নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলে নেয়া ভাল, এই ব্লগের প্রত্যেকটি লেখাই আমার না, প্রয়োজনের তাগিদে কিছু বিশেষ গুরুত্বপূর্ন লিখা আমি লেখকের সোর্স সহ এইখানে কপি করে রাখি।স্রেফ নিজের প্রয়োজনের কথা ভেবে। তাতে যদি আপনার সামান্য উপকার ও কখনো হয়ে যায়,সেটা আমার জন্যে সারপ্লাস।হ্যাপি ব্লগিং !

সাদ বিন

সাদ বিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার......

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

বাঙ্গালী হিসেবে আমরা ছোট জাতি হলেও ভাবতে খুব গর্বিত বোধ হয় যে এই ছোট জাতিটিই বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় যে অবিশ্বাস্য ঘটনার সংযোজন করেছে তা হয়তো অন্য অনেক জাতিই প্রথম বারের মত শুনলে ক্ষনিকের জন্য স্তব্ধ হয়ে যাবে।হয়তো ২৬শে মার্চ,১৬ ডিসেম্বর,২১শে ফেব্রুয়ারী তারিখ গুলো আমাদের জাতিস্বত্তার সাথে অঙ্গাঙ্গিক ভাবে আজন্ম লালিত বলে এখন আর দিন গুলোর ভাবাবেগ আমাদের অনুভুতিতে শিহরনের জন্ম দেয় না।তবে এটাও আশা জনক দিক যে অনেক ইতিহাস সচেতন প্রজন্ম তৈরীর উদ্যেগ আমাদের তরুন সমাজ কে সচেতন করার মহান দায়িত্ব নিয়েছে।যারপরনাই বলতে হয় এসব গুরুত্ত্বপুর্ন উদ্যেগকে আমরা সাধুবাদ জ্ঞাপন করি।

আসলে তরুন প্রজন্মের মাধ্যমেই ইতিহাসের বিমুর্ত ঘটনা প্রবাহ গুলো পরবর্তী অনাগত জাতিস্বত্তার নিকট প্রবাহিত হবে এটাই প্রকৃতির চিরাচরিত অলংকার।আর একটা জাতির ইতিহাস যে কেবল ধ্রব সংখ্যার মতই চির অপরিবর্তনীয় তা নিশ্চয়ই নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।তবে সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজন যেখানটায় সেটা হল বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইতিহাসের প্রকৃ্ত ঘটনাগুলোর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাটাই অধিকতর চ্যালেঞ্জিং তার ধারক ও বাহক হবার দায়িত্ব অপেক্ষা।ইতিহাস রক্ষনকারীর চেয়ে বর্তমানে ইতিহাসবেত্তার সংখ্যাগত ব্যবধানটাই আমাদের নিকট লক্ষ্যনীয়।

তবে যাই বলি প্রকৃ্ত ইতিহাস জানা বা বিশ্লেষনের ব্যাপারে আমরা নিজেরাই যে আমাদের প্রকৃ্ত সাহায্যকারী এই কথাটার সাথে সবাই একমত।প্রয়োজন টা যেহেতু আপনার তাই উদ্যোগ টাও আপ্নাকেই নিতে হবে।নতুবা দেশপ্রেমিক বা সমাজসচেতন ব্যক্তিত্ব বলতে যা বোঝায় তার সাথে আমাদের দুরত্বট কেবল বিশাল বিশাল অংকের সংখ্যাগত ব্যবধানেই সীমাবদ্ধ রয়ে যাবে।

আসলে একটা অন্যরকম চিন্তাধারা থেকেই আজ কে আমি লিখতে বসেছি।জানিনা আপনার ব্যাপারে কারনটা কতটুকু সত্যি কিন্তু আমাকে ব্যাপারটা প্রায় সময় ই চিন্তাগ্রস্ত করে।ইতিহাসের অনিবার্য উপাখ্যান তখনি হয় বা তখনই এটা ইতিহাস হিসেবে আমাদের দ্বারা মূল্যায়িত হয় যখন আমরা এটার দ্বারা অর্জনীয় বা শিক্ষনীয় কিছু লাভ করতে পারি।অথবা বলা যেতে পারে,তাই হচ্ছে ইতিহাস যা দ্বারা আমরা দেশপ্রেম সম্পর্কে নতুন ভাবে চিন্তা করার খোরাক খুজে পাই।এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত কারন কোন কিছুকে নিজের মত করে বিশ্লেষন করার শক্তিই আপনাকে প্রকৃ্ত নির্যাসটুকু উপভোগে সহায়তা করে।

আর আমার এই বিশ্লেষনের আঙ্গিকে আমি যে ঘটনাটাকে ইতিহাসের মর্যাদায় সম্মানিত করতে চাই সেটা হল ২৫ও২৬ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ এ ঘটে যাওয়া কলংক জনক হত্যাকান্ড।আসলেই কি এটা ইতিহাস নয়? আপনি কি মনে করেন?

