নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"হারিয়ে যাওয়া মানুষ দ্বিতীয় বার হারায়না, হারিয়ে যেতে চাইলে তাকে ফিরে আসতে হবে। আমি বার বার ফিরে এসেছি, বার বার হারিয়ে যাওয়ার জন্য \" --- আমি

আরিয়ান রাইটিং

ভাল কিছু লেখার জন্য সময় দিতে হয়, অহেতুক তারাতারি করতে গেলে ভাল কিছু হারাতে হয় - আমি

আরিয়ান রাইটিং › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুনরায় বিশ্বাস অর্জনে আপনি যা করতে পারেন (দৈনন্দিন জীবন)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬



হঠাৎ করেই অপ্রত্যাশিত কোন ঘটনার জন্য আপনি আপনার প্রিয়জনের বিশ্বাস হয়তো হারিয়ে ফেলেছেন। কি করতে পারেন আপনি?

বিশ্বাস ফিরিয়ে আনাটা আসলেই কষ্টকর বিষয়। তবে অসম্ভব কিছুনা। আমার ব্যক্তিগত জীবনে খারাপ কিছু ঘটনা রয়েছে যার শেষ পর্যায় আমি অনেকের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি। সেই মানুষজন ছিলো আমার একান্ত কাছের তাই অনুধাবন করতে পেরেছিলাম বিশ্বাস ফিরিয়ে আনাটা কতটা গুরুত্ববহন করে।
আর মানুষটা যদি হয় ভালবাসার মানুষ তাহলেতো বুঝতেই পারছেন। সেই জন্য আপনি যা করতে পারেন ...

১)যদি আপনার কোনও মিথ্যে কথা অথবা ভুল বোঝাবুঝির জন্য
আপনার প্রেমিকের (আত্নিয়ের) বিশ্বাস ভাঙে,
তাহলে প্রথমে নিজেকে প্রশ্ন করুন কেন সেই
পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল৷ তারপর বদলান
নিজের মানসিকতা, পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্ত করুণ স্বভাব।
একদিনে হবে না কিন্তু ক্রমশ
প্রেমিককে বোঝাতে হবে, আপনি আর আগের
মতো নেই৷ আপনার মুখের ভাব আর মনের কথায়
যেন কোনও অমিল
ফুটে না ওঠে৷পরিবর্তনগুলো প্রতিদিন
চালিয়ে যেতে হবে৷

২) দোষ যদি আপনার হয় তাহলে আপনারি এগিয়ে যেতে হবে,
মানসিকতার জন্য অনেকেই আপনার উপর
থেকে বিশ্বাস হারিয়েছে তাহলে আপনাকে থাকতে হবে শান্ত ও সংযত৷
যদিও এটা খুব একটা সহজ নয়৷উল্টোদিক
থেকে এটাও ভাবুন আপনার কৃতকর্মের জন্য
রাতারাতি কারওর পক্ষেই
আপনাকে ক্ষমা করে বিশ্বাস
ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়৷ তাই শান্ত না থেকে অযথা উত্তেজিত হওয়া, স্ক্যান্ডাল
ছড়ানোর মতো খারাপ চিন্তাগুলো বন্ধ করুন৷

৩) আপনার উপর থেকে সঙ্গী বা সঙ্গীনীর
বিশ্বাস হারিয়ে গেলে ,
তা ফিরিয়ে আনতে কয়েক সপ্তাহ
বা মাসখানেক সময় দিন৷ আপনি দুদিন ভালো ব্যবহার
করে যদি বার বার তাকে জিজ্ঞেস
করতে থাকেন, আপনি কতটা পাল্টেছেন,
তাহলে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যাবে৷ তাই এসব করাথেকে বিরত থাকুন।

৪) ছেলে হোক বা মেয়ে দোষ যে পক্ষেরই
হোক, আই অ্যাম স্যরি বলার মধ্যে কিছু দোষ
নেই৷ কারণ আপনার সঙ্গীটিও দেখতে চান,
আপনি কতটা আন্তরিক। তাই দোষ নিজের না থাকলেও
স্যরি বলে সমস্যা সমাধান করাটা অনেক কার্যকর।

৫) আপনাদের দুজনের মধ্যে ইমোশনাল
টাচআপের কাজ করতে পারে আপনার সম্পর্কের স্বচ্ছতা ৷ বিশেষ
করে ঝগড়ার সময় কোনও ফালতু কথা মুখ
দিয়ে বের করেও
কথা ঘুরিয়ে বা মিথ্যে কথা বলে তা চাপা
দেওয়ার চেষ্টা করবেন না৷
খোলামেলা আলোচনা করুন৷ আপনার উপর
সঙ্গীর বিশ্বাস থাকবে৷

৬) নিজেদের কিছু
সমস্যাকে যেগুলো একান্তই ব্যক্তিগত
বা আপনাদের দুজনের সেগুলোকে সোশ্যাল
মিডিয়ায় আলোচনা করবেন না৷ সঙ্গীর বিশ্বাস
আর মনোবল দুই-ই এতে নষ্ট হয়ে যাবে৷ আর
মনে রাখবেন
সম্পর্কে স্বচ্ছতা রাখতে হবে বলেই, সব সময়
অপরজনকে সমস্যার কথা বলে গেলে সে বিরক্ত
হবেই৷ তাই বিরত থাকুন এই সকল বিষয় থেকে।

৭) সব শেষে যেটা বলতে চাই, কোনও ভুল বোঝাবুঝি, মিথ্যে আশ্বাস
বা অন্য কোনও কারণে সত্যি যদি আপনাদের
সম্পর্কটা আর জোড়া না লাগে , তাবে সেটাই
মেনে নিন৷ অযথা অন্যজনের
নামে কুৎসা রটাবেন না, এটা আপনার ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে দিবে।
বরং এবারের
ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিন,
কীভাবে ভবিষ্যতে সততা আর শ্রদ্ধার
ভিত্তিতে তৈরি হতে পারে আপনার সম্পর্কটা।

ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: বরং এবারের
ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিন,
কীভাবে ভবিষ্যতে সততা আর শ্রদ্ধার
ভিত্তিতে তৈরি হতে পারে আপনার সম্পর্কটা।


চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩১

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: আপনাকেও জানাই ঈঁদের শুভেচ্ছা।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

প্রথমকথা বলেছেন:

খুব সুন্দর পরামর্শ। ভাল লাগল।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার ভাললাগায় আমার পরম সার্থকতা মিশে রয়েছে।

শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.