নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আলেক্সান্ডার দি গ্রেট হতে চেয়েছিলাম।

বাঙালি বেদুঈন

বাঙালি বেদুঈন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘাসখোর পুরুষের দেশ জাপান

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০০

জাপানে হারবিভোর লোক বা ঘাসখোর লোক তাদের বলা হয়, যাদের বিবাহ বা নারীবন্ধু রাখার প্রতি কোন আকর্ষণ নেই। হারবিভোর লোকের সংজ্ঞা হচ্ছে ঐসব পুরুষ যারা তরুণ বয়সেই তাদের পুরুষত্ব হারিয়েছে। ১৩ই অক্টোবর ২০০৬ সালে জাপানী লেখক মাকি ফুকাসাওয়া প্রথম এই শব্দ চালু করেন।
২০১০ সালে গবেষণা করে দেখা যায়, জাপানে কুড়ি বছর বয়সের মধ্যে থাকা ৬১% ছেলে এবং ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে থাকা ৭০% ছেলে নিজেদেরকে হারবিভোর বলে গণ্য করে। জাপান সরকার একে জন্মহার হ্রাসের অন্যতম কারণ বলে বিবেচনা করে।
লেখক ফুকাসাওয়ার মতে, "হারবিভোর লোক প্রেমের সম্পর্ক রাখে না এমনটি নয়, কিন্তু তারা মাংসের আকাঙ্খায় নেতিবাচক ও অনুভূতিহীন।"
দার্শনিক মাসাহিরো মোরিওকার মতে, "হারবিভোর লোক হচ্ছে ঐসব ভদ্রলোক যারা পুরুষত্বের ধর্ম দ্বারা নিজেকে আবদ্ধ না করে সহিংস প্রেমের সম্পর্ক থেকে দূরে থাকে এবং নিজে আঘাত পাওয়া বা অন্যকে আঘাত দেয়ার ব্যপারে সাবধান।"
জাপানী নারীরাও পুরুষদেরকে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের ব্যপারে নিরুৎসাহিত করে থাকে। তাদের মতে, আত্মস্বীকৃত হারবিভোর ছেলেরা দুর্বল ও তারা পুরুষ নয়।
২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী, ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সী জাপানী ছেলেদের ৩৬% এর মতে, তারা যৌনসংগমে উৎসাহী নয়। একই বয়সের নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৫৯%।
দার্শনিক মাসাহিরো মোরিওকার মতে, জাপানী হারবিভোর লোক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে প্রতিষ্ঠিত হওয়া শান্তির ফসল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান কোন যুদ্ধেই অংশগ্রহণ করেনি, না সীমান্তের ভেতরে কোন যুদ্ধ, না সীমান্তের বাইরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে জাপানী লোকেরা অনুভব করত যে, সৈনিক হলেই পুরুষত্ব অর্জন করা যায়। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে নেমে আসা দীর্ঘশান্তিতে এই সামাজিক ঝোঁক ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.