![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাসূল (সাঃ) কে,ভালোবেসে,তার প্রচারিত দ্বীন কে ছড়িয়ে দিতে গিয়ে, খাব্বাব এর গোশত লোহার অংগারের উপরে গলে গলে পড়েছিল, হযরত বিলাল (রাঃ) এর দেহ তপ্ত বালুচরে নিকৃষ্ট বস্তুর মত হ্যাচকানো হয়েছিল, হযরত সুমাঈয়া (রাঃ) এর যৌনাঙ্গে আঘাত করে শহিদ করা হয়েছিল। শুধুই তাই? উহুদের যুদ্ধে জীবন দিয়েছিল তাজা তাজা ৭০ টা গোলাপ ফুল! আবু বকর, উমর,উসমানের মত সাহাবীরা নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিল।সদ্য বিবাহিত সাহাবী, নিজের স্ত্রীকে ছেড়্রে দিয়ে যুদ্ধে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েছিল,সেই চির কাংখিত শাহাদাতের শানে!
আল্লাহর দ্বীনের প্রতি তাদের ডেডিকেশন, নবীজির সুন্নাহর প্রতি তাদের ভালোবাসা সেই পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, যেখানে মৃত্যুর ভয় বড় তুচ্ছ মনে হয়, জীবনের মায়া খড়কুটোর চেয়েও অধম হয়ে যায়।
সেই রাসূলের উম্মাতের দিকে আজকে তাকালে বড় অসহায় মনে হয়। উম্মাহ আজ রাসূল কে ভালোবাসে, আজিমুশশান মাহফিল করে, কুরআন হাদীস থেকে কোন কিছু সেখানে শিখানো হয় না, দুই চারটা হামদ নাথ, মাইলের পরে মাইল মাইকিং করে ঘন্টার পর ঘন্টা চলতে থাকে।এই হচ্ছে তাদের ভালোবাসার দৃষ্টান্ত!
মানুষ জড়ো হয়, সেকুল্যার ছাত্রসমাজ সেটাকেই ইসলাম ভাবে, আর বলে, বাহ , কি শান্তির ধর্ম !
আরো অদ্ভুত লাগে, যখন মনে হয়, যে ছেলেটা জীবনের প্রথম এরকম একটা মাহফিল দেখে শুরু করেছে, তার কাছে কি মেসেজ টা গেল? ইসলামের এপেয়ারেন্স তার কাছে, রঙ বেরঙ্গের হ্যাজাক লাইট, মিউজিকের তালে তালে " ইশকে নাবি", " মুহাম্মদ কা পেয়ারা" গান ! সে দেখতে পায়, ষ্টেইজ্য মুরব্বিরা বসে আছে, তার পাশে মাইজভান্ডারীর গায়কেরা সুর করে ,কোরাস দিয়ে দিয়ে মুহাম্মদের প্রতি ভালোবাসা নিবেদন করছে!
এই ইসলাম বাতিলের মাথা ব্যাথার কারণ হয় না,বাতিল বরং প্রমোট করে, দেওয়ানবাগীদের মত পীর দের, যাহাদের মুরীদেরা জন্মদিনের কেক কেটে পীরবাবার সামনে হাজির করাকে ইসলামের কাজ ভাবে! এই ইসলাম বাতিলের কাছে যায় শান্তির ধর্ম রুপে ! তাদের অনাচার, ওজনে কম দেয়া, সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি, ব্যাভিচার ইত্যাদির কাছে এই ইসলাফ সেইফ জোন, নো থ্রেট এরিয়া ! সুতরাং এইরকম ইসলাম পালন করতে ও প্রমোট করতে বাতিলের বিন্দু মাত্র সমস্যা নাই ।
অথচ যুগে যুগে ইসলাম একটি আতংকের কারন ছিল বাতিলের কাছে,প্রকৃত ইসলামকে বাতিল কখনোই প্রমোট করে নি।এই দৃষ্টান্ত দেখতে বেশী দূরে যেতে হয় না, প্রচলিত সমাজের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।আপনি ন্যায়বিচার করার চেয়ে আপনার স্বার্থকে সবার উপরে রাখেন, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে কালচার মনে করেন, পর্দাবিহীন কোন নারীর পাশে দিয়ে গেলে আপনার খারাপ তো লাগেই না, বরং অন্যরকম আনন্দে আপনি অভিভূত হন। সুদকে আপনি সেইফ মনে করেন , টাকা খাটানোর চেয়ে ব্যাংকে রেখে দিয়ে সুদ পাওয়াটা আপনার কাছে জাষ্টীফাইড হয়ে দাঁড়ায়।প্রকৃত ইসলাম যদি থাকতো, আপনি কোন দিনো এসবের ধারে কাছে যেতে পারতেন না।
যৌতুক নেয়া,সুদ খাটানো,মাপে ওজনে কম দেয়া,ব্যভিচারের প্রসার কে রোধ করার জন্য, ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যাবস্থা দাড় করানোর জন্য যে ইসলামের আবর্ভাব হয়েছিল , সেই ম্যাসেজ দেবার জন্যে কোন মাহফিলের এপেয়ারেন্স নাই। স্পন্সর ও নাই। এসব মাহফিল সরকার অর্থায়ন তো দূরে থাক, বরং নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে ঠ্যাঙ্গায় দিতে সদা প্রস্তুত !
