নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যান্ত্রিক সব খোলা চিঠি

অপ্রয়োজনে অনেক কথা বলে যাই, কিন্তু বলা হয়না আরো অনেক বেশী কথা- অনেক আপন মানুষদেরকে। তাইতো, এই খোলা চিঠি। হয়তো কারোর চোখে পরবে কোনদিন, যখন আমি থাকবোনা.....

আনন্দক্ষন

মানুষ হয়ে জন্মে যখন ফেলেছি, তাই নিরুপায় হয়ে মৃত্যুকে বরন করতেই হবে। পৃথিবীতে এসেছিলাম একা, জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে চলতে হয় একা, মরতেও হবে একা। তাই তো নিজের খুশি মতো বাচবার চেষ্টা করে চলেছি, আনন্দের সাথে। জন্ম নেবার সময় মাকে কষ্ট দিয়ে ছিলাম আর কিছু অক্ষমতার জন্য চলার পথে ইচ্ছে না থাকা সত্বেও কষ্ট দিয়েছি ভালোলাগা মানুষগুলোকে। তাই হয়তো পৃথিবীটা ছাড়বার সময় এদেরকেই আবার কষ্ট দিতে হবে ! তাই তো কেবল ভালোলাগার- ভালোবাসার এই মানুষগুলোকে গুরুত্ব দেই। সমাজ নামক জঞ্জালটাকে এড়িয়ে চলি আর প্রতিটা নিঃশ্বাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তাকে।

আনন্দক্ষন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ড্রাইভার-কাজের মেয়েটা- কাজের মেয়েটার বর- আমি"

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:০৩

"আমার জন্য বিয়ের সংগা"



মাঝে মাঝে ভাবি, পয়সাও যেন মনে হয়, আমার চেয়ে সৌভাগ্যবান।ওর কেবল দুটো পিঠ , আর আমার সুখ-দু্ঃখের মাঝে আছে দুশ্চিন্তা। সমস্যাটা কম হতো যদি "চিন্তা" শব্দটার সামনে নতুন বৌয়ের ঘোমটার মতো দুঃখের "দুঃ" টা নাকের আগায় এসে না বসতো।



আমার দুশ্চিন্তার কারন- মা আমার "বিয়ের তোড়জোড়" জোরের সাথে শুরু করেছে। তাতে ঘি ঢালছে , ছোট বোনের বান্ধবীরা (তারা পটাপট প্রতি মাসে একজন করে বিয়ের পিড়িতে বসতেছে)। মায়ের চিন্তা- আমাকে বিয়ে না দিয়ে আমার চেয়ে সাত বছরেরে ছোটটার বিয়ে নিয়ে ভাবা যায়না। মা আমার চিন্তায় চিন্তায় অস্থির। আমার অবস্থা সমীচিন। মাথার উত্তাপের কল্যানে- আমার "জীবন আকাশের সকল মেঘ" গলায়ে পানি আর পায়ের নীচের মাটির আদ্র হওয়ার উপক্রম। মাঝে মাঝে ভাবতে মন চায়- মাথার উপরে কড়াই রাখলে বুঝি , ডিম পোচ হইতে ১ মিনিট লাগতো আর হ্যাটের উপর আস্ত ডিম রাখলে নির্ভাৎ মুরগির ছানা ডাকা শুরু করতো। তাই আপাদত বরফ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে - যেমনি মায়ের চিন্তা দূর করার কথা ভাবা বাদ দিয়া , ফেসবুকে ঢুকলাম- দেখি আমার এক ক্লাসমেট তার ছোট কন্যার প্রথম জন্মদিন পালন করতেছে, পাশে তার স্কুল পড়ুয়া বড় পুত্র। অত্যন্ত সুন্দর ছবিটায় কমেন্ট করতে গিয়ে মনে পরলো- কমেন্ট করলেই আমার "মা বাদে" পুরা পৃথিবী (ক্লাসমেট-সিনিয়র-জুনিয়র-আত্বীয়স্বজন) আবার তাদের প্রিয় টপিক খুজে পাবে। কোন দরকার নাই- "হট কেক" হওয়ার। তাই তারাতারি লগ আউট করলাম- পাছে আবার রুমমেটের নজরে পরে যাই। শালার রুমমেটটাও বেরসিক- আমার পার্টনা "না থাকা" নিয়া মস্ককরা করে।

