![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকটা সময় পার করে আসলাম এই জীবনের।কখনো প্যারাডক্স মনে হয়েছে, কখনো নদীর জোয়ারে ভেসে গেছি দূর থেকে দূরে, বহুদূরে।রোদ বৃষ্টির খেলায় কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত জয় পেয়েছি,আর কখনোব প্রত্যাশার স্পর্ধা তুচ্ছ করে ভিজিয়ে গেছি অতি আপন কিছু মুখগুলো। একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াটাকে স্বপ্নের মত মনে হত।এখন সেই ফিলিংস গুলো নেই।আসলে পেয়ে যাওয়া ব্যাপারগুলোর আসক্তি কিভাবে যেন কমে যায় আস্তে আস্তে করে।ছন্নছাড়া মুভি দেখা সময় গুলো, ক্যান্টিনের ধরাবাধা সিংগারা কিংবা তেহেরি, অথবা টিউশনির সময় গুলো খুব বেশী অসাধারন মনে হয়নি কখনো। একলা মানুষের আসলে একটা ভাল হেডফোন থাকলেই অনেক বেশী রিল্যাক্স লাগে। তবে এটা ঠিক, খুব কাছের কিছু বন্ধু পেয়েছি এই জীবনে।সেই স্কুল লাইফ হোক, কিংবা কলেজ ভার্সিটি ই। ওদের সব কথা বলা যায়, ভাব মারলেও কেমনে জানি বুঝে ফেলে ওরা, আবার মন খারাপের সময়গুলোতেও কেমন বদমাইশি করে ঠিক করে ফেলে মুডটা।চমতকার। হয়ত আরেকটু খারাপো হতে পারত ওদের ছাড়া। হলের পোলাপান গুলা আরো মজার। বাবা মা ছাড়া একটা লাইফ কেবল ওরাই পারে জীবন দিতে।আজ থেকে একটা বছর পর হয়ত আবার এই বন্ধুগুলোকে হারিয়ে ফেলব কিলোমিটারের দূরত্বে, পরপারের দূরত্বে ও চলে যেতে পারি হয়ত। কিন্তু এই ছোট্ট জীবনে কতগুলো ভালোবাসা পেয়েছি, কতগুলো ভাইবোন পেয়েছি যাদের কাছে রক্তের সম্পর্কও তুচ্ছ হয়ে যায়। অনেক ঋনি হয়ে রইলাম এই সম্পর্কগুলোর কাছে।
আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি ।টাইম মেশিন হাতড়ালে মনে পড়তে থাকে পরীক্ষার আগের রাতে হন্য হয়ে পড়া বুঝে নিতে যাওয়া সেই ছেলেটাকে অথবা বৃষ্টির দিনে ছাতা নিয়ে হয়রান করা সেই ছেলেটাকে। আচমকা টিঊশনির খবর পেয়ে আনন্দে করা সেই ছেলেটাকে অথবা গোসল করে আসার আগেই রুমে তালা মারা সেই ছেলেটাকে।আরো মনে পড়ে বিরিখোর সেই ছেলেটার বিপদে এগিয়ে আসা কিংবা কখনো ইচ্ছাকৃত প্যারা খাওয়ানো সেই ছেলেটাকে! সময়ের দর্পনে আজ ওরাই কেহ বন্ধু হয়ে গিয়েছে, আর কেহ ভাই, মায়ের পেটের ভাই।
আগের বন্ধুগুলোর সাথে এই তিন বছরে যোগ হওয়া বন্ধুগুলোকে যোগ করলে হয়তো আমি একটা জাহান্নাম পেয়ে যাবো, যেখানে শাস্তি হল পেট ফাটিয়ে হাসা।ভালই আছি, তোদের গজবে
আজীবন থাকবি তো মামা এভাবেই?
©somewhere in net ltd.