![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।
যখন খাল কাটা হয় তখন সেই খাল দিয়ে যেমন কুমিরও আসে তেমনি তৃষ্ণা নিবারনের জলও আসে। নির্ভর করছে আপনি কোনাটার দিকে নজর দিচ্ছেন।
তারেক মাসুদ স্যার চাইতেন বিদেশের সাথে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণ হোক। তিনি চেষ্টাও করেছিলেন। 'কাগজের ফুল' প্রযোজনায় ভারতের অংশ ছিল। তারেক স্যার নেই। তার অনুসারীরা আজ সেই কাজই করছেন। যদিও প্রত্যেকের কাজ করার ধরন ভিন্ন ভিন্ন।
আপনি কি বলবেন, তারেক মাসুদ চেয়েছিল বাংলাদেশের সিনেমা ধ্বংস হোক??
টলিউড তার বাক্স খুলে বসেছে। বলতে দ্বিধা নাই সেটা নিতান্তই ব্যাবসার জন্য। কিন্তু সেই মনোহরি বাক্স থেকে আপনি কি কিনবেন আর কিনবেন না, সেটা তো আপনার সিদ্ধান্ত। বলতে দ্বিধা নাই আমরা যত বেশি যৌথ কাজ করব তত বেশি ম্যাচিউর হয়ে উঠব। পৃথিবীর সব থেকে নবীন তম শিল্পের নাম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বিকাস, পথচলা, অগ্রহতি অনেকটা সময়ের থেকেও দ্রুততর। তাই পুরাতন তকমা আওড়ে বেশিদিন টিকে থাকাটা কঠিন। অতীত গৌরব নিয়ে গর্ব করে অনুপ্রাণিত হওয়া যায়। কিন্তু অনুপ্রেরণাকে যুক্তিযুক্ত পন্থায় নিয়ন্ত্রনও করতে হয়। আমরা সেটা পারিনি। এটাই মূল সমস্যা।
আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। সেই সীমাবদ্ধতা কিন্তু আপনি দর্শকের চেয়ারে বসে সব সময় উপলব্ধি করতে পারবেন না। সেটা জানতে হলে দাঁড়াতে হবে ক্যামেরার পেছনে। এমন কথাই বলছিল সৈকত ভাই। সকালে যখন শুটিং সেটে গিয়ে পা রাখলাম তার ঠিক কিছুক্ষন আগেই ক্রেনের দড়ি ছিঁড়ে গিয়ে আহত হয়েছে হিরো ওম। পরিচালক এটাই বলছিলেন- "দর্শক কিন্তু দেখতে পাবে না যে, এই ছেলেটা কতোটা আহত হল। কতোটা শারীরিক যন্ত্রণাকে ঝেরে ফেলে কাজে মন দিল। এটা কিন্তু আমরা দেখতে পাই। তাই দুম করে ঠিক বলে দিতে পারি না এটা খারাপ ছবি"।
আমার মতে বাংলাদেশী দর্শকরা বড় অস্থির। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে, দর্শক হিসেবেও আপনার কিছু দায়িত্ব কিন্তু আছে এই ইন্ডাস্ট্রির প্রতি। প্রতিটা দেশের দর্শকেরই থাকে। ভেবে দেখুন দর্শক হিসেবে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করছেন কি না?
বাংলাদেশীরা পারে না এমন কিছু নাই। তার প্রমান আমরা দিয়েছি বহুবার। ভারতে বাংলাদেশী ক্রিকেটকে আলাদা ইজ্জত দেওয়া হয়। এখানের মানুষ উদাহরণ টেনেই বলে- "বাংলাদেশের কাছ থেকে আমাদের শেখার আছে। দেখেছ, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম হারুক বা জিতুক কখনোই তাদের সাপোর্টাররা টিমের উপর থেকে আশীর্বাদ তুলে নেয় না।"
আমিও সেই কথাটা বলতে চাই। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের দুর্দিনেও আমরা যেমন বুক দিয়ে তাদের আগলে রেখেছিলাম সেভাবে একটিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্রকে আগলে ধরুন। দেখবেন রাতারাতি সব বদলে যাবে। যেতে বাধ্য। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম যেমন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ব্রান্ডিং করে তেমনি করে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রও কিন্তু বাংলাদেশের ব্রান্ডিং করে।
দর্শক হিসেবে আপনি যখন শুধু ভুল গুলোই দেখেন বা সমালোচনার মোড়কে আপনি যখন সব ভুল গুলোই আওড়ান তখন তো চাইলেও আমরা বেশিদূর উড়তে পারি না। কেননা চলচ্চিত্র নামক ঘুড়ির নাটাই তো আপনাদের হাতে।
-
আজ সারাদিন কেটেছে 'হিরো-৪২০' সিনেমার শুটিং এ। আমি চোখ কান খোলা রেখে পর্যবেক্ষণ করতে চেষ্টা করেছি। কি নেই আমাদের আর কি আছে আমাদের? সত্যি কথা হল আমাদের যে জিনিসটার সব থেকে বেশি অভাব তা হল দর্শকের ভালোবাসা। আপনার পজেটিভ সাপোর্ট। সেটা কিন্তু আমার জন্য না। আমাদের মৃত প্রায় চলচ্চিত্রের জন্য। আমাদের দেশের জন্য। কেননা চলচ্চিত্রই পারে হাজার হাজার মাইল দূরে বাংলাদেশের নামটা বয়ে নিয়ে যেতে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৯
আনন্দ কুটুম বলেছেন: সিনেমা নিয়ে লেখালেখিটাও কিন্তু দরকার। আপনিও একটা লিখা লিখে ফেলুন। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন| একটু ভালবাসা থাকলেই দাঁড়িয়ে যেতে পারে চলচ্চিত্র আমাদের| ঘুরে যেতে পারে মোড়