![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খবরের তলদেশে চাপা পড়ে যাবে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা হত্যার ঘটনা। সেই তলদেশে হাজার অবিচার হলেও আমরা জানব না। কেননা আমরা খবরের উপর তলার মানুষ। প্রথম আলো, ৩০ জুন, বৃহস্পতিবার, পৃষ্ঠা ৪ সূত্র অনুসারে- “জিজ্ঞাসাবাদের সময় মাহমুদা হত্যায় বাবুলের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে দাবি করে তিন ডিআইজি বাবুলকে দুটি বিকল্প দেন। বাবুলকে বলা হয়, তাকে বাহিনী থেকে সরে যেতে হবে, নইলে তাকে মাহমুদা হত্যা মামলায় আসামি হতে হবে। বাবুল বাহিনী থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেন।”
বাবুল যদি খুনের সাথে জড়িত থাকে তাহলে শাস্তি হওয়া উচিত। আর এমন অসততার দায়ে তার চাকরিচ্যুতি ঘটবেই। চাকরিচ্যুতি তার খুনের সাথে জড়িত থাকার শাস্তি নয়। আমি ব্যবসায়ী, কাল কাউকে খুন করলে আমার শাস্তি হবে ব্যবসায়িক লাইসেন্স বন্ধ করা। এটা একটা আইন বিরোধী প্রস্তাব।
তিনটি কারণে তিন ডিআইজি এমন প্রস্তাব দিতে পারেন,
(১) তারা বাবুলের প্রতি স্বজনপ্রীতি দেখাচ্ছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে স্বজনপ্রীতির মত বিষয় গোপন থাকার কথা।
(২) তারা চাইছেন বাবুলকে মুক্তির টোপ দিয়ে (যদি বাবুল সত্যিই জড়িত থাকেন, যদি...) ফাসাতে কিংবা সত্য ঘটনা জানতে। টোপ ফেলে জবানবন্দী নেয়ার কাজ করলে তা চার দেয়ালের মধ্যেই রাখা উচিত। কারণ টোপ মানে মিথ্যা মন্তব্য, আর তা দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ও ব্যক্তিবিশেষের মানহানি করা অনুচিত। তাহলে খবর যখন পাবলিক করা হল, তখন প্রমাণাদি থাকার বিষয়টি নিশ্চয় সত্য। আর যদি তাই হয় তাহলে বিচারের ব্যবস্থা নয় কেন? আর তিন ডিআইজির দেওয়া দুটি বিকল্প থেকে বুঝা যায়- তাদের প্রধান উদ্দেশ্য বাবুলকে সরানো , খুনীর বিচার নয়।
(৩) তারা চাইছে যেকোনভাবে বাবুলকে পুলিশ প্রশাসন থেকে সড়াতে।
যদি তাই হয় তাহলে কে বা কারা তাকে সড়াতে চায় এবং কেন? তিন ডিআইজি কার নির্দেশে এবং কোন উদ্দেশ্যে এমন প্রস্তাব করেন?
এ প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে পদত্যাগের সিন্ধান্তে সম্মতি একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এতগুলো বছর পুলিশে থেকে বাবুল হয়ত তার হাড়ে-মজ্জায় টের পেয়ে গেছে – সে যদি তার প্রশাসনের সাহায্য না পায় তাহলে দুরবাস্থা নিশ্চিত। তাই সাহায্যের প্রত্যাশায় বাবুল পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারে।
আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সুষ্ঠু তদন্ত ও এর বিচার। এও মনে রাখতে হবে ভূতের ঘাড়ে চেপে দেশ চলছে। নজর এড়ালেই আমাকে- আপনাকে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা থেকে বঞ্চিত করা হবে।
©somewhere in net ltd.