![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজে প্রথাবিরোধী হইতে পারাটা বিশাল ব্যাপার।লোকে আইডেন্টিটি বোঝে, এলাকায় নামডাক হয়।
সেটা ভাল মন্দ যেদিকেই হোক। বিশ পচিশটা পোলাপানের মধ্যে একটায় গাঞ্জুট্টি হইলে সেইটার মান সম্মান আলাদা tongue emoticon ।ছুডুবেলার কথা,নাইন টেন এ থাকতে সার্কেলের মধ্যে যেইটায় আগে সিগারেট ধরসে, সেইটায় বলে সবচেয়ে ম্যাচুরড ! বোঝলাম !! এরপরে, বছর দেড়েক যাইতে না যাইতে, যেইটায় গার্লফ্রেন্ড ধরসে, ওইটায় বলে সবচেয়ে ম্যাচুরড ! আবারো বোঝলাম !! এর পরে, সার্কেলে যেইটায় ছ্যাক খাইছে, ঐটায় ও বলে ম্যাচুরড !
মা রে !
কেম্নে?
বলে,এক্সপেরিয়েন্স ম্যাচুরিটি না? pacman emoticon
সার্কেলে মাঝামাঝি কোন ক্লাসিফিকেশন নাই,আবার উল্টা ভাবলে,যেইটায় প্রথার বাইরে গিয়া মসজিদে যায়, ওইটারেও মানুষ চেনে। আলাদা কইরা চেনে।টাকা পয়সার লেনদেনে ঝামেলা নাই? ভালো ! চাইন্স পাইয়াও মিছা কথা কয়না? নাহ,ভালো আছে পোলাটা।
মানে ভালো মন্দের মিক্সচারে প্রথার বাইরে লাইফ আসলে সবসময়ই আলাদা।
ছোটবেলা থেকে বড় হইতে হইতে দুই ক্যাটাগরিই দেখলাম।আবার বিবর্তনের ধারায়,কিছু সমীকরন হঠাত বদলে যায়।সবচেয়ে অবাক লাগে তখন।অনেক দিনের চেনা পরিচিত একটা ভালো ছেলেকে,যখন দূর দিয়া সিগারেট খাইতে দেখি, খারাপ লাগে। আবার সবচেয়ে চ্যাংড়া পোলাটায় হঠাত যখন চেঞ্জ হয়,শান্ত শিষ্ট হয়ে যায়, প্রথমে সন্দেহ হয়, ধান্দা নাতো ? tongue emoticon
পরে সত্যি যখন বুঝতে পারি, চেইঞ্জটা স্পিরিচুয়াল, তখন বড় করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়া হয়। নাহ,সব সম্ভব।
সবচেয়ে ভালো, সবচেয়ে খারাপ, সবচেয়ে চেইঞ্জ হওয়া ছেলে গুলা,সময়ভেদে সমাজে টপিক হয়। এরাই আইডল।কেউ কথা বলতে গেলে, ওদের দিকেই আংগুলা উচায়, দেখ ! তাকায় দেখ ! কি ছিল , আর কি হৈছে !
এই হঠাত করে খারাপ থেকে ভালো হওয়া, আবার হঠাত করেই ভালো থেকে খারাপ হওয়া ছেলেগুলার পেছনের গল্পটায় আমার দূর্বার আকর্ষণ।কি এমন জিনিস আছে যা তার পুরা ট্র্যাকটারেই চেইঞ্জ করে দেয় ?
