নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন বৈচিত্রময়। জীবনের বিচিত্র সব গল্প বলতে পারাটা একটা গুন আর সবার সেই গুনটা থাকে না। গল্প বলার অদ্ভুত গুনটা অর্জনের জন্য সাধনার দরকার। যদিও সবার জীবন সাধনার অনুমতি দেয় না, তবুও সুযোগ পেলেই কেউ কেউ সাধনায় বসে যায়। আমিও সেই সব সাধকদের একজন হতে চাই।

আরিফ রুবেল

সময় গেলে সাধন হবে না

আরিফ রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলমান ভারত বর্জন কি সাম্প্রদায়ীক রূপ নেবে ?

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

এক

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও কতিপয় সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট ভারতের বিরুদ্ধে এক ধরণের যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। এই যুদ্ধ গুলি-বন্দুক নিয়ে যুদ্ধ নয় এবং এতে হতাহতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আপাত দৃষ্টিতে অহিংস এই যুদ্ধের নাম ‘বর্জন’ বা ‘বয়কট’।

বাংলাদেশে যারা সরকার তথা আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনীতির সাথে যুক্ত বা সমর্থন করেন তাদের মধ্যে একটা বহুল প্রচলিত বক্তব্য হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কারণে বাংলাদেশে বিগত নির্বাচন ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেনি। মানে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে বুঝিয়ে শুনিয়ে এই যাত্রায় কথিত ‘স্যাংশন’ থেকে বাচিয়ে আওয়ামী লীগের ‘ডামি’ বনাম ‘আওয়ামি’ নির্বাচনকে একটা আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতা এনে দিয়েছে।

ফলে তাদের দৃষ্টিতে ভারত হচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসর কিংবা ভাইস ভার্সা। এখন এরা ঠিক করেছে আওয়ামী লীগকে কোনঠাসা করতে হলে বাংলাদেশে ভারতকে কোনঠাসা করতে হবে। সেই কোনঠাসা করতে তারা প্রাথমিকভাবে ভারতের ব্রান্ড ও ভারতে উৎপাদিত পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। আশা করা যায় ধাপে ধাপে এই বর্জন আরো রাজনৈতিক রূপ নেবে কারণ প্রথম দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সেরকম সংযুক্তি না থাকলেও এখন কিন্তু আস্তে আস্তে দলগুলো আড়মোড়া ভেঙ্গে নিজেদের বক্তব্য দলীয় বা ব্যাক্তিগত অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

দুই

আপনি যদি মুক্তবাজার অর্থনীতি মানেন তাহলে বাজার হতে হবে উন্মুক্ত। কিন্তু বড়ই আফসোস আমাদের কিংবা ভারতের বাজার সেই অর্থে উন্মুক্ত না। বরং ভারত প্রায়শই নানান নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের রক্তচোষা ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার সুযোগ করে দেয় এবং ক্রেতা হিসেবে আমরা বিপদে পড়ি। এখানে অনেকে কৃষকের লাভের কথা বলবেন কিন্তু বাস্তবে কৃষক সেই অর্থে লাভবান হয় না। লাভের টাকা ঘুরে ফিরে বৃহত পুজিপতি আর ফরিয়া-মহাজনদের পকেটে যায়।

যাই হোক, আমি মনে করি পণ্য বর্জনকে যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে হয় তাহলে সেটা যেন অবশ্যই এজেন্ডাভিত্তিক হয়। এখানে যেটা হয়েছে প্রাথমিকভাবে সরকারবিরোধীদের মধ্যে থেকে এই বর্জনের ডাক আসলেও যে সময়টায় এসেছে সেই সময়টায় (জানুয়ারী, ২০২৪) প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি কিছুটা বিভ্রান্ত, কিছুটা হতাশাগ্রস্ত এবং আপাদমস্তক দিক নির্দেশনাহীন অবস্থায় ছিল কারণ তখন পর্যন্ত এর অধিকাংশ নেতা কর্মীই কারান্তরীন অথবা পলাতক ছিল। ফলে, রাজনৈতিকভাবে তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়াটা প্রায় অসম্ভব ছিল। এখনও যে তারা খুব একটা গুছিয়ে উঠেছে ব্যাপারটা এমন না। যদিও মার্চ মাসে এসে তারা কিছুটা গুছিয়ে উঠেছে এবং অনেকটা প্রকাশ্যেই এই আন্দোলনকে সমর্থন ও সংহতি জানাচ্ছেন।

ভারতের সাথে আমাদের এজেন্ডা কিন্তু শুধুমাত্র আভ্যন্তরীন রাজনীতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ নয় ভারতের সাথে আমাদের অনেকগুলো অমিমাংসিত ইস্যু আছে যেগুলোও বেশি বেশি করে আলোচনায় আসা উচিত বলে মনে করি। যার মধ্যে প্রথমেই আসবে সীমান্তে অবৈধ হত্যাকাণ্ড, আসবে অভিন্ন নদীর সুষম পানি বন্টন, আসবে চোরাচালান বিশেষ করে মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ ইত্যাদি।

