নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলে নেয়া ভাল, এই ব্লগের প্রত্যেকটি লেখাই আমার না, প্রয়োজনের তাগিদে কিছু বিশেষ গুরুত্বপূর্ন লিখা আমি লেখকের সোর্স সহ এইখানে কপি করে রাখি।স্রেফ নিজের প্রয়োজনের কথা ভেবে। তাতে যদি আপনার সামান্য উপকার ও কখনো হয়ে যায়,সেটা আমার জন্যে সারপ্লাস।হ্যাপি ব্লগিং !

সাদ বিন

সাদ বিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ন্যায়বিচারকে সামনে রেখে, শুরু হোক নতুন পথ চলা

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

রাসূলুল্লাহ (পড়ুন সাঃ) তখনো নবুওত এর সুসংবাদ পান নাই।আর আমরা সবাই জানি নবুওত এর আগপর্যন্ত এরাবিয়ান ঐ কালচার টাকে বলা হইতো " আইয়ামে জাহিলিয়্যা" বা অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ। কি হইতো ঐ যুগে?না না, বেটার উলটা কইরা বলি, কি না হইতো ওই যুগে? নিজের বৌরে মানুষ অন্য পুরুষের যৌন সম্ভগের পাত্রী বানাইতো।একেক টা মহিলা বেশ কয়েকজন পুরুষের সাথে একসাথে রাত্রি যাপন করতো, সেই যুগের নাম আইয়্যামে জাহিলিয়্যা।পাওনাদারের হক্ব, থোরাই কেয়ার করতো কম্পারেটিভ উচ্চবংশীয় লোক জন।জীবন্ত ছোট্ট ফুলের মত মেয়েকে মাটিচাপা দিত, সেই যুগের নাম হচ্ছে আইয়্যামে জাহিলিয়্যা। আর সেই যুগের নবী, আমার প্রিয় নবী,সাইয়্যেদুল মুরসালীন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) !

নবুয়তের আগে তিনি কেমন ছিলেন? চলমান এরাবিয়ান কালচারকে কি এডোপ্ট করছিলেন? নাকি ব্যাথিত হয়েছিলেন চলমান সেসব অনাচারের প্রতি। মনে মনে চিন্তা করেছিলেন কী ভাবে এসব কলিময়তার হাত থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়?

যারা রাসূলুল্লাহর (সাঃ) এর লাইফ হিষ্ট্রি নিয়ে একটু হলেও পড়া শুনা করেছেন ,তারা জানেন, তিনি নবুয়তের আগে, "হিলফুল ফুজুল" নামের আকটি শান্তিকামী সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। চলমান অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে আজন্ম নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় হওয়া প্রিয় রাসুলের জন্যে সেটাই ছিল একটা সুপার ন্যাচারাল ইভেন্ট।

কি করতো সেই শান্তি কামী হিলফুল ফুজুল? তাদের মোরাল গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল,পাওনাদারের হক কে প্রতিষ্ঠিত করা।যোগ্য পাওনাদার কে তার প্রাপ্যটা ফিরিয়ে দেয়া। অন্যায় বশত কোন মানুষ অন্যের হক্ব নষ্ট করলে সেটা প্রটেষ্ট করা,এট এনি কষ্ট ইট ডীলস !

এইরকম একটা ন্যায়ের সংগঠনের প্রতি রাসুলুল্লাহ্র মোরাল ষ্ট্যান্ড এতটা শক্ত ছিল, যে তিনি খিলাফাতের পরেও বলেছিলেন, আমাকে যদি কেউ এখনো এরকম কোন সঙ্গগঠনের দিকে ডাকে,আমি সাড়া দেব ! যদি সে আবেদন টা কোন অমুসলিম ও আমাকে করে থাকে,তাতেও আমি সাড়া দেব !

একজন খলিফার ন্যায় এর প্রতি সমর্থন টা এখানে লক্ষ্যনীয়।আর এটা তার একটা সার্টেইন বয়সে এসে উপলুব্ধ হয় নাই, তিনি সেই তারুন্যেই, ছিলেন ন্যায় এর প্রতি মহানুভবব ! অন্যায়ের প্রতি নির্মম!

আজকে সকালে হাটতে যাবার সময় কথা গুলো বারবার মনে হচ্ছিল।আমাদের সমাজের তরুনদের সাথে কতটা মোর‍্যাল ডিফারেন্স ছিল আমাদের প্রিয় নবীর! আমরা মুসলিম, কিন্তু হিউম্যান রাইটস নিয়ে আমরা ভাবি না। দিস ইজ নান অব মাই ডিল। হোয়াই আই এম গন্যা কন্সার্ন ইট ফর?

যতক্ষন পর্যন্ত আমার স্বার্থে কোন ক্ষতি হয় না, ততক্ষন পর্যন্ত আমরা এসব নিয়ে ভাবার চিন্তা করি না।আমার কাছে, প্রত্যেকটা লাইফের ভ্যালু সমান না।একটা মৃত্যু আমাকে কষ্ট দিয়ে ওঠার আগে আমি চিন্তা করি, ইজ ইট এ পলিটিক্যাল ডেথ?তাইলে অফ যাই। সাধারন মানুষ মরছে? ওকে,আই এম গন্যা ক্রাই দেন !

ক্যানো?

সাধারন মানুষ মরা, আর পলিটিকাল ডেথ যতদিন না আমাদের বিবেককে সমান ভাবে দংশিত করবে, ততদিন পর্যন্ত বুঝতে হবে,ইউ আর ষ্টীল নট এ পার্ট অফ এ ট্রু জাজমেন্ট! সো, ডোন্ট ডিসার্ভ ইট ফর ইওরসেলফ!

আসুন না একটা অন্যায় কে, কেবল প্রতিপক্ষ করেছে,সেজন্য অন্যায় না বলে, এজন্য অন্যায় বলি, যে এটা ন্যায় এর বিপক্ষে তাই;এটা অন্যায় ! সেটা বন্ধু করুক তাও অন্যায় ! অন্যায় তো অন্যায়ই !

সাহস করে একদিন বন্ধুর বিপক্ষেই গিয়ে দাড়ান না ভাই,আপনার বন্ধুত্ত্বের চেয়ে যতদিন আপনার কাছে ন্যায়বিচারটা প্রায়োরিটি বেশী পাবে, ততদিন এ সমাজ বদলাবে কীভাবে বলুন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.