নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন বৈচিত্রময়। জীবনের বিচিত্র সব গল্প বলতে পারাটা একটা গুন আর সবার সেই গুনটা থাকে না। গল্প বলার অদ্ভুত গুনটা অর্জনের জন্য সাধনার দরকার। যদিও সবার জীবন সাধনার অনুমতি দেয় না, তবুও সুযোগ পেলেই কেউ কেউ সাধনায় বসে যায়। আমিও সেই সব সাধকদের একজন হতে চাই।

আরিফ রুবেল

সময় গেলে সাধন হবে না

আরিফ রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারেক রহমান, জিয়া পরিবার ও বিএনপি\'র নেতৃত্ব

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৫৬

সেদিন এক ঘরোয়া আলোচনায় রাজনীতির প্রসঙ্গ আসতেই স্বাভাবিকভাবেই বিএনপির প্রসঙ্গ আসল এবং সেই সূত্র ধরেই বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রসঙ্গও আসল। যদিও আরও আলাপের ভীড়ে আলাপটা বেশি দূর আগালো না।
তাই ভাবলাম এই প্রসঙ্গে আমার বক্তব্যটা এখানে টুকে রাখি।

এক

বাংলাদেশে নব্বই পরবর্তী গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে এক অবিচ্ছেদ্য নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি। একজন সামরিক শাসকের হাত ধরে ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া একটা রাজনৈতিক দল যেই দলটার প্রধান এক রক্তাক্ত সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জীবন হারান।

অনেকেই ভেবেছিল দলটি সেখানেই শেষ। অথচ সেই হত্যাকাণ্ডের ৪২ বছর পরেও রাজনীতির অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দলটি আজো বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। অনেকেই বলে থাকেন এর পেছনে জিয়ার ইনক্লসিভ রাজনীতি, ভারতের আধিপত্যবাদ বিরোধীতা ও মার্কিন সুদৃষ্টি অনেকাংশে কাজ করেছিল। জিয়া সামরিক শাসক হলেও এমন একটা টিম তৈরি করেছিলেন যা এরশাদের নয় বছরের সামরিক স্বৈরশাসনের সাথে লড়ে এমনকি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগকে পর্যন্ত ঘোল খাইয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম সর্বজন গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী রাজনীতির পুনর্বাসন করেছিলেন। তিনি জামায়াতকে পুনরায় রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তার দলে অনেক চিহ্নিত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ডানপন্থী রাজনীতিকের আশ্রয় হয়েছিল। আবার তার দলে চীনপন্থী বাম রাজনীতিকদেরও স্থান হয়েছিল। স্থান হয়েছিল আওয়ামীবিরোধী অনেক রাজনীতিকেরও৷ জিয়া নিজে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় তার সাথে অনেক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তারও স্থান হয়েছিল এই দলে৷ অর্থাৎ বিএনপি কোন একটি রাজনৈতিক মতাদর্শভিত্তিক দল হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আসেনি। বরং বিএনপি ছিল সেই ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ যার মাধ্যমে পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল সেই মতবাদের বাংলাদেশী ভার্সন যার অন্যতম মূখ্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই ছিল ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়া একই সাথে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম তার সাথে ভারসাম্য বজায় রাখা।

দুই

খালেদা জিয়াও তার মরহুম স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরন করেন। মিত্র নির্বাচনে তিনি অত্যন্ত কুশলি আচরণ করেন৷ ফলে স্বৈরাচার এরশাদের বিপক্ষে লড়াইয়ে তিনিই শেখ হাসিনাকে ছাপিয়ে নেতৃত্ব নেন। ফল হিসেবে জনগণ তাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন ১৯৯১ সালে৷ সমস্যাটা বাধে এরপরে৷ ক্ষমতা গ্রহনের পরে জামায়াতের আমির গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ইস্যুতে তিনি কুশলি আচরণ করতে ব্যর্থ হন। ফলশ্রুতিতে মিডিয়া ও জনগনের একাংশ স্বাধীনতাবিরোধী পক্ষের সাথে বিএনপিকে এক কাতারে ফেলতে শুরু করে৷

অথচ, এই জামায়াত ৯৬ সালে ঠিকই আওয়ামী লীগের সাথে এক যোগে বিএনপিককে ক্ষমতা থেকে হঠাতে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করে এবং খালেদা জিয়া সেই আন্দোলনের সামনে নতি শিকার করতে বাধ্য হন এবং সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হন। ১৯৯৬ সালের ১২ই জুনের সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং সরকার গঠন করে। বেগম জিয়া বিরোধী দলীয় নেতার আসন অলংকৃত করেন৷