এই ইস্যুগুলোকে জনগণের এজেন্ডা করতে হলে তো এগুলো নিয়ে ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে। যে কাজটা করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা কর্মীদের। যেটা এখন পর্যন্ত সেই অর্থে শক্তিশালী হিসেবে আমার কাছে দৃশ্যমান নয়। বরং বিগত এক সপ্তাহে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার পক্ষের লোকজন এটা বার বার করে বলার চেষ্টা করছেন যে এই বর্জন কোন কাজে আসছে না।

আবার এই ন্যারেটিভ বয়ানের সপক্ষে যখনই আপনি পাবলিকলি কোন কিছু বলতে যাবেন তখন কাকতালীয়ভাবে যারা এর বিরোধীতা করবে এদের মধ্যে ধর্মীয় দিক থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটা সক্রিয় উপস্থিতি দেখা যায়। এই হিন্দুদের সবাই যে বাংলাদেশের হিন্দু তা না সোশ্যাল মিডিয়ার আইডিগুলো চেক করলে দেখা যাবে এর অধিকাংশই ওপার বাংলার বিজেপি আইটি সেলের সদস্য। কিন্তু এর বাইরে খুব সামান্য সংখ্যায় এক দল উগ্র সাম্প্রদায়ীক হিন্দুদের দেখা কিন্তু পাওয়া যাবে যারা হিন্দুত্ববাদী ঝান্ডাধারী এবং নানান রকম উসকানীমূলক কথা বার্তা বলে পরিবেশ গরম করার চেষ্টা করবে। যারা থাকে বাংলাদেশে হয়ত বাংলাদেশের নাগরিকও কিন্তু কথা শুনলে মনে হবে ভারত এদের আসল দেশ আর মোদী এদের নেতা। এর বাইরে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বেশির ভাগের হয়ত এটা নিয়ে মাথা ব্যাথাই নেই। আমি ইচ্ছা করেই ভারতপন্থী লীগারদের কথা এড়িয়ে গেলাম কারণ তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা অনুযায়ী তারা এই কর্মসূচিকে আক্রমন করবেন এটাই স্বাভাবিক। আমার এই ব্লগেও তাদের সুস্থ উপস্থিতিকে আমি সাদর সম্ভাশন জানাই।

তিন

তবে মাথা ব্যাথা না থাকলেও এক ধরনের আতংক কিন্তু আমাদের হিন্দু ভাইদের মধ্যে আছে। কারণ এই পণ্য বর্জন আন্দোলনটা জাতীয়তাবাদী ঘরানার হলেও এর নেতৃত্ব নিতে সাম্প্রদায়ীক গোষ্ঠী অত্যন্ত সক্রিয়। ফলে, ভারতের আধিপত্যবাদী আচরণের সাথে ব্যক্তি হিন্দুর আচরণকে এক করে ফেলার একটা অপচেষ্টা কিন্তু শুরু থেকেই আছে।

তাছারা কেউ কেউ সন্দেহ করছেন এই বর্জনকে কেন্দ্র করে ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি্র অপচেষ্টাও হতে পারে। ফলে ভারত বর্জন যদি কোনভাবে হিন্দু হঠাও বা হিন্দু বর্জনে থেকে হিন্দু নিধনে রুপ নেয় তাহলে এই কথা অনায়াসেই বলা যায় যে উদ্দেশ্য নিয়ে যারাই এই আন্দোলন শুরু থেকে সমর্থন দিচ্ছেন সেটা নিংসন্দেহে বিফল হবে।

আমার অনুরোধ থাকবে নীরবে যারা ভারতের পণ্য বর্জন করছিলেন তারা যেন এটাকে অহিংসই থাকতে দেন। এমনকি রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি এটাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সহিংশ রুপ দিতেও চায় তারা যেন সচেতনভাবে সেই উসকানি এড়িয়ে যান। কারণ এটা মনে রাখতে হবে যে এই আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন কিন্তু ভারতের রাষ্ট্রযন্ত্র করছে এবং এটা তাদের বৈদেশিক নীতির অংশ। চাপ দিয়ে কিছু আদায় করতে হলে ভারতের ক্ষমতাসীনদের দিতে হবে যাতে তারা তাদের একচোখা পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে আসে। একই সাথে মনে রাখতে হবে এটার সাথে সাধারণ ভারতীয় নাগরিক কিংবা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন সম্পর্ক নাই। বরং এরাও নানানভাবে নানান ফরম্যাটে দুই দেশের রাষ্ট্রযন্ত্র ও ক্ষমতাসীনদের জুলুমের শিকার। ফলে এক অর্থে যে মজলুমরা জুলুমের প্রতিবাদে নীরব বর্জনের ডাক দিয়েছেন এরা তাদের ভাই, তাদের কমরেড!

শেষ কথা

পণ্য বর্জনে আসলে কোন কাজ হয় কি না কিংবা এটা আসলে কত দিন চলবে এটা সময়ই বলে দেবে। রাশিয়া যখন ইউক্রেনে হামলা করল তখন অনেকেই বলেছিল রাশিয়া সাত দিনের মাথা কিয়েভের রাস্তায় জেলেনেস্কির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখনও ইউক্রেনের অর্ধেক জায়গা দখল করতে রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছে উল্টো রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতিও কিন্তু কম হয়নি। আসলে মানুষ ভাবে এক হয় আরেক!

