![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পিছিয়ে পরা মানুষ নিয়ে কাজ করছি বেশ কিছুদিন। এর জন্য নানা রকম মানুষের সাথে কথা বলতে হয় প্রতিদিন। অনেক রকম কথাও শুনতে হয় অবশ্য এর জন্য। ছেলেদের ব্যাকা টাইপ কথা শুনলে তেমন একটা কানে লাগে না। কিন্তু যখন কোন খোদ মেয়েই এই সব জিনিস নিয়ে নোংরা রকমের কথা বলে অবাক হই।
কয়েকদিন যাবৎ স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে কাজ করছে একটি গ্রুপ পেলাম ফেইসবুকে যাদের মূল কাজ হচ্ছে গ্রামের প্রত্যেকটা স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া, সবার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। যাতে সারভাইকাল ক্যান্সার টাইপের রোগের হাত থেকে মেয়েরা রক্ষা পায়। যাতে বিনামূল্যে ন্যাপকিন ব্যবহারের পর এর সুবিধা বুঝতে পারার পর নিজেরা কিনে ব্যবহার করতে পারে। আর পিরিয়ডের সময়ে যেন তাদের জীবনযাত্রা অন্য সময় দিনের মতোন স্বাভাবিক হয় কোন জড়তা ছাড়া।
এই গ্রুপের কাজ দেখে আমার খুব ভাল লাগলো তাই পোস্টটা শেয়ার না দিয়ে পারলাম না। আমার ছেলে আর মেয়ে বন্ধুদের বললাম তারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী যেন এগিয়ে আসে। অবাক ব্যাপার হচ্ছে আমারই ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা একটি মেয়ে এই পোস্টটা দেখে বলে উঠে এ কেমন মেয়ে আমি যে ছেলেদের সাথে পিরিয়ড নিয়ে কথা বলি। এটা ওভার স্মার্টনেস। এসব নোংরামী ভালো না। কথা শুনে হাসিই আসলো। মনে হল পিরিয়ড ব্যাপারটা খুব নোংরা একটা ব্যাপার। যা লোকচক্ষুর আড়ালে রাখার বিষয়। এ নিয়ে কারো সাথে কথা বলা ভয়ংকর খারাপ বিষয়।
যেখানে একদল মানুষ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে মানুষকে এগিয়ে নিতে সেখানে কিছু মানুষ আটকে আছে সেই স্টার প্লাসের সিরিয়ালের মধ্যে, যাদের জীবনে শ্বশুর বাড়ির মানুষের বদনাম আর কোন মানুষের খারাপ দিক নিয়ে কথা বলা ছাড়া কোন কাজ নেই। এরাই আবার অপেক্ষা করে ছেলেরা এদের হাত ধরে সামনে এগুতে সাহায্য করবে। নাহলে তারা যে এগুতে পারবে না।
কেন রে ভাই আশায় থাকেন কোন ছেলের সাহায্য নিয়েই আপনাকে এগুতে হবে। কেন বার বার অভিযোগ করেন তারা সুযোগ দেয়না আপনার এগুনোর। আপনার পথে বাঁধা তারা।
নিজে বদলান। কেউ কারো জায়গা ছেড়ে দেয়না জীবনের পথে আগানোর জন্য। নিজের অধিকার নিজেকেই নিতে হয়।
আপনার কাছে যা লজ্জাজনক কাজ (স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছানো) তা যদি কেউ করে লজ্জা পেয়ে চুপ করে থাকেন কথা। এসব দেখেন না। চোখ বন্ধ করে রাখেন। দেখলে খারাপ হয়ে যাবেন। আমার মতোন খারাপ মেয়েদের খারাপই থাকতে দেন।
শুধু মনে রাখবেন, নিজে যদি না বদলান কোন কিছু বদলানোর আশা করবেন না। নিজে থেমে থেকে নিজের পথে ছেলেদের উপর গতানুগতিক দোষ চাপাবেন না।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫
আনিসা নাসরীন বলেছেন: নিজেদের আগানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:০২
সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট! সাধারণ নতুন কোন কাজের ক্ষেত্রে একটু আধটু বাঁধা আসবেই! এগুলো আজ না, সেই যুগ যুগ আগে থাকতেই চলে আসছে! সুতরাং সেই সমস্থ বাঁধা বিপত্তিকে ডেঙিয়ে যারা জয়যুক্ত হতে পারে, তারাই কেবল প্রকৃত সাহসী!
তাছাড়া নারীদের শত্রুরা যে নারীরাই সব থেকে বেশি এটা গবেষণায় প্রমাণিত! একটা ছেলের অনেক খারাপ একটা সিদ্ধান্তকে অপর একটা ছেলে যতটা সহজ ভাবে নিতে পারে, একটা মেয়ের খুব স্বাভাবিক কাজকে অন্য একটা মেয়ে একদমই স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে না!
সে যাহোক, তবে সকল বাঁধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে আপনি/আপনারা জয়যুক্ত হন একটাই কামনা রইলো! শুভ কামনা জানবেন!
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮
আনিসা নাসরীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও এত সুন্দর করে বলার জন্য।
এমন বাঁধা আসবে এমন কথা মাথায় রেখে সামনে এগুচ্ছি। পাশেই থাকুন।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২০
মাজুবিবি বলেছেন: ভাল কাজে বাধা আসবেই। নিন্দুকের কাজ নিন্দা করা। এগিযান, শুভকামনা সর্বদাই।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১
আনিসা নাসরীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পাশেই থাকুন।
সব বাঁধা পার হয়ে যাবে।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
অরুণাচালাম মুরুগানাথাম --মেনস্ট্রুয়াল ম্যান ---এই ভিডিও দেখুন।
view this link
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
আনিসা নাসরীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভিডিওটা শেয়ার করার জন্য আমার সাথে।
আপনারা পাশে থাকলেই বদলে যাবে সব আঁধার আলোতে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। প্রত্যেক পরিবারের উচিত সবকিছু সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেয়া। তাহলেই আর লজ্জা বা নোংরামো মনে হবেনা।