২০০১ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়া চারদলীয় জোট আকারে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটা একটা নতুন ডাইমেনশন যোগ করে। বলা হয়ে থাকে, দলকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে এটা ছিল বেগম জিয়ার আরেকটি মাস্টারস্ট্রোক এবং এটা এমনই এক মাস্টারস্ট্রোক ছিল যার ধাক্কায় প্রায় ৪০% ভোট পেয়েও সংসদে সংখ্যালঘু দলে পরিণত হয় আওয়ামীলীগ অপর দিকে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট।

তিন

২০০১ এ ক্ষমতা অর্জনের পরে তারেক রহমান, যিনি মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বেগম জিয়ার জেষ্ঠ্য পুত্র, লাইমলাইটে চলে আসেন। বিএনপির তৃণমূলে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। সমস্যা বাধে আরেক জায়গায়। জিয়া-খালেদা দম্পতির জেষ্ঠ্য পুত্র তারেক রহমান নেতৃত্বে এসেই বিএনপির সিনিয়র নেতৃত্ব এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বেগম জিয়াকে না জানিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে থাকেন৷ 'হাওয়া ভবন' নামে অফিস খুলে শ্যাডো সরকার চালাতে থাকেন। প্রশাসন ও দল উভয় জায়গায় একক কর্তৃত্ব বজায় রাখতে গিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা এমনকি বিনাশ করার মত আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। মিডিয়ার মাধ্যেম তার বিরুদ্ধে নানান মিথও ছড়িয়ে পড়ে দেশে ও বিদেশে৷ তার এই আচরণে ফল হিসেবে বিএনপি কয়েক দফা ভাঙনের মুখে পড়ে৷

প্রথম দফা, সাবেক রাষ্ট্রপতি বর্ষিয়ান বিএনপি নেতা ও ২০০১ এ বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় ক্ষমতায় আনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ডা বদরুদ্দোজা চৌধুরি বিকল্প ধারা গড়ে তোলেন। দ্বিতীয় দফা, জিয়াউর রহমানের সামরিক সচিব ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধা অলি আহমেদের নেতৃত্বে এলডিপি গঠন, তৃতীয় দফা, এক এগারোর সেনা সমর্থিত সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে মান্নান ভুইয়ার নেতৃত্বে সংস্কারপন্থী প্রায় শতাধিক নেতার দল বেগম জিয়া ও তারেকের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ৷

এরপরেও কয়েক দফায় বিগত সতের বছরে বিএনপির অনেক নেতাকেই হয় দল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে অথবা তারা নিজেরাই দল থেকে বের হয়ে গেছেন অথবা নিস্ক্রিয় হয়ে গেছেন। এদের অনেকেই আবার তারেকের বাবা জিয়ার সাথে রাজনীতি করা, স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটানো এবং আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা রাজনীতিক। ফলে এদের প্রস্থান নি:সন্দেহে বিএনপির চরম ক্ষতির কারণ হয়েছে। বিএনপির রাজনীতি নিয়ে যারা ভাবেন তাদের মধ্যে এই মতটা যে প্রচলিত আছে যে বিএনপির আজকের অবস্থানের কারণ তারেক রহমানের একগুয়েমি, দলের অভ্যন্তরে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা এবং দলকে ব্যাক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা সেটা যে একেবারে ভিত্তিহীন না সেটা কিন্তু ঘটনার পরম্পরা দেখলেই বোঝা যায়।

চার

এক এগারো পরবর্তী দুই বছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। মাইনাস টু'র পৃষ্ঠপোষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ মদতে গঠিত সেই সরকারের অন্যতম এজেন্ডাই ছিল বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দুই বেগমের প্রস্থান এবং এখানে হামিদ কারজাই মডেলের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা তথা এই অঞ্চলে ইন্দো-প্যাসিফিক এজেন্ডার বাস্তবায়ন। কিন্তু, সেটা আর সম্ভব হয়নি। হাসিনা-খালেদা উভয়েই চরম একগুয়েমির পরিচয় দেন এবং মাটি কামড়ে থেকে সেই সময়ে তাদের বিদেশ নির্বাসনের সরকারী পরিকল্পনার মুখে পানি ঢেলে দেন৷

কিন্তু আমার ধারণা, এই দুই নেত্রীকে ছাড় দিলেও তারেক রহমানকে ছাড় দিতে চায়নি বিদেশি পরাশক্তি। বিশেষ করে, দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়দাতা ও একুশে আগস্টের ঘটনায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মাথা ব্যাথার কারণ ছিলেন তারেক রহমান। ফলে জীবন বাচাতে তাকে ও তার ভাই আরাফাত রহমানকে মুচলেকা দিয়ে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেন তাদের মা খালেদা জিয়া।
সেই সময় থেকেই দেশের বাইরে (বর্তমানে যুক্তরাজ্যে) অবস্থান করেছেন তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলার রায় হয়েছে এবং বিচারাধীন আছে আরো বেশ কিছু মামলা। ফলে, তিনি আত্মরক্ষার্থেই দেশে আসাকে সমীচিন মনে করছেন না। ভিডিও বার্তার মাধ্যেমে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আখেরে কোন কৌশলই আসলে সরকারকে কোনঠাসা করতে পারছে না।

