অনেক কথার পরে সে একটা সবুজ রঙের কৌটা খুলে সেখানে থাকা অনেক গুলো লাল নীল বেগুনি পাথরের মধ্যে আমার জন্য সবুজ কালারের পাথর বের করে আনলো,যা ব্যবহার করলে আমার জীবনের ভয়ংকর দিকটা কেটে যাবে। যার দাম মাত্র বিশ টাকা।
আমি পাথর হাতে নিয়ে তাকে বললাম,আপনি অনেক কিছুই জানেন মানুষ বুঝেন সেটা সত্য,তবে আমার ব্যপারে একটু ভুল করে ফেলেছেন,আপনার জানা উচিৎ ছিলো যে আমি বিনে পয়শায় দিলেও এসব নেবোনা আপনার থেকে এইটুকু জ্ঞান আপনার থাকা জরুরি ছিলো। তখন লোকটা আমার হাত থেকে পাথরটা নিয়ে ঐ কোটার ঢাকনা লাগাতে লাগাতে বললো- আগেই বুঝেছিলাম তুমি একটু ঘাড় তেরা।
আমাদের সবার জানা উচিৎ- দামি কিছু কখনো আপনার দ্বারে এসে দাড়াবেনা, এই পৃথিবীতে সকল দামি বস্তুর পিছে পিছে আপনাকেই ছুটতে হবে পেতে হলে।দ্বারে আসা পণ্যের দর কম এই সুত্র মনে রাখলে কখনোই মুল্যহীন বস্তুর জন্য আপনার মুল্যবান কিছু খোঁয়া যাবেনা।
শুভকামনা আপনার জন্য
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
আমিই মিসির আলী বলেছেন: কাহিনী শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
- দামি কিছু কখনো আপনার দ্বারে এসে দাড়াবেনা, এই পৃথিবীতে সকল দামি বস্তুর পিছে পিছে আপনাকেই ছুটতে হবে পেতে হলে।দ্বারে আসা পণ্যের দর কম এই সুত্র মনে রাখলে কখনোই মুল্যহীন বস্তুর জন্য আপনার মুল্যবান কিছু খোঁয়া যাবেনা।
মূল্যবান কথা।
কাশ আমার বন্ধু আপনার মতো ঘাড় তেড়া হইতো
ভালো থাকবেন সবসময়
১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫
কালনী নদী বলেছেন: গরীব মানুষ ভাই কি করবে? ক্ষর্মসংস্থানের অভাব!
লেখাটি প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম অন্যান্যরা সাবধান হবেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
আমিই মিসির আলী বলেছেন: কর্মসংস্থানের অভাব নারে ভাই!
চাইলেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়ে যায়!
কিন্তু তারা তো চায় কিভাবে আমজনতার দুর্বলতার সুযোগ নিয়া পকেট মারবে সে ধান্ধায়!
ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
এন এফ এস বলেছেন: আহা আমার দেশের সৃষ্টিশীল মানুষেরা....
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
আমিই মিসির আলী বলেছেন:
সৃষ্টিশীল তো বটেই....
১৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা এ দেখি পুরাই আনক্লিন বেম্বো ফিটিং!!!
দারুন করে লিখেছেন। সচেতন হবে সবাই আশা করতেই পারি।
কুট্টিকালে একবার ভয় পাইছিলাম.. এরপর থেইক্যা আর খাড়াইনা! কয় কিনা হাত দিয়ে দেখেন িচি নাইক্যা.. পুলাপাইন হাত দিয়ে গেছি ভয় খাইয়া.. তখনকার ২ টাকা দিয়া দৌড়াইয়া পলাইছি! বাসায় আইসা চিপায় গিয়া দেখি নাহ! সব ঠিকাছে.. আহ! কি শান্তি!!!
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪২
আমিই মিসির আলী বলেছেন: আাহা!!!
কুইট্টিকাল বড়ই রোমাঞ্চকর!
কাহিনী পড়ে মজা পাইলাম!!
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪
পুলহ বলেছেন: এই টাইপের ভন্ড, প্রতারক শ্রেণীর লোকজন আপনার ভাগিনার হাতে পড়লে সিধা হয়া যাইতো....
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন:
হুম!
মূত্রবানে ভাসায়া দিত
ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।
ভালো থাকবেন।
১৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, রসময় বর্ণনায় সচেতনমূলক পোস্টটা বেশ লাগল...
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬
আমিই মিসির আলী বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভাল লাগলো।
সাবধান থাকবেন অন্যকেও সাবধান করবেন।
১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, সমাজের এমন অসঙ্গতি তুলে ধরার জন্য, তবে সমাজ না বদলালে এসবের পরিবর্তন হবে কি না সন্দেহ
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আমিই মিসির আলী বলেছেন: ভাইরে,
মানুষ বদলালেই বদলাবে সমাজ।
মানুষ ছাড়া সমাজের অস্তিত্ব নেই।
ভালো থাকবেন।
১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
মাতৃভুমি বলেছেন: শুধুমাত্র বিষন্ন মানুষরাই এভাবে টাউট-বাটপারদের থেকে বাঁশ খাওয়ার জন্য দাড়িয়ে যায়।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০
আমিই মিসির আলী বলেছেন: শুধু মাত্র বিষন্ন মানুষই না!