তবে এই পণ্য বর্জন যে কিছুটা হলেও ধাক্কা দিয়েছে সেটা কিন্তু আচ করা যায়। আরো কিছু দিন গেলে আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে তবে এই বর্জন শুধু পণ্যে আটকে রাখলে হবে না। যদি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মসূচি যেমন রোডমার্চ, লংমার্চ, পথসভা, দূতাবাস ঘেরাওয়ের দিকে যায় তাহলে হয়ত কিছু হলেও হতে পারে। তবে এখনই এই বিষয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি। বিএনপি কিংবা সম্মিলিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোমড়ে সেই জোড় এখনও অবশিষ্ট আছে কি না সেটাও একটা বিবেচনার বিষয়।

আর কথায় আছে,

খাবু লা তু মাহালু কা
মাহালু তো খাবু লা কা


মানে খাবেন না যখন মাখালেন কেন? আর মাখালেন যখন খাবেন না কেন ?

রাজনীতিতে এই উক্তিটা স্মরনে রাখা কিন্তু অত্যন্ত জরুরী। তাই যে বা যারাই এক ধাপ এগিয়ে চিন্তা করবেন তার বা তাদের অবশ্যই দায়িত্ব নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। মাঝ রাস্তায় জনগণ আর কর্মীদের কারাগারে রেখে ঘরে গিয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকলে চলবে না। যদি খেতে না পারেন শুধু শুধু পাবলিককে উসকানি না দেয়াই উত্তম কারণ জনগণ তাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা করছে।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: সীম্প্রদায়িক রূপ না নিলেও ভারত বিরোধি রূপ নিয়ে।যেটা আমাদের রাষ্ট্রর জন্য ভালো কিছু না।মনে রাখতে হবে ভরতের অর্থনৈতিক অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনি কি নিশ্চিত ভারতের অর্থনীতি বিশ্বে তৃতীয়? আর ধরেন হলই বা। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিগত পনের বছরে বাংলাদেশের কাছ থেকে যা পেয়েছে তার বিপরীতে বাংলাদেশকে কি দিয়েছে আওয়ামী লীগকে নিরংকুশ সমর্থন দান ছাড়া? সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশের নাগরিকদের পাখির মত হত্যা করা, বাংলাদেশের উজানে বাধ দিয়ে ন্যায্য পানির হিস্যা থেকে বঞ্চিত করা বাংলাদেশের জল জমি ব্যবহার করে ভারতীয় পুজিপতিদের ব্যবসার ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করা সবই চলছে।

অনেকে বলবেন, ভারত যদি বাংলাদেশকে বর্জন করা শুরু করে তাহলে কি হবে? ভাই বিশ্বাস করেন কিচ্ছু হবে না। বরনহ বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট না গেলে কলকাতা খা খা করে, চেন্নাই ভেলোরে রোগীর চাপ থাকে না। আমাদেরকে দিয়ে ভারত কামাই করে, আমাদের দেশে ভারত কামাই করে। কিন্তু সম্মানের বেলায় দাদাগিরি দেখায়, ভিক্ষুকের মত আচরণ করে। পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক তৈরি করতে হলে চোখে চোখ রেখে কথা বলতেই হবে। মাথা নত করে থেকে কখনই ভারতের পেটের ভেতরে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:





আফসোস

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২৭

আরিফ রুবেল বলেছেন: পপিচুস বলতে একটা শব্দ আছে। বলেন তো ভেঙে বললে এটা দিয়ে কি হয় ?

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই আন্দোলনটাই একটি সাম্প্রদায়ীক আন্দোলন, ধর্মান্ধ লোকজন যার সাথে জাড়িত।
নিঃসন্দেহে এটা দুই দেশের ধর্মান্ধ জনগনের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে, মাঝখান থেকে বিপদে পড়বো আমারা যারা সাধারণ মানুষ তারা। দেখা গেলো কোন একটা কাজে ইন্ডিয়া গেলাম তখন উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা হেনেস্তার শিকার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে, যা ইতিমধ্যেই ঘটেছে।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: একমত নই। এটার সাথে সাম্প্রদায়ীক লোকজন থাকলেও এটা এখনও সাম্প্রদায়ীক রুপ নেয়নি। ভারতের পক্ষ থেকে তো উসকানি দেয়ার সচেতন চেষ্টা আছেই। বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া সেল এখানে অনেক সক্রিয়। আর কেন নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে বিজেপির প্রোপাগান্ডা স্মরনে নেই ? মনে নেই অমিত শাহ ভারতের বাংলা ভাষাভাষী মুসলিমদের বাংলাদেশী আর উইপোকা সম্মোধন করে তাদের বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপের হুমকি দিয়েছিল ? এদেরকে তরমুজ ব্যবসায়ীদের মত সাইলেন্ট শিক্ষা দিতে হবে। তাহলেই দেখবেন পেয়াজ আসবে, চিনি আসবে, গম আসবে এমনকি অবস্থা ভালো হলে গরুও আসতে পারে ! আর ওদের মিডিয়া এটাকে গাল ভরা নাম দেবে অনিয়ন ডিপ্লোমেসি, কাউ ডিপ্লোমেসি ইত্যাদি ইত্যাদি !