পাচ

এমন অবস্থায় কেউ কেউ এমনকি তারেক রহমানের নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। তবে তাদের সবাই যে বিএনপির আমার কাছে ব্যাপারটা এমন মনে হয় না। এদের একটা বড় অংশের হয়ত বিএনপির রাজনীতির সাথে কোন সংযুক্তিই নাই।
তবে তারপরও যেহেতু কথাটা এসেছে সেহেতু আসুন ব্যাপারাটাকে একটু তলিয়ে দেখা যাক।

প্রথমেই বলে নেয়া দরকার, বাংলাদেশের মানুষ যতই গণতন্ত্র বলে চিৎকার করুক আখেরে আমরা সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা থেকে এখনও বের হতে পারিনি। আমরা এখনও রাজার ছেলেকে রাজা ভেবে অভ্যস্ত। এটা এমনকি একদম তৃণমূল পর্যন্ত গ্রথিত। ফলে জিয়া পরিবারের বাইরে কেউ এসে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নাই। এই যুক্তির পেছনে আমরা পূর্বের বিকল্প ধারা, এলডিপি ও সংস্কারপন্থীদের কেইসগুলো স্টাডি করে দেখতে পারি। এমনকি সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপির দলছুট নেতাদের দিয়ে তৈরি কিংস পার্টিগুলোর ভরাডুবিও প্রনিধানযোগ্য।

ফলে, জিয়া পরিবারের বাইরে থেকে যেহেতু কেউ এসে বিএনপির নেতৃত্ব দিতে পারবে না সেহেতু আসুন আমরা তারেক রহমানের বাইরে সম্ভাব্য অপশনগুলো নিয়ে ভেবে দেখি।

প্রথমেই বেগম জিয়াকে বাদ দেয়া যাক তার শারিরীক অবস্থার কারনে। তারেকের ভাই আরাফাত রহমান প্রবাসে থাকাকালীনই প্রয়াত হয়েছেন অনেক দিন হল। এরপর আসে তারেক রহমানের স্ত্রী যুবাইদা রহমান। তার ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই বিভিন্নজন আশাবাদী হলেও তাকে কোন সময়েই মিডিয়া বা রাজনীতিতে কোন প্রকার যোগাযোগ দেখা যায়নি। ফলে সে দেশে এসে দল গোছানোর কাজে আগ্রহী এমনটা মনে হচ্ছে না। একই কথা প্রযোজ্য তারেক কন্যা যাইমা রহমান ও মরহুম আরাফাত রহমানের স্ত্রী শারমিন আক্তার সিথির ব্যাপারেও।

ফলে, তারেক রহমান ছাড়া বিএনপির আসলে এই মুহুর্তে অন্য কোন উপায়ও নেই। এমনকি খোদ তারেক রহমানও যদি মনে করেন তিনি তার চেয়ার থেকে সরে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করবেন আমার মনে হয় না বিএনপির এই নেতারা সেই ভার বহন করতে পারবেন।

ছয়

ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে তাহলে কি করবেন তারেক রহমান? আমার ব্যাক্তিগত পরামর্শ হল, তিনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। শুধু সব কিছু নিজের কাছে কুক্ষিগত করে না রেখে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরন করবেন। ভুলের শুরুটা হয়েছিল যেখানে সেখান থেকে ভুলটা শোধরান তিনি। একদম উপজেলা ইউনিট পর্যন্ত তিনি সিদ্ধান্তের ছাড় দিবেন। সংগঠনকে একদম তৃণমূল থেকে তুলে আনতে হবে। যাতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুল না হয়। There is no shortcut to success!

আর তিনি নিজেকে তৈরি করবেন আধ্যাত্মিক/আদর্শিক নেতা হিসেবে। পড়াশুনা করবেন। আশেপাশের চাটুকারদের এক্সেস সীমিত করবেন। মাঠের নেতৃত্বের ভার ছেড়ে দেবেন দেশে থাকা নেতাদের উপর। কেউ গ্রেফতার হলে বা আত্মগোপনে গেলে তার রিপ্লেসমেন্ট তৈরি রাখার একটা চলমান প্রক্রিয়া থাকতে হবে।

এক এক ইঞ্চি মাটি পুনরুদ্ধারের রাজনৈতিক সংগ্রামে লিপ্ত হবে তার নেতা কর্মীরা। তিনি বিদেশে থেকেই উদ্দীপনামূলক বক্তব্য রাখবেন নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে। জনগণের সামনে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনিই হবেন বিরোধী দলের মুখপাত্র।

