![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অভিজিৎ রায় খুন এবং নাস্তিকতা.......
(স্ট্যাটাসটা বেশিরভাগ মানুষের বিপক্ষে যাবে।অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ করছি।)
.....মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্টাতা অভিজিৎ রায় "মুক্ত" খোলামেলা স্থানে খুন হয়েছেন।যেই খুন করুক না কেন দোষটা অবধারিতভাবে চলে যাচ্ছে দাঁড়ি টুপিওলাদের উপর।ফেসবুকের একাংশের মাঝে আহাজারি এবং একাংশের মাঝে উল্লাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
প্রথম কথা হচ্ছে অভিজিৎ রায় কি এমন যে তার মৃত্যুতে এত আলোড়ন হবে?
যারা আহাজারি করছেন তাদের যুক্তি হচ্ছে সে যুক্তি দিয়ে কথা বলত।তার যুক্তি খন্ডানোর জন্য পাল্টা যুক্তি দিন।কলমের জবাব অস্ত্রে কেন?
এখন কথা হচ্ছে তার যুক্তি কেমন ছিলো?
বাংলাদেশে আ**ফাক,ম**উন্মাদ,পি**লাম নামক জঘন্য শব্দগুলোর উদ্ভাবক সে।এই শব্দগুলো কোন যুক্তির কাতারে পড়ে?
আপনাকে একজন বেশ্যার বাচ্চা বলে গালি দিয়ে বলল এবার যুক্তি খন্ডন করুন।আপনি এখান থেকে কি যুক্তি খন্ডন করবেন?
বাংলাদেশে কোন কালেই নাস্তিক কম ছিল না।নাস্তিক হত্যার মতো ব্যাপারগুলো আগে আসেনি।কারণ নাস্তিকরা তাদের মতো করে ছিল।যুক্তি দেখিয়েছে,গালি দেয়নি।
হুমায়ূন আজাদকে হত্যা করা হয়েছিল।এই ব্যক্তি ধর্ম নিয়ে কি নোংরা ভাষা ব্যবহার করেছে সেটা তার "পাক সার জমিন সাদ বাদ" পড়লেই বোঝা যায়।
নাস্তিকতা এক জিনিস আর ধর্ম বিদ্বেষ আরেক জিনিস।যুক্তি এক জিনিস আর গালি আরেক জিনিস।অবিশ্বাস আর বিদ্বেষ কখনোই এক না।
.....আরো কিছু সুশীল রাস্তায় বিচার বহির্ভূত এই হত্যা নিয়ে চোখের পানি নাকের পানি এক করছেন।
খুবই ভালো কথা।রাস্তায় কোন হত্যাকান্ডই সমর্থনযোগ্য না।রাস্তায় কোন মানুষকে কুপানো হচ্ছে এটা কোন মানবিক দৃশ্য না।
যারা এসব বলছেন তারা গত চারদিন আগে যখন তিনজনকে ৫৪ টা গুলি করে হত্যা করা হলো তখন কই ছিলেন?
রাস্তায় বোমা মেরে মানুষ মারা হলে তখন কই থাকেন?
বিশ্বজিৎকে কুপানোর সময় কই ছিলেন?
এদের সবাইকে বাদ দিয়ে অভিজিতের জন্য আপনাদের দরদ উথলে উঠল কেন?
দরদের জায়গাটা জানি।অভিজিৎ ইসলাম ধর্মকে একা গালি দেয়নি,সাথে সবাইকে সুযোগ করে দিয়েছিল।
যারা অভিজিৎকে বিরাট লেখক বলছেন তাদের কাছে প্রশ্ন সমকামিতাসহ ৯টা বই লিখলেই কেউ বিরাট লেখক হয়ে যায়?
.....যেসব মুসলিম তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন তাদের প্রতি সমবেদনা।আপনার বাবা মা কে গালি দেয়া কাউকে আপনি ক্ষমতা করতে পারবেন?আর এ তো আল্লাহ,রাসূলকে গালি দিয়েছে।
কোন ইসলামী স্কলার মারা গেলে কোন নাস্তিক শোক প্রকাশ করবে?বিশ্বাস হয়?
আর এ তো নাস্তিক না,ইসলাম বিরোধী।
তার মৃত্যুতে আপনি শোক প্রকাশ করবেন কেন?
