এলোমেলো ! আগোছালো !

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১০

...রাত জাগা স্বপ্নের কথা ভাবছি। ভোর হতে ঘন্টা দুয়েক বাকি, তাই ভাবছি ।কি ভাবছি? কালো দেয়াল পেড়িয়ে সবুজ মাঠে দৌড়ে বেড়ানোর কথা? না ঘন বর্ষায় সদ্য ভিজে ওঠা সেই স্কুল বেলার কথা? ঐতো সেদিন চোখে চশমা নিয়েছি, ঝাপসা শহরটাকে শুধু একটু ভালো দেখবো বলে ! পিচ ঢালা রাজপথের ঘন কয়লার ঘ্রান শুঁকে বেড়ানোটা বোধ হয় বিলাসিতা!ওটা বাদ দিচ্ছি! কিন্তু আমার টং এর দোকানের বিস্কুট? তার কি হবে? ওটা যে ভিজে গলে গলে যাচ্ছে !





এখন থেকে আর ৫ টা বছর পরে এই কথাগুলোয় আমি অতীত খুজে ফিরবো।অনেকে থাকবে , অনেকে নিজেই আবার অতীত হয়ে যাবে।স্বপ্নের কারিগর কারো স্বপ্ন কেড়ে নেবে,আর কারো কাছে যাবে স্বপ্ন বিক্রেতার বেশে ! কিন্তু দিন শেষে সেই তুমি রবে আগের মতই! একা।বড় একা !





পাঁচ টাকার কয়েনে তুমি সুখ কিনতে পারো না।কিন্তু এই কয়েন রেলের নীচে রাখলে সে চ্যাপ্টা হয়ে যায় ! আর তুমি হাসো! সুখ কি খুব দুর্লভ বন্ধু?



দশ বারো বছর আগের সেই কাদাঁমাটির রাস্তা আমাকে আছাড় খাইয়েছে। সেই রাস্তা আজ বড় পরিনত।কিন্তু সে তো আমায় হাটতে শিখিয়েছে ! হই কি করে অকৃতজ্ঞ আমি তার কাছে ?





টাইম মেশিন কোন ভাবেই থেমে থাকছে না।কোন মানুষের অনুপস্থিতিতেই সে চিন্তিত নয়।থমকে যাওয়া মুখগুলোকে পীষে চলে যাচ্ছে আপন গতিতে। অনেকটা স্বার্থপরের মত ! আর এত কিছুর পরেও থেমে নেই স্বপ্ন বোনা কারিগরেরা! এটা কি খামখেয়ালি? না হয়ত। শঙ্খচিলের স্বপ্নেরা তো এমনি হয় !





( রাত ৩.২১ মিনিটে লেখা কিছু আগোছালো কথা। ছিরি দেখলেই বোঝা যাবে,ক্ষুধাতুর মন এখন সেহরী খাইতে চায়! কারো জন্য লেখা না,কাউকে ঊদ্দেশ্য করেও না! অনেক দিন যাবত আমি কৃতজ্ঞতার ভাষা খুজে বেড়াচ্ছি। পাচ্ছি না।হচ্ছে না।মহকালের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।জীবনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ ! কিন্তু এ কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমি জানি না।প্রকাশ হয় না। এলোমেলো হয়ে যায়।এখন হচ্ছে ! সামনেও হবে... )

০ টি +০/-০