যে শহীদ জিয়ার আদর্শের কথা বিএনপি বলে বেড়ায় সেই জিয়াকেই তাদের পুনরায় জনগণের মানসপটে ফিরিয়ে আনতে হবে। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের সাথে গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদকে মিশ্রন ঘটাতে হবে। 'ভাঙন নয় ঐক্যেই আসবে মুক্তি' এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে তাদের এগুতে হবে এক পা এক পা করে। এই আগাতে গিয়ে যদি সাময়িক সমঝোতাও করতে হয় সেটা করার ভারও দিতে হবে মাঠে থাকা নেতাদের উপর। সর্বোপরি সকল স্তরে একটা আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলেই সম্ভব বিএনপির পুনরুত্থান!

একই সাথে সংগঠন গোছানোর পাশাপাশি দলকে নিয়ে যেতে হবে জনগণের দুয়ারে। শুধু নির্বাচনভিত্তিক না একদম তৃণমূলের ইস্যুগুলো নিয়ে তার দলের নেতা কর্মীদের লড়তে হবে। যেখানেই অন্যায় সেখানেই তাদের উপস্থিত হতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন ব্যতিত কোন রাজনৈতিক দল সাফল্য অর্জন করতে পারে না এবং জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। যতই বিএনপি বলার চেষ্টা করুক আওয়ামী লীগ অমুককে ম্যানেজ করেছে তমুককে ম্যানেজ করেছে বাস্তবতা হচ্ছে জনগণ আওয়ামী লীগকে মেনে নিয়েছে বলেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। এখন এই মেনে নেয়ার মধ্যে অনেকে অনেক কথা বলবেন কিন্তু তাতে মাঠের বাস্তবতার কোন অদল বদল হবে না।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



বস্তাভর্তি গার্বেজ।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

আরিফ রুবেল বলেছেন: গার্বেজ কি না সেটা নির্ভর করে আপনি কিভাবে কোথায় বসে লেখাটা পড়ছেন তার উপর।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১৪

কথামৃত বলেছেন: সুন্দর লেখা হয়েছে

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জিয়া সামরিক শাসক হলেও এমন একটা টিম তৈরি করেছিলেন যা এরশাদের নয় বছরের সামরিক স্বৈরশাসনের সাথে লড়ে এমনকি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগকে পর্যন্ত ঘোল খাইয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম সর্বজন গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
ঐ সময় তখনও বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারতো না যদি সামরিক সহযোগিতা না পেতো এবং সবচেয়ে বেশি যেটা কাজে দিয়েছে সেটা হচ্ছে ধর্মের কার্ড! যেটা আওয়ামীলীগ কখনো ঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে পারে না। ২০০১ সালেও এই কার্ডের কাছেই বিএনপির কাছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি হেরে যায়।
এই মহুর্তে সামরিক শক্তি যেভাবে বিএনপি থেকে সরে গিয়েছে এবং অবাধ তথ্য প্রবাহের কারণে ধর্মের কার্ডকে ঠিক ভাবে ব্যবহার করতে না পারার কারণে বিএনপি এখন এ অবস্থায় পড়েছে।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

আরিফ রুবেল বলেছেন: রাজনীতি মানেই কোন না কোন কার্ড ব্যবহার করা। কখনও ধর্মের, কখনও চেতনার।

বিএনপির আজকের অবস্থার পেছনে অনেক কারন আছে যেটা আমরা দেখি কিংবা আমরা দেখি না। অনেক গল্পই তো আমাদের অজানা। আবার আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকার পেছনে অনেক কিছুই আছে যেটা আমরা দেখলেও সরাসরি বলতে পারি না।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৫

আলামিন১০৪ বলেছেন: জিয়া ছিলেন দেশপ্রেমিক, তাঁর সততা সর্বজনবিদিত। এরকম আরেকজন দেশপ্রেমিক নেতা দরকার বাংলাদেশে।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

আরিফ রুবেল বলেছেন: জিয়ার জীবন নিয়ে নির্মোহভাবে বিশ্লেষন করলে অনেক বিতর্কিত ইস্যু উঠে আসে। তথাপি একজন মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডারের দেশপ্রেম নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে চাচ্ছি না, অন্তত এখানে তো নয়ই। জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন কুশীলব। তার গড়ে তোলা বিএনপি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে ততটাই প্রাসঙ্গিক যতটা আওয়ামী লীগ। টানা সতের বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা একটা দলের এখন পর্যন্ত টিকে থাকা অনেকের জন্যেই বিস্ময়কর। সঠিক দিক নির্দেশনা ও নেতৃত্ব পেলে দলটি আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমার বিশ্বাস।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আসল সমস্যা ক্ষমতায়।
ক্ষমতা হাতে পেলে কিছু মানুষ অমানুষে রুপান্তর হয়। জিয়ার অনেক সমস্যা ছিলো। সে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। বেগম জিয়া ১০০% অযোগ্য অদক্ষ।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩

