নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন বৈচিত্রময়। জীবনের বিচিত্র সব গল্প বলতে পারাটা একটা গুন আর সবার সেই গুনটা থাকে না। গল্প বলার অদ্ভুত গুনটা অর্জনের জন্য সাধনার দরকার। যদিও সবার জীবন সাধনার অনুমতি দেয় না, তবুও সুযোগ পেলেই কেউ কেউ সাধনায় বসে যায়। আমিও সেই সব সাধকদের একজন হতে চাই।

আরিফ রুবেল

সময় গেলে সাধন হবে না

আরিফ রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজি হতে শত বর্ষ পরে

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হ্যা লো মাইটি ব্লগারস,

কি অবস্থা সবার। আমি বেশ অবাক হই যখন দেখি সামুর প্রথম পাতায় ফ্লাডিং হয় না। যখন দেখি মাত্র ৪৬ জন ব্লগার আর ৯৪৩ জন ভিজিটর এই ছুটির দিনের সন্ধ্যায় সামুতে আছে। কি ছিলাম আমরা আর কই গেলাম। ভাবতে অবাক লাগে। একটা সময় ছিল দিনের সিংহভাগ পরে থাকতাম সামুতে। কোন গুজব আসলে সেটার ভ্যালিডিটি পেতাম সামুতে এসে। কোন খবর পত্রিকাওয়ালাদের আগে সামুতে পাওয়া যেত। নানা মূনীর নানা মত প্রকাশের প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছিল সামু। সামুকে কেন্দ্র করে কত আন্দোলন ! আহ! কি ছিল সেই সব দিন।

এখনকার ব্লগারদের অনেককেই চিনি না। স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই আমাকে চিনবেন না। অনেকটা কফি হাউজের মত। কফি হাউজের আড্ডা যেমন হারিয়ে যায় আড্ডার মানুষগুলোর সাথে সাথে। যাই হোক আড্ডা হারিয়ে গেলেও কফি হাউজের মত সামু রয়ে গেছে। নতুন আড্ডাবাজেরা আছে। সাথে কিছু পুরোনো আড্ডাবাজকেও দেখা যাচ্ছে। দেখা যাক আপনাদের আড্ডা জমে কিনা।

পুরোনো ব্লগগুলোর মধ্যে আমি ক্যাডেট কলেজ ব্লগ ফলো করতাম। যদিও আমি ক্যাডেট নই। তারপরও ওদের কমিউনিটি সেন্স তথা ভ্রাতৃত্ববোধটা টানত বরাবরই। তো ঘুরতে ঘুরতে সেদিন আবার কি মনে করে চলে গেলাম সেই পুরোনো ক্যাফেতে। গিয়ে বেশ ইন্টারেস্টিং একটা পোস্ট পেলাম পঞ্চাশ বছর পর… শিরোনামে।
লেখাটির বিষয়বস্তুটা বেশ ভালো লাগল। পঞ্চাশ বছর পরে আমাদের এই পৃথিবীটা কেমন হবে। লেখক তার বক্তব্য তার লেখায় পেশ করেছেন। আগ্রহীরা গিয়ে পড়ে আসবেন।

সেই লেখা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকের লেখাটা লিখতে বসলাম। যদিও বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমি জানি আপনাদের সময়ের অনেক দাম তাই চেষ্টা করলাম যথা সম্ভব সংক্ষেপে সারতে। আমি মূলত চেষ্টা করব পয়েন্ট বাই পয়েন্ট আমার ধারণাটা তুলে ধরতে। আগে ফিকশন লিখলেও কখনও সায়েন্স ফিকশন লিখিনি বিধায় বেশি অবাস্তব মনে হল ধরিয়ে দেবেন। চলুন তাহলে ঘুরে আসা যাক ২১১৭ খ্রিষ্টাব্দে।

বিবাহ/প্রেমঃ বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটির কোন গুরুত্ব থাকবে না। পলিগ্যামি না থাকলেও একজন সংগী নিয়ে জীবন কাটিয়ে দেবার কনসেপ্ট থেকে পৃথিবী বেরিয়ে আসবে। সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে জরায়ুর প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পাবে। আবার সন্তানের রক্ষনাবেক্ষন তথা বড় করার দায়িত্ব থাকবে রাষ্ট্রের। কাজেই, বাবা-মায়ের এক সাথে থাকার যে প্রয়োজনীয়তা সেটা থাকবে না।

