নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলে নেয়া ভাল, এই ব্লগের প্রত্যেকটি লেখাই আমার না, প্রয়োজনের তাগিদে কিছু বিশেষ গুরুত্বপূর্ন লিখা আমি লেখকের সোর্স সহ এইখানে কপি করে রাখি।স্রেফ নিজের প্রয়োজনের কথা ভেবে। তাতে যদি আপনার সামান্য উপকার ও কখনো হয়ে যায়,সেটা আমার জন্যে সারপ্লাস।হ্যাপি ব্লগিং !

সাদ বিন

সাদ বিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নো মোর 'আই হেইট পলিটিক্স "

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

(আব্বু আম্মু বলছে অনলাইনে রাজনীতি নিয়া মাতামাতি না কর্তে! রাজনীতির ভিত্রে ভিত্রে পলিটিক্স ! তাই আমি বিস্কুট নিয়া লিখি! আগামীকাল মুড়ি নিয়া লিখব! পরশু চানাচুর!বাল ছাল নিয়া লেখলে অনেক লাইক পাওয়া যায়। মেইন যেহেতু লাইক পাওয়া,তাই এখন থিকা কটকডি, পিতলের বালতি ইত্যাদি সব কিছু নিয়াই লেখপ!

এখন থেকে ফেসবুকে বালো বালো প্রফাইল পিক খিচে আপ্লুড মারপ! কত্ত কত্ত লাইক, এত্ত এত্ত মচা!কত্ত আলুন্দ আমারর!



ইশশস!এত বালো লাগে কেরে? ?? :D )







...সত্যি কথা বলতে, একটা ছেলে বা মেয়েকে রাজনীতি নিয়ে কেউ লেখতে দেখলে প্রথমেই তার ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়া ভাবাভাবি শুরু কইরা দেয়! আপনি ভালো একটা সমালোচনা করতে যান, যৌক্তিক কথাই লেখেন, তাতে ফ্রেন্ডলিষ্টের মধ্যকার মানুষগুলোর মধ্যে দুরত্বই তৈরি হয়।মাঝে মাঝে দুরত্বটা ব্লকলিষ্টের মাত্রায় গিয়ে ঠেকে!



সোশ্যাল মাধ্যম গুলো যতটা ওপেনলি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, ঠিক ততটাই অন্তর্দন্দের বেড়াজাল কে করেছে বিস্তৃত।ধরুন আপনি ডানপন্থী ঘরানার রাজনীতিতে বিশ্বাসী।তো এটা তো আর আপনি রাস্তাঘাটে চিল্লায় বলতে যাবেন না!সমাজের পরিধি বড় হবার সাথে সাথে বাড়তে থাকে তার জগত।বাড়তে থাকে ভিন্ন মতের মানুষ। কিন্তু এই মিডিয়া গুলো এসে যাওয়ার পরেই, মূলত দ্বন্দের শুরু! স্কুলবেলার যে ছেলেটার সাথে আপনার অন্তরাত্তার সম্পর্ক ছিল, তার সাথেই আপনি ফেসবুকে ফ্রেন্ডলি থাকতে পারছেন না।



কারন?

সে আপনার মত কে তুচ্ছ করে কথা বলে!



আলটিমেটলি, ফলাফল দাড়ায়, যাকে আপনি দুই বছর আগেও পিঠ চাপড়ে দৌড় দিতেন, তার মানিব্যাগ নিজের মনে করে ইউজ করতেন, এখন সেই তাকে দেখলেই আপনি উল্টা দৌড় দেন। ইস্যু পেলেই ফেসবুকে একটু চুলকাই দেন।

বন্ধুত্ব আর থাকুক না থাকুক,দিনশেষে দৌড়াদৌড়িটাই অন্য সবাই দেখতে পায়।



আরেকটা দিক একটু হাইলাইট করি।এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো আসার পর থেকে মানুষ কিন্তু খুউব তাড়াতাড়ি এবং সাইলেন্টলি মোটিভেটেড হচ্ছে।ঘরে ঘরে গিয়ে মাইকিং করে ভোট নেয়া, আর মানুষের ওপেন মতামত এনালাইজ করে সিদ্ধান্ত নেয়া, দুইটার মধ্যে পরেরটাই বেশী গ্রহনযোগ্য ও বাস্তব।এই দিক থেকে এটার রাজনৈতিক গুরুত্ব যে অবহেলা করবে, তার ফল ডাউনটা একদম প্রাকটিকাল!



যাই হোক,এতকিছুর পরেও ব্যক্তিগত ভাবে আমি রাজনীতি সচেতন মানুষদের পক্ষে! ( রাজনীতিক দের না, রাজনীতি সচেতন দের! ) ।এই লোকগুলোই আগামীদিনে দেশের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করবে বলে আমার মনে হয়। অন্যায় কে যে সামনা সামনি অন্যায় বলবে, তাকেই দরকার এ দেশটার। অন্তত আই হেইট পলিটিক্স বলে, পেশাদার দলকানা, কিংবা দুর্নীতিবাজ দের কে সুযোগ করে দেয়ার কোন মানে হয় না...







..ব্রুস উইলিস এর একটা মুভি দেখেছিলাম এতক্ষন। টিয়ারস অব দ্যা সান। ওই মুভির ই লাষ্ট লাইন টা বলে শেষ করছি ষ্ট্যাটাস...



"The only thing necessary for the triumph of evil is for good men to do nothing"...



(পুরোটা কষ্ট করে যারা পড়লেন,কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতি...)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.