আরিফ রুবেল বলেছেন: বেশ সরলীকরণ হয়ে গেল। বেগম জিয়ার দুই টার্ম পূর্ণ শাসনামলে অনেক খারাপ কাজের মধ্যে কিছু ভালো কাজ কিন্তু ছিল। আর ক্ষমতায় গেলে কে না শকুন হয় ? এই চক্র থেকে আপনি কাকে বাদ দেবেন ? যার নাম নিতে গেলে দশ বার ভাবতে হয় তিনিও কি এর ঊর্ধ্বে ?

৬| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আবার আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকার পেছনে অনেক কিছুই আছে যেটা আমরা দেখলেও সরাসরি বলতে পারি না।
না বলার তো কিছু নেইm আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে প্রশাসন ও আমলাতান্ত্রিক রাজনীতির উপরে। এটা বহুবার বহুভাবে অনেকেই বলেছে, আমিও বলেছি।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

আরিফ রুবেল বলেছেন: এ তো মাত্র একটা স্তম্ভের কথা বললেন ! বাকীগুলোর কথা কে বলবে ? সিভিল ও মিলিটারি ব্যুরোক্রেসির বাইরেও জুডিশিয়ারি, পুলিশ, মিডিয়া, বিজনেস কমিউনিটি সবাই মিলে একটা নেক্সাস তৈরি করেও যখন শেষ রক্ষা হচ্ছিল না তখন ঠিকই বন্ধুরাষ্ট্রের মদত নিয়ে তারপর বকরি হালাল হয়েছে।

মোদ্দা কথা হচ্ছে এত কিছু থাকার পরও আওয়ামী লীগ কিন্তু নির্ভয়ে দেশ চালাতে পারছে না। তাকে সতের বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা প্রায় নেতৃত্বহীন একটা দলের ভয়ে কাবু থাকতে হচ্ছে। এই যে কাকতাড়ুয়ার ভয় সেটা কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে ভেতরে ভেতরে আরো বেশি মাত্রায় গণবিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। যাই হোক, আওয়ামী লীগ নিয়ে আরেক দিন আলাপ হবে। আজকে বিএনপি নিয়েই থাকি।

৭| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

তারেক জিয়াকেও কোন নেতা বলা যায়?
একজন নেতা হতে হলে শিক্ষাদিক্ষা কম থাকলেও কিছু স্পিকিং পাওয়ার থাকতে হয়। কিছু বলার ক্ষমতা থাকতে হয়, সাংবাদিকে প্রশ্নের জবাব দিতে হয়। রাজনীতি করতে হলে অন্তত কিছু কথা বলতে হয়।
উনি জনসমক্ষে কখনো কিছু বলেন না, মিডিয়ার সাথেও কিছু বলেন না।
খালেদার দেয়া শর্তে তত্তাবধায়ক সরকারকে মুচলেকা দিয়ে ২০০৮ এ তারেক লন্ডনে গেলে বিবিসি সহ বড় বড় বিদেশী সংবাদ মাধ্যম তার আত্নপক্ষ সমর্থনে তার বক্তব্য জানতে চেয়েছিল। কিন্তু উনি কোন কথা বলতে চান নি।
উনি বিদেশী সংবাদমাধ্যম তো দুরের কথা, দেশী মিডিয়াতেও কিছু বলেন না।
বহু বছর লন্ডনে কাটিয়ে এই জীবনে একবারও লাইভ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়নি। লন্ডনে বিবিসি সিএনএন ও আলজাজিরা টিভি বার বার তারেকের সাক্ষাৎকার নিতে চেয়ে পারেনি। পায়ে ধরার মত চেয়েও পায়নি। ২০১১তে আলজাজিরা ও সিএনএন সাক্ষাৎকার নিয়ে হাসিনাকে তুলোধুনো করার পর, তারেকের সাথেও জরুরি ভাবে ইন্টারভিউ করতে চেয়েছিল, তাকে উচ্চ সম্মানিও দিতে চেয়েছিল। বিবিসি বাংলা বহুবার তাকে কথা বলাতে চেয়েছে, উনি এমনকি সামান্য ফোন ইন অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিতে চায়নি, কথা পর্যন্ত বলতে চায় না।
সাংবাদিকের সামনে বা ভিডিও কনফারেন্স এমনকি ফোনেও কোন কথা বলতে চায় না এই আবাল নাকি দেশের হবু প্রধানমন্ত্রী! ছাগল!

