নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলে নেয়া ভাল, এই ব্লগের প্রত্যেকটি লেখাই আমার না, প্রয়োজনের তাগিদে কিছু বিশেষ গুরুত্বপূর্ন লিখা আমি লেখকের সোর্স সহ এইখানে কপি করে রাখি।স্রেফ নিজের প্রয়োজনের কথা ভেবে। তাতে যদি আপনার সামান্য উপকার ও কখনো হয়ে যায়,সেটা আমার জন্যে সারপ্লাস।হ্যাপি ব্লগিং !

সাদ বিন

সাদ বিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো ও ভন্ড দেশপ্রেম, আমি একজন মুসলিম বলছি

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

বাবা মারা গেলে আপনি কি করবেন? মাটি দেবার পরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন? নাকি সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চাইবেন,বাবার আত্নার মাগফেরাতের জন্য? কমন সেন্সের লেশটুকু কারো থেকে থাকলেও কনফিডেন্স নিয়া বলতে পারি কেউ,মৃত্যুর পরে তার বারা কবরে ফুল দিতে যাবে না।বরং সৃষ্টিকর্তার কাছে নাজাতের জন্য দোয়া চাইবে, অন্য সবার কাছ থেকেও বাবার দোষ ত্রুটি গুলোর ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।একজন মানুষ চলে যাবার পরে ভৌত জীবনে তার কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার থাকে না, সে সৃষ্টিকর্তার কাছে চলে যায়।তার ভালো তো কেবল সৃষ্টিকর্তাই করতে পারেন!

তাহলে শহীদদের নিয়ে এরকম ফাজলামো কেনো?

আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তবে তো আপনার জানার কথা ছিল,যে কোন জড় বস্তুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শির্ক !বরং শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আপনি সেখানে শির্ক তো করছেনই, আরো অন্য সবাইকেও সেটা প্রমোট করছেন।

আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন, তবে তো আপনার অন্তত এতটুকু হলেও জানার কথা ছিল যে, " আল্লাহ তায়ালা শির্ক এর গুনাহ ক্ষমা করেন না!"

আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তবে তো আপনার জানার কথা ছিল, "মৃত ব্যক্তির কাছে দুনিয়াবী কিছুই পৌছোয় না, পৌছোয় সদকা, তাদের নেক ছেলে মেয়ে গুলোর ইবাদত,আর ভালো কাজ গুলোর ফলাফল !"

আচ্ছা, ধরুন মৃত্যুর পরে ( সরি টু সে) আপনার বাবার লাশটা কোন কারনে আর পাওয়া যায় নি। আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন,কখনো কি বাবাকে স্মরন করার জন্য আপনি কোন মন্যুমেন্ট বানাতে যাবেন? সত্যি করে বলুন তো?

তবে কেন একজন মুসলমান হয়ে, এসকল সম্মানিত ভাষা শহীদদের সাথে এধরনের ভন্ডামিগুলো জেনেশুনে করতে যাচ্ছেন?

যেখানে নিজের বাবা,মা,আত্নীয় স্বজন, প্রিয়জন মারা গেলে আপনি এসবের কিছুই করেন না, তবে শহীদদের বেলায় কেনো করবেন এসব?

কোন মানে হয় আসলেই ?

এসব প্রশ্ন গুলোর একটির উত্তর ও যদি যৌক্তিক কোন উত্তর আপনার কাছে থেকে থাকে, তাহলে আমাদের জানান, আমরা জানতে চাই।

আর যদি না থেকে থাকে, তাহলে জেনেরাখুন,একটা জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে আপনি ফাজলামো করছেন, অর্থহীন এসব কাজগুলো করে তাদের মর্যাদাকে ভুলুন্ঠিত করছেন এই আপনি। হ্যা আপনি !

