নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তেমন কেউ না।।

Ashfi Tuhin

তেমন কেউ না।।

Ashfi Tuhin › বিস্তারিত পোস্টঃ

টিউশন সমাচার।।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮



বাংলাদেশে টিউশন নামক এক অদ্ভুত ধরণের মিনি জব পাওয়া যায়, যা ছাত্রাবস্থায় সাচ্ছন্দ্যে চলার জন্য কিছুটা সহায়তা করে।।।


একটা টিউশানি করতাম, ছাত্রী ইন্টারমিডিয়েটের। ছাত্রীর বাবা মা দুজনেই চাকুরী করে। বাসায় দাদী/নানী এসে থাকে।
ছাত্রী বেশ মেধাবী, তবে মহা ফাঁকিবাজ আর অলস। যাই হোক সেটা ব্যাপার না। ব্যাপার হল কিভাবে তাকে অলস থেকে কর্মঠ বানালাম।
এর ফাঁকিবাজি বন্ধ করার রাস্তা খুঁজছিলাম। পাচ্ছিলাম না। তো একদিন ছাত্রীর বাসার সামনে অটো থেকে নেমে বাসায় ঢুকতে যাব এমন সময় ফোনে SMS আসল, ফোন বের করে দেখি ছাত্রীই SMS দিয়েছে:-
"Babu, sir ektu por porate asba. tmi pora call deo" মেসেজ দেখে কয়েক মূহুর্ত স্থানুর মত দাঁড়িয়ে রইলাম। ব্যাপারখানা বুঝতে পারলাম কয়েক সেকেন্ডের চেষ্টায়।

তো ছাত্রী আমার তখনও ঘটনাখানা বুঝে নাই। পড়াতে পড়াতে একটা ম্যাথ ভুল করল। বললাম "ম্যাথ তো ভুল কর, সাথে মেসেজ কাকে কোনটা দিবা তাও ভুল কর"
ছাত্রী বলল "বুঝি নাই স্যার"
আমি বললাম "ফোনের মেসেজ দেখ কারে কি পাঠাইছ"
ছাত্রী লাফ দিয়ে ফোন নিল, তারপরে ফোন দেখে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকল। আমি ক্যালাইতে ক্যালাইতে বললাম, কাল থেকে হোমওয়ার্কে কোন ঘাটতি দেখলে আমি তোমার "বাবুকে" পাঠানো মেসেজ বাবাকে দেখায়ে দিব।

ইহার পরে ছাত্রী অতীব ভদ্র হয়ে গেল, তবুও আমি মাঝে মধ্যে জিগাইতাম "তোমার বাবু কেমন আছে? কত বড় হইছে??"

উল্লেখ্য ছবি- তাদের বাসার নাস্তা।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: কত সালের ঘটনা?


নাস্তাতো ভালই পেতেন!! রাতে তো মনে হয়, না খেলেও চলতো??:P

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৫

Ashfi Tuhin বলেছেন: ২০১৬ তে ভাইয়া।।
হে হে, কিন্তু প্রতিদিন দিতনা তো,,,,,,,,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.