মাঝে মাঝে লন্ডনের ছাগু আয়োজিত সমাবেশে ছাগুদের লিখে দেয়া কিছু বক্তব্য পাঠ করেন, ভিডিও বার্তা। জনসমক্ষে কাগজ বাদে কিছুই বলতে পারেন না।
মিটিং শেষে লন্ডনের স্থানীয় বাংগালী সাংবাদিকরা চেপে ধরলে বলে সিটের টেবিলে রাখা প্রিন্ডেট ফটোকপি শিটেই আমার সব কথা লেখা আছে।

বিবিসি বছর দুই আগে (১১ ডিসেম্বর ২০২২) তারেককে নিয়ে একটি ফরমায়েসি সচিত্র বিশাল রিপোর্ট করেছিল, কিন্তু লন্ডনে অবস্থান করেও বিবিসি বহু চেষ্টা করেও তারেকের সাথে কোন কথা বলতে সক্ষম হয় নি। শেষ পর্যন্ত তারেকের এক বন্ধু নাসির উদ্দিন অসীম এর মাধ্যমে তারেকের কাছ থেকে কিছু কথা নিয়ে রিপোর্টটি করতে হয়েছিল।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯

আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের অনেক তথ্যই আমার পক্ষে তাৎক্ষনিক যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সারমর্মতে যা বুঝলাম তাতে আপনার মূল বক্তব্য হচ্ছে তারেক রহমান কোন নেতাই না। আমি আপনার সাথে একমত।

এখন ধরেন আপনি বিএনপির একজন তৃণমূল কর্মী অথবা নিদেনপক্ষে একজন সমর্থক। মানে আপনি ভোট দিলে ধানের শীষেই দেন। আপনার কি মনে হয় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কার আসা উচিত বিএনপির নেতৃত্বে ? কিভাবে সেটা ঠিক হবে ?

জানি আপনার জন্য এমন ভাবাটা একটু কঠিন হবে। তারপরও আশা করি সময় নিয়ে উত্তর দেবেন।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জিয়া যেমন হুট করে ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেয়েছিলেন, বর্তমান বিএনপিও তেমন সুযোগই খুঁজছে। তবে সেটা এখন কঠিন। সেনাবাহিনী আর আগের মতো নেই যে তাদের সহযোগী হবে। আমেরিকা চেষ্টা করে ব্যর্থ; এরমধ্যে আবার রাশিয়া-ইউক্রেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ। বিএনপি বড়জোড় করতে পারে দলটাকে সুন্দর মতো সংগঠিত করা। জনগণের দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলা। শুধু ক্ষমতার আশায় বসে থাকলে সরকারের হামলা-মামলায় ভুগবে।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২০

আরিফ রুবেল বলেছেন: জিয়াকে আমার একই সাথে সৌভাগ্যবান আবার দুর্ভাগ্যবান মনে হয়। যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে তার কালুরঘাটে গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষনা প্রদান (শেখ মুজিবের পক্ষে), সেক্টর কমান্ডার হওয়া, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে পদস্থ সেনা কর্মকর্তা হওয়া, মুজিব হত্যার সময় তার বিতর্কিত ভূমিকা কিংবা তারপরে খালেদ মোশারফের অভ্যুত্থানের সময় থেকে সিপাহী বিদ্রোহের সময় সৈনিকদের দ্বারা গৃহবন্দী হওয়া তাহেরে হাতে মুক্ত হয়ে ক্ষমতায় গিয়ে তাহেরকেই ফাসিতে ঝোলানো থেকে তার ছয় বছরের শাসনামল এবং পরিশেষে অভ্যুত্থানে নিহত হওয়া প্রতিটা জায়গায় কাকতালীয়ভাবে জিয়ার জীবন কাহিনীটা যেকোন থ্রিলার সিরিজের কাহিনী হতে পারে। কিন্তু আমরা যারা একটু তলিয়ে পড়তে ভালোবাসি তারা জানি কোন কিছুই কাকতালীয় না, সব কিছুর পেছনেই কারন থাকে। কোন ঘটনাই বিচ্ছিন্ন না। কোথাও না কোথাও সুতা আছেই।

বাংলাদেশে জন্মলগ্ন থেকেই দুইটা রাজনীতি। একটা আওয়ামী লীগ আরেকটা এন্টি আওয়ামী লীগ। এটাকে আপনি আরো সরলভাবে ভারতপন্থী ও ভারতবিরোধী রাজনীতি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন। আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই ভারতের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন ছিল আর আওয়ামী বিরোধীদের রাজনীতির মূল হাতিয়ারটাই ছিল ভারতের বিরোধীতা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শুরুতে সেই সেই রাজনীতিটার নেতৃত্ব নিয়েছিল জাসদ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে আর পচাত্তর পরবর্তী সময়ে বিএনপি 'বাংলাদেশী' জাতীয়তাবাদের নামে।