মুসলমান হিসেবে আপনি আমার ভাই, তাই আপনাকে আমার এসব কথাগুলো বলা প্রয়োজন তাই লিখলাম।আপনার কাছে কথাগুলো না পৌছে থাকলে, সে জন্য পরকালে আমাকে জিগেশ করা হবে,সে জন্য লিখতে হল কথাগুলো।

আশাকরি,শহীদদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়ে আপনি আপনার সর্বোচ্চ দেশপ্রেম পালন করবেন।

আল্লাহ আপনাকে ও আমাকে সঠিক জ্ঞান দান করুন ।

আমিন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হাসলাম পোস্ট পড়ে| হায়রে ইসলাম| হায়রে মুসলিম| তোদের কাছে কাউকে ফুল দেয়াও হারাম! আপনি জান্নাতে গিয়ে ৭০ হুরি সমেত জীবন কাটান এই কামনায়

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

সাদ বিন বলেছেন: আমার জন্য জান্নাতের দোয়া করেছেন সেজন্য ধন্যবাদ।আমি আপনার জাহান্নামে না যাওয়ার জন্য আল্লহর কাছে হিদায়াত কামনা করে দোয়া করলাম ভাই। ভালো থাকুন।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

এইচ. ইমরান বলেছেন: অসাধারণ লেখা...

একদম আমার মনের কথাগুলোই আপনি লিখেছেন। ভাই জীবনে একবার ফুল দিতে গিয়েছিলাম, ফুলটি রাখার পর আমার কাছে এত খারাপ লাগলো যে, প্রতিজ্ঞা করলাম তখনই, আর কোন দিন ফুল দেব না। আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম। এতো সরাসরি পূজা।

আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।

আপনার লেখাটি আমার ফেসবুকে কিছু ছবি সহ পোষ্ট করলাম।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

সাদ বিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া :)

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

এইচ. ইমরান বলেছেন: আমাদের সন্তানদের কি শিক্ষা দিচ্ছি।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২০

এইচ. ইমরান বলেছেন:

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

শেখ মফিজ বলেছেন: আমি মনে করি না ।

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

হোৎকা বলেছেন: এক মত

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

বেদুইন জাহিদ বলেছেন: আসলে আমরা এইদেশের মুসলিমরা নিজেদের সেক্যুলার প্রমানিত করতে যেয়ে, নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে ভুলে যাই।

ইসলামে মৃত ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান ও দোয়া করার অনেক সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু আমরা সেগুলো না করে বিধর্মীদের আচার-ব্যবহার অনুসরণ করি, যা আমাদের দৈন্যতাকেই প্রকাশ করে।

লেখকের সাথে একমত। লেখায় ++

৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

পালের গোদা বলেছেন: "আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তবে তো আপনার জানার কথা ছিল,যে কোন জড় বস্তুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শির্ক !বরং শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আপনি সেখানে শির্ক তো করছেনই, আরো অন্য সবাইকেও সেটা প্রমোট করছেন।"

জড় বস্তুর প্রতি শ্রদ্ধা কে জানাচ্ছে? শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। তারা কি জড় বস্তু?

"বাবা মারা গেলে আপনি কি করবেন? মাটি দেবার পরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন? নাকি সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চাইবেন,বাবার আত্নার মাগফেরাতের জন্য?"

দুটোই করতে সমস্যা কোথায়? কারও কবরে ফুল দেয়া নিষেধ এটা আপনি কোথায় পেলেন? কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোটা আমার দেখামতে খুবই কমন।

"আচ্ছা, ধরুন মৃত্যুর পরে ( সরি টু সে) আপনার বাবার লাশটা কোন কারনে আর পাওয়া যায় নি। আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন,কখনো কি বাবাকে স্মরন করার জন্য আপনি কোন মন্যুমেন্ট বানাতে যাবেন?"

আপনার ক্ষেত্রে এটা হলে কি আপনার বাবার কবর করবেননা কোথাও? সেই কবরটাই তো আপনার ভাষায় তখন মনুমেন্ট হয়ে যাবে। আর আগেও বলেছি কারো কবরে ফুল দেয়া নিষেধ এই তথ্যের সূত্রটা কি?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

সাদ বিন বলেছেন: শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে জড় বস্তুকে ব্যাবহার করা হচ্ছে, শ্রদ্ধা করা হচ্ছে জড় বস্তুকে, খালি পায়ে শহীদ মিনারে যেতে হবে, মাথা নুইয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে! এসব কি অপ্রয়োজনীয় নয়?

বাবার লাশ ফিরে পাওয়া না গেলে সে জন্য নতুন করে কোন কবর বানাতে হবে এধরনের কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.