একটি দেশ এর সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষার যে মহান দায়িত্ব অর্পিত বাংলাদেশ রাইফেলসের হাতে আমরা চরম বিশ্বস্ত মননে সঁপে দিয়েছিলাম এবং যে বাহিনী আমাদের দেশমাতৃকার প্রয়োজনে সীমান্তের প্রতিটি ধুলিকনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেই বাহিনীকে অকার্জকর করার প্রচেষ্টা কেন নেয়া হয়েছিল সেইদিন?কেনই বা আমরা দেশের ৫৭ জন সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান কে চোখের পলকে হারিয়ে ফেললাম?সেই প্রশ্নটাই বার বার আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে।

বার্ষিক বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আমরা সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গত উন্নয়নে ব্যয় করি,আর সেই বাহিনী তার মেধা,শ্রম এর সর্বস্বটুকু দিয়ে তিলে তিলে এক একটা অফিসার কে তৈরী করে যাদের নেতৃত্বে বপিত হয় দেশমাত্কার সম্ভ্রমের আঁচল তাদের কে কেন নির্মম এই হত্যাকান্ডের দ্বারস্থ হতে হল তার জবাব আমরা এখন ও খুজে বেড়াই।

ছাড় দিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা করছে না।২৫শে ফেব্রুয়ারী ঢালাও ভাবে প্রচার করা হল যে সাধারন সৈনিকের নুন্যতম কিছু চাহিদার বৈপরীত্বে তারা তাদের ই অফিসারদের বিরুদ্ধ্যে অস্ত্র ধরেছেন।কই তাহলে ফেলে আসা এই ৩ টা বছরে কেউ তো আর এ ব্যাপারে কোন কথাই তোলেনি।মুন্নী সাহার সেই আওয়াজ কি এখন আর হত্যার বিপরীতে কন্ঠ দিতে পারে না? তিনি তো সেই দিন বহু ক্যাপশন লাইভে ধারন করেছিলেন।দেশপ্রেমের ট্রেনিং নেয়ার উৎস নিয়ে তো তিনি এখন ও চিরযৌবনা।তবে ঠিক এইব্যাপার টিতে তিনি কেন নীরব হয়ে রইলেন তা নিয়ে কি প্রশ্ন আসা অস্বাভাবিক কোন কিছু?

দেশের সর্ববৃহৎ ফোর্সের যদি এই বাস্তবতাকে মেনে নিতে হয়,এতো বড় বড় ইন্টেলিজেন্স স্কোয়াড কেই যদি এই পরিস্থিতিতে নির্বাক থাকতে হয় তবে আমরা কি নিতান্তই নগন্য কিছু নই?

বস্তুত আমরা নিজেদেরকেই নিজেরা মূল্যায়ন করতে শিখিনি।প্রতিবছর ২৫শে ফেব্রুয়ারী এসে চলেও যায় তার স্বাভাবিক গতিতে কিন্তু আমরা জাতিকে সন্তুষ্ট করতে পারি নি এই ঘটনার নেপথ্যের কোন খলনায়ককে আবিস্কার এর মাধ্যমে...বরঞ্চ সেলিব্রেশনের মাধ্যমেই আমরা এখনো পরিতৃপ্ততার স্বাধ খুজতে চাই।দু একটা বঙ্কুকের গুলির আওয়াজ ই কি তাদের আত্নার শান্তির উৎস হতে পারে?

আপনি বলতে পারবেন পিলখানা বিদ্রোহের পর আমরা শহীদদের কে হায়দার হোসেনের সেই গান টা বাদে আর কিছু দিয়েছি?..."বুকের ব্যথা বুকে চাপা নিয়ে নিজেকে ধিক্কার ই আমাদের শ্রদ্ধা প্রকাশের উপকরন মাত্র?

আমরাই তো ইতিহাস নিয়ে কত বড় বড় বিতর্কের ঝড় তুলেই নিজেদের কে কাভার্ দেই কিন্তু কয়জন মানুষ আছেন যারা এই নির্মম ঘটনার প্রকৃ্ত ইতিহাস উন্মোচনে প্রত্যয়ী?বা কয়জন বুদ্ধিজীবিকে পাওয়া যায় এটার ব্যাপারে অনুসন্ধানে মগ্ন রয়েছেন?কোন একটি টকশোতে টপিক্স সিলেক্ট করে সেই বিষয়ে ঘণ্টা দুয়েক প্রানবন্ত আলোচনা না করে দেশের প্রগতিকে অর্থবহ করার ব্যাপারে কয়জন ব্যাক্তিগত ভাবে কাজ করছেন তা কি আমরা তরুন সমাজ তাদের কাছে জানার অধিকার রাখি না?

আসলে লেখার সময় অনেক আবেগ কাজ করেছে তাই সব কিছু গুছিয়ে লিখতে পারিনি।।তবুও আমার এই লেখাটার মাধ্যমে যদি একটি মানুষও এই

ঘটনাটা নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করার এবং প্রকৃ্ত ইতিহাস উদঘাটনে আগ্রহ প্রকাশ করেন তবেই অনেক স্বার্থক মনে করব নিজেকে...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.