পরিবারঃ আমার ধারণা আমরা যেমন একান্নবর্তী পরিবার থেকে ভাংতে ভাংতে আজকে সিংগেল মাদার সিংগেল ফাদার পরিবারে চলে এসেছি। আজকে থেকে একশ বছর পরে ব্যাপারটা এমন থাকবে না। পরিবারের জায়গা দখল করে নেবে কমিউন। এই কমিউন হচ্ছে একান্নবর্তী পরিবারের বৃহত রূপ। তবে সেখানে রক্ত সম্পর্ককে ছাপিয়ে প্রাধান্য পাবে উতপাদন সম্পর্ক। এই কমিউনগুলো নিয়ন্ত্রিত হবে একজন লর্ড দ্বারা। কমিউনগুলো হবে স্বাধীন এবং স্বয়ংসম্পূর্ন। লর্ডরা জবাবদিহি করবে রাষ্ট্রের কাছে।

রাষ্ট্রঃ আজকে থেকে একশ বছর পরে কোন পৃথক রাষ্ট্র থাকবে না। পৃথিবী একক রাষ্ট্র হবে। সেটা হতে হয়ত এক বা একাধিক যুদ্ধ হবে তবে মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে সীমান্ত প্রাচীর গুড়িয়ে দেবে। বর্ডার বলতে কিছু থাকবে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগও এখানে ভূমিকা রাখবে। তবে মানুষ তার নিজের প্রয়োজনেই এক হবে।

ভাষাঃ তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে এখনই প্রায় গোটা বিশ্ব এক ভাষা গ্রহণ করে ফেলেছে। একশ বছর পরে এটা আরো ব্যাপক আকার ধারণ করবে। বিশ্বের অনেক ভাষাই কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে যদি পদক্ষেপ না নেয়। আর বৃহত ভাষাসমূহ হয়ত টিকে থাকবে কিন্তু সেগুলো পড়তে পারা মানুষের সংখ্যা হবে নিতান্তই হাতে গোণা।

ধর্মঃ কিছু টিকে থাকুক বা না থাকুক মানুষে মানুষের ধর্মীয় বিভেদ টিকে থাকবে। একশ বছর পরেও যদি যুদ্ধ হয় তবে সেটা কমিউনে কমিউনে ধর্ম নিয়ে হবে। ধর্মযুদ্ধই পৃথিবীর কেয়ামত ডেকে আনবে।

বিনোদনঃ বিনোদনের এখন যে মাধ্যম দেখা যায় তার কিছুই হয়ত তখন অবশিষ্ট থাকবে না। টাইম ট্রাভেল একটা জনপ্রিয় বিনোদনের মাধ্যম হবে। প্লানেট ট্যুরিজম খাত গড়ে উঠবে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে এতটাই উতকর্ষ সাধন হবে যে দর্শক বাস্তব আর অবাস্তবের সাথে তফাত করতে পারবে না।

শিল্প-সাহিত্যঃ গত শতাব্দির তুলনায় এই শতকে শিল্প সাহিত্যে বন্ধ্যাকাল পার করবে। তবে এই শতকের শেষ দিকে আবার শিল্প সাহিত্য জগতে উত্থান পরিলক্ষীত হবে। নতুন একটি ধারা আগের সকল ধারাকে ছাপিয়ে যাবে। যার প্রভাব পড়বে সমকালীন তরুন প্রজন্মের উপর। যারা জন্ম দেবে আরেকটি নব জাগরণের।


লেখাটি একটু বিশৃঙ্খল অবস্থাতেই প্রকাশ করলাম। এডিট আসতে পারে। আপনাদের পালটা যুক্তি বা ব্লগ আসতে পারে। আড্ডা দেবার অপেক্ষায় বসলাম।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: আজকাল আর আড্ডাও ভাল লাগে না ভাই।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

আরিফ রুবেল বলেছেন: আড্ডা ভালো লাগাতে হলে দরকার আড্ডাবাজ আর আড্ডার টপিক। টপিক তো দিলাম আসেন আড্ডা দেই B-))

