নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন বৈচিত্রময়। জীবনের বিচিত্র সব গল্প বলতে পারাটা একটা গুন আর সবার সেই গুনটা থাকে না। গল্প বলার অদ্ভুত গুনটা অর্জনের জন্য সাধনার দরকার। যদিও সবার জীবন সাধনার অনুমতি দেয় না, তবুও সুযোগ পেলেই কেউ কেউ সাধনায় বসে যায়। আমিও সেই সব সাধকদের একজন হতে চাই।

আরিফ রুবেল

সময় গেলে সাধন হবে না

আরিফ রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'আল্ট্রা\' \'সুপার\' \'ক্রিটিকাল\' প্রযুক্তির মিথ্যাচার

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

ভারতের উত্তর প্রদেশের রায় বেড়েলিতে অবস্থিত ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন (NTPC) এর ছয় নম্বর ইউনিটের একটি বয়লার বিস্ফোরনে এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে যাদের অনেকেই এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এটা সেই কোম্পানি যাদের সাথে বাংলাদেশ সরকার সুন্দরবনের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির জন্য চুক্তি করে।



বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন থেকে এটা পরিষ্কার মূলত যান্ত্রিক ত্রুটি থেকেই এই বিস্ফোরনের সূত্রপাত। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এনডিটিভির ওয়েব সাইটে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শীর যে বিবরণ পাওয়া যায় তাতে এই বক্তব্যের সত্যতা মেলে।মূলত বয়লারের ফ্লাই অ্যাশ নির্গমনের চিমনি আটকে যাওয়াতেই বিকট শব্দে এই বিস্ফোরণ ঘটে ছাই, গ্যাস ও ধোয়া ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এত বৃদ্ধি পায়।

দুই

এই বিস্ফোরনের ঘটনায় বাংলাদেশে অবস্থিত সচেতন মহলের দুশ্চিন্তার যথেষ্ঠ কারণ রয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধীতাকারীরা শুরু থেকেই সুন্দর বিধ্বংসী বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে আসার জন্য সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে চলেছেন। ইউনেস্কো থেকে এই প্রকল্প থেকে সুন্দরবন ক্ষতির সম্ভাবনা উল্লেখ করে প্রতিবেদনও দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশে এবং দেশের বাইরে প্রতিবাদ প্রতিরোধ জারি আছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জোর প্রচারণা আছে যারা এর বিরোধীতা করছে তারা মূলক ভারত বিরোধীতা থেকেই এর বিরোধীতা করছে। এমনকি এও বলা হয়েছে যারা রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প চায় না তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। তারা চায় না বাংলাদেশ শক্তি খাতে স্বয়ং সম্পূর্ন হোক। এমনকি বলা হয়ে থাকে চুক্তি বিরোধীতা করতে গিয়ে মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। রামপালে ব্যবহৃৎ প্রযুক্তি হচ্ছে 'আল্ট্রা' 'সুপার' 'ক্রিটিকাল' প্রযুক্তি।

সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় এই প্রকল্পের পক্ষ নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন করা হয় যার মূল বক্তব্য হচ্ছে রামপাল প্রকল্প থেকে সুন্দরবনের তো ক্ষতি হবেই না বরং পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর নয় এই প্রকল্প। কারণ হিসেবে তারা বার বার সামনে নিয়ে এসেছে 'আল্ট্রা সুপার ক্রিটিকাল'। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন ডেকে জনগনের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেন।



প্রকল্পের পক্ষালম্বনকারীরা মিডিয়াসহ বিভিন্ন ফোরামে কিছু বক্তব্য দেন যেমন

১) রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সুন্দরবন থেকে চৌদ্দ কিলোমিটার দূর অবস্থিত বিধায় এখান থেকে দূষন সুন্দরবনকে ক্ষতি করবে না।

২) এই প্রকল্পে ব্যবহৃত হবে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিকাল টেকনলজি যা দূষনের মাত্রাকে সহনীয় মাত্রায় রাখবে।

৩) এই প্রকল্প থেকে সুন্দরবন তথা পশুর নদীর জলজ বাস্তুসংস্থানের ক্ষতি হবে না।

৪) কয়লা পরিবহনের সময় ঢেকে পরিবহণ করায় নদী এবং নদী সংলগ্ন বাস্তু সংস্থানের কোন ক্ষতি হবে না।