শোক প্রকাশ করবে নাস্তিকরা।যদি সাহস থাকে বলুন আমি নাস্তিক তাই শোক প্রকাশ করছি।
মুখোশধারী হয়ে বসে থাকবেন না।
একজন দেখলাম একটা জায়গায় বলেছে-আমি সব নাস্তিকদের লেখা পড়ি।কই আমার তো ঈমান এক বিন্দু কমেনি!তারা তাদের মতো লিখবে।আমার কি আসে যায়?
মনে হলো তার কাছে একটা "ঈমান মিটার" আছে
সেটাতে সে দেখতে পাচ্ছে।
ব্যাপারটা এরকম যে তাকে কেউ একজন বলল-তুই একটা বেজন্মা।তুই জারজ।
সে বলল-আমি এই কথা একবিন্দু বিশ্বাস করিনি।সে গালি দিয়েছে,আমার কি আসে যায়?
ধর্মকে মানুষ কত হালকা করে দেখছে তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
.....এবার অতি আস্তিকদের কথায় আসি।
অভিজিতের মৃত্যুতে একটা উৎসব দেখা যাচ্ছে।এখানে উৎসবের কি আছে ভাই?
একটা নাস্তিক গেছে আরো দশটা পয়দা হবে।নাস্তিকরা মরে কমবে না।
নাস্তিকদের আটকাতে হবে কলম দিয়ে,কথা দিয়ে।
নাস্তিক কেন হয় মানুষ?যখন তার মনের প্রশ্নের জবাব পায়না তখনই হয়।
আমাদের আলেমরা মানুষের মনের জবাব দেয়ার জন্য কতটা প্রস্তুত?
সাহাবীগণের ইতিহাস,বিভিন্ন পীরের কেরামতি,অমুককে তমুককে কটাক্ষ করে হাসি তামাশা করে ওয়াজ করার দিন আর নাই।মানুষ এখন শিক্ষিত হচ্ছে।মানুষের মনে নানান প্রশ্ন আসে।
সবকিছুতেই 'করতে হবে তাই করো' বললে কাজ হবেনা।নাস্তিকের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।
নাস্তিকরা যখন সবাই এক তখন আলেমদের এক অংশ জাকির নায়েক ইহুদী এজেন্ট না খ্রীষ্টান এজেন্ট এটা নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত আর আরেক অংশ তাবলীগ হালাল না হারাম সেটা নিয়ে ফতোয়া খুজে বেড়াচ্ছেন।ইসলামের মাঝে এতগুলো ভাগ!
নাস্তিকবাদী বই এ যখন বাজার সয়লাব তখন ইসলামী কোন বই নেই।তাদের যুক্তি খন্ডানোর মতো করে কেউ লিখছেনা।যদিও কেউ চেষ্টা করে তবে খোদ ইসলামপন্থীরাই তাকে সন্দেহ করে।
মানুষ নাস্তিক হওয়ার পেছনে দায়ভার কিছুটা হলেও আলেমদের নিতে হবে।
একশোজন ট্রেইনড নাস্তিক ইসলামের
যতটা না ক্ষতি করে দুইজন ফেতনাবাজ আলেম তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে।
....আবার অভিজিৎ এ আসি।
অভিজিৎ এর মৃত্যুর দায় চোখ বন্ধ করে ইসলামিস্টদের দেয়া হচ্ছে।
কেন অন্য কোন কারণে খুন হতে পারেনা?
নাকি ব্যক্তি জীবনে সে ফেরেশতা ছিলো?
রাজীব হত্যার পরও এরকম বলা হয়েছিল।পরে দেখা গেল অন্য কাহিনী।
নিজের ঘর পুড়িয়ে আরেকজনকে ফাসানোর কাজটা গ্রামের অশিক্ষিতরাও করতে পারে।
এরা ট্রেইনড এন্টি ইসলামিস্ট।এরা কি করতে পারবে না?
তবে আবারো বলছি যদি ইসলামিস্টরা মেরেও থাকে তবে এভাবে মৃত্যু সমর্থনযোগ্য না।
একটা মুসলিম দেশে এরকম একটা কীটকে ব্লাসফেমী আইনে ফাসিতে না লটকিয়ে হত্যা করতে হবে কেন?
দেশে ব্লাসফেমী আইন নাই এ ব্যর্থতা সবার।
অনেকেই বলছে কোন কোরানে লেখা আছে ইসলামকে গালি দিলে হত্যা করতে হবে?
