নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরফিন নিয়াজ

আমরা সবাই অভিনয় শিল্পী এই রঙ্গমঞ্চের......

আরফিন নিয়াজ

যখন মিথ্যা বলি আমি ভাল আছি, তখন সত্যিই আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না।

আরফিন নিয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এইবার এবিএম মূসা কে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী বল্লেন হানিফ!!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

যে আওয়ামীলীগ করে সেই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শিক্তি। এক সময় এই কথাটা শুনতে ভাল লাগতা না। কিন্তু শুনতে শুনতে এমন হয়েছে যে এইটা কে এখন পাগলের প্রলাপ মনে হয়, যে কথার মাঝে কোন যুক্তি নেয় তা বলে তারা কিভাবে নিজেই বুঝিনা।



মজার বিষয় হল তারা সেখান থেকে এবার একধাপ সরে এসে কোন দ্বিধাবোধ ছাড়াই একটা কথা প্রমান করে দিল...http://www.somewhereinblog.net/blog/Arfin/29514480 তারা সত্যি সব কিছু পারে।





বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৬ দফা প্রণয়নকালের তৃতীয় শ্রেণির নেতা বলায় বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবিএম মূসাকে মানসিক ভারসাম্যহীন ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।



আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবিএম মূসার বক্তব্যকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ, অশোভন উল্লেখ করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, এ ধরনের বক্তব্য নিতান্তই অনাকাঙ্খিত ও দূর্ভাগ্যজনক।

একইভাবে সাবেক সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যকে উন্মাদের প্রলাপ বলেছে দলটি।



শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এক লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।



প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান দিবসে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বর্ষীয়ান কলামিস্ট এবিএম মূসা ৬-দফা প্রণয়নের সময় “বঙ্গবন্ধু তৃতীয় শ্রেণির নেতা ছিলেন” বলে বক্তব্য দিয়েছিলেন।



হানিফ বলেন, ‘একজন মানসিক ভারসাম্যহীন বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষী প্রতিক্রিয়াশীল ব্যক্তির মুখেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ ধরনের বক্তব্য শোভা পায়। এবিএম মূসার মত একজন প্রবীণ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগের দরদি সেজে সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ক্রমাগত ভিত্তিহীন কল্পকাহিনী প্রচার করে চলেছেন।’



টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি চেয়ে না পাওয়ায় এবিএম মূসা তার ক্ষোভ নানাভাবে ব্যক্ত করে চলেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তিনি (এবিএম মূসা) আর প্রকৃত উদ্দেশ্য লুকিয়ে রাখতে পারছেন না। যেকোন ভাবেই হোক ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী স্বার্থে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জেহাদে অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। সরকারের সাফল্যগুলোকে ম্লান করার মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে তিনি কার্যত বিএনপি-জামায়াত জোটের ষড়যন্ত্রকেই সহায়তা করে চলেছেন।’



হানিফ আরো বলেন, ‘এবিএম মূসা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে পাকিস্তানি দালাল হামিদুল হক চৌধুরীর পত্রিকা ‘দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে হংকংয়ে গিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। কার্যত তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।’



একই আলোচনা সভায় প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যকে উন্মাদের প্রলাপ উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘তাকে (নূরে আলম সিদ্দিকী)) স্মরণ করে দিয়ে বলতে চাই, জাতির জনকের জীবদ্দশায় তাঁর ঐতিহাসিক ধানমন্ডিস্থ ৩২নং-এর বাসভবনের ফ্লোরে গড়াগড়ি খেয়ে ছাত্রলীগের সভাপতির পদটি বাগিয়ে নিয়েছিলেন।



কিন্তু দুভার্গ্যজনক হলেও সত্য এই যে, ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর প্রতিবাদ তো দূরের কথা বরং সামরিক স্বৈরশাসকদের পদলেহন করতে দ্বিধা করেননি। সামরিক স্বৈরশাসকদের উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করে তাদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ ভেঙেছিলেন। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ডলার বাজারে নয়-ছয় করে কোটিপতি হয়েছেন।’



এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বক্তব্যের জন্য আইনি কোন ব্যবস্থা নেওয়া স্বিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয় নি। আমরা আশা করি এই প্রতিবাদের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সবাই সর্তক হবেন।



এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক লূৎফুন্নাহার মুন্নি প্রমুখ।





সুত্র বাংলানিউজ ২৪.কম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: :P :P :P :P

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩

টাইটান ১ বলেছেন: আমরা বাঙালি এরকমই। কেউ ভালো কিছু করলে তার পেছনের ইতিহাস টেনে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করি। এসব বলার কোনো মানে হয়। উনি জ্ঞানী মানুষ। উনি তো জানেন কোন কথা কীভাবে বললে সেটা মানুষের সম্মানে আঘাত হানে না। এটা উনি ইচ্ছাকৃতভাবে বলেছেন। কবে কে থার্ড ক্লাস ছিল সেটা তুলে আনার অর্থ কী? আমরা বুঝি না? তবে এসব মহান মানুষগুলোর রাজনৈতিক ব্যবহার করা উচিত নয়। এরা এসবের উর্ধ্ধে। আমরা সবাই এসব মানুষগুলো যারা দেশের জন্য নিবেদিত ছিল প্রচন্ডভাবে তাদেরকে শ্রদ্ধা করতে চায়। দয়া করে এখানে বিভেদনীতি ঢুকাবেন না। আর কত বাঁশ দেবেন আমাদের? এবার বন্ধ করুণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.