এতদিনের এক্সপেরিয়েন্সে যতদূর বুঝলাম যে, মানুষের নেগেটিভ চেইঞ্জ গুলা সবসময় আগ্রাসী সংস্কৃতি,নিজের অরিজিন ভুলে যাওয়া, শিষ্টাচারের প্র্যাকটিস বা নর্মস এন্ড ভ্যালুস থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে হয়।সে এমন একটা সার্কেলে বাড়তে থাকে,যেখানে খারাপ হওয়াটাকে ফ্যাশন বলা হয়, প্রথাবিরোধী কোন কাজকে সাহস বলা হয়।আর এটা যখন ঘটতে থাকে, তখন তার অবস্থা হয়, খরস্রোতায় ভেসে যাওয়া কোন খড়কুটার মতন। যাচ্ছে তো যাচ্ছেই।
আর সবচে খারাপ ছেলেগুলার চেইঞ্জ হওয়ারর পেছনের গল্পটা একেবারেই বিপরীত। সে নিজের অরিজিন খুজতে চেষ্টা করে। জাতিগত ভাবে তার গৌরবের ইতিহাস গুলো তার কাছে প্রেরনা হয়ে দাঁড়ায়। আর, তার স্পিরিচুয়াল পরিবর্তন টা এনে দেয় তার ধর্ম! হোয়াটেভার সে হিন্দু,মুসলিম,খ্রিষ্টান বা বৌদ্ধ হোক।
সে মানুষের বিশ্বাসকে ভালোবাসতে শেখে,মানুষের মর্যাদা তার কাছে হয় সবচাইতে মূল্যবান !
সবচে বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, এই ধরনের চেইঞ্জ গুলো কোন সাহিত্যের মধ্যে দিয়ে আসে না।আসে,ভালো মন্দের পার্থক্য, আর তার পরিনাম উপলব্ধি করার মধ্যে দিয়ে!
আর এটাও সবচেয়ে অদ্ভুত এবং সত্য যে,রিলিজিয়ন ঠিক এই জায়গাটাতেই সবসময় পার্থক্য করে দেয়।
এজন্যই বলা হয়, একটা হিন্দু ছেলে,যে তার ধর্ম মেনে চলে, আর যে চলে না, তার থেকে বহুগুনে ভাল।
একটা মুসলমান ছেলে, যে ধর্ম মেনে চলে, আর যে চলে না, তার থেকে অনেক অনেক ভাল।
চরম বাস্তবতা হচ্ছে, জীবনের ঠিক এই জায়গাটাকেই আমরা অবহেলা করে যাচ্ছি সবচেয়ে বেশী।
মনুষ্যত্বের কথা বলছি, কিন্তু মন্যুষত্বের উৎস হতে সরে যাচ্ছি যোজন যোজন দূর।
আমরা প্রগতির কথা বলে যাচ্ছি দিনকে দিন,
কিন্তু আদতে সকল প্রানরস নিঃশেষ করে দিয়ে,
সবচেয়ে বড় বেইমানী টা করে যাচ্ছি নিজেদের সাথেই ।
সিরিয়াসলি,আমাদের কষ্ট পাওয়া উচিত।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:১০
কালো পতাকার খোঁজে বলেছেন: এজন্যই বলা হয়, একটা হিন্দু ছেলে,যে তার ধর্ম মেনে চলে, আর যে চলে না, তার থেকে বহুগুনে ভাল।
একটা মুসলমান ছেলে, যে ধর্ম মেনে চলে, আর যে চলে না, তার থেকে অনেক অনেক ভাল।
একমত। প্লাস
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৫১
ঠাহর বলেছেন: ধার্মিক ছেলেরা অধার্মিক ছেলেদের চেয়ে বহুগুন ভালো, এটার উলটা নমুনাই আমরা সারা পৃথিবীতে দেখতে পাচ্ছি। যেমন, শক্তিশালী ধার্মিক ইস্রায়েলী ইহুদীরা, দুর্বল ফিলিস্তিনি মুসলমানদের কচুকাটা করতেছে। ধার্মিক বুদ্ধরা মিয়ানমারে মুসলিমদের উচ্ছেদ করার জন্য গনহত্যা করতেছে। আবার বোকো হারামের ধার্মিক জিহাদিরা স্কুল ছাত্রীদের অপহরন করতেছে। আমাদের দেশের ধার্মিক মুসলমান ভাইরা ১১ জন হিন্দুকে ঘরে আটকায়া পুড়ায়া মারে, সামান্য ফেসবুকে কে কাকে ট্যাগ করছে, সে জন্য রামুর ঘটনা ঘটে। আর কয়টা বলবো। চিন্তা করে দেখুন, এতসব মৃত্যু, এতসব বিশৃঙ্খলা কিন্তু শুধু ধর্মকে পূঁজি করেই। ভেবে দেখুন আরেকবার।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৭