৫) বড়পুকুরিয়া কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে তো কোন ক্ষতি হচ্ছে না।

৬) এই কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ লাভবান হবে, দেশের শত্রুরাই এর বিরোধীতা করছে।

আসুন এই প্রকল্প নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দেখা যাক



এই প্রতিবেদনটি থেকে উপরের অনেক বক্তব্যের খন্ডন চলে আসার কথা। প্রায় প্রতিটি বক্তব্যের খন্ডন এখানে চলে এসেছে। বেশ কয়েকটা কেস স্টাডিও দেখানে হয়েছে। যেটা আসেনি সেটা হচ্ছে যারা এর বিরোধীতা করছে তারা দেশ বিরোধী। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। আসলেই কি আমরা দেশ বিরোধী কিংবা আমাদের বিরোধীতা কি শুধুই ভারত বিরোধীতা।

আমার জানামতে মূলত বাম ঘরানার জাতীয় কমিটি যারা এর বিরোধীতা শুরু করেছে তারা পরিবেশ নিয়ে যেমন চিন্তিত তেমনি চিন্তিত জাতীয় স্বার্থ নিয়েও। এখানে পরিবেশের ইস্যু যেমন এসেছে তেমনি এসেছে অর্থনৈতিক ইস্যুও। আদৌ কি আমরা লাভবান হব এই বিদ্যুৎ প্রকল্প দিয়ে ? যেখানে ভারতের মধ্য প্রদেশের ছাতারপুরের একটি প্রকল্প সে দেশের পরিবেশ মন্ত্রনালয় বন্ধ করে দিয়েছে সেখানে কিভাবে আমরা সেই কথিত প্রযুক্তির উপর বিশ্বাস করছি ?

আমরা সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গ্রোথের কথা বলি। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ যে কিনা নিজেই নিজের রক্ষার কাজ করতে অভ্যস্ত সেই পাওয়ার হাউজকে ধ্বংস করে দিচ্ছি ! যেখানে সারা পৃথিবীতে কয়লা বিদ্যুতের উল্টো পথে হাটা শুরু করেছে সেখানে আমরা বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হয়ে কিভাবে দেশের অক্সিজেন কারখানা ধ্বংস করে দিচ্ছি ? সিডরের মত প্রলংকরি ঘুর্নিঝড় যেখানে সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে পারেনি সেখানে প্রতিনিয়ত স্লো পয়জনিং এর মাধ্যমে এই বনকে ধ্বংস করার প্রকল্প হাতে কেন নিল এবং কেনই বা জিদ ধরে থাকল তা হয়ত পরবর্তী প্রজন্ম খুঁজে বের করবে।

সবশেষে একটি বিতর্কের ভিডিও শেয়ার করছি। চুক্তি সাক্ষরের পরে এই টক শো অনুষ্ঠানটি আপনাদের ভাবনার খোড়াক যোগাতে হয়ত সাহায্য করবে।








মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: রাম মানে বিশাল। রামপাল মানে বিশাল পাল। তাই রামপাল আর সেই ছোট্ট অজপাড়া গাঁ নেই। এটি এখন মহিরূহ।

নেতারা সেখানে রাম রাম বিনিয়োগ করেছেন অাশেপাশের জমিতে, পানিতে, জঙ্গলে। সরকারের সাধ্য কি এই রাম-বিনিয়োগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।

সাথে আছে দাদাদের রাম ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির কচকচানি। দাদারা বাংলাদেশের উপকার করেই ছাড়বে। নদী-মাটি-মানুষ গোল্লায় যাক। নেতা-দাদা-...জাদারা মিলে রাম-রাম উপকার করে তবেই ক্ষান্ত হবে। এক গোঁ!!!!!!!!!!!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনার ব্যক্তিগত মত প্রকাশের স্বাধীনতা আপনার আছে। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে আপনার মন্তব্যটা সাম্প্রদায়ীকতা দোষে দুষ্ট। আপনি শোষিত এটার কারণ আপনি মুসলমান এই বক্তব্যটা সত্য না। আপনি শোষিত কারণ আপনি দুর্বল। ধর্ম কেবল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের ভেতরে একদল আছে যারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাকিস্তান বানিয়ে রেখেছে। এরা যে শুধু জামায়াত-শিবির আর বিএনপির অনুসারী তা না বরং সরকারী দলেও এরকম মনোভাবের লোক আছে। আমাদের চিন্তার সংকীর্নতাই আমাদের দুর্বল করে রাখে।

