নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নিজেস্ব কোন পরিচয় নেই, সহজাতই আমি মানুষের ফ্রেমে বন্দী এক অজ্ঞাতনামা✔
পরাজিত
_____অর্নব(কাঠের মানুষ)
ইলার কলটা ধরল না। কেঁটে দিয়ে পানির দিকে তাকিয়ে রইলো নীরব।
বাঁধানো ঘাটটিতে এই মুহূর্তে শুধু নীরব একাই। এই কাঠ ফাটা রোদে কেউ এখানে বসতে আসবে না। কেউ
এসে বসুক তাও চায় না নীরব। এখন
কিছুটা সময় দরকার একাকীত্বের।
কিছুটা সময় দরকার নিঃশব্দে পুকুরের পানির শান্ত তরঙ্গের প্রবাহ দেখার।
এখানে কোলাহল নেই। নেই
কানের কাছে ইলার একটার পর
একটা আবদার।
- তোমার পাশে বসি?
কথাটা শুনে হঠাৎ নীরবতা ভেঙে গেল নীরবের। এই রোদের মধ্যেও পুকুর পাড়ে কে এসে দাঁড়িয়েছে?
নিশ্চয় পরিচিত কেউ। পরিচিত
কেউ ছাড়া হুট করে তুমি বলে?
অন্তত পাশে বসতে চাইবে না। ঢাকায়
কোথাও একটু
একা একা বসে থাকার জায়গা নেই।
শুধু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার
জায়গা ছাড়া আর কোথাও
একা থাকা যায় না। মাঝে মাঝে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে সেখানেও
এসে বিরক্ত করে কেউ কেউ।
নীরব মুখ তুলে তাকাল। উজ্জ্বল হলুদ
রঙের পোশাক পরা একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে। বয়স উনিশ কিংবা বিশ হবে। রোদের
মধ্যে হলুদ রঙটা চোখে বড্ড লাগছে। চোখ ঝলসে যাবার মত।
চোখ ধাদানো রূপ মেয়েটির। মায়া মায়া ভাব আছে চেহারায়। একবার তাকালে চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করে না।
চোখ-দুটোর নিচে কালো ছোপ পরেছে। চোখ দুটো কোঠরিতে ডুকে যাচ্ছে ক্রমশই।
তবে সমস্যা হল, এই মেয়েকে নীরব চিনে না। কখনও দেখেছে বলেও মনে হয় না।
(ধারাবাহিক গল্প-প্রথম অংশ)
চলবে……
©somewhere in net ltd.