| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট সাহেব
উর্বর মস্তিষ্কের কার্যকলাপে জবাবদিহি করতে বাধ্য নহে।
আমার মনে হয় অনেকের ধারণা যে এই ছেলেগুলো মাদ্রাসায় গমন করে নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে কিন্তু আদতে এটা তো তাদের Choice নয়, তাদের Obligation কারণ এদের বেশিরভাগই গরিব এতিম, এমনকি তিনবেলা খাবার সংস্থান করার মতো অবস্থায় নেই। ফলে তাদের জন্য তিনবেলা খাওয়া দাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য মাদ্রাসা, এতিমখানায় না যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এ গরিব দেশের মেট্রোরেল, পাতাল রেল করার মতো বিলাসিতা আছে কিন্তু এই গরিবের ভার বহন করার ক্ষমতা নেই। সবচেয়ে দু:খজনক ব্যাপার হলো একশ্রেণীর লোকজন যারা মাদ্রাসার সমালোচনা করে লম্বা লম্বা লেকচার দেয়। কিন্তু এই লাখ লাখ অসহায় শিশুদের দায়িত্ব কে নিবে তা নিয়ে উচ্চবাক্য করে না। অন্ততঃ মাদ্রাসায় যাওয়ায় তারা কিছুটা শিক্ষা পায়, আদবকায়দা শিখে নাহলে এরা রাস্তায় ভিক্ষা করতো, নানারকম অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে পারতো যা সমাজের জন্য একটি বোঝা হয়ে দাঁড়াতো।
এছাড়া আছে এই শিশুদের অসহায়ত্ব। যে বয়সে দৌড়াদৌড়ি করে খেলাধুলা করার কথা সেসময় তারা এক কঠিন রেজিমেন্টশন জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা লাভ করে। মাদ্রাসা আর এতিমখানায় সবাই তাদেরকে মায়ের বাপের ভালোবাসা দিয়ে পড়ায় এটা আশা করা যায় না। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু শিক্ষিত জ্ঞানপাপী আছে যারা তাপানাকুল রুমে বসে মাদ্রাসা, এতিমখানার উৎকর্ষ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। যে দেশে ভালো বেতন পেয়েও ৮০% লোক দুইনম্বর রোজগারের রাস্তা খুঁজে, যেখানে সোনার চামচে খেয়ে বড় হওয়া আপন জুয়েলার্সের ছেলের কাছে নারী ধর্ষিত হয়, যে দেশে শুধুমাত্র সরকারি কাজে অবহেলার জন্য ফ্লাইওভারের গ্রিড ধসে মানুষ মারা যায় সে দেশে তারা আশা করবে কোন এক জাদুবলে মাদ্রাসায় শিক্ষকগণ সবচেয়ে কম বেতন পেয়েও আদর্শ শিক্ষক হবে আর কোনোমতে এক আধ পেটা খেয়ে এই শিশুগুলো সৎ ও চরিত্রবান হয়ে উঠবে।
যদি এমন কোন অপশন থাকতো এর চেয়ে ভালো তাহলে হয়তো বলা যেতে পারতো।কিন্তু আমরা তো এর চেয়ে ভালো কোন রাস্তা দেখানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারি নাই। 
©somewhere in net ltd.