ইসলাম বিধর্মীদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছে।কিন্তু ইসলামকে আঘাত করলে আঙুল চুষে বসে থাকতে বলেনি।
এরকম কাউকে হত্যা করতে হবে এমন অনেক রেফারেন্স আছে।দিতে ইচ্ছে করছেনা।কারো দরকার হলে বলবেন দিয়ে দেব।
ইসলাম এত ঠুনকো না রে ভাই।ইসলাম তার অনুসারীদের কুলাংগার করে গড়ে তুলেনা যে আঘাত আসলে তারা রুখতে পারবে না।যেসব কীট কুলাংগার হয়ে যায় তাদেরকে ইসলাম ত্যজ্য করেছে।
.....নাস্তিকদের নিয়ে যত মাতামাতি কম হবে ততই মঙ্গল।তাদের এত পাত্তা দেয়ার কোন মানে নেই।
তারা তাদের শাস্তি পাবেই।
শেষ করব কৌতুকের মতো একটা কথা দিয়ে।
অভিজিৎ পন্থীরা চোখের পানিতে সয়লাব হয়ে বলছে-যেখানেই থেকো ভালো থেকো অভিজিৎ দা।শান্তিতে থাকো।
তাদের কাছে প্রশ্ন-আচ্ছা আপনাদের অভিজিৎ দা এখন কই আছে বলুন তো?
আপনাদের ভাষায় তো পরকাল বলে কিছু নাই।তাহলে শান্তি আসবে কই থেকে?
আহাম্মকের পরিচয় এই জায়গাতেই।
নাস্তিকদের শেষ কৃত্য সম্পর্কে আমার ধারণা নেই।
কেউ কি বলতে পারবেন অভিজিৎ দার লাশ কি করা হবে?
কোন সৎকারে না গিয়ে কি তবে তবে মুক্ত স্থানে মারা যাওয়া মুক্তমনার প্রতিষ্টাতার লাশ কোন মুক্ত স্থানেই ফেলে রাখা হবে?
.....আমার লেখা সবচেয়ে অগোছালো এবং অত্যন্ত দীর্ঘ এই স্ট্যাটাস যারা পড়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ।
অনেকেই আঘাত পাবেন।কিছু করার নাই।আমি মুক্তমনা না বদ্ধমনা।
কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে আবারো দুঃখিত,তবে অনুতপ্ত নই।
(লিখাটা জয়নুল আবেদীন নামক এক ফেইসবুকারের, ভাল্লাগলো, রেখে দিলাম )
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনাকে অনেক সম্মানের সাথে বলছি যে, আপনি একটা অকাট মূর্খ| কিছু মনে করবেন না| পড়ে এটাই মনে হল
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭
সাদ বিন বলেছেন: মূর্খতা আরোপের জিনিস নয় ভ্রাতা, খন্ডানোর জিনিস ।
৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
আছিফুর রহমান বলেছেন: সহমত
৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯
খাঁটি বাংলাদেশি বলেছেন: ভালো লাগলো
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭
দোদূল্যমান বলেছেন: গূড পয়েন্ট
"যারা এসব বলছেন তারা গত চারদিন আগে যখন তিনজনকে ৫৪ টা গুলি করে হত্যা করা হলো তখন কই ছিলেন?
রাস্তায় বোমা মেরে মানুষ মারা হলে তখন কই থাকেন?
বিশ্বজিৎকে কুপানোর সময় কই ছিলেন"
৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯
মরণের আগে বলেছেন: আপনার সাথে পুরো সহমত
অনেক অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
দোয়া করি আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক ,
এডমিন কে বলবো পোস্টটি স্টিকি করতে
৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩
চলতি নিয়ম বলেছেন: এই সমস্যার সমাধান কেন হবে না জানেন? কারন এই ঘটনা গুলো দেশের ৮০ ভাগ লোক পছন্দ করে ২০ করে না।
যেমন এই লেখাটা ২ জনের অপছন্দ আর ৯ জনের পছন্দ।
৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
নতুন বলেছেন: নাস্তিকতা এক জিনিস আর ধর্ম বিদ্বেষ আরেক জিনিস।যুক্তি এক জিনিস আর গালি আরেক জিনিস।অবিশ্বাস আর বিদ্বেষ কখনোই এক না।
যারা যুক্তি দিয়ে পারে না তারাই গালাগালি শুরু করে... এরপরে হাতাহাতি.. হত্যা...
