![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরুষজাত্বাভিমান কেই যারা ধর্ষন এর অন্যতম প্রধান কারন হিসেবে উপস্থাপন করতে চান, অথবা পশুশুলভ পুরুষত্ব কে নারী সম্মানের পথে হীনকর বলিয়া ষ্ট্যাটাস পয়দা করছেন,অথবা নারী পোশাককে ধর্ষনের পক্ষে যথেষ্ঠ যৌক্তিক বলিয়া মানিতে যাহাদের চুলকানি উপলব্ধি হয়,নীচের কথাগুলো তাদের প্রতি:
...আপনার যুক্তিতে যথেষ্ঠ শিক্ষায় শিক্ষিত কোন মানুষ নারী মানহানি করিতে পারে না,এই বোধ নিয়া আমি আপনাকে আমেরিকার দিকে তাকাইতে বলি, তাহাদের শিক্ষার হার এর দিকে তাকাইতে বলি, তাহাদের নারীদের ড্রেস আপ ট্রেন্ডগুলো ভাল করিয়া পর্যবেক্ষন করিতে বলি।
তাহারা কি বাংলাদেশ অপেক্ষা বেশী শিক্ষায় শিক্ষিত নয়? তাহাদের চলাফেরা কি আমাদের চাইতে অনেক বেশী ওপেন নয়? তাহাদের দেশে এট দ্যা সেইম টাইম আমাদের চেয়ে অনেক বেশী ধর্ষন হচ্ছে না?
...আরেকটা তুলনা হইতে পারে এইখানে।ধরুন একটা রাস্তায় দুইজন মহিলা হাটতেছে।এদের একজন ফুল ইসলামিক ড্রেইস আপড, আর আরেক জন এক্সপোসিং। তো রাস্তায় যদি কোন বখাটে ছেলে তাদের আক্রমন করিয়া বসে, তা কার উপরে আগে ঘটিতে পারে বলিয়া মনে করেন?অথবা একজন সাধারন পুরুষ কোন নারী টাকে বেশী সম্মান করে কথা বলবেন বলে মনে হয়? ড্রেস আপ ফ্যাক্ট টা এখানে চিন্তা করে দেখুন তো!
এই উত্তরগুলো আমি আশাকরছি।
আর বাংলাদেশ ন্যারেটিভে আমি আরো একটা ব্যাপার এখানে উল্লেখ করি।আমরা যেহেতু মুসলিম প্রধান দেশ, তাই এটা আমি ধরে নিতে পারি যে আমরা ধর্মীয় ব্যাপার গুলো ততটা পুংখানুপুনখ ভাবে না মানলেও আমরা এই দিকটায় যথেষ্ঠ শ্রদ্ধাশীল। এইটুকু কে ম্যাটেরিয়ালাইজ করলে আমি আরো একটু শিওর হতে পারি যে আমরা মৃত্যু পরবর্তী জীবনটাকে সিরিয়াসলিই বিশ্বাস করি।
ধরা যাক এক্টা মেয়ে মোটামোটি ওপেনলি চলাফেরা করে।আর অন্য একটা মেয়ে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ড্রেস আপ মেন্টেইন করে।দুটি মেয়েই একসিডেন্টালি ধর্ষনের শিকার হইল। এখন কথা হইল, ইসলাম ধর্ম পরের মেয়েটাকে ভিক্টিম বললেও আগের মেয়েটাকে অবশ্যই তার ড্রেসাপের ব্যাপারে জানতে চাইবে।অবশ্যই !
সুতরাং এই দুনিয়ায় যা খুশি তাই করো, নিজের মত চলাফেরা কর, ইত্যাদি ইত্যাদি মানববোধ নিয়া যাহারা ইহকাল পরকাল উভয়কালেই হাই স্কীম কম্ফোর্ট্যাবিলিটি চিন্তা করে বসে আছেন তারা কতটা অলীক স্বপ্নলোকে বিভোর তা সুস্থ মস্তিস্কে অল্প একটু চিন্তা করিলেই বোঝা যায়!
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে তা উপলব্ধি করে উত্তম ভাবে বেচে থাকার ও চলাফেরা করার তাওফিক দিন।
২| ১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
নিজাম বলেছেন: আমাদের সবাই যদি এইভাবে বুঝতাম তাহলে নারী নির্যাতন অনেক কমে যেত।
৩| ১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: একটা প্রশ্ন---- পোশাক বা ধর্মীয় অনুশাসন যদি ধর্ষণে বাধাদানে নিয়ামকের ভুমিকা পালন করে, তাহলে সেকুলার ইউরোপ বা অ্যামেরিকান সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরা প্রতিটি মেয়ের ধর্ষিত হওয়ার কথা, বাস্তবে তাতো হচ্ছে না। গ্রামের বা গার্মেন্টসে কাজ করা নিরীহ শালীন পোশাক পরা মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের স্বীকার হয়। ছোট ছোট বাচ্চা মেয়েরা যাদের না আছে রুপ না আছে যৌবন না আছে অশালিন কোনও পোশাক তারাও নির্যাতনের স্বীকার হয়। এর কারণ কি?