তবে ধর্মান্ধরা যাতে এটাকে উগ্র রুপ না দিতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আবার ইন্ডিয়া থেকে কোন সাধারণ নাগরিক বাংলাদেশে আসলো তখন ধর্মান্ধ মুসলিমদের দ্বারা আক্রমনের শিকার হতে পারে, হাজার বছর ধরে উপমহাদেশে এগুলোই হয়ে আসছে।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫০

আরিফ রুবেল বলেছেন: বাংলাদেশে কয়েক লাখ ভারতীয় চাকুরীরত আছে। আমার মনে হয় না এরকম কিছু অন্তত আন্দোলনকারীদের দিক থেকে হবে। যদি হয় সেটা একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে করার চেষ্টা করে থাকতে পারে।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৭

নিমো বলেছেন: এসব বর্জন ফর্জন আদতে নিস্ফল গর্জন, যদিও তা উভয় দেশে কিছু লাশ অর্জন করতে সহায়তা করবে। আর লাশের গুরুত্ব উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে অপরিসীম।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫১

আরিফ রুবেল বলেছেন: গর্জন যদি নিস্ফলই হয় তাহলে লাশ পর্যন্ত যাচ্ছেন কিভাবে ?

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




এগুলো নিতান্তই ফেসবুকের আন্দোলন ।
বাস্তবে এর ছোঁয়া পাওয়া যাইবে না।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

আরিফ রুবেল বলেছেন: দেশী ও ভারতীয় মিডিয়া হাউজগুলো এবং ক্ষমতাসীন দলের ডাকসাইটে নেতারা যেভাবে এটা নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন আপনি নিশ্চিত আসলেই কোন প্রভাব পড়ছে না? আমার কিন্তু সেটা মনে হচ্ছে না।

আর সাজ্জাদ সাহেব, পপিচুস মানে হচ্ছে পরস্পর পিঠ চুলকাচুলকি সমিতি।
দয়া করে আপনার আফসোস আপনার কাছেই রাখেন।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫৭

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: গর্জন যদি নিস্ফলই হয় তাহলে লাশ পর্যন্ত যাচ্ছেন কিভাবে ?
অনেক সময় শিকারটা বাঘ করলেও, শেষমেষ সেটা হায়েনার পেটে যায়।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০১

আরিফ রুবেল বলেছেন: পানি ঘোলা হলে অনেকেই মাছ শিকারে নামে। আপনার এই মন্তব্যের জবাবে এই ব্লগের শেষ প্যারাটা আবার তুলে দিচ্ছি।

আর কথায় আছে,

খাবু লা তু মাহালু কা
মাহালু তো খাবু লা কা

মানে খাবেন না যখন মাখালেন কেন? আর মাখালেন যখন খাবেন না কেন ?

রাজনীতিতে এই উক্তিটা স্মরনে রাখা কিন্তু অত্যন্ত জরুরী। তাই যে বা যারাই এক ধাপ এগিয়ে চিন্তা করবেন তার বা তাদের অবশ্যই দায়িত্ব নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। মাঝ রাস্তায় জনগণ আর কর্মীদের কারাগারে রেখে ঘরে গিয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকলে চলবে না। যদি খেতে না পারেন শুধু শুধু পাবলিককে উসকানি না দেয়াই উত্তম কারণ জনগণ তাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা করছে।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০১

আমি নই বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের চাইতে ভারতের মানুষ অনেক অনেক বেশি সাম্প্রদায়িক। ভারতের তুলনায় আমাদের দেশে তেমন কোনো সাম্প্রদায়িক ঝামেলা কখনই হয়নি। যদিও নিন্দনিয় অপকর্ম যেমন বৌদ্ধ মন্দির পোড়ানো সহ কিছু ঘটনা ঘটেছে কিন্তু ভারতের মত হাজার হাজার মানুষ হত্যার মত ঘটনা ঘটেনি। তারপরেও কিছু পাচাটা কুলাংগার বাংলাদেশের মানুষকেই বেশি সাম্প্রদায়িক মনে করে।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৯

আরিফ রুবেল বলেছেন: ভারতে বাংলাদেশের চাইতে দশ গুন বেশী মানুষ, স্বাভাবিকভাবেই সেখানে সাম্প্রদায়ীক মানুষ বেশি হবে। আবার নানান জাতিসত্ত্বার মিশেলের কারণে সেখানে এই হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়ীকতার বিরুদ্ধে লড়াইটাও জোড়ালো ও মাল্টি-ডাইমেনশনাল। পক্ষান্তরে ছোটবেলায় আশি ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশ বড় হতে হতে কিভাবে বিরানব্বই শতাংশ মুসলমানের হল সেই অংকটা কিন্তু আবার আমার মাথায় খেলে না।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৪৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ট্রাস্ট মি ব্রো, ভারতীয় সিরিয়াল ১ দিন না দেখলে বাঙালী মহিলারা পাগল হয়ে যাবে।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫১

