নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলে নেয়া ভাল, এই ব্লগের প্রত্যেকটি লেখাই আমার না, প্রয়োজনের তাগিদে কিছু বিশেষ গুরুত্বপূর্ন লিখা আমি লেখকের সোর্স সহ এইখানে কপি করে রাখি।স্রেফ নিজের প্রয়োজনের কথা ভেবে। তাতে যদি আপনার সামান্য উপকার ও কখনো হয়ে যায়,সেটা আমার জন্যে সারপ্লাস।হ্যাপি ব্লগিং !

সাদ বিন

সাদ বিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজাকালীন সময়ে ঔষধ গ্রহন সম্পর্কিত জরুরী তথ্য

৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

জেনে নেয়া যাক রোজাকালীন সময়ে ঔষধ গ্রহন সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যাদিঃ



***যে সব কারনে রোজা ভংগ হয় নাঃ

১.চোখের অথবা কানের ড্রপ ব্যবহার করলে।

২.শক্তিবর্ধক নয় এমন সাপোজিটরী( যেমন জ্বরের জন্য যেটা দেয়া হয়) ব্যবহার করলে।

৩.নাকের ড্রপ যদি অল্প হয় এবং জানা থাকে যে তা গলায় পৌছবে না,তবে তা ব্যবহার

করা যাবে।

৪.ডায়াবেটিসের রোগী জরুরী কারনে রোজা অবস্থায় ইনজেকশনের মাধ্যমে ইন্সুলিন

নিতে পারবে।

৫.মিসওয়াক,টুথব্রাশ,বা পেষ্ট ব্যবহার অথবা দাত ফিলিং করা বৈধ।

৬.দেহের কোন অংশে ক্যাথেটার কিংবা ক্যামেরা প্রবেশ করানো বৈধ,যদিও বা তা মুখ

দিয়ে প্রবেশ করানো হয়।

৭.জ্বিহবার নিচে রাখা হয়এমন বক্ষব্যাধির ঔষধের কোন অংশ গিলে না ফেললে তা মুখে

রাখা সাওম ভংগকারী নয়।

৮.সাধারনত গ্যাসীয় ইনহেলার দ্বারা সাওম ভংগ হয় না।

৯.অক্সিজেন গ্রহন সাওম ভংগ করে না।

১০.কিডনী ডায়ালাইসিসের সময় যদি শুধু রক্তকে পরিস্কার করা হয় এবং এতে

শক্তিবর্ধক দ্রব্য কিংবা নতুন রক্ত যোগ করা না হয়,তবে সাওম ভংগ হবে না।



***যে সব কারনে রোজা ভংগ হয়ঃ

১.রক্তগ্রহন সাওম ভংগ করে ।

২.ক্যাপসুলচূর্ন কারী ইনহেলার সাওম ভংগকারী।

৩.নেবুলাইজার ব্যবহারে সাওম ভংগ হবে।



আল্লাহতালা আমাদের জন্য এমন কোন জিনিস চাপিয়ে দেননি, যা আমাদের সাধ্যের

বাইরে।এ প্রসংগে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেঃ



আল্লাহ তোমাদের সহজতা চান এবং কাঠিন্য চান না। (বাকারাঃ১৮৫)



উপরোক্ত ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে,আল্লাহ আমদের প্রতিটি রোজা পরিপূর্ন ভাবে পালন

করার তাওফীক দান করুন ।



আমীন

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

মদন বলেছেন: তথ্য সুত্র জরুরী ছিলো।

২| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

সাদ বিন বলেছেন:

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

অস্তমিত সুর্য বলেছেন: যেসব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় এবং শুধু ক্বাযা ওয়াজিব হয়

নিম্নলিখিত কারণসমূহে রোযা ভঙ্গ হয় এবং তার জন্য শুধু ক্বাযা আদায় করতে হবে, কাফফারা দিতে হবে না। সেগুলো হচ্ছে:
১. ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করলে।
২. আহলিয়াকে বুছা বা স্পর্শ করার কারণে মনি নির্গত হলে।
৩. কোন অখাদ্য বস্তু তথা পাথর, লোহার টুকরো, ফলের আঁটি ইত্যাদি গিলে ফেললে।
৪. স্বাভাবিক স্থান ব্যতীত অন্যস্থানে মেলামেশায় মনি নির্গত হলে।
৫. জোরপূর্বক রোযাদারকে কিছু খাওয়ানো হলে।
৬. ভুলক্রমে কিছু খেতে আরম্ভ করে রোযা ভঙ্গ হয়েছে মনে করে পুনরায় আহার করলে।
৭. কুলি করার সময় পেটে পানি চলে গেলে।
৮. প্রস্রাব -পায়খানার রাস্তায় ওষুধ বা অন্য কিছু প্রবেশ করালে।
৯. রাত মনে করে ছুবহি ছাদিক্বের পর পানাহার করলে।
১০. সন্ধ্যা মনে করে সূর্যাস্তের পূর্বেই ইফতার করলে।
১১. মুখে বমি এনে পুনরায় তা পেটে প্রবেশ করালে।
১২. দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্য কণা বের করে খেয়ে ফেললে।
১৩. শরীরের কোন ক্ষতস্থানে ওষুধ লাগানোর ফলে তা ভেতরে প্রবেশ করলে।
১৪. রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, ইনহেলার, স্যালাইন, ইনসুলিন ইত্যাদি ব্যবহার করলে।
১৫. নাকে বা কানে তেল বা তরল ওষুধ প্রবেশ করালে।
১৬. আগরবাতির ধোঁয়া নাকে প্রবেশ করলে।
১৭. রোযা রেখে পেস্ট, কয়লা, পাউডার, ছাই ইত্যাদি যে কোন প্রকার মাজন দ্বারা দাঁত মাজা মাকরূহ। এগুলোর সামান্য অংশও যদি গলায় প্রবেশ করে তাহলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এছাড়া সর্বাবস্থায় গুল ব্যবহার করা হারাম। কারণ গুল মাদকদ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত।
১৮. রাত্রি বাকি আছে মনে করে ছুবহি ছাদিক্বের পর পানাহার করলে বা নির্জনবাস করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.