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে আমি যেন ২১১৭ তে চলে গিয়েছিলাম।ভাল লাগলো।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১

আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

মহসিন ৩১ বলেছেন: আর সবকিছুরই আলাদা আলাদা ক্ষেত্রের দরকার পড়ে; সুতরাং এই আলাদা আলাদা ক্ষেত্র গুলা তৈরির জন্য সবখানেই নূতন নূতন আন্দোলন তৈরি হবে হতেই থাকবে । আরো থাকবে একটা জগাখিচুড়ি মার্কা সম্প্রদায়; যাদের থাকবে নূতন দায়বদ্ধতা --- আর তাই তখন মিলে যাবে ''ভারচুয়াল রিয়ালিটি'' এবং বাকি সমস্ত ''সম্ভব-অসম্ভব'' রিয়ালিটিগুলো।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২

আরিফ রুবেল বলেছেন: একটু সহজ কইরা বলেন ওস্তাদ ! কেমন জানি জগাখিচুরি লাগতেছে প্যাটের ভিত্রে :|

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনার দেয়া লিংকটা থেকে ঘুরে এলাম, আমিও মাঝে মাঝে এই ধরনের চিন্তা করি, পাগল ভাববে তাই প৾কাশ করিনি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

আরিফ রুবেল বলেছেন: এক সময় ব্লগে ব্লগে মিথস্ক্রিয়া ছিল চোখে পড়ার মত। ব্লগযুদ্ধ চলত এক সময়। আইডিয়া ধার চুরিও চলত সমানে। এখনও চলে কিনা জানি না। আপনিও লিখে ফেলেননা কনসেপ্টটার উপর একটা ব্লগ

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮

মহসিন ৩১ বলেছেন: '' এই কমিউন হচ্ছে একান্নবর্তী পরিবারের বৃহত রূপ। তবে সেখানে রক্ত সম্পর্ককে ছাপিয়ে প্রাধান্য পাবে উতপাদন সম্পর্ক। এই কমিউনগুলো নিয়ন্ত্রিত হবে একজন লর্ড দ্বারা। কমিউনগুলো হবে স্বাধীন এবং স্বয়ংসম্পূর্ন। লর্ডরা জবাবদিহি করবে রাষ্ট্রের কাছে।'' এই লর্ডরা ইলেকশানে নয় সিলেকশানে তৈয়ার হবে ; তাই তার জন্য আলাদা ভাবজগত থাকবে সেই টা ই হয়ে উঠবে উত্তরাধুনিকতা।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

আরিফ রুবেল বলেছেন: এই লর্ডরা সিলেকশনে না হইয়া ইলেকশনে হইলে কি হইবে ? ধরেন গিয়া মানুষ তার নেতা নির্বাচনে একটা ইউনিক পদ্ধতি আবিষ্কার হল। যেটা একদম ৯৯ .৯৯% সঠিকভাবে নেতা নির্বাচন করবে। সেই ক্ষেত্রে কি হইবে ?

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরিফ রুবেল ,



হুমমমমমমমমম..... এই ছুটির সন্ধ্যায় মাত্র ৪৬ জন ব্লগার আর ৯৪৩ জন ভিজিটর সামুতে আছে। বাকীরা সবাই ফেবুতে । কেন ফেবুতে তা বোধহয় আপনাকে আর বুঝিয়ে বলতে হবেনা । ওখানে সেকেন্ডে সেকেন্ডে নিজের সচিত্র প্রতিবেদন এক বাক্যে বা এক লাইনেই দেয়া যায় আর তারপরেই লাইকের সুনামী বয়ে যায় । সামুতে তেমনটা সম্ভব নয় । এখানে কয়েকটা লাইন হলেও লিখতে হয় । চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন হয় ।