কালো পতাকার খোঁজে বলেছেন: @ঠাহর, এতো দুরে তাকালে ভালোভাবে দেখতে পারবেন না তো। আশেপাশে দেখেন, আপনার ক্লাসমেট, কলিগ, পাড়ার বন্ধুমহল, আত্নীয়, গ্রামের বাড়ী এসব দেখে সত্যি করে বলেন তো।
আমার নিজের চারপাশ কিন্তু আপনার ধারণার বিপরীত বলে।
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
ঠাহর বলেছেন: রামু, চট্টগ্রামের বাশখালি এগুলো কি দূরে? আমার কাশমেট বা পরিচিতজনদের মধ্যে দেখেছি, সে হিন্দু, মুসলিম বা খৃষ্টান যেই ধরমেরই হোক না কেন, যদি খুব ধার্মিক হয়, তাহলে খুবই সংকীর্ণমনা হয় (সবাই না-৯০%)। আমি সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছি আমার সেসব ক্লাসমেটদের পরিবর্তন দেখে, যারা খুব ধার্মিক হয়ে যাবার পর অন্য ধর্মের ক্লাশমেটদের কি নজরে দেখে। আর গাঞ্জাট্টু, হিরুইঞ্চি, ঘুষখোর, মাগিবাজদের কথা যদি বলেন, ওরা মসজিদের ইমাম বা মন্দিরের ঠাকুরের চেয়েও বেশি ধার্মিক। সৃষ্টিকর্তার উপর ওদের অগাধ বিশ্বাস। ওরা মনে করে মরার আগে ভালো করে মাফ চাইয়া নিব। ভালো থাকুন।
৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
নরাধম বলেছেন: এম্নিতে ধার্মিক বা নাস্তিক কারা ভাল এসব নিয়ে তর্ক করে কোন লাভ নেই মনে হয়, কেননা যে নাস্তিক তার তো কোন পরম নৈতিক মান (absolute moral standard) নাই। সে চলবে মরাল রিলেটিভিজম দিয়ে, তাই তার কাছে ভাল-মন্দ বলতে কিছু নাই। সে তার অবস্থা, পারিপার্শ্বিক বুঝে সিদ্ধান্ত নিবে এবং নিজের সুবিধামত ভালমন্দ ডিসাইড করবে। তার কাছে লিগ্যাল কিন্তু ইমরাল এইরকম কোন ধারণা নেই। পক্ষান্তরে ধার্মিকদের একটা পরম নৈতিক মান আছে যেটা অনুসারে তার ভালমন্দ যাচাই হবে। লিগ্যাল-ইল্লিগ্যাল-এর বাইরে গিয়েও তাকে মরাল কোনটা সেটা যাচাই করতে হয়।
@ঠাহর, ইসরাইল বানাইছে নাস্তিক ইহুদীরা, ধার্মিক ইহুদিরা ইসরাইলের প্রতিষ্ঠার বিরোধী ছিল। এখনও অনেক ধার্মিক ইহুদী ইজরায়েলের বিরোধী। ইজরায়েলে যারা ক্ষমতায় আছে এবং গত ষাট বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল তারা বেশিরভাগই সেক্যুলার। তাই ধার্মিক ইহুদীরা ফিলিস্তিনিদের অত্যাচার করছে সেটা সত্য না। মিয়ানমারে সামরিক শাসক নিজেদের স্বার্থে বৌদ্ধদের উসকে দিচ্ছে, ধর্ম সেখানে সেকেন্ডারি। বাংলাদেশে হিন্দুদের জায়গা দখল করছে ৭০% ভাগেরও বেশি আলীগের লোক, যারা নিজেদেরকে সেক্যুলার বলে।
৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
কালো পতাকার খোঁজে বলেছেন: @ঠাহর, নরাধম আপনার কথার উত্তর দিয়েছেন।
আমি বলি, যারা ধর্মে বিশ্বাসী না তারা কি কম মানুষ মেরেছে?
স্ট্যালিন, লেনিন এর হাতে কেমন রক্ত লেগে আছে বলে আপনার ধারণা?