"এক ড্রাইভারের জন্য - বিয়ে"

মজার ব্যাপার লক্ষ্য করলাম- মোটের উপর সবাই অন্যের বিয়ে নিয়ে খুবই উৎসাহি থাকে। পাত্রের অথবা পাত্রীর যোগ্যতা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নাই। একদিন আমাদের ড্রাইভার বললো- আমারে ১ সপ্তাহের ছুটি দেন -আমার বিয়া । জানতে চাইলাম "তোমার বেতনে তোমার ভাইবোন-বাবা মাকেই তো ঠিকভাবে সাহায্য করতে পারোনা, বিয়ে করে সব ম্যানেজ করবে কেমন করে?"

তার উত্তর - "আমিও তো তাই এখন বিয়া করতে চাই নাই। ভাবছিলাম ভাইটার কলেজ শেষ করলে , বোনটারে বিয়া দিয়া - পরে বিয়া করমু। কিন্তু মা-বাপ তো মানে না। আসলে বাপ-মাও খুব যে চায় তাও না। আত্বীয় স্বজন-গ্রামের লোকেরা খালি কয়। অহন তারাও কয়।"

আমি বোঝালাম - মা-বাবা তো আর অবুঝ না, তাদেরকে বোঝাও। তুমি তো সংসারের ভালোর জন্যই করছো?"



"গতবার ঈদের পরে,একবার বিয়া ঠিক করছিল বইলা - বাড়ি থেইকা পলাইছি, এইবার মায়ে কছম দিছে।"



ভাবলাম- নিজের ইচ্ছা নাই, তাও যেন বাধ্য হয়ে বিয়ে করা।



"বাসার কাজের মেয়েটার জন্য - বিয়ে"



আমাদের বাসায় ৫ বছর কাজ করার পর আমাদের কাজের মেয়েটাকে ওর বাবা-মা , মোটামোটি জোর করেই বিয়ে দিয়ে দিল। বাচ্চা একটা ছেলের (দাড়ি-গোফ ঠিক মত গজায় নাই) সাথে মেয়েটা এলো দেখা করতে। ছেলে কিছুই করেনা, হাঁপানীর রোগী, বয়স মাত্র ১৬ কি ১৭। এই পাত্র ? রাগ সামলে , ছেলেটাকে জিগ্ষাসা করলাম- "কামাই নাই, তো বিয়ে করছো কেন?"

উত্তর-"ওর (মেয়েটার) গ্রামের একজন কইলো, মেয়েটা ভালো। আর আমারও বিয়ার বয়স হইছে । বেবাকে মিল্লা জোর করলো। তাই করলাম। তয় আমিও কইছিলাম- বৌরে কি খাওয়ামু।"



মেয়েটা কেবল আমার মায়ের পায়ের কাছে বসে কাঁদলো। জানতাম- ওর বাবা মা ও নিরুপায় হয়েই বিয়ে দিয়ে ছিল, একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তানকে।

সমাজে বাস করার দায়।



অতি উৎসাহি এই সমাজ কি নেবে এই পরিবারগুলোর খাওয়াবার দায়িত্ব?

না, তা তো আর তার দায়িত্বের মাঝে পরেনা। দেবে কি আমার অনিচ্ছায় করা বিয়ের সুখের গ্যারান্টি?



ভাবে দেখলাম "ড্রাইভার-কাজের মেয়েটা- কাজের মেয়েটার বর- আমি" সবাই যেন ভিন্ন দামের পোষাকে মোড়া একই পুতুল।





মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:০৭

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: :(

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:১২

আনন্দক্ষন বলেছেন: ভাই কি চিন্তিত হয়ে গেলেন?

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:২০

রিফাত হোসেন বলেছেন: একটা সময় ছিল যখন আমি বিয়ে করার জন্য রাজী ছিলাম । তখন তাদের উক্তি ছিল নিজের পায়ে দাড়াও !!!

আমি যতটুকু কামাই করি তা বাংলাদেশের প্রথম শ্রেনীর থেকেও বেশী, চাকুরী হিসেবে ।

বছর বছর বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়াই ।

......... সমস্যাটা ছিল আমার বয়স বাংলাদেশের সামাজিক বিয়ের বয়সের থেকে অনেক কম । বলতে পারেন ১৬-১৭ বছর থেকেই পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে কাজ করতে থাকি ।
এখন অনেক বছর কেটে গেছে ।..........