ধর্মীয় বিধি নিষেধ বা ট্যাবুর ফলে ছেলে মেয়ের দূরত্ব তৈরি হয়, একটা অজানা আকর্ষণ বাড়ে। এটাও হতে পারে ধর্ষণের অন্যতম কারণ।
৪| ১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৬
সাদ বিন বলেছেন: ..হ্যা অস্বীকার করার উপায় নাইই যে বিকিনি পরা মেয়েরা বীচে বসে ধর্ষিত হয় না।কিন্তু ওভারঅলি আপনি ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোর সাথে আমাদের দেশের বিক্কৃত যৌনাচার এর সমীক্ষা চালিয়ে দেখুন।নগ্নতার মাত্রা কতটা ভয়াবহ, সাথে নারী সম্মানের ব্যাপারটাও লকক্ষ্য করুন।কারা এগিয়ে।ধর্মীয় বিধিবিধান এর ফলে দুরত্ব তৈরী হয়, সেই দুরত্ব কমাতে সাহায্য করে পশ্চিমা পর্ণ সাইট গুলো।তো লব্ধি কোন দিকে যাবে রে ভাই? আপনি সম্মপুর্ন ধর্মীয় অনুশাসনে বড় হওয়া একজন যুবকের সাথে কখনোই কোন বিক্কৃত যৌনবোধে বেড়ে ওঠা যুবকের আদর্শগত তুলনা কোন দিনই করতে পারেন না।পার্থক্যটা সুস্পষ্ট!
৫| ১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
সত্য৭৮৬ বলেছেন: হুম!! ধর্মীয় অনুশাসন মানার পাশাপাশি ধর্মীয় বিধান মতে শাস্তি কার্যকর করা লাগবে- তা হলেই আস্তে আস্তে সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
তখন যারা আদর্শবান তারা যেমন শান্তিতে থাকতে পারবে, তেমনি যারা শয়তানরে চ্যালা তারাও মনে মনে চাইলেও ফিজিকালী ধর্ষন করার পথে পা বাড়ানোর সাহস পাবে না।
৬| ১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
সত্য৭৮৬ বলেছেন:
@রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: //ধর্মীয় বিধি নিষেধ বা ট্যাবুর ফলে ছেলে মেয়ের দূরত্ব তৈরি হয়, একটা অজানা আকর্ষণ বাড়ে। এটাও হতে পারে ধর্ষণের অন্যতম কারণ।//
ধর্ম মানবেন অথচ ধর্মীয় বিধি নিষেধ মতে ছেলে-মেয়েদের দূরত্ব বজায় রাখাতে না বলে, বরং কাছাকাছি এসে অজানা আকর্ষণ দূর করার পরামর্শ দেবেন- কেমনে? বিষয়টা কি পরস্পর বিরোধী নয়?
৭| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:০২
সাদ বিন বলেছেন: সত্য ৭৮৬, ভাইয়া, সুন্দর বলেছেন।
৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩২
মাহমুদুল করিম লিংকন বলেছেন: বোরখা ছাড়া মেয়ে দেখলেই দারায়া যায় তাদেরকে পাবনায় ট্রান্সফার করা যেতে পারে!!!
ডোন্ট টিচ দেম হোয়াট টু ওয়ার, টিচ ইউর সান নট টু টিজ, ইট ওইল বি মোর দ্যান এনাফ,
আর শুনেন ভাই, এমেরিকা হইলো এমন একটা দেশ যেইটা ২ টা মহাদেশ একসাথে নিয়া তৈরি হইছে, পপুলেশন বেশি, রেপ এর হার ও বেশি!!! হাজার বছর আগের ধ্যানধারনা বাদ দিয়ে বাস্তবটাকে কোপআপ করে নেয়াটাই ভাল। কন্ট্রোল ইউর ইমোশন!!! আপনার মেন্টাল প্রবলেম টা আপনি আরেকজনের উপর চাপায়া দিতে পারেন না।
৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১১
নতুন বলেছেন: ধষ`ন কেন করে? কারা করে?
কখনো দেখেছেন যে গরিবের ছেলে কখনো বড়লোক/নেতা/পুলিশ/বড় ব্যবসায়ীর মেয়েকে টিজ করেছে বা ধষণ করেছে???
ধষ`ন কারী সব সময়েই দূবল নারীকে খুজে নেয়...তার শিকারের জন্য... এটা হত্যার মতনই অপরাধ...
বিদেশে ধষ`নের রিপোট বেশি হয় কারন ঐখানে স্ত্রীও নিজের অমতে যৌনক্রমে বাধ্য করা হলে ধষনের জন্য রিপোট করতে পারে...
আমাদের দেশের যেই সব ধষনের ঘটনা হয়... সেখানে কারা বেশি শিকার হয়?
গরীবের মেয়েরা...
এখন গরীবের মেয়েদের কয়জন যৌন উত্তেজক পোষাখ পড়ে রাস্তায় চলাফরা করেন?????
আপনার চারপাশের মেয়েদের সাজগোজ একটু দেখবেন.... গরীবের কি পোষাখ.... তারা খুবই স্বালীন পোষাখই পরে....
কিন্তু সমাজের বখাটেদের সাজার ব্যবস্হা হয়না বলেই সমাজে ধষন হয়....
দুনিয়াতে অন্যসব ধমের মানুষেরা কেন আমাদের দেশের চেয়ে কম ধষন করে?
নিচের অনুস্ঠান দেখেন... গবেষনা করেই বানাইছে...
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
মুঘল সম্রাট বলেছেন: ১০০% হক কথা বলেছেণ।
আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবুদ নাই। মোহাম্মদ (সা: ) আল্লাহর রাসুল।