সেই থেকে বিএনপির রাজনীতি এই ট্রেডিশনাল বয়ানের বাইরে কখনও যেতেই পারেনি। একই সাথে আমি মনে করি তাদের বর্তমান নেতৃত্ব দুরদর্শী না। এটাকে আমি নেতৃত্বের সংকটই বলব। কারণ বিএনপির পক্ষে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ আছে কি না সেটা বোঝার জন্য নির্বাচন প্রয়োজন হলেও দেশের মেজরিটি জনগণ যে বর্তমান সরকারের পক্ষে নাই সেটা কিন্তু সময়ে সময়ে বোঝা যায়। বিএনপি একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে এই সাইলেন্ট মেজরিটিকে উচ্চকণ্ঠ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নিজেদের পক্ষে না হলেও সরকারের বিপক্ষে জনগণকে মবিলাইজ করাটাও কিন্তু এক ধরনের রাজনীতি। পাবলিক কেন তোমার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবে যখন তুমি পাবলিকের ইস্যু নিয়ে রাস্তায় রক্ত ঝড়াতে দ্বিধা কর? নেতা হওয়া, ক্ষমতায় যাওয়া এতই সোজা! তার উপর যেখানে গোটা একটা রেজিম ও আন্তর্জাতিক শক্তি তোমার বিপক্ষে !

বিএনপি এখন যেভাবে চলছে তাতে এর ভবিষ্যত জাতীয় পার্টি থেকে খুব একটা ভালো হবে না। জাতীয় পার্টি ক্ষমতা হারানোর ৩৪ বছর পর এসে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসেছে বিএনপির হয়ত আরেকটু বেশি সময় লাগবে।

৯| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: সোজা বাংলায় বাংলাদেশ অপো রাজনীতির শিকার

০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০১

আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১০| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের কপাল ভালো। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছে না।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আরিফ রুবেল বলেছেন: কপাল তো অবশ্যই ভালো বলতে হবে৷সেই অর্থে কোন শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। যারাও বা আছে তারা নানা ভাগে বিভক্ত। জনকগণের ইস্যু নিয়ে কেউ পথে নামলেই হামলা মামলা দিয়ে স্তব্ধ করে দেয়া হচ্ছে। কেউ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছে না কিংবা রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে সকল আন্দোলন সংগ্রামের বৈধ পথ রূদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লেখালেখির মাধ্যমেও যদি কেউ প্রতিবাদ করতে চায় তাকে ডিএসএ'র মত কালো আইনের মাধ্যমে দিনের পর দিন কারাবরন করতে হচ্ছে।

এরকম দমবন্ধ পরিস্থিতি যে আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্যেও স্বাস্থ্যকর নয় এটা আওয়ামী লীগের নেতারাও জানে। কিন্তু জানলেও আসলে তারা কতটা কি করতে পারছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যে আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ ক্ষমতায় এনেছিল সেই আওয়ামী লীগ আর বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত।

শেখ হাসিনার সামনে সুযোগ ছিল কালোত্তীর্ণ হবার। অথচ তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস করে দিলেন। এমনকি নিজ দলের মধ্যে অন্তর্কোন্দল আর ভ্রাতৃঘাতী খুনোখুনির পথ উন্মুক্ত করে দিলেন৷ কার পরামর্শে তারা এহেন আত্মঘাতি কর্মসূচি নিল সেটা হয়ত ভবিষ্যতে জানা যাবে কিন্তু তত দিনে আগুন ঘর জ্বালিয়ে দলটিকে পথে বসাবে না এমনটা কিন্তু তারা নিজেরাও দাবি করতে পারবে না।

আওয়ামী লীগের সংকট নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে।

১১| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মোদ্দা কথা হচ্ছে এত কিছু থাকার পরও আওয়ামী লীগ কিন্তু নির্ভয়ে দেশ চালাতে পারছে না। তাকে সতের বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা প্রায় নেতৃত্বহীন একটা দলের ভয়ে কাবু থাকতে হচ্ছে। এই যে কাকতাড়ুয়ার ভয় সেটা কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে ভেতরে ভেতরে আরো বেশি মাত্রায় গণবিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ বিএনপি নিয়ে ভীত নয়, শুধুমাত্র এরকম একটা ভীত হওয়ার ভাব নিচ্ছে। ভিসা নীতি নিয়ে যেমন আওয়ামী লীগ উপরে উপরে অনেক ক্ষোভ ও ভীত দেখাচ্ছিল মূলত সেটাই বিএনপিকে কাবু করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের উদ্বিগ্ন ও ভিত সন্ত্রস্ত দেখে বিএনপি মনে করেছে কিছু একটা হতে যাচ্ছে।
আপনার কি মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ শুধু বিএনপিকে ভয় পাচ্ছে, বিএনপিকে আওয়ামী লীগকে ভয় পাচ্ছে না?