প্রকল্প বিরোধীতার সাথে সাম্প্রদায়ীকতার সম্পর্ক এর বিরোধী পক্ষকে দুর্বল আর পক্ষালম্বনকারীদের সবল করবে। ধন্যবাদ।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৬

করুণাধারা বলেছেন: অনেকগুলো ভিডিও দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। ভাল লাগল। আপনি সুন্দর করে গুছিয়ে যে কথা বলেছেন সেতো জানিই। এটাও জানি, এটা হবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না। এটা কতটা ক্ষতিকর সেটা কি নেতারা জানেন না? তবু তারা কেন এটা করছেন সেটাও আমরা জানি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০১

আরিফ রুবেল বলেছেন: তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া বলতে পারেন। তাই অতটা গুছিয়ে লিখতে পারিনি। ইচ্ছা আছে কালকে একটা পোস্ট দিবো নিজের মত করে। কালকের পোস্টের প্রি পোস্ট বলতে পারেন এটাকে। সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আমার কাছে মনে হয় সরকার এটাকে প্রেস্টিজ ইস্যু হিসেবে নিয়েছে। এমনকি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে লোডশেডিং এ রাখার হুমকিও দিয়েছেন। আদতে সংকীর্ন দলীয় স্বার্থ তথা সরকারের ইমেজ রক্ষা করতে গিয়ে যদি দেশের এত বড় সম্পদের ক্ষতি হয় তাহলে না থাকবে সরকার, না থাকবে দল আর না থাকবে দলীয় স্বার্থ।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

মিঃ আতিক বলেছেন: ভারতে মানুষ মরেছে প্রতিবাদ প্রতিকার সব হবে, এ দেশে মানুষ মরলে কার কি এসে যায়......

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৩

আরিফ রুবেল বলেছেন: আমাদের লাশের উপর যাদের রাজনীতি তাদের হয়ত কিছু যায় আসে না। কিন্তু আমরা যারা লাশ হব তাদের আসলে ঠিক করতে হব আমরা কিসের জন্য লাশ হব এটার সিদ্ধান্ত দেবার অধিকার অন্য কারও আছে কি নাই,

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প জনস্বাস্থ্য ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকারক এটা জানা ও বুঝার জন্য কোন বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নাই।

কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কে গুগলে সার্চ দিলে যতগুলি ওয়েবসাইট দেখা যায়, তার সবগুলোতেই এর ক্ষতিকর দিকগুলি আলোচনা করা হয়েছে।

পাশাপাশি এর সামান্য সুবিধার কথা বলা আছে, যা ক্ষতির তুলনায় সামান্য।

এখন যদি মনে করেন, সব ওয়েবসাইট ইন্ডিয়া বিরোধী, আর দেশের শত্রু তা হলে বলার কিছু নাই।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: ঊটপাখির মত বালুতে মুখ গুজে রাখলে যদি ঝড় থেমে যেত তাহলে তো সমস্যার সমাধান হয়েই যেত।

চোখ থাকতেও যারা অন্ধ তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর জন্য আজকের এই বিস্ফোরন উদাহরণ হয়ে থাকবে। এত দিন অভিযোগ ছিল এই প্রকল্প পরিবেশ বিধ্বংসী আর এখন প্রমাণ হল এটা একটা জ্বলন্ত মৃত্যুকূপ।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সরকার তো আবার পাল্টা বিশেষজ্ঞ দিয়ে বলাচ্ছে রামপাল পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না। যতক্ষণ ক্ষতি না হবে কিছু বলা যাচ্ছে না...

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২০

আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনি জানেন ধুমপানে ক্যান্সার, হৃদরোগসহ আরো অনেক দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হবার ঝুকি বাড়ে। তাতে কি আমরা ধুমপায়ীরা ধুমপান বর্জন করেছি ? সরকারের মনোভাব দেখলে আমার এরকম মনে হয়।