ইমাম ইবনে তাইমিয়ার কথাটা এসব ক্ষেত্রে খুব বেশী মনে পড়ে।তিনি বলেছিলেন, তোমরা যদি প্রকৃত ইসলামী দল খুজে না পাও, তবে বাতিলের চক্ষুশুল কারা সেদিকে লক্ষ্য কর। কারন তোমরা তাদের চিনতে ভুল করলেও তারা সেটা করে না।
প্রচলিত মাহফিলের এপ্রোচ গুলো দেখলে ক্যানো জানি এইকথা গুলাই বারবার ফীল হয়।আর আফসোস হয়, বিলাল, সুমাইয়্যা, খাব্বাবদের কথা মনে করে।ওদের জীবনের তাতপর্য আমরা অনুধাবন করতে পারি নি।্নতুবা, আমাদের চোখের সামনে এত্ত এত্ত মকিং দেখেও আমরা নিশ্চুপ সয়ে যাই কি করে?
যে ব্যাক্তি রাসুল (সাঃ) কে ভালোবাসবে, সে তো চাইবে তার সুন্নাহর অনুসারন করতে, তা বাদ দিয়ে এসব নিরর্থক অনুষ্ঠান গুলো কে এডভার্টাইজ করার কি আদৌ কোন অর্থ হয়?
প্রশ্নগুলো বেড়েই যাচ্ছে দিনকে দিন...
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: সত্যের সাহসী উচ্চারণ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: রাসূল (সাঃ) কে,ভালোবেসে,তার প্রচারিত দ্বীন কে ছড়িয়ে দিতে গিয়ে, খাব্বাব এর গোশত লোহার অংগারের উপরে গলে গলে পড়েছিল, হযরত বিলাল (রাঃ) এর দেহ তপ্ত বালুচরে নিকৃষ্ট বস্তুর মত হ্যাচকানো হয়েছিল, হযরত সুমাঈয়া (রাঃ) এর যৌনাঙ্গে আঘাত করে শহিদ করা হয়েছিল। শুধুই তাই? উহুদের যুদ্ধে জীবন দিয়েছিল তাজা তাজা ৭০ টা গোলাপ ফুল! আবু বকর, উমর,উসমানের মত সাহাবীরা নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিল।সদ্য বিবাহিত সাহাবী, নিজের স্ত্রীকে ছেড়্রে দিয়ে যুদ্ধে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েছিল,সেই চির কাংখিত শাহাদাতের শানে!
আল্লাহর দ্বীনের প্রতি তাদের ডেডিকেশন, নবীজির সুন্নাহর প্রতি তাদের ভালোবাসা সেই পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, যেখানে মৃত্যুর ভয় বড় তুচ্ছ মনে হয়, জীবনের মায়া খড়কুটোর চেয়েও অধম হয়ে যায়।
তবে আপনার আমার ভাল লাগুক না লাগুক, আইএস, তালেবান কিন্তু বই ধরে ধরে কাজ করে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: Thanks..........+++++++++++