চেচনিয়ার রক্তপাত তো আপনি দেখার কথা।
কম্যুনিস্ট চীনে উইঘুর মুসলিমের অবস্থা কি আপনি জানেন? এরা তো ধার্মিক না, মুক্তমনা, এরা কেন রক্তের হোলিতে মেতে উঠেছে?
এবার আসি আপনার চারপাশের কথায়, আপনার কথায় মনে হচ্ছে আপনি বড় দুর্ভাগা। যারা ধার্মিক তারা যদি সংকীর্ণ মনা হয়, তাহলে বলতে হবে সে বকধার্মিক, (অবশ্যই ধর্মের কারণে সে কিছুটা রক্ষণশীল থাকবে, কিন্তু সেটা অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করার মধ্যে নয়)। আর অন্য জাতের যাদের কথা বললেন তারা তো স্রষ্টাকে ব্লাফ দেয়ার তালে ব্যস্ত, আপনি তাদের ধর্মে কিভাবে আশ্বস্ত হলেন?
৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৮
ঠাহর বলেছেন: সেক্যুলার আবার ইহুদী হয় কেমনে? ধার্মিক ইহুদীরা ইসরায়েলের বিরোধিতা করে, এই খবর আপনি কই পাইলেন? "ধার্মিক ইহুদীরা ফিলিস্তিনিদের অত্যাচার করছে সেটা সত্য না।" আপনি তো ইহুদী মুসলিম ভাই ভাই বানাইয়া দিলেন!! এমন হলে তো খুব ভালই হতো! মিয়ানমারের সামরিক শাসক বুদ্ধদের উস্কে দিচ্ছে, তাহলে এখানে কি ব্যবহার/ পূঁজি হইল? স্ট্যালিন, লেলিনের ইতিহাস যদি এখন নিয়া বসি, তাইলে সামুর সার্ভার ডাউন হইয়া যাইতে পারে। তারপরও বলি, ওদের হাতে যদি রক্ত লেগে থাকে, আপনি Mean করছেন তাইলে ধার্মিকদের হাতেও যেহেতু রক্ত লেগে আছে, তার মানে তারা same standard? তাইলে এরকম Generalize করেন কিভাবে? আর ধার্মিকদের নৈতিকতা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। কারন ধর্ম নিয়ে কোন কথা বললেই এখন অনুভূতি আহত হয়। মদিনা সনদে দেশ চলে, আর আপনি বলতেছেন আওয়ামিলীগ স্যেকুলার!! কেমনে কি? দেশের ৩০-৪০% লোক স্যেকুলার? আওলায়া দিলেন ভাই। খোদা হাফেজ, আর আওলাইতে চাই না।
৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:১২
নরাধম বলেছেন: @ঠাহর, বুঝতেছি আপনার জানাশোনা ভাসা-ভাসাই। ইহুদী সেক্যুলার হয় কেমনে সেটা জানেন না এখনো আর কি কথা বলব। ইহুদী একটা গোত্রও, ধর্মও। যার মা ইহুদী সে ইহুদী, এমনকি ধর্ম না মানলেও। চোয়াম চমস্কি ইহুদী কিন্তু নাস্তিক। জুডাইজম হল একটা গোত্রের নাম। আরেকটু জেনেশুনে আসেন, তারপর আওলাইল্যা লাগবেনা আর। বেন গুরিয়ান আর হাইম ওয়াইজম্যানের নাম শুনেছেন? এরা ইজরায়েলের প্রতিষ্ঠাতা, দুজনই সেক্যুলার নাস্তিক ছিলেন।
বেকুব মানুষের সাথে কথা বলাতে বিরাট সমস্যা, জানেনা কিছু আবার লাফাই পুঁটিমাছের মত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:২০
নরাধম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। গভীর পর্যবেক্ষণ। ধর্মহীন মানুষ খুবই অসুখে আছে, তারা বুঝতেও পারেনা কেন তারা অসুখে। সেই অসুখ থেকে বাঁচার জন্য সে আরো নেগেটিভিটিতে জড়িয়ে পড়ে, আরো নেগেটিভ মানুষের সাথে তার খাতির হয়। নেগেটিভ মানুষরা একে অন্যের উপর ফিড করে শক্তি সন্ঞয় করে।