রাসুল সা: কোন হাদিসে বা কোরানের আয়াতে কি বলা আছে যে নাস্তিকদের হত্যা করতে হবে???
আপনার ধম` একটা বিশ্বাস এর ভীত ৫০% সম্ভবনা সত্যি হবার....
কিন্তু একজন মানুষ ১০০% মানুষ... এই পৃথিবিতে তার অধিকার সমান...
৫০% বিশ্বাসের উপরে ভর করে... ১০০% সত্যিতে ধংস করতে পারেন না..
কোরান কখনোই হত্যা করতে সমথ`ন করেনাই...
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
সাদ বিন বলেছেন: বোকার মত কথা বলছেন কেন? সীরাত পড়ে দেখেছেন? না জেনে থাকলে আজকেই পড়া শুরু করুন। কা'আব বিন আশরাফ কে কেন হত্যা করা হয়েছিল পড়ে দেখুন। সে তো ইহুদী ছিল, মদীনায় তো আরো ইহুদী ছিল। এত ইহুদী থাকতে ওকে কেন হত্যা করা হয়েছিল পড়ে দেখুন। নাস্তিক হওয়া মানেই ইসলাম কে গালাগালি করা না। অভিজিত কে জানুন। না জেনে কথা বলা পছন্দ করি না।
৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২১
হাসানুর বলেছেন: এই লেখাটা যারই হউক সে মুক্ত মনা লেখক...যে সুনিদিষ্ট ভাবে অন্নকে আঘাত করে লেখে সে মুক্তমনা হতে পারেনা, সে সাম্প্রদায়িক।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
সাদ বিন বলেছেন: না আপনার ধারনা ভুল।আর মুক্তমনা বদ্ধমনা কে কি সেটা ফ্যাক্টর না, সুনির্দিষ্ট ভাবে কোথায় আঘাত করা হয়েছে, উপস্থাপন করুন।
১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: বোকার মত কথা বলছেন কেন? সীরাত পড়ে দেখেছেন? না জেনে থাকলে আজকেই পড়া শুরু করুন।
অন্যকে বোকা বললে নিজে চালাক প্রমান করা যায়না..
আপনার মতের মানুষের জন্য এই দেশের আইন নয়... যেই দেশের আইনে এই রকমের হত্যা জায়েজ সেই খানে গিয়েই থাকা উচিত....
আর এরা যদি ঠিক কাজই করে থাকে তবে এখন লুকিয়ে কেন... প্রকাশ্যে বলুক ...
>> দেশের আইনে তাদের কি সাজা হবে???
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
সাদ বিন বলেছেন: নিজেকে চালাক প্রমান করি নি, আপনি বলেছেন রাসূলের জীবনে নাই, কুরআনে এধরনের কোন ঘটনার রেফারেন্স নাই, সে জন্যে বলেছি সীরাত পড়ুন। আর আমি এটাও বলিনি, এই আঈন ঠিক এই সমাজ ব্যাবস্থায় প্রযোজ্য, তবে তার মানে এটাও নয়, সেজন্য মুক্তমনা নামধারী কেউ, ইসলাম কে টার্গেট করে তাদের বিকৃত মানসিকতা উপস্থাপন করবে।নাস্তিক কেবল অভিজিত না, কেবল মহিউদ্দীন না, নাস্তিক নোয়াম চমস্কিও আছে। নেদ্যারল্যান্ডের প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ নাস্তিক। তবে অভিজিত দের মত এত নিম্ন মানসিকতা নিয়া চলে না। আশা করি বুঝেছেন।
১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৪
নতুন বলেছেন: তাহলে বলেন যে অভিজিতের মতন নাস্তিকদের হত্যা করা ইসলামে আছে...
আপনাদের মতন মানুষের খোজ ডিবি/রেবের পাওয়া দরকার...
এই রকমের মানুষের ভীড়েই আসল খুনি..পরিকল্পনাকারীদের খোজ পাওয়া যাবে..
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
সাদ বিন বলেছেন: লল ! এত বুদ্ধি নিয়া আপনি আমার সাথে কথা না বললেই পারতেন। আমি আপনার যুক্তি খন্ডালাম, আপনি আমারে র্যাবের হাতে ধরাই দিলেন। মস্তিস্কের দৌড় এতটুক হইলে বুঝি মুক্তমনা হওয়া যায়! ইয়াকক !