আরিফ রুবেল বলেছেন: ভাই মহিলাদের নিয়ে এটা অত্যন্ত স্টেরিওটাইপ একটা বক্তব্য। আমার নিজের এন্টারটেইনমেন্ট কনসাম্পশনের ৮০% এর বেশি জায়গাজুড়ে আছে ভারতীয় বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা, ওয়েব সিরিজ আর স্পোর্টস কন্টেন্ট। ইউটিউবেও যদি ধরেন আমি ভারতীয় বেশ কিছু চ্যানেল নিয়মিত অনুসরন করি।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নিঃসন্দেহে সাম্প্রদায়িক রূপ নেবে। আর এর ফায়দা লুটবে বিজেপি।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫২

আরিফ রুবেল বলেছেন: আশংকার জায়গা সেটাই। বিজেপির ফুট সোলজার হিসেবে ব্যবহৃত হবার শংকাটা থেকেই যায় সঠিক ও দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাবে।

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


শেষ পর্যন্ত কিছুই হবে না ।

কেননা ভারত অনেক শক্তিশালী একটা রাষ্ট্র ।
তাদের অনেক বিকল্প আছে ।
তাদের উৎপাদনের পরিমাণ বেশি ।
তারা অনেক বড় বড় দেশ থেকে আমদানি করতে পারে।
স্মরণ করা যেতে পারে যে এই কঠিন সময়ও তারা রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করেছে।
বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ ।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বলতে গেলে নেই।
তাই ভারতের উপর নির্ভরশীল।
কারণ ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে সহজে কম দামে আমদানি করতে পারে।
এখানে বয়কটের ফয়কটের কোন মূল্যায়ন হবে না।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫৭

আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনাকে কি কেউ বলেছে ভারতের সাথে যুদ্ধের ডাক দেয়া হয়েছে এখানে ? ভারতের সাথে যুদ্ধ হলে অনেক দেশই পারবে না। যদি পারত তাহলে চীন অনেক আগেই যুদ্ধ বাধিয়ে ভারতের বিশাল খনিজসমৃদ্ধ অঞ্চল দখল করে নিত। প্রশ্নটা জয় পরাজয়ের না, প্রশ্নটা আত্মসম্মানের। ভারত যেভাবে বলে, যেভাবে করে সেটা একটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য মেনে নেয়াটা লজ্জাস্কর। ভারতের সাথে আমাদের আভ্যন্তরীন বাণিজ্য ঘাটতি প্রমাণ করে ভারত আমাদের পণ্যের উপর নানাবিধ অশুল্ক বাধা দিয়ে রেখেছে। আরো অনেক ইস্যু আছে যেগুলোর ক্ষেত্রে ভারত আমাদের উপর বড় ভাই সুলভ আচরণ করে। এসবই একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মেনে নেয়া কষ্টকর।

১২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৪

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনিও জানেন আমিও জানি পণ্য বর্জন একটা সাইনবোর্ড মাত্র এর পিছনে আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভারত বিরোধী জোট চা্ঙ্গা করা।আফসোসের কথা হচ্ছে এটা এক ধরণের হঠকারী সিদ্ধান্ত। অর্থনৈতিক, সামরিক দিক দিয়ে বিশ্বের অন্যতম এবং আমাদের তিন দিক বেশ্টিত একটা রাষ্ট্রকে এ ধরণের কার্যক্রম দ্বারা কিছুই করা যাবে না, হয়তো শুধু সরকারকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলা যাবে।
যে কোন কিছু মোকাবেলার জন্য আমাদের সবার উচিত সবাইকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করা কিন্তু বড়ই দুঃখের কথা হল পণ্য অর্জনকারী বা বর্জনকারীদের কেউই আমরা দেশ প্রেমিক না, যতদিন সেটা হতে না পারবো ততদিন অর্জন বা বর্জন কোন কিছু দিয়েই দেশের কোন মঙ্গল হবে না।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০২

আরিফ রুবেল বলেছেন: দেশপ্রেম মাপার স্কেলটা কোন দোকান থেকে কিনেছিলেন? ঠিকানাটা দেন আমিও একটা কিনব।