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার ব্যক্তিগত মত প্রকাশের স্বাধীনতা আপনার আছে। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে আপনার মন্তব্যটা সাম্প্রদায়ীকতা দোষে দুষ্ট। আপনি শোষিত এটার কারণ আপনি মুসলমান এই বক্তব্যটা সত্য না। আপনি শোষিত কারণ আপনি দুর্বল। ধর্ম কেবল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের ভেতরে একদল আছে যারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাকিস্তান বানিয়ে রেখেছে। এরা যে শুধু জামায়াত-শিবির আর বিএনপির অনুসারী তা না বরং সরকারী দলেও এরকম মনোভাবের লোক আছে। আমাদের চিন্তার সংকীর্নতাই আমাদের দুর্বল করে রাখে। -- এই আপনাদের এক বড় সমস্যা। দশধাপ বেশি বুঝে ফেলেন। এই বেশি বুঝার ব্যাপারটা আমারও ছোটকালে ছিল। পরিবারের লোকজন আমার মাথা থেকে ভূত তাড়ানোর মতো তাড়িয়েছে ছাগলের সামনে এই বিদেশী উপসর্গ 'রাম' বসিয়ে মিষ্টি ও বিশেষায়িত এই গালির মাধ্যমে। অামি অবশ্য সামনে 'ধাড়ী' বসে কাজ চালাই। ;)


এখন বলুন এই মন্তব্যে কোন অংশটি আপনার কাছে সাম্প্রদায়িক মনে হল। এখানে স্পষ্টভাবে ভারতীয় সরকারের নীতি সমালোচনা করা হয়েছে PUN করে। এতটুকু বুঝে আসল না। ঘটাং করে বলে বসলেন আমি সাম্প্রদায়িক। এ ধরণের মন্তব্য করার আগে আপনার আমার আগের লেখা সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত ছিল।

আমি বুঝতে পারছি এখানে 'রাম' নামটার ডাবলমিনিং আপনাকে ইন্সট্যান্ট এই ধরণের ডিসগাস্টিং মন্তব্য করতে প্ররোচিত করেছে। সেজন্য আমি প্রথমেই এর মানে তুলে ধরে বক্তব্য পেশ করেছি। কিন্তু আমি যে ভয় করছিলাম, সেইটাই আপনি প্রমাণ করে দিলেন। পিস।

*রাম= বৃহৎ (বাংলা একাডেমি)।




০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি না বুঝে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করায় দুঃখিত। আপনি ডিসগাস্টেড ফিল করেছেন এই জন্য খারাপ লাগছে। যদিও যে উদ্দেশ্যে বা যাদের উদ্দেশ্যে এই মন্তব্যে আপনি তাদের কাতারে পড়েন না, তাদের কাতারে পড়লে অবশ্য আপনার ফিলিংস নিয়ে আমার অত মাথা ব্যাথা থাকত না।

অ ট : কয় পিস ?

৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কিছু সংখ্যক রামছাগল রামপাল বিদ্যৎ কেন্দ্রের পক্ষে ওয়াজ মাহফিল করছে, গুলিস্তান মোড়ের ফুটপাতের হারবাল ঔষধ বিক্রেতার মতো তারস্বরে "আলট্রা-সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজি" মতো কিছু এবস্ট্রাক্ট জার্গন উচ্চারণ করে দেশের অধিকাংশ মানুষকে বেকুব বানানোর চেষ্টা করছে - তা যে কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষই বুজতে পারে | এর বিরোধিতা করার সাথে সাম্প্রদায়ীকতার সম্পর্ক কিভাবে খুঁজে পেলেন তা আমার কাছে দুর্বোধ্য মনে হচ্ছে |

রামপালের স্বপক্ষে লম্ফো-ঝম্ফের পুরোটাই একদল নিম্ন মেধার তথাকথিত আমলা, বিশেষ-অজ্ঞ এবং রাজনৈতিক ক্যাডারদের উর্বর মস্তিস্ক প্রসূত কর্মকান্ড, যাদের মধ্যে স্বাধীনতার চার দশকের অধিক পার হওয়ার পরও কোনোরকম প্রফেশনাল মনোভাব বা দক্ষতার জন্ম হয় নাই | আর এই সকল বাঁচাল এবং আবাল অপরিপক্ক পেশাজীবীদের সাথে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন নেতৃত্বও গোঁ ধরে বসেছেন পরিবেশধ্বংসকারী এই চরম আত্মঘাতী প্রকল্পটি যেকোনো উপায়েই বাস্তবায়নের জন্য | হায়রে অভাগা বাংলাদেশ !

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: বেশ বলেছেন। এই দলান্ধরাই দেশটাকে দূর্যোগের মুখে নিয়ে যাচ্ছে।

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্টিকি পোস্টের (সামহোয়্যার ইন ব্লগঃ মুদ্রার অন্য পিঠ) ৯৭ নম্বর মন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.