১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
রামন বলেছেন:
কোন ইসলামী স্কলার মারা গেলে কোন নাস্তিক শোক প্রকাশ করবে?বিশ্বাস হয়?
আর এ তো নাস্তিক না,ইসলাম বিরোধী।
তার মৃত্যুতে আপনি শোক প্রকাশ করবেন কেন?
ইহুদি কেন বিশ্বের অন্য কোন ধর্মাবলম্বী ইসলামী স্কলার মারা গেলে শোক প্রকাশ করবে না৷ কারণ তারা ধর্ম বিদ্ধেষ শিক্ষা দেয়, বিধর্মী হত্যা শেখায়। দেখুন আজ বিশ্ববাসী এক অভিজিতের জন্য কিভাবে সমবেদনা জানাচ্ছে, নামী দামী পত্রিকাগুলোতে অভিজিতের ছবি ছাপিয়ে তার হত্যাকারী তথা কট্টর মৌলবাদী ইসলামী দল ও তাদের কর্মীদের কি ভাবে ধিক্কার জানাচ্ছে। আপনাকে মনে রাখতে হবে কিছু পেতে হলে দিতে হয়৷ আপনারা ইসলামী স্কলার এই পৃথিবীতে খেয়ে পরে কি অবদান রেখেছেন এই পৃথিবীর জন্য? যা কিছু করেছেন স্বার্থপরের মত পরকালের জন্য। এরপরও কেদে কেদে বলবেন, শাপলা চত্তরে ৪ হাজার জামাতি-হেফাজতিকে মেরে ফেলা হল, অথচ কেউই একফোটা অশ্রু ঝরালো না এতগুলো প্রানের জন্য।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৩
সাদ বিন বলেছেন: ইসলাম কি শেখায় কি শেখায় না সেটা রাসূলের জীবনীতেই পাওয়া যায়। হযরত হামযার মত মানুষ রাসূলের ব্যাবহারে মুগ্ধ হয়ে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হন।রাসূলের স্ত্রীগন যেখানে রাসূলের চরিত্র নিয়ে কোন অভিযোগ করেন নি, সেখানে আপনাদের সমালোচনায় তার কি যায় আসে? ইসলাম, হযরত উমর রাঃ এর খিলাফাতের সময়, বিজিত অঞ্চল গুলোর অধিবাসীদের কাছে এ মর্মে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল , যে তারা বিধর্মীদের কোন উপাসনালয়ের ক্ষতি করবে না। আর কয়টা ধর্মে এরকম লয়্যালিটি পাবেন? আর, ইসলামের জন্যে জীবন যে দেয়, সে পৃথিবীর কোন মানুষের ভালোবাসা পাবার জন্যে সেটা করে না। আর পৃথিবীকে ইসলাম কি দিয়েছে কি দেয়নি, সেটা খিলাফাতের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। ইসলাম হাত কাটার শাস্তি কোন ভালো মানুষের জন্যে রাখে নি, চোরের জন্য রেখেছে, ইসলাম পাথর মেরে হত্যা করা কোন সাধারন মানুষের জন্যে রাখে নি, " ব্যাভিচারী ' দের জন্যে রেখেছে। আপনি নিজে জোর করে ভুল কিছু বুঝে নিলে , সেক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই। ভাল থাকুন।
১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
আলোকিত আধারে বলেছেন: “নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলাম (৩ : ১৯)”
১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪০
নরাধম বলেছেন: কা'ব বিন আশরাফ কিন্তু নাস্তিক ছিল না, তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল মদীনা রাষ্ঠ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল মক্কার কাফিরদের সাথে মিলে সেজন্য, মূলত রাষ্ঠ্রদোহীতার জন্য। মদীনার ইহুদীরা রাসুল (সাঃ)-এর সাথে চুক্তি করেছিল মদিনা রাষ্ঠ্রের প্রতিরক্ষার জন্য সবসময় এক থাকবে এবং বহির্শত্রুর আক্রমনে মুসলমানদের সাথে মিলে রাষ্ঠ্রের পক্ষে যুদ্ধ করবে। কিন্তু কা'ব বিন আশরাফ মায়ের দিক থেকে বনু নাদীরের অংশ হওয়া স্বত্ত্বেও মদীনার পক্ষে তো থাকেইনি, বরং মক্কার কাফেরদের সাথে মদীনা রাষ্ঠ্র এবং ইসলামকে পৃথিবীর বুক থেকে উৎপাঠন করার নিয়তে ষড়যন্ত্রে করেছিল। মূলত এজন্যই তাকে হত্যা করা হয়, রাষ্ঠ্রদ্রোহীতার অপরাধে।