১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১১

মিথমেকার বলেছেন: কিছু মানুষ সব কিছুতেই সম্প্রদায়িক ট্যাগ লাগিয়ে দেন, এদের সাম্প্রদায়িক ট্যাগইং নিতান্তই তাদের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ করে। তারা নিজেদের সেক্যুলার দাবি করলেও তাদের থেকে বড় (সম্প্রদায়িক পাপী) পাওয়া পাওয়া মুশকিল, এরা গঠনমূলক সমালোচনার বদলে ঘৃণার প্রচারটাই বেশি করেন। নিজেদের বাইঅ্যাস থেকে সরে আসতে পারেন না, এমনকি বাইঅ্যাস ধরিয়ে দিলে সেটা বুঝতেও চান না।
চলমান ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট বয়কট আন্দোলন যথেষ্ট সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যার ফল দৃশ্যমান। দেশি চাটুকার মিডিয়া মুখে কুলুপ আটলেও আন্তর্জাতিক মিডিয়া এটা নিয়ে নিউজ করছে। ভারতের মিডিয়াও এটা নিয়ে যথেষ্ট সরব। বাংলাদেশ এর সর্বসাধারণ মানুষ যদি এই চলমান আন্দোলন এ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ না দিত তাহলে কখনোই এত অল্প সময় আন্দোলন এই পর্যায়ে আসত না। সকল আন্দোলন এর একটা অ্যাজেন্ডা থাকা বাঞ্ছনীয়। এই আন্দোলন এর অবশ্যই অ্যাজেন্ডাস আছে। বাংলাদেশের সর্বসাধারণ মানুষ তাঁদের অধিকার চায়, তাঁরা আর এই জ্বলন্ত নরক এ থাকতে চায় না। তারা চায় না রক্ত দিয়ে কেনা এই দেশ অদূর ভবিষ্যতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কলোনি হয়ে উঠুক।
তথাকথিত প্রগতিশীল, সেক্যুলার ইত্যাদি ইত্যাদি আরো যে-সব আছে যেভাবে তারা নিজেদের আইডেন্টিফাই করে আরকি; এদের কাজই হলো সব কিছুতেই সম্প্রদায়িক গন্ধ লাগিয়ে একটু কুল সাজা। মহা রানির বরাদ্দকৃত মধু পাওয়া, সেই মধু পরম আনন্দে লেহন করা! আর মহা রনির গুণগান জপ করতে থাকা। দেশটা নরক হয়ে যাক, তাতে এই কুলাঙ্গারদের কিছুই আসে যায় না।
সাম্প্রদায়িক ট্রাম কার্ড তাদের সব থেকে কার্যকরী কার্ড। এটা খেলে কয়েকটা ইনসিডেন্টস ঘটিয়ে, কয়েকটা লাশ ফেললেই কেল্লাফথে! এভরিথিং উইল বি আন্ডার কন্ট্রোল এগেইন।

লেখক, সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন।
আশা করছি; বাংলাদেশের সর্বসাধারণ মানুষের এই অসাম্প্রদায়িক, অহিংস আন্দোলন পূর্ণতা পাবে। বাংলাদেশের সব মানুষ নরক জ্বালা থেকে মুক্তি পাবে!

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮

আরিফ রুবেল বলেছেন: বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমিও আপনার সুরে সুর মিলিয়ে আশাবাদী হতে চাই।

১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত এর কোন ভবিষ্যত নাই । এইগুলা শুধুই স্ট্যান্ড বাজি ।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০১

আরিফ রুবেল বলেছেন: রাজনীতিতে স্ট্যান্টবাজির দরকার আছে। অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই দরকার আছে।
ভবিষ্যত নাই সেটা এত দ্রুত বলে দিলেন যেন অন্তর্চক্ষু দিয়ে দেখে ফেলেছেন!

আপাত দৃষ্টিতে বিএনপিরই তো কোন ভবিষ্যত নাই।
সেই বিচারে বিএনপির তো উচিত সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে ঘরে গিয়ে মৃত্যুপথযাত্রী কর্কট রোগীর ন্যায় মৃত্যুর প্রহর গননা করা!

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২০

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: ভারত ব্যবসায়ীক দিক থেকে কোন কালেও বাংলাদেশ বান্ধব ছিল না!! বিভিন্ন কমেন্টে কেউ বলছেন আন্দোলনে কে কারে মাইরা ফেলবে আমি জানিনা, তবে আমি আর প্যারাসুট না কিনে জুঁই কিনব এটা নিশ্চত, এতে যাদের জ্বলছে তারা ভারত যেতে পারেন। যামাই আদর পাবেন। এটা তো একটা কমন সেন্স হওয়া উচিত আমি আমার দেশি পণ্য কিনব!!

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০৬

আরিফ রুবেল বলেছেন: দেশী পণ্যগুলো তো আগেও ছিল এবং এক্ষেত্রে শুধু ভারতীয় পণ্য কেন যেকোন বিদেশী পণ্যের জায়গায় দেশী পণ্যগুলো অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।
পায় না কেন ?

১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৫৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দেশীয় পণ্য কিনে হউন ধন্য এই স্লোগনটাকে জনপ্রিয় করতে হবে, যাতে জনগণ দেশীয় পণ্যে কিনে। কিন্তু নির্দিষ্ট একটি দেশের বিরুদ্ধে প্রচারোনা চালালে তা সম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রুপ নেবে।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০৮

আরিফ রুবেল বলেছেন: দাঙ্গা হয় যখন দুই পক্ষই দুই পক্ষকে মারে। বাংলাদেশে এরকম হবার আশংকা নেই। এখানে সংখ্যাগুরুরা মারে আর সংখ্যালঘুরা মার খায়। যাতে না মারে সেই জন্যেই এই সাবধান করা।