উতসুক মানুষরাও ধরা খায়। বলতে গেলে এদের সংখ্যাই বেশি!
সাবধান থাকুন।
ধন্যবাদ।
১৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮
আনামুল হক ইনাম বলেছেন: সাবধান থাকুন
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১
আমিই মিসির আলী বলেছেন: হুম।
সাবধান থাকার বিকল্প নেই।
১৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: শিক্ষণীয় পোষ্ট যদি কেউ শিক্ষা নিতে চায়।
তবে আমি মজা পাইছি, কাহিনী হেভি জমছিল।
+++
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন: মজার মাধ্যমে সাবধান করা গেলে তো ভালোই হয় -তাই না?
সাবধান হতে হলে তো এটা পড়তে হবে। নাহলে বান্দা বুঝবে কি করে!
ভালো থাকেন।
ধন্যবাদ।
২০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬
বিসকুট পাগলা বলেছেন: এমোন আমি প্রায় ই দেখতাম। এক বার এক সালাকে আছছামত পেদানি দিসলাম। যাইহোক, মজা পেলাম।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫
আমিই মিসির আলী বলেছেন: পেদানী দিছিলেন???
বলেন কি!!
এতই সোজা!!
যদি দিয়ে থাকেন তো সাব্বাস বলতে হয়।
সাব্বাস বিস্কুট পাগলা সাব্বাস!
মন্তব্যে মজা পাইলাম।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিই মিসির আলী ,
হা..........হা............হা.............
এগুলোই হলো আসল মার্কেটিং ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪
আমিই মিসির আলী বলেছেন: হুম।
বুদ্ধি থাকলে ঘর জামাই থাকা লাগে না
২২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৮
আরজু পনি বলেছেন:
এই পোস্ট পোস্টার আকারে বানিয়ে গুলিস্তান, ফার্মগেট এলাকায় লাগানো হোক। তাতে যদি কিছু কাজ হয়।
সচেতনতামূলক পোস্টে প্লাস।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬
আমিই মিসির আলী বলেছেন:
পোস্টার টাঙ্গালেও যার ধরা খাওয়ার সে ঠিকই খাবে!
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিই মিসির আলী ,
বুদ্ধি থাকলে ঘর জামাই থাকা লাগে না.......
এটা পুরোনো আমলের ডায়ালগ ।
এখন যার যতো বেশী বুদ্ধি সে ততো ঘরজামাই ..................... মুফতে বউ, বাড়ী, গাড়ী , হাত খরচ আর ফ্রিতে শালী .................
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
আমিই মিসির আলী বলেছেন: প্রকৃত বুদ্ধিমান ঘর জামাই থাকে না।
২৪| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:১৮
প্রামানিক বলেছেন: আপনার পাশাপাশি বাঘ মামার কাহিনীও মন্দ নয়। ধন্যবাদ
০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:০২
আমিই মিসির আলী বলেছেন: তা তো বটেই
২৫| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
রাঙা মীয়া বলেছেন: ''ব্লগ এখন প্রায় পঁচিয়া গিয়াছে। বছর তিনেক আগেও এমন ছিলো না। দূর্যোধন, জাতির নানা, চেয়ারম্যান, বন্ধু ডিস্কো বান্দর এর মতো ব্লগার আর হইবে না এই ব্লগে সেটা এত কাল যাবৎ পর্যবেক্ষন করিয়া বুঝিয়া ফেলেছি। ব্লগে এখন সস্তা হিটের জন্য ফেসবুকের ন্যায় লাইক, কমেন্টের জমজমাট আখড়া চলে, বিজ্ঞাপনের ঠেলা তো আছেই। চলুক! নারী যখন নেত্রী এমন হওয়াটাই কথা। আমি জ্ঞানের খোঁজে, মানুষের কল্পনার শক্তি দেখিতে ব্লগে লগইন ছাড়াও অফ লাইনে থাকি। যাইহোক ভালো থাকুন।। সুস্থ ধারার ব্লগিং করুন।''
---------------------------------------------------
মানে কি ? ব্লগ কি পুরূষ দ্বারা পরিচালিত হইলে আরো ভালো হত ?
০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:০৬
আমিই মিসির আলী বলেছেন: মানে হইলো গিয়া বেগুণ বর্তা উইথ শুটকি ..............................................................
২৬| ০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮
কালনী নদী বলেছেন: হাজিরা দিয়ে গেলাম বাইজান!!
২৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৪
তাজবীর আহােমদ খান বলেছেন: এতো দেখি শুধু বাশ না,এতো আছিলা বাশ------ হা হা
মজাদার অ্যান্ড একি সাথে ভাবনাচিন্তা করার মতো বিসয়
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের কাছে এর চেয়ে ভালো কী আশা করা যায়?