এটা ঠিক যে কা'ব বিন আশরাফ ইসলাম নিয়ে প্রচন্ড ঘৃণাবাদী কবিতা লিখত। মুসলমান মেয়েদের নাম ধরে ধরে যৌনউত্তেজক কবিতা লিখে সেটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিত মুসলমান নারীদেরকে হেনস্তা করার নিয়তে। এসবও হয়ত তার হত্যার জন্য দায়ী ছিল, কিন্তু প্রধাণ কারন রাষ্ঠ্রদ্রোহীতা। আধুনিক রাষ্ঠ্রও রাষ্ঠ্রদ্রোহীতার জন্য একই শাস্তি দেয়।
নাস্তিকতা বা ইসলাম নিয়ে বাঁকা কথা বলার জন্য কা'বকে হত্যা করা হয়নি।
অভিজিত নিজে একজন প্রচন্ড ঘৃণাবাদী মৌলবাদি নাস্তিক ছিল। ঘৃণার চাষাবাদই তার কাজ ছিল। অনেকেই বলেন এজন্য সে বিদেশী অনুদান পেত, যদিও সেটা প্রমাণ করা সম্ভব না। সে যাই হোক, কোনভাবেই কারো মৃত্যু এভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আশা করি সরকার খুনিদেরকে ধরবে এবং বিচার করবে। অনেক নাস্তিকই অভিজিতের আত্মার শান্তি কামনা করছে, আমিও করলাম। আমি ঘৃণাবাদীদের অপছন্দ করি, তাও অভিজিতকেও অপছন্দ করতাম, কিন্তু এভাবে হত্যা মেনে নিতে পারছিনা।
১৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৩
হাবিবুর রাহমান বাদল বলেছেন: ভালো লাগলো আমি মুক্তমনা না বদ্ধমনা।
১৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
হোৎকা বলেছেন: সহমত।চমতকার বিশ্লেষন।
১৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩২
কৃষ্ণছায়া বলেছেন: জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রা.) হ’তে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ছা.) বললেন, কা‘ব ইবনু আশরাফকে হত্যা করার জন্য কে প্রস্তুত আছ? কেননা সে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিয়েছে। মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রা.) দাঁড়ালেন এবং বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি কি চান যে, আমি তাকে হত্যা করি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রা.) বললেন, তাহ’লে আমাকে কিছু প্রতারণাময় কথা বলার অনুমতি দিন। রাসূলুল্লাহ্ (ছা.) বললেন, হ্যাঁ বল। এরপর মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রা.) কা‘ব ইবনু আশরাফের নিকট গিয়ে বললেন, এ লোকটি [রাসূল (ছা.)] ছাদাক্বা চায় এবং সে আমাদেরকে বহু কষ্টে ফেলেছে। তাই আমি আপনার নিকট কিছু ঋণের জন্য এসেছি। কা‘ব ইবনু আশরাফ বলল, আল্লাহর কসম! পরে সে তোমাদেরকে আরো বিরক্ত ও অতিষ্ঠ করে তুলবে। মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রা.) বললেন, আমরা তাঁর অনুসরণ করছি। পরিণাম কি দাঁড়ায় তা না দেখে এখনই তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করা ভাল মনে করছি না। এখন আমি আপনার কাছে এক ওসাক বা দুই ওসাক খাদ্য ধার চাই। কা‘ব ইবনু আশরাফ বলল, ধার তো পাবে তবে কিছু বন্ধক রাখ। মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রা.) বললেন, কি জিনিস আপনি বন্ধক চান? সে বলল, তোমাদের স্ত্রীদেরকে বন্ধক রাখ। মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ বললেন, আপনি আরবের একজন সুদর্শন ব্যক্তি। আপনার নিকট কিভাবে আমাদের স্ত্রীদেরকে বন্ধক রাখব? তখন সে বলল, তাহলে তোমাদের সন্তানদেরকে বন্ধক রাখ। তিনি বললেন, আমাদের পুত্র সন্তানদেরকে আপনার নিকট কি করে বন্ধক রাখি? তাদেরকে এ বলে সমালোচনা করা হবে যে, মাত্র এক ওসাক বা দুই ওসাকের বিনিময়ে বন্ধক রাখা হয়েছে। এটা তো আমাদের জন্য খুব লজ্জাজনক বিষয়। তবে আমরা আপনার নিকট অস্ত্রশস্ত্র বন্ধক রাখতে পারি। শেষে তিনি (মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ) তার কাছে আবার যাওয়ার ওয়াদা করে চলে আসলেন।