১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৪৩

অহরহ বলেছেন: 'ভারত বয়কট'......... এটা নিছক ধান্ধাবাজি। "ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না" শুধু এই ঘোষণা দিলেই আমাদের বাজারে রাত পহালে পেঁয়াজের দাম ডাবল হয়ে যায়। আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরের সব কাঁচামাল ভারত থেকে আসে বিধায় পোশাক শিল্প টিকে আছে সর্বনিম্ন মুজুরিতে। চাল, ডাল, গম, হলুদ, রসুন, আদা,ডিম......... এখন কী নেই যা ভারত থেকে না আনলে বাংলাদেশ চলতে পারে। ১৮ কোটি গিজগিজে মানুষের বাংলাদেশে ভোক্তার মুখ ছাড়া আর কী প্রাচুর্য আছে? বাংলাদেশের চিকিৎসার উপর কারো আস্থা নেই। ভারেতে চিকিৎসা ছাড়া বাংলাদেশি মুমিনরা চলতে পারবে?? সীমান্তে ঝাকে ঝাকে বাংলাদেশি চোরাচালানি। তাই ভিবিন্ন সময়ে সীমান্তে গুলির ঘটনা আছে। শতকরা ৯০% গরুচোর সীমান্তে গুলি খেয়ে মরে।

তো, ভারত বয়কট করে কী করবেন? সৌদি আরবের খেজুর খেয়ে বেঁচে থাকবেন। কিন্তু ভাই তাও সম্ভব না, আমাদের বাংলাদেশের মুসলিম ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে খেজুরের কেজি ১২০০/টাকা।

তবে হাঁ, বাংলাদেশের নিবোর্ধ মানুষ যে হারে ওমরা হজ্জ এ যাচ্ছে, সেই সুবাদের জমজম কুপের পানি এক চা চামচ প্রতি দিন পান করে দেখেন পেটের ক্ষুদা মিটে কিনা?? ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৩

আরিফ রুবেল বলেছেন: ভারত থেকে খাদ্যশস্য আমদানি কমেছে ৯৩%, চিনি কমেছে ৭০ শতাংশ

৫০%-এর বেশি আমদানি হচ্ছে আফ্রিকা থেকে

এটা আপনি আগে থেকেই জানেন তারপরও দিলাম !

১৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০৪

কথামৃত বলেছেন: আসামে ভিন্নধর্মের মালিক-ক্রেতার মধ্যে জমি কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা ও উত্তরপ্রদেশে মাদরাসা শিক্ষা নিষিদ্ধ করল ভারত।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭

আরিফ রুবেল বলেছেন: আসামের বাংলা ভাষাভাষী মুসলিমদের প্রতি অহমিয়া ও হিন্দিভাষী ভারতীয়দের বিদ্বেষ অনেক আগে থেকেই। এমনকি তাদের এই বিদ্বেষ অনেক সময়ে বাংলাদেশ বিদ্বেষেও পরিণত হয়। আসামের উপরের দিকের (আপার আসাম) অঞ্চলে যে জায়গায় উলফাদের দাপট বেশি সে সমস্ত অঞ্চলে বাংলাদেশ বিরোধীতা প্রকট। আসামে বসবাসকারী বাংলাভাষী মুসলিম জনগোষ্ঠী যারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে আসামে বসবাস করছে তাদেরকে এরা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করেছে বহুবার। অথচ নাগরিকত্ব সংশোধনী নিয়ে যখন খতিয়ে দেখা হল তখন দেখা গেল সে দেশে অবৈধভাবে বাসকারীদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা অত্যন্ত কম।

যাই হোক, যে দুইটি ইস্যু উল্লেখ করেছেন সেটা ভারতের আভ্যন্তরীন ইস্যু। আমি এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না। আশা করি ভারতের সাধারন জনগণ এবং প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো এই হিন্দুত্ববাদী আচরণের কড়া জবাব দেবে।

১৯| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভারত ছাড়া আমাদের গতি নাই।
কতিপয় লোকজন মুখে মুখেই ভারত বিদ্বেষী ভাব দেখায়।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮

আরিফ রুবেল বলেছেন: মন ও মগজ কতটা অথর্ব হয়ে গেলে মানুষ এভাবে চিন্তা করতে পারে!

২০| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: বয়কট আন্দলন খুবই শক্তিশালী একটা অহিংশ আন্দোলন। একটা উদাহরন দেই। বর্তমান জেনারেশনের শিশু , কিশোর, তরুন সবাই ম্যকডোণাল্ড , বার্গার কিং জাতীয় ফাস্ট ফুডের বিশাল ফ্যান। আমার সন্তানেরা হঠাৎ দেখি এসব খাবার আর খেতে চাচ্ছে না। অবাক হয়ে জিজ্ঞাশা করায় জানতে পারলাম যে , ম্যকডোনাল্ড ও বার্গার কিং কে বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে ইজ্রাইলকে সাপোর্ট করার কারনে (boycotting McDonalds, Burger King over support to Israel) । বড় মেয়ে ইউনিতে পড়ে । জানালো যে , তাদের বন্ধু বান্ধব সবাই বয়কট করছে এই দুই ফুড চেইন। সে জানালো এটা যে শুধু মুসলিমরা বয়কট করছে তা না , অন্য ধর্মাম্বলী ( বেসির ভাগই অবস্য ফ্রি থিংকার এদেশে) স্টূডেন্টরাও করছে। বিশ্বব্যপী এই বয়কটের ফলাফল হচ্ছে McDonald's has missed a key sales target, partly due to customers boycotting the firm for its perceived support of Israel ( BBC) । ম্যকডোনাল্ডের সিইও এখন বলে বেড়াচ্ছে যে তাদের সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে !! অর্থাৎ তারা তাদের নীতিগত অবস্থান বদল করেছে। গত সপ্তাহে বাইরে ইফতারী করতে কাছের এক শপিং মলে যাই। একটূ দেরীতে পৌছাই সেখানে। ইফতারীর সময় হয়ে গেছে তখন। বার্গার কিং এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি স্পীকারে আজান দেয়া হয়েছে !!