এবারে আপনার ---"আজি হতে শত বর্ষ পরে" প্রসঙ্গ ।
ভালোই লিখেছেন । সবটাই হতে পারে আবার অন্যরকমও হতে পারে । হতে পারে সম্পূর্ণ বিপরীত কিছুও । তবে উৎপাদনের জন্যে শক্তি / জ্বালানী কুক্ষিগত করার যুদ্ধে কে টিকবে তা ভেবে দেখার মতো । সৌরশক্তির পরেও আরো শক্তি সোর্সের জন্যে মানুষ কি করে বসবে ঠিক নেই । হয়তো সূর্য্যটাকে নিয়েও টানাটানি পড়ে যেতে পারে ! :D আর উৎপাদনের খাতিরে বেঁচে থাকার জন্যে সুপেয় পানি নিয়ে লড়াই জমে উঠবে ।
কি যে হবে কে জানে ! তবে আশার কথা, এ নিয়ে ভাবার কিছু নেই কারণ ঐ দিন দেখার জন্যে আমি আপনি কেউই থাকবোনা । তাই আড্ডা বাদ ........................ ;)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

আরিফ রুবেল বলেছেন: বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইজান ! একদম টু দা পয়েন্টে হিট করেছেন। সবই আসলে বাজার অর্থনীতি। এক সময় ব্লগ ছিল জনপ্রিয় হবার মাধ্যম। এখন ফেসবুক হচ্ছে সেলেব্রিটি হওয়ার শো অফ করার জায়গা। মুই কি হনুরে ! কিন্তু ভাই সবই তো সাময়িক। দুই দিনের দুনিয়া আইজ আছি কাইল নাই। তবে ভাই লেখালেখি করতে আসলেই অনেক ধকল। ব্লগার হওয়া তো আর চাট্টিখানি কথা না।

জ্বালানি এবং সুপেয় পানি দুইটাই হবে এই শতকের সবচেয়ে শক্তিশালী মারণাস্ত্র। এইটা খেলাও জমবে চরমভাবে। এই ব্যপারে আপনার সাথে আমি একমত। আর ভাই বাচি না বাচি ভাবতে তো দোষ নাই। ভাবনা চালু থাকুক B-) B-) B-)

হ্যাপ্পি ব্লগিং !

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

শায়মা বলেছেন: আরিফ রুবেল ভাইয়া!!!!!!!

সব কিছুই বদলায়!!!!!!!!!
পৃথিবীটাই বদলায়!!!!
আর এ তো আমাদের সামু!!!!!!

৪৬ জন ব্লগারকে দেখা গেলেও সবাই ই কিন্তু সেই ২৪ ঘন্টার মত পড়ে না থাকলেও মাঝে সাঝেই ঢু মারে!

যদি দিন বদলের খেলাতে মানুষও বদলে যায়.....

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

আরিফ রুবেল বলেছেন: আয় হায় কে এইটা !!!!

আমি ভাবতেছি আবার নিয়মিত হব। সমস্যা হইল আইলসামি লাগে।

তবে এবার ঠিক করছি আবার বদলে যাবো। গল্প লিখতে মন চায় B-)

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১০

শায়মা বলেছেন: কে আবার !!!!!


নানান নিকের ভীড়ে এই আমি শায়মা !!!!!!!! :P


বদলাও বদলাও!


আবার বদলাও

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: নাহ এবার বদলাইতেই হবে। সকলের দোয়া প্রার্থী

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

মহসিন ৩১ বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে ইলেকশান পদ্ধতি স্তর অতিক্রম করে কমিউন বাবস্থায় সিলেকশান হয় যাবে ; আর এতে করে এখনকার পরাবাস্তব অনুভূতিগুলি তখনকার বাস্তবতায় প্রতিভাত হবে বলে আন্দাজে ঢিল ছোরা যাচ্ছে না।--- আমি বলতে চাইছি যে ইলেকশান পদ্ধতি অনেক ক্ষেত্রেই তার স্বাধীন গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছে না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

আরিফ রুবেল বলেছেন: ইলেকশন পদ্ধতি বদলাবে হবে। আর সিলেকশন যে হবে সেই সিলেকশনটা কে করবে? কিভাবে করবে?