০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০২

আরিফ রুবেল বলেছেন: কঠিন প্রশ্ন করে ফেললেন ভাই।

বিএনপির তো অবশ্যই আওয়ামী লীগকে ভয় পাওয়ার কথা। এই ভয়টা তো অস্তিত্বহীন হবার, নির্বংশ হবার। একটা দলের চেয়ারম্যান গৃহবন্দী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রবাসে, দেশে আসলেই যার গ্রেফতার হবার সমূহ সম্ভাবনা। দলটির মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় প্রায় সব নেতা গ্রেফতার হয়ে যায়, দলের সাতাশ হাজার নেতা কর্মী কারান্তরীন। এদের নেতাদের বিরুদ্ধে তিন-চারশ করে মামলা। বাপকে খুজতে এসে ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়, ছেলেকে খুজতে এসে বাপকে; স্বামীকে খুজতে এসে বউকে ধরে নিয়ে যায় ! এরা যে এখনও রাজনীতি ছেড়ে চলে যায়নি এটাই তো অনেক।

আর এখানেই আওয়ামী লীগের ভয়ের শুরু। কিভাবে বলি। একটা দল সতের বছর ক্ষমতার বাইরে। যাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের সহায়তায় এবং বিচার বহির্ভুত পন্থায় দাবিয়ে রাখার সকল প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। এত কিছুর পরও দলটির টিকে থাকাই তো আশ্চর্যের। বরং পনের বছর ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের পাতি নেতারা, আমলাতন্ত্র, মিডিয়া, বিজনেস কমিউনিটির মধুখোরেরা যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে ভিসা স্যাংশনের হুমকিতে কিন্তু এদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। এই ত্রাহি মধুসুদন অবস্থা উপরে উপরে না ভেতরে ভেতরে এবং এখনও কেউ কেউ সেই আতংকেই আছেন কি না সেটা একটু ভালোমত খোজ নিলেই পেয়ে যাবেন। ফলে আতংকে দুই দলই আছে। দুইটাই অস্তিত্বহীন হবার ভয়।

১২| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: স্বাধীনতার সময় থেকেই দেশ দুই ভাগ হয়ে যায় সেটাই চলছে এবং আরেকটা বিপ্লব না হওয়া পর্যন্ত চলতেই থাকবে।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: ইতিহাসকে খন্ডিতভাবে দেখার সুযোগ নাই। বিভক্তিটা স্বাধীনতার সময় বা পর থেকে না বরং শেকড় অনুসন্ধান করলে এর উৎস পাবেন শত বৎসর আগে। এখন যে ফরমেশনে বিভক্তিটা পাচ্ছেন হুবহু একই ফরম্যাটে না পেলেও বিভক্তি ছিল, থাকবেই। দ্বিমত থাকা যদি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হয় তাহলে বিভক্তিটাকেও মেনে নিয়ে একটা অংশগ্রহনমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারাও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম। কেউ তো আমরা সমাজের বাইরে নই। ফলে বিভক্তির ফলে যদি এক দল আরেক দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায় তাহলে কিন্তু বিপদ। প্রশ্ন করতে পারেন প্রতিপক্ষকে নিধনের রাজনীতি কারা শুরু করেছে? এটা বিশাল বিতর্কের বিষয়। আমি বলব তার চেয়ে ভাবুন কারা শেষ করবে ? শেষের পরে কি হবে ? যা হবে সেটা নেয়ার মত ক্ষমতা কি আমাদের আছে ?

আর প্রতিটা বিপ্লবই প্রতিবিপ্লবীর জন্ম দেয়। ফলে, বিপ্লব হয়ে গেলেই তা শেষ হয়ে যায় না।

১৩| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০২

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি যুক্তি দিয়ে কথা বলেন কিন্তু সেই যুক্তি হয়ে যায় তালগাছের গোঁড়া ধরে বসে যুক্তি।দ্বন্দ্ব অবশ্যই থাকবে,,কিন্তু এটা জানতে হবে কোনটা বৈরী দ্বন্দ্ব আর কোনটা অবৈরী দ্বন্দ্ব।এই দুই দ্বন্দ্বের সমাধান দুই রকম।
এওয়ামী বিএনপি দ্বন্দ্ব আর বিএনপি জামাত দ্বন্দ্ব এক না।সমাধানও এক না।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৭

আরিফ রুবেল বলেছেন: হা হা হা ! ভালো বলেছেন !

আমার অবশ্য এককালে তাল গাছের বাগান ছিল। যাই হোক, যার যার বুঝ, তার তরমুজ!

১৪| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৪৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ৭,৯,১১ ও ১৩ নং মন্তব্যের সাথে সহমত।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৫| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



তাকে বাদ দিয়ে নতুন নেতা খুঁজে বের করতে হবে।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৯

আরিফ রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৬| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.