এরপর তিনি কা‘ব ইবনু আশরাফের দুধ ভাই আবূ নায়েলাকে সঙ্গে করে রাতের বেলা তার নিকট গেলেন। কা‘ব তাদেরকে দূর্গের মধ্যে ডেকে নিল এবং সে নিজে উপর তলা থেকে নিচে নেমে আসার জন্য প্রস্তুত হ’ল। তখন তার স্ত্রী বলল, এ সময় তুমি কোথায় যাচ্ছ? সে বলল, এই তো মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ এবং আমার ভাই আবূ নায়েলা এসেছে। ‘আমর ব্যতীত বর্ণনাকারীগণ বলেন যে, কা‘বের স্ত্রী বলল, আমি তো এমনই একটি ডাক শুতে পাচ্ছি যার থেকে রক্তের ফোঁটা ঝরছে বলে আমার মনে হচ্ছে। কা‘ব ইবনু আশরাফ বলল, মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ এবং দুধ ভাই আবূ নায়েলা (অপরিচিত কোন লোক তো নয়)। ভদ্র মানুষকে রাতের বেলা বর্শা বিদ্ধ করার জন্য ডাকলে তার যাওয়া উচিত। (বর্ণনাকারী বলেন) মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রা.) সঙ্গে আরো দুই ব্যক্তিকে নিয়ে সেখানে গেলেন। সুফইয়ানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, ‘আমর কি তাদের দু’জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন? উত্তরে সুফইয়ান বললেন, একজনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। ‘আমর বর্ণনা করেন যে, তিনি আরো দু’জন মানুষ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন, যখন সে (কা‘ব ইবনু আশরাফ) আসবে। ‘আমর ব্যতীত অন্যান্য রাবীগণ (মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামার সাথীদের সম্পর্কে) বলেছেন যে, (তারা হ’লেন) আবূ আবস্ ইবনু জাবর, হারিছ ইবনু আওস এবং আব্বাদ ইবনু বিশর। ‘আমর বলেছেন, তিনি অপর দুই লোককে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন এবং তাদেরকে বলেছিলেন, যখন সে আসবে তখন আমি তার মাথার চুল ধরে শুঁকতে থাকব। যখন তোমরা আমাকে দেখবে যে, খুব শক্তভাবে আমি তার মাথা আঁকড়িয়ে ধরেছি, তখন তোমরা তরবারি দ্বারা তাকে আঘাত করবে। তিনি (মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ) একবার বলেছিলেন যে, আমি তোমাদেরকেও শুঁকাব। সে (কা‘ব) চাদর নিয়ে নীচে নেমে আসলে তার শরীর থেকে সুঘ্রাণ বের হচ্ছিল। তখন মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রা.) বললেন, আজকের মত এতো উত্তম সুগন্ধি আমি আর কখনো দেখিনি। ‘আমর ব্যতীত অন্যান্য রাবীগণ বর্ণনা করেছেন যে, কা‘ব বলল, আমার নিকট আরবের সম্ভ্রান্ত ও মর্যাদাসম্পন্ন সুগন্ধী ব্যবহারকারী মহিলা আছে। ‘আমর বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রা.) বললেন, আমাকে আপনার মাথা শুঁকতে অনুমতি দেবেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। এরপর তিনি তার মাথা শুঁকলেন এবং এরপর তার সাথীদেরকে শুঁকালেন। তারপর তিনি আবার বললেন, ‘আমাকে আবার শুঁকবার অনুমতি দেবেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। এরপর তিনি তাকে কাবু করে ধরে সাথীদেরকে বললেন, তোমরা তাকে হত্যা কর। তাঁরা তাকে হত্যা করলেন। এরপর নবী (ছা.)-এর নিকট এসে এ খবর দিলেন।
{বুখারী হা/৪০৩৭ ‘মাগাযী’ অধ্যায়, ‘কা‘ব ইবনু আশরাফের হত্যা’ অনুচ্ছেদ, মুসলিম হা/১৮০১}
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
উড়াল পঙ্খী সজল বলেছেন: ভালো লাগলো,