কাজেই বাংলাদেশে চলমান ইন্ডিয়ান পন্য বর্জন আন্দোলন যদি কঠিনভাবে চালিয়ে যাওয়া যায় , তাহলে এর একটা ইম্প্যক্ট তৈরী হবেই।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

আরিফ রুবেল বলেছেন: বয়কটে কাজ হয় কি না এটা জিজ্ঞেস করতে হবে তরমুজ ব্যবসায়ীদের আর কোকাকোলাকে। যদিও সত্য তথ্য এরা দিতে চাইবে না তবে রমজানের শুরুতে তরমুজের দাম কত ছিল আর এখন কত এবং এক লিটার কোকের দাম আগে কত ছিল এখন কত হয়েছে এটা যাচাই করলেই যেকোন শিক্ষিত মানুষের পক্ষে এটা বুঝে ফেলা সম্ভব।

ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক হোক পরস্পর বন্ধুত্বপূর্ন ও শ্রদ্ধার। ভারতের অব্যাহত খবরদারি, দাদাগিরি আর চোখ রাঙানির বিপরীতে বাংলাদেশের কতিপয় রাজনীতিকের নতজানু মনোভাব আর ভারত তোষন দেখলে রীতিমত লজ্জা পেতে হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্পিরিটের সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়ে এরা কিভাবে বড় মুখ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে আমি বুঝি না।

২১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: দেখুন, কোন কিছুর বয়কট স্লগান দিয়ে সেই পন্যের বিপনন থামাতে পারবেন না । উল্টা ওটা বেড়ে যাবে । এর থেকে ভালো আপনি দেশীয় পন্যের বিপনন বাড়িয়ে দিন । খোদ ভারতেই দেখুন এরা সব কিছ দেশীয় পন্য কেনে এবং উৎপাদনকারীও ক্রেতা বান্ধব । ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতার সমতা বিধান থাকে । বয়কট স্লোগান না দিয়ে দিয়ে দেশীয় পন্যের উৎপাদন , মান ও মূল্যের উন্নয়ন করুন দেখবেন সাধারন মানুষ বিদেশী পন্য বাদ দিয়ে দিয়েশীয় পন্যের দিকে ঝুকবে । ভারতী পন্য বর্জন করুন বলে নৃত্য করে বাকি যে আমদানি পন্য আছে তাদের বেলায় বর্জনের ডাক কেন দিচ্ছেন না । শ্লোগান টা এমন হোক বিদেশী পন্য বর্জন করুন । একটা কথা ফেইসবুক টা আগে বর্জন করুন ।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনি কি এই বয়কট শুরু হবার পর সচেতনভাবে ভারতীয় পণ্য কেনা বাড়িয়ে দিয়েছেন ? মানে ভারতীয় পণ্য বর্জনের স্লোগানে কি আপনার মধ্যে ভারতের পণ্যের প্রতি এক ধরনের অদম্য আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে ? যদি না হয়ে থাকে তাহলে শুধু শুধু দুশ্চিন্তা করবেন না।

আর দেশী পণ্য কেনার জাতীয়তাবাদী স্লোগান এখানে কার্যকর নয় কারণ যারা এই ক্যাম্পেইনের সাথে জড়িত তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে ভারতের অবস্থানকে দুর্বল করা ফলে তাদের লক্ষ্যের সাথে আপনার স্লোগান সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ফলে দেশীয় ব্রান্ডগুলোর বিক্রি বাড়ছে তাই তাদের উচিত এই ক্যাম্পেইনের পক্ষে পয়সা কড়ি খরচ করা।

২২| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

কথামৃত বলেছেন: শ্রীলঙ্কাতে ম্যাকডোনাল্ড বন্ধ হয়ে গেছে। This is the Power of Boycott!

২৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নিমো বলেছেন: কথামৃত বলেছেন: শ্রীলঙ্কাতে ম্যাকডোনাল্ড বন্ধ হয়ে গেছে। This is the Power of Boycott!
শ্রীলঙ্কায় স্থানীয় অংশীদার আবানসের সঙ্গে নিজেদের চুক্তি বাতিল করেছে ফাস্টফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডস। এতে দেশটিতে থাকা তাদের ১২টি আউটলেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) কোম্পানিটির একজন অ্যাটর্নির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।এতে বলা হয়, মান সমস্যার কারণে ম্যাকডোনাল্ডস শ্রীলঙ্কায় স্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে আবারও শ্রীলঙ্কায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে ম্যাকডোনাল্ডস
এখানে বয়কট কোথায় ? মিথ্যাচার কি অমৃতসমান হয়ে গেছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.