১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১১

সনেট কবি বলেছেন:





আরিফ রুবেলের‘আজি হতে শত বর্ষ পরে’ পোষ্টে মন্তব্য-

আজি হতে শত বর্ষ পরে থাকবেনা
অভাগা দেখার জন্য তখন কি হয়,
হতচ্ছাড়া পৃথিবীর মানব সমাজে
ভাল কিবা মন্দ কোন কি জানি কে জানে?
আপনার অনুমান সঠিক হবার
অথবা না হবার কি সম্ভাবনা আছে,
সে কথা ভাবছি মনে নিরিবিলি বসে,
যদিও তা চোখে দেখা হয়ত হবেনা।

সামুর বয়স বেড়ে হয়েছে দূর্বল
এখন লাঠির ভরে চলছে সেজন্য
না মরে থাকুক বেঁচে করছি প্রার্থনা।
মালিক মডুর দেখা সহজে মিলেনা
সামুর চলন চলে নিজের গতিতে
আমরা যা পাই তাতে সন্তুষ্ট থাকছি।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

আরিফ রুবেল বলেছেন: প্রথমত, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
দ্বিতীয়ত, কবিতার জন্য ধন্যবাদ।


সামুর বয়স বেড়েছে। বয়স বেড়েছে বাংলা ব্লগস্ফিয়ারেরও। অনেক ব্লগার অনিয়মিত হয়েছেন।
এটার পেছনে অনেক কারণের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ব্লগ কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ।
এখনকার অবস্থা কি জানি না তবে ৫৭ ধারার চাপে ব্লগ যে নাজুক অবস্থায় পৌছেছে সেটা কবে নাগাদ কাটিয়ে ওঠা যাবে সেটা সময় নলে দেবে।

১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ছোটখাটো একটা সায়েন্স ফিকশন লিখে ফেলুন উপরের কন্সেপ্টগুলো নিয়ে। আমারো মনে হয় বিয়ে উঠে যাবে একদিন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৩

আরিফ রুবেল বলেছেন: সায়েন্স ফিকশন হয়ত হতে পারে। নাও হতে পারে। বিয়ে উঠে যাবার পেছনে আপনার যুক্তিগুলো কি ?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

বালু চর বলেছেন: ভালোলাগলো

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৩

আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

Subroto বলেছেন: খুব ভাল লাগলো ভাই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪

আরিফ রুবেল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই B-)

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আমার ধারণাগুলো তেমন স্ট্রং না। তাও বলছি। ধর্ম মানার ইচ্ছা মানুষের মাঝে কমে যাচ্ছে। তাই যার তার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যায় কোন ভয় ছাড়াই। পরকীয়ায় জড়িত। অনেক ছেলেই একজন পার্টনারে সন্তুষ্ট না। বিয়ে মানে একজনের সাথেই বসবাস। তাই হয়ত আস্তে আস্তে বিয়ের প্রতি আগ্রহ কমে যাবে। অনেকেই সন্তান আর পরিবারের দায়িত্ব নিতে চাইবে না স্বাধীন লাইফ হারানোর ভয়ে। এর চেয়ে লিভ টুগেদার কনসেপ্ট/ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড তাদের কাছে সহজ মনে হবে। মেয়েরা অনেক বেশি সচেতন এখন। ফলে তারা এখন ডিভোর্স দিতে ভয় পায় না। শিক্ষিত হওয়ার কারণে তারা ইনকাম করতে পারে। তাই বিয়ে ভাংগলেও সন্তান নিয়ে চলতে পারছে। তাছাড়া পশ্চিমা কালচার একসময় এদেশে আসবেই। তখন তো উপরের জিনিস গুলা ট্যাবু থাকবে না। জেনারেল হয়ে যাবে। আর ভোগবাদী ছেলেরা বিয়ে তো করতেই চাইবে না। তারা নতুন নতুন মেয়ে ভোগের খোজে থাকবে। এই আমার ধারণা। ভুল ও হতে পারে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০২

আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনি বিয়ে তুলে দিচ্ছেন ভোগবাদকে কেন্দ্র করে। কিন্তু আমার ধারণাটা একটু ভিন্ন ছিল। যেহেতু নাগরিকের দায়িত্ব থাকবে কমিউনের উপর অর্থাৎ কমিউন আমার খাবারের দায়িত্ব, আশ্রয় ও নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। যেহেতু সে আমাকে লালন পালন করবে তখন আর সন্তান জন্মদান তার ভরণপোষন বা বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের কাছে সামাজিক নিরাপত্তা খোজার ব্যাপারটা থাকবে না। উতপাদন যন্ত্র তথা সম্পত্তির উপর কমিউনের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হলে উত্তরাধিকার ধারণারও বিলুপ্তি ঘটবে। মানুষ তখন যৌন সংগী খোজার চাইতে জীবন সংগী খুজতে বেশি আগ্রহী হবে। যেহেতু সীমানা থাকবে না মানুষ হারিয়ে যাবে এক কমিউন থেকে আরেক কমিউনে। মানুষ হবে স্বাধীন, মুক্ত।

১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা বলছেন?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০০

আরিফ রুবেল বলেছেন: সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার চাইতে উন্নত কোন ব্যবস্থা। মূলত সমাজতন্ত্র বলতে পৃথিবী যা দেখেছে তার বিবিধ খুত ইতিমধ্যে বের হয়েছে। কাজেই সে ব্যবস্থা এখানে খাটবে না। পুজিবাদের শিখরে উঠে দুনিয়া কয়েকটি বিশ্বযুদ্ধ দেখবে এই শতকে। এই যুদ্ধগুলোর মধ্যে দিয়ে পুজিবাদের অস্তিত্ব বিলীন হবে নয়া বিশ্বব্যবস্থার ভেতরে। সেই ব্যবস্থা সমাজ কল্যাণমূলক ব্যবস্থা হবে এমনটা আশা করি।

১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১

আখেনাটেন বলেছেন: বলছেন বিয়ে উঠে যাবে আবার ধর্মও থাকবে। সাংঘর্ষিক হয়ে গেলো না। বিয়েটা তো ধর্ম্বেরই ফসল। উঠল্বে দুটোই উঠ্বে যাবে না হলে দুটোই থাকবে।

তবে আমার মনে হয় দুটোরই অার কোনো প্রয়োজন থাকবে না। সবকিছু সিঙ্গুলারিটির দিকে এগুচ্ছে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার আখেনটন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। ধর্ম বলতে আমরা যা দেখি সেরকম কিছু নাও থাকতে পারে। ধর্ম যদি জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি মনে করি তাহলে সেই দৃষ্টিভঙ্গির জায়গায় বিভেদ থাকবে। এমনও হতে পারে এই বিভেদের জায়গায় এক দল বিয়েকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবছে আবার আরেকদল বিয়েকে তাদের কমিউন থেকে উচ্ছেদ করেছে। এই কমিউনে কমিউনে দ্বন্দ্বই তখন মূল দ্বন্দ্ব হিসেবে সামনে আসবে।

১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এটা ঠিক। কোন কিছু চরম শিখরে উঠলে তার পতন ঘটে। আর নতুন সমাজ ব্যবস্থা আসলে বিয়ের ধারণাও পরিবর্তন হয়ে যাবে। ধর্ম নিয়ে প্রেডিক্ট করা যাচ্ছে না। মানুষ তার ধর্মীয় বিশ্বাসকে জীবনের থেকেও বেশি মূল্য দেয়।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আরিফ রুবেল বলেছেন: ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করাও কঠিন। এই ধর্ম বিষয়টা কালের বিবর্তনে মানব সভ্যতার সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। তাই আমাজনের গহীন জংগল থেকে শুরু করে ইট কাঠ পাথরের জংগল সব জায়গাতেই তার বিস্তৃত প্রভাব। ধর্মের জন্য মানুষ যেমন জীবন দিতে পারে তেমনি ধর্মের নামে জীবন নিতেও পারে।

১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এমনো তো হতে পারে যে নতুন সমাজ ধর্মকে কেন্দ্র করে তৈরি হোল।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

আরিফ রুবেল বলেছেন: হতে পারে। আসলে ধর্ম বিশ্বাস থেকে আসা বিভেদ মানব সমাজের একটা দৃশ্যমান দ্বন্দ্ব হিসেবে আছে হাজার বছর ধরে। এর প্রভাব রাতারাতি ভ্যানিস হয়ে যাবে এটা আশা করা একটু কঠিন। বরং আপনি যেটা বলছেন ধর্মকে কেন্দ্র করেও নতুন সমাজের বিকাশ ঘটতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.