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, যে আমি বিয়ে নামক বস্তুটা থেকে নিজেই দূরে থাকার চেষ্টা করি ।

মনে করেছিলাম যাকে ঘরে নিব , শুধু তাকে নিয়েই চিন্তা করব । কিন্তু এখন দেখছি মানুষ আমাকে কম, আমার অবস্থার প্রতি চিন্তা করে :(

তাই এখন নারী নামক শৃঙ্খলা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি ।



পরিবার বললেও আমি এখন রাজী নই :) হ্যাপি লাইফ ;)

সামনে সমুদ্র দেখতে যাচ্ছি :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৩২

আনন্দক্ষন বলেছেন: অন্তত একজন পাওয়া গেল- যার অবস্থা আমারই মতন। আমিও এখন পরিবার-পরিজন এড়ায়ে চলি কেবল বিয়ে আলোচনা থেকে মুক্তির জন্য।

আমাদের মনটাকে কেউ, কখনো বোঝার চেষ্টা করেনা। কেবল ছকে বাধাঁ নিয়মে ফেলে দেয়। সেই নিয়মও আবার বাবা-মায়ের বানানোনা- সমাজ কর্তৃক চাপায়ে দেওয়া।

ভাবি- "মানুষের জন্য সমাজ" নাকি "সমাজের জন্য মানুষ" ?

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০০

একাকি রাতে বলেছেন: আমার বাবা-মা ২ বছর আগ থেকে বিয়ে বিয়ে করে পাগল করে দিচ্ছিল আমি তাদের বল্লাম আমি এখন বিয়ে করব না তারা আমার কথা না শূনে মেয়ে দেখা শুরু করল এবং একটা প্রছন্দ করে আমাকে দেখতে যেতে বল্ল তখন আমি তাদের বল্লাম আগামি ৫ বছরের আগে বিয়ে করব না আর যদি বেশি বাড়াবাড়ি করেন বাড়িতে সহ আসবনা। এর পর থেকে আর কিছু বলেনা শুধু বলে বাবা নাতি ডেখার বড় সখ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:১৫

আনন্দক্ষন বলেছেন: আমার বড় ভাই বিয়েও করছে- বাচ্চাও আছে। তাই নাতী দেখার আবদারটা করতে পারেনা। খালি বলে -ছোট বোনের বিয়ের কথা আমার ভাবা উচিত।

মাঝে মাঝে ভাবি- বস্তিবাসী আর গুলশানবাসীরাই সবচেয়ে সুখে আছে। যখন তখন , যারে ইচ্ছা বিয়ে করতে পারে, ছোট-বড়, ভাই-বোনের বিয়ে না হওয়া নিয়ে ভাবতে হয়না।

মাঝখান দিয়া আমরা বাটে- শালার মধ্যবিত্ত?

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:৪৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: ভালই হয়েছে :)

প্রথম প্রথম গরম ব্যাংক ব্যালেন্স তৈরী হচ্ছিল মনে করলাম, বিয়ে করা ফিট হয়ে যাই ।

কিন্তু তাদের কথা আরও কামাও,,,,, কামাই কামাইতে শহীদ হইয়া যাও =p~ =p~

শহীদ হইলাম সমস্যা নাই, নিত্য নতুন দামী জিনিস কিনে নিজের পয়সাকে শহীদ করছি, ঘুরছি ফিরছি , উড়াচ্ছি ।

আস্তে আস্তে বুঝলাম তারা বিডি সামাজিক রাইট বয়সের জন্য অপেক্ষা করছে ।

লোল

যেখানে বাংলাদেশের বর্তমান আয় ১০ হাজার থেকে নিজের পায়ে দাড়ানো মনে করে, সেখানে আমি ৫ কি ৬ গুন সেলারী পাবার পরেও ঐ পিচ্চি বাবুই রয়ে গেছি । ......

B:-)


তারপর দেখী মেয়েরা আমার থেকে অবস্থার দিকে নজর দেয় বেশী । এটা দেখবে না যে বদ অভ্যাস আছে নাকি , দেখবে কতটুকু আরামে তাকে রাখতে পারবে !!!

এই মেয়েদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো ধীরে ধীরে নজরে পরে ।
তবে সবাই এই রকম নয় ব্যতিক্রমও আছে । তবে কারণ আছে প্রত্যেক মেয়েই চায় তার লাইফ যেন সিকিউরড হয় ।
এটা তাদের পিতা মাতা চায় বলেই ভাল ঘরে বিয়ে দেয় ।

তবে আমার ইচ্ছা যে মেয়েই আমার জীবনে আসুক না কেন, আমি যেভাবে , যেরকম অবস্থান করব ঠিক পানির মত সেই পাত্রেই অবস্থান করতে হবে । টাকা পয়সা দেখিয়ে বিয়ে বা মেয়ে পটাতে আগ্রহী নই । অন্তত লাইফ পার্টনার হিসেবে তো নয়ই ।
কারণ যতদিন মানি/পয়সা ততদিন মান । :) এরপর ফুটুস, আরেকজনের হাত ধরতে একটুও দিধা করবে না । তখন আমার খুন করা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না :( . কারণ ব্যাপারটা সহ্য করার ক্ষমতা আমার থাকবে না ।

তাই নারী ঘটিত বিবাহ থেকে এখন দূরে থাকতে চাই বহু দূরে ।


আমি কাজ করতে চাই সপ্তাহের প্রত্যেকটা দিন, ওভার টাইম করতেও সমস্যা নাই । কিন্তু কপাল খারাপ সপ্তাহে জোর করেই দুইটা দিন ছুটি পাই । আমার ছুটির দিন গুলি খুব কষ্টে কাটে । সময় থেমে থাকে ।

বছরে দুইবার ছুটিতে পাঠায়, আমি যেতে চাই না, কাজের মধ্যে নিজেকে মগ্ন রাখতে চাই ।

কেন চাই ? :)

আপনিও পুরুষ আমিও পুরুষ, ব্যাপারটা অবশ্যই বুঝেন । আর বিস্তারিত বলার দরকার নাই ।

---শুভ ব্লগিং

সেন্ট মার্টিন যাত্রা ... Click This Link

মুই ছুটিত যাইতান্ Click This Link

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:৫৬

আনন্দক্ষন বলেছেন: আমার অবশ্য একটা ভালো অভ্যাস আছে- মোটামুটি ১২/১৪ ঘন্টা ঘুম কোন ব্যাপার না। তাই ছুটিগুলো ঘুম আর সামুতে ভালোই কাটে।

আর সত্য কথা বলতে- আমিও কেন জানি বিবাহ বিদ্বেশি হয়ে যাচ্ছি- চারপাশের নানা ঘটন-অঘটন দেখে। কেবল স্বার্থপর, ছোট মানের মানুষে ভরা।

হ্যা, অসাধারন মানুষও দেখেছি- মজার ব্যাপার তাদের সাথে পরিচয়েও কেবল ভালো বন্ধু ভাবতে ভালো লাগে। এর চেয়ে বেশি কিছুনা।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:৪৭

জাহুমুজামা বলেছেন: vai tik bolechen....bostibasi r gulshan basir tension nai..jokhon tokhon biye korte pare...amra shala middle-class, fapore thaki...

Amar o same obostha, honours shesh korechi 21 bosor boyose...ekhon MA korchi, uddesso, kom boyose lekhapora shesh korle valo kichu kora jabe...ekhon goto 6 mas dhore same bipode asi...na bollam..ekhon amar makbaper nati dekhar shokh, dadi r nanir natkbou dekhar shokh...
shesh porjonto barite kokhono asbona thread diye apatoto domiye rekhechi...

Shalar, amader mone ki cholse keu bujena :(

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:০২

আনন্দক্ষন বলেছেন: খালি ভাবি- বাপ-মায়েই যখন আমাদের মন বোঝেনা, অন্যের ছেলে-মেয়েদের আর কি দোষ? তাই তো তারা টাকা-স্টাটাস , সৌন্দর্য, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড দেখতে চায়।

আর সমাজ?
সে তো কেবল ভালো সময়ের সাথী। নিরীহ মানুষের জন্য কষাই।
ঠিক যেন "শক্তের ভক্ত- নরমের জম"।

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২৬

যে আছো অন্তরে বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। প্লাস

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৩০

আনন্দক্ষন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের অনুপ্ররনাতেই মনের